পিটার মুর

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
পিটার মুর
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামপিটার যোসেফ মুর
জন্ম (1991-02-02) ২ ফেব্রুয়ারি ১৯৯১ (বয়স ৩৩)
হারারে, জিম্বাবুয়ে
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি অফ ব্রেক
ভূমিকাউইকেট-রক্ষক-ব্যাটসম্যান
সম্পর্কএজে মুর (ভ্রাতা)
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৯৯)
৬ আগস্ট ২০১৬ বনাম নিউজিল্যান্ড
শেষ টেস্ট১১ নভেম্বর ২০১৮ বনাম বাংলাদেশ
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ১২৪)
২৬ নভেম্বর ২০১৪ বনাম বাংলাদেশ
শেষ ওডিআই১ জুলাই ২০১৯ বনাম আয়ারল্যান্ড
টি২০আই অভিষেক
(ক্যাপ ৪৪)
৮ জানুয়ারি ২০১৬ বনাম আফগানিস্তান
শেষ টি২০আই৩ অক্টোবর ২০১৯ বনাম সিঙ্গাপুর
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
২০০৮/০৯নর্দার্নস
২০১০/১১ - ২০১২/১৩ম্যাশোনাল্যান্ড ঈগলস
২০১২/১৩ - বর্তমানমিড ওয়েস্ট রাইনোস
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই টি২০আই এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ৪৬ ২১ ৫৬
রানের সংখ্যা ৫৩৩ ৮২৮ ৩৬৪ ৩,৩০৩
ব্যাটিং গড় ৩৫.৫৩ ২১.৬৪ ২৪.২৭ ৩৪.০৫
১০০/৫০ ০/৫ ০/৪ ০/১ ৫/১৯
সর্বোচ্চ রান ৮৩ ৫৮* ৯২* ১৫৭
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৯/১ ২১/১ ৫/০ ৬১/১
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৩ অক্টোবর, ২০১৯

পিটার যোসেফ মুর (ইংরেজি: Peter Moor; জন্ম: ২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯১) হারারে এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক জিম্বাবুয়ীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ২০১০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়কালে থেকে জিম্বাবুয়ের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করছেন। বর্তমানে তিনি সহঃ অধিনায়কের দায়িত্বে রয়েছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর জিম্বাবুয়ীয় ক্রিকেটে ম্যাশোনাল্যান্ড ঈগলস, মিড ওয়েস্ট রাইনোস, মাজভেজ টাইগার্স, নর্দার্নস এবং ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে সারে ও মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাবের (এমসিসি) প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ উইকেট-রক্ষক-ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলে থাকেন। এছাড়াও, ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে অফ ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী পিটার মুর

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট[সম্পাদনা]

ক্রিকেটপ্রিয় পরিবারে পিটার মুরের জন্ম। কাকা, পিতা ও ভাই - সকলেই ক্রিকেটার ছিলেন। ফলে, ক্রিকেটের সাথে পাঁচ বছর বয়স থেকেই শখ্যতা গড়ে উঠে তার। মর্যাদাসম্পন্ন সেন্ট জোন্স কলেজে অধ্যয়ন করেন। বিদ্যালয় জীবনেই অপরাজিত ২১৪ রানের ব্যক্তিগত সংগ্রহের রেকর্ড ধারণ করে আছেন। তরুণ অবস্থাতেই প্রতিভাধর উইকেট-রক্ষক-ব্যাটসম্যান হিসেবে স্বীকৃতি পান। ১৬ বছর বয়সে জিম্বাবুয়ের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সদস্য হন এবং ২০০৮ ও ২০১০ সালের যুবদের বিশ্বকাপে প্রতিনিধিত্ব করেন।

