ফিরিঙ্গি বাজার

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

ফিরিঙ্গি বাজার চট্টগ্রাম শহরে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক বাজার এলাকা যা ১৯৩৭ সালে স্থাপিত হয়।[১] বর্তমানে এটি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এর ৩৩নং ওয়ার্ডের অধীনে। এক সময় এটি পর্তুগিজ চট্টগ্রাম এর গুরুত্বপূর্ণ বন্দর ছিল, যার নাম ছিল "ফিরিঙ্গি বন্দর"। এই ফিরিঙ্গি বন্দরের নাম থেকেই ফিরিঙ্গি বাজার নামটি এসেছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এর সময় এলাকাটিতে একটি অস্থায়ী ব্রিটিশ ঘাঁটি ছিল।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

ফিরিঙ্গি বাজার এলাকাটি একসময় আরাকানের ম্রক উ রাজ্যের অধীনে ছিল। পরে বাংলার সুলতানরা এ অঞ্চলটির উপর অধিকার করে নেয়।

১৬শ শতকের প্রথম দিকে চট্টগ্রামে পর্তুগিজ ব্যবসায়িদের অনুপ্রবেশ ঘটে। তৎকালিন চট্টগ্রামের শাসককর্তা ছিলেন শাহী বাংলা এর সুলতান আলাউদ্দিন হোসেন শাহ। ১৫২৮ সালে পর্তুগিজরা সুলতানের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে চট্টগ্রামে পোর্তো গ্রান্দে দি বেঙ্গলা নামে একটি বাণিজ্য ঘাঁটি স্থাপন করে। পর্তুগিজরা বণিকরা এ অঞ্চলে "ফিরিঙ্গি" নামে পরিচিত ছিলো। স্থানীয় চাঁটগাঁইয়া ভাষা তে "ফিরিঙ্গি" অর্থ 'বিদেশি'। পর্তুগিজরা তখন ফিরিঙ্গি বন্দর নামে চট্টগ্রামে একটি বাণিজ্য বন্দরও গড়ে তুলেছিল, যেটা ছিল উক্ত "পোর্তো গ্রান্দে দ্য বেঙ্গলা" (Porto Grande de Bengala) নামক পর্তুগিজ উপনিবেশটির (বাণিজ্য ঘাঁটি) প্রধান শহর বা রাজধানী।

১৫৩৭ সালের দিকে শের শাহের আক্রমণে ভীত হয়ে সুলতান গিয়াসউদ্দিন মাহমুদ শাহ সামরিক সাহায্যের বিনিময়ে পর্তুগিজদের চট্টগ্রামে বাণিজ্য কুঠি এবং চট্টগ্রাম বন্দরের শুল্ক আদায়ের অধিকার প্রদান করেন। ফলে পর্তুগিজরা দিয়াং এ বাণিজ্য কুঠি এবং গির্জা নির্মাণ করার পাশাপাশি চট্টগ্রাম বন্দরে শুল্ক সংগ্রহ কেন্দ্র এবং পণ্যসামগ্রীর আড়ত স্থাপন করেন।

পরবর্তীকালে এলাকাটি ফিরিঙ্গিদের নামানুসারে ‘‘ফিরিঙ্গি বাজার’’ নামে পরিচিতি লাভ করে।[১]

প্রশাসনিক কাঠামো[সম্পাদনা]

ফিরিঙ্গি বন্দর (বা বাজার) বর্তমানে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এর ৩৩নং ওয়ার্ডের অধীনে। যার কাউন্সিলর বর্তমানে জনাব হাসান মুরাদ। একই সঙ্গে এটি ২৮৯নং জাতীয় নির্বাচনি অঞ্চল ও চট্টগ্রাম মহানগরের সদরঘাট থানার অংশ।

দর্শনীয় স্থানসমূহ[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. মোহাম্মদ খালেদ, সম্পাদক (নভেম্বর ১৯৯৫)। "নগর-জীবন"। হাজার বছরের চট্টগ্রামচট্টগ্রাম: এম এ মালেক (দৈনিক আজাদী)। পৃষ্ঠা ২৯৬। 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]