সাঈদ আহমদ সন্দ্বীপি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

সাঈদ আহমদ সন্দ্বীপি
শায়খুল হাদিস, আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম
অফিসে
১৯০৮ – ১৯৪৩
উপাধিবাংলার প্রথম শায়খুল হাদিস
ব্যক্তিগত তথ্য
জন্ম১৮৮২ ইং
মৃত্যু১৯৫৫(1955-00-00) (বয়স ৭২–৭৩)
ধর্মইসলাম
পিতামাতা
  • নূর বখশ (পিতা)
জাতিসত্তাবাঙালি
আখ্যাসুন্নি
ব্যবহারশাস্ত্রহানাফি
আন্দোলনদেওবন্দি
প্রধান আগ্রহহাদিস, তাসাউফ
উল্লেখযোগ্য কাজআল জামিয়াতুল ইসলামিয়া কাছেমুল উলুম চারিয়া
যেখানের শিক্ষার্থীদারুল উলুম দেওবন্দ
মুসলিম নেতা
এর শিষ্যমাহমুদ হাসান দেওবন্দি

সাঈদ আহমদ সন্দ্বীপি (১৮৮২ – ১৯৫৫) বাংলার একজন ইসলামি পণ্ডিত ছিলেন। তিনি হাটহাজারী মাদ্রাসার প্রথম শায়খুল হাদিস ছিলেন। তার মাধ্যমে কওমি ধারার মাদ্রাসায় প্রাতিষ্ঠানিক হাদিস শিক্ষার সূচনা হয়। একারণে তিনি বাংলার প্রথম শায়খুল হাদিস হিসেবেও সম্মানিত হন। তিনি মাহমুদ হাসান দেওবন্দির খলিফা ছিলেন। তার প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসা আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া কাছেমুল উলুম চারিয়া

জীবনী[সম্পাদনা]

সাঈদ আহমদ সন্দ্বীপি ১৮৮২ সালে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা নূর বখশ একজন আলেম ছিলেন। পিতার নিকট প্রাথমিক ধর্মীয় শিক্ষা লাভের পর ১৮৯৩ সালে তিনি ভারতে চলে যান, তখন তার বয়স হয়েছিল ১১ বছর। তিনি মাহমুদ হাসান দেওবন্দির তত্ত্বাবধানে দারুল উলুম দেওবন্দে ভর্তি হন। ১৯০৫ সালে তিনি দারুল উলুম দেওবন্দে দাওরায়ে হাদিস (স্নাতক) সমাপ্ত করেন। শিক্ষাজীবন শেষে তিনি প্রথম পর্যায়ে রশিদ আহমদ গাঙ্গুহির নিকট বায়আত গ্রহণ করেন। পরে মাহমুদ হাসান দেওবন্দির নিকট বায়আত হন ও খেলাফত লাভ করেন। ১৯০৮ সালে জমিরুদ্দিন আহমদের পরামর্শে প্রথম শায়খুল হাদিস হিসেবে তিনি দারুল উলুম হাটহাজারী মাদ্রাসার শায়খুল হাদিস পদে নিযুক্ত হন। বাংলাদেশ তথা তৎকালীন পূর্ববঙ্গে তার মাধ্যমেই কওমি ধারার মাদ্রাসায় প্রাতিষ্ঠানিক হাদিস শিক্ষা আরম্ভ হয়। যার কারণে তিনি বড় মুহাদ্দিস সাহেব ও বাংলার প্রথম শায়খুল হাদিস হিসেবে সম্মানিত। ১৯০৮ থেকে ১৯৪৩ পর্যন্ত তিনি প্রায় ৩৫ বছর হাটহাজারী মাদ্রাসায় হাদিসের শিক্ষকতা করেন। ১৯৪৩ সালে তিনি আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া কাছেমুল উলুম চারিয়া প্রতিষ্ঠা করেন এবং আমৃত্যু এখানে হাদিস শিক্ষাদান করেন। উভয় মাদ্রাসায় তার ছাত্রদের মধ্যে রয়েছেন: মুফতি ফয়জুল্লাহ, শাহ আবদুল ওয়াহহাব প্রমুখ। তিনি ১৯৫৫ সালে মৃত্যুবরণ করেন। চারিয়া মাদ্রাসার দক্ষিণে তার কবর অবস্থিত।[১][২]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

উদ্ধৃতি[সম্পাদনা]

  1. নিজামপুরী, আশরাফ আলী (২০১৩)। দ্যা হান্ড্রেড (বাংলা মায়ের একশ কৃতিসন্তান) (১ম সংস্করণ)। হাটহাজারী, চট্টগ্রাম: সালমান প্রকাশনী। পৃষ্ঠা ৭৫–৭৭। আইএসবিএন 112009250-7 
  2. মুহাম্মদ আহসান, উল্লাহ (২০২১)। বাংলা ভাষায় হাদিস চর্চা (১৯৫২-২০১৫) (পিএইচডি)। বাংলাদেশ: ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। পৃষ্ঠা ৩৭৮। [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]

গ্রন্থপঞ্জি[সম্পাদনা]

  • আমীরুল ইসলাম, মাওলানা (২০১২)। সোনার বাংলা হীরার খনি ৪৫ আউলিয়ার জীবনী। ৫০, বাংলাবাজার, ঢাকা: কোহিনূর লাইব্রেরী। পৃষ্ঠা ১৩–১৮। 
  • আহমদুল্লাহ, মুফতি (২০১৬)। মাশায়েখে চাটগাম — ১ম খণ্ড (৩য় সংস্করণ)। ১১/১, ইসলামী টাওয়ার, বাংলাবাজার, ঢাকা ১১০০: আহমদ প্রকাশন। পৃষ্ঠা ১৫৮—১৮১। আইএসবিএন 978-984-92106-4-1 
  • আহসান সাইয়েদ, ড. (২০০৬)। বাংলাদেশে হাদিস চর্চা উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ। ১৯ সেগুনবাগিচা, ঢাকা-১০০০: অ্যাডর্ন পাবলিকেশন। পৃষ্ঠা ২৫৯। আইএসবিএন 9789842005602 
  • জাফর, আবু (২০১৭)। ভারতীয় উপমহাদেশের সুফি-সাধক ও ওলামা মাশায়েখ। বাংলাবাজার, ঢাকা: মীনা বুক হাউস। পৃষ্ঠা ১০৩–১০৪। আইএসবিএন 9789849115465 
  • বাবুনগরী, জুনায়েদ (২০০৩)। দারুল উলুম হাটহাজারীর কতিপয় উজ্জ্বল নক্ষত্র (১ম সংস্করণ)। হাটহাজারী, চট্টগ্রাম: বুখারী একাডেমি। পৃষ্ঠা ১৪–১৫।