২০১০ সাল থেকে পিটার মুরের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রয়েছে। ইংরেজ ও আইরিশ ক্লাব ক্রিকেটে তরুণ খেলোয়াড় হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সচেষ্ট হন। খুঁড়িয়ে চলা ঘরোয়া বিশেষ প্রাধিকারপ্রাপ্ত দলে নিয়মিতভাবে স্থান করে নিতে শুরুরদিকে তাকে বেশ প্রতিকূলতার মুখোমুখি হতে হয়েছিল। তবে, পরামর্শক ও প্রশিক্ষকের দায়িত্বে নিয়োজিত গ্রান্ট ফ্লাওয়ারের ছত্রচ্ছায়ায় ২০১৩-১৪ মৌসুমে খেলায় ছন্দ খুঁজে পান।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে আটটিমাত্র টেস্ট, ছিচল্লিশটি একদিনের আন্তর্জাতিকে ও একুশটি টি২০আইয়ে অংশগ্রহণ করেছেন পিটার মুর। ৬ আগস্ট, ২০১৬ তারিখে বুলাওয়েতে সফরকারী নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১১ নভেম্বর, ২০১৮ তারিখে ঢাকায় স্বাগতিক বাংলাদেশ দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।

২০১৪-১৫ মৌসুমে জিম্বাবুয়ে দলের সদস্যরূপে বাংলাদেশ গমনে আসেন। ২৬ নভেম্বর, ২০১৪ তারিখে ঢাকায় অনুষ্ঠিত সিরিজের তৃতীয় ওডিআইয়ের মাধ্যমে অভিষেক ঘটে তার।[১] ওডিআইয়ে অভিষেক অভিষেক ঘটলেও এ সফরটি তাদের জন্যে সুখকর ছিল না। ২০১৫-১৬ মৌসুমে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক সিরিজ খেলার জন্যে মনোনীত হন। শারজায় ৮ জানুয়ারি, ২০১৬ তারিখে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের ১ম টি২০আইয়ে অভিষিক্ত হন। [২]

টেস্ট অভিষেক[সম্পাদনা]

ওডিআইয়ে অভিষেকের দুই বছর পর টেস্ট দলে অন্তর্ভুক্ত হন। জুলাই, ২০১৬ সালে সফরকারী নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্যে তাকে জিম্বাবুয়ের টেস্ট দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।[৩] ৬ আগস্ট, ২০১৬ তারিখে বুলাওয়েতে অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে তার অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়।[৪] নিজস্ব প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৭১ রানের দূর্দান্ত ইনিংস খেলেন।

জুন, ২০১৮ সালে ত্রি-দেশীয় সিরিজকে ঘিরে প্রস্তুতিমূলক খেলায় অংশগ্রহণকল্পে বোর্ড একাদশ দলের সদস্য হন।[৫] ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সালে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট কর্তৃপক্ষ পিটার মুরকে ২০১৯-২০ মৌসুমে জাতীয় দলের তিন ধরনের খেলায় সহঃঅধিনায়ক হিসেবে ঘোষণা করে।[৬]

এপ্রিল, ২০১৯ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাত দল জিম্বাবুয়ে গমন করে। এ সফরের ওডিআই দলে তাকে জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক হিসেবে মনোনীত করা হয়। তিনি নিয়মিত অধিনায়ক হ্যামিল্টন মাসাকাদজা’র আঘাতপ্রাপ্তি স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন।[৭][৮]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Zimbabwe tour of Bangladesh, 3rd ODI: Bangladesh v Zimbabwe at Dhaka, Nov 26, 2014"ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০১৪ 
  2. "Zimbabwe tour of United Arab Emirates, 1st T20I: Afghanistan v Zimbabwe at Sharjah, Jan 8, 2016"ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ৮ জানুয়ারি ২০১৬ 
  3. "Cremer to lead Zimbabwe in Tests against New Zealand"ESPNcricinfo। ESPN Sports Media। ২১ জুলাই ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুলাই ২০১৬ 
  4. "New Zealand tour of Zimbabwe, 2nd Test: Zimbabwe v New Zealand at Bulawayo, Aug 6-10, 2016"ESPNcricinfo। ESPN Sports Media। ৬ আগস্ট ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ৬ আগস্ট ২০১৬ 
  5. "Graeme Cremer, Sikandar Raza left out of T20 practice matches"ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুন ২০১৮ 
  6. "Hamilton Masakadza to lead Zimbabwe in all three formats through 2019-20"ESPN Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ 
  7. "Taylor, Masakadza ruled out of UAE ODIs"CricBuzz। সংগ্রহের তারিখ ৭ এপ্রিল ২০১৯ 
  8. "Zimbabwe without Masakadza, Taylor for UAE ODIs"International Cricket Council। সংগ্রহের তারিখ ৭ এপ্রিল ২০১৯ 

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]