ব্রেন্ডন টেলর

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ব্রেন্ডন টেলর
২০১৩ সালে এক অনুষ্ঠানে টেলর
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামব্রেন্ডন রস মারে টেলর
জন্ম (1986-02-06) ৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৬ (বয়স ৩৮)
হারারে, জিম্বাবুয়ে
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি ব্যাটসম্যান
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি অফ ব্রেক
ভূমিকাউইকেট-কিপার, ব্যাটসম্যান, জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৬৪)
৬ মে ২০০৪ বনাম শ্রীলঙ্কা
শেষ টেস্ট১২ নভেম্বর ২০১৪ বনাম বাংলাদেশ
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ৮০)
২০ এপ্রিল ২০০৪ বনাম শ্রীলঙ্কা
শেষ ওডিআই১৪ মার্চ ২০১৫ বনাম ভারত
টি২০আই অভিষেক২৮ নভেম্বর ২০০৬ বনাম বাংলাদেশ
শেষ টি২০আই২১ মার্চ ২০১৪ বনাম সংযুক্ত আরব আমিরাত
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
২০০১/০২ম্যাশোনাল্যান্ড এ
২০০২/০৩-২০০৪/০৫ম্যাশোনাল্যান্ড
২০০৭/০৮-২০০৮/০৯নর্দান্স
২০০৯/১০-২০১৪/১৫মিড ওয়েস্ট রাইনোজ
২০১১ওয়েলিংটন ক্রিকেট দল
২০১২ওথুরা অরিক্সেজ
২০১২/১৩চিটাগং কিংস
২০১৪সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ
২০১৫-বর্তমাননটিংহ্যামশায়ার
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই টি২০আই এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ২৩ ১৬৭ ২৬ ৯২
রানের সংখ্যা ১,৪৯৩ ৫২৫৮ ৫৯৪ ৬,৮৫০
ব্যাটিং গড় ৩৪.৭২ ৩৪.৮২ ২৮.২৮ ৪২.৮১
১০০/৫০ ৪/৭ ৮/৩২ ০/৫ ২৫/২৩
সর্বোচ্চ রান ১৭১ ১৪৫* ৭৫* ২১৭
বল করেছে ১৫৮ ৩৯৬ ৩০ ৩৬৬
উইকেট
বোলিং গড় ৪৫.১১ ১৭.০০ ৫৩.২৫
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট -
সেরা বোলিং - ৩/৫৪ ১/১৬ ২/৩৬
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ২৩/০ ৯৮/২০ ১০/১ ১১১/৪
উৎস: ক্রিকইনফো, ১৭ এপ্রিল ২০১৬

ব্রেন্ডন রস মারে টেলর (ইংরেজি: Brendan Ross Murray Taylor; জন্ম: ৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮৬) হারারে এলাকায় জন্মগ্রহণকারী জিম্বাবুয়ের সাবেক ক্রিকেটার। জিম্বাবুয়ে দলের অন্যতম প্রথিতযশা ব্যাটসম্যান ছিলেন। দলের প্রয়োজনে কখনো কখনো তাকে উইকেট-রক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে থাকেন এবং মাঝে মাঝে অফ-স্পিন বোলিংও করে থাকেন। তাকে জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বাপেক্ষা প্রতিভাবান ও অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।[১] তিনি জিম্বাবুয়ের টেস্ট ক্রিকেট দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন।

২০১১ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেটের পর সাবেক অধিনায়ক এলটন চিগুম্বুরার কাছ থেকে দলের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।

ডিসেম্বর, ২০১১ সালে টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকে বিদেশী খেলোয়াড়রূপে নিউজিল্যান্ডের এইচআরভি কাপ প্রতিযোগিতায় ওয়েলিংটন ক্রিকেট দলের পক্ষে অংশগ্রহণ করেন।

খেলোয়াড়ী জীবন[সম্পাদনা]

ঘরোয়া ক্রিকেটে অসম্ভব দক্ষতা, ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন এবং শীর্ষস্থানীয় ক্রিকেটারদের চাপে তাকে ১৮ বছর বয়সে জাতীয় ক্রিকেট দলে অন্তর্ভুক্ত করে ২০০৩-০৪ মৌসুমে শ্রীলঙ্কা সফরে নিয়ে যাওয়া হয়।[২] তার অভিষেককালীন সময়ে দেশের অনেক শীর্ষস্থানীয় ক্রিকেটারগণ জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট বোর্ডের (সাবেক - জিম্বাবুইয়ান ক্রিকেট ইউনিয়ন) বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিল। তাদের এ অনুপস্থিতিতে অনেক তরুণ খেলোয়াড় অপরিপক্ক অবস্থায় দলে ঠাঁই পায়। কিন্তু, টেলর ছিলেন তরুণতম এবং উদীয়মান খেলোয়াড়। ২০০৬ সালে নতুন করে চুক্তিবদ্ধ না হওয়া স্বত্ত্বেও টেলর জাতীয় দলে অন্তর্ভুক্ত হন। তাতেন্দা তাইবু'র সাময়িক অনুপস্থিতিতে তিনি উইকেট-রক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন।

২৪ জুলাই, ২০১৪ তারিখে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের সিদ্ধান্তমাফিক সকল স্তরের ক্রিকেটে পরিবর্তনের অংশ হিসেবে টেলরকে টেস্ট ক্রিকেট ও এলটন চিগুম্বুরাকে ওডিআই এবং টি২০আই দলের অধিনায়কত্ব প্রদান করা হয়। এছাড়াও কোচিং কাঠামোয় পরিবর্তনের অংশ হিসেবে স্টিফেন ম্যানগোঙ্গোকে প্রধান কোচের দায়িত্বভার অর্পণ করা হয়।[৩]

টেস্ট ক্রিকেট[সম্পাদনা]

২০১১ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেটে দলের খারাপ ফলাফলের দরুন ২৪ জুন তারিখে চিগুম্বুরার পরিবর্তে তাকে জিম্বাবুয়ের অধিনায়কত্ব প্রদান করা হয়।[৪] টেস্ট ক্রিকেটে জিম্বাবুয়ের প্রত্যাবর্তনের পর দলটি হারারে স্পোর্টস ক্লাবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের বিপক্ষে খেলতে নামে। ৪ আগস্ট, ২০১১ তারিখে অনুষ্ঠিত এ টেস্টে টেলর ৭১ ও ১০৫* রান করেন। এ সেঞ্চুরির মাধ্যমে দ্বিতীয় জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক হিসেবে স্বীকৃতি পান। খেলায় জিম্বাবুয়ে ১৩০ রানে জয়লাভ করে ও তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার পান।[৫]

ক্রিকেট বিশ্বকাপ[সম্পাদনা]

জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট কর্তৃপক্ষ ৭ জানুয়ারি, ২০১৫ তারিখে ২০১৫ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের জন্য টেলর-সহ ১৫-সদস্যের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে।[৬] ৭ মার্চ, ২০১৫ তারিখে হোবার্টের বেলেরিভ ওভালে অনুষ্ঠিত গ্রুপ পর্বের ৫ম খেলায় আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে চমকপ্রদ ব্যাটিং করেন। তা স্বত্ত্বেও মাত্র ৫ রানের ব্যবধানে পরাজিত হয়ে বিশ্বকাপের নক-আউট পর্যায় অংশগ্রহণ থেকে বঞ্চিত হয় তার দল।[৭] ৫ম উইকেটে শন উইলিয়ামসকে সাথে নিয়ে বিশ্বকাপে ৩য় সর্বোচ্চ রানের (১৪৯) জুটি গড়েন। এ খেলায় তিনি ৭ম ওডিআই শতক (১২১) গড়েন মাত্র ৯১ বলে। এরফলে তিনি অ্যালিস্টেয়ার ক্যাম্পবেলের সাথে যৌথভাবে জিম্বাবুয়ের সর্বোচ্চ ৭টি ওডিআই সেঞ্চুরির অধিকারী হন। এছাড়াও অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার, গ্রান্ট ফ্লাওয়ার ও অ্যালিস্টেয়ার ক্যাম্পবেলের পর জিম্বাবুয়ের চতুর্থ ক্রিকেটার হিসেবে ৫,০০০ রানের মাইলফলকে পৌঁছেন।

সাফল্যগাঁথা[সম্পাদনা]

প্রথম জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যান হিসেবে ২০১১ সালে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পরপর দুইটি সেঞ্চুরি করেন। অক্টোবর মাসে তিনি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অপরাজিত ১২৮* ও অপরাজিত ১০৭* রান করেছিলেন।

২০০৭ সালের আইসিসি বিশ্ব টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতায় তার অপরাজিত ৬০* রানের সুবাদে জিম্বাবুয়ে ৫ উইকেটে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে স্মরণীয় জয় পায়। অলরাউন্ড নৈপুণ্যের জন্যে এ খেলায় তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচ পুরস্কার লাভ করেন।[৮]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১৩ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০১৫ 
  2. http://www.espncricinfo.com/zimbabwe/content/player/55814.html#profile
  3. "Chigumbura named Zimbabwe's limited-overs captain"ESPNcricinfo। ২৪ জুলাই ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ৩ আগস্ট ২০১৪ 
  4. http://www.espncricinfo.com/zimbabwe/content/story/520671.html
  5. Moonda, Firdose (৮ আগস্ট ২০১১)। "Zimbabwean Captain Brendan Taylor hails historic victory"ESPNCricinfo। সংগ্রহের তারিখ ৯ আগস্ট ২০১১ 
  6. Moonda, Firdose। "Hamilton Masakadza Set for First World Cup"ESPNCricinfo। ESPN। সংগ্রহের তারিখ ৭ জানুয়ারি ২০১৫ 
  7. Drummond, Andrew (৭ মার্চ ২০১৫)। "Ireland beat Zimbabwe by five runs"। Yahoo Sports Australia। ৭ মার্চ ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ মার্চ ২০১৫ 
  8. Taylor anchors Zimbabwe to historic win

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

পূর্বসূরী
এলটন চিগুম্বুরা
জিম্বাবুয়ে জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক
২০১১-২০১৫
উত্তরসূরী
হ্যামিল্টন মাসাকাদজা