অ্যান্ডি ব্লিগনট

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
অ্যান্ডি ব্লিগনট
ব্যক্তিগত তথ্য
জন্ম (1978-08-01) ১ আগস্ট ১৯৭৮ (বয়স ৪৫)
সলিসবারি, রোডেশিয়া
ব্যাটিংয়ের ধরনবামহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি মিডিয়াম-ফাস্ট
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই
ম্যাচ সংখ্যা ১৯ ৫১
রানের সংখ্যা ৮৮৬ ৬২৫
ব্যাটিং গড় ২৬.৮৪ ১৯.৫৩
১০০/৫০ ০/৬ ০/৫
সর্বোচ্চ রান ৯২ ৬৩*
বল করেছে ৩১৭৩ ২২৭০
উইকেট ৫৩ ৪৯
বোলিং গড় ৩৭.০৫ ৪১.২৪
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট -
সেরা বোলিং ৫/৭৩ ৪/৪৩
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১৩/- ১১/-
উৎস: ক্রিকইনফো, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৬

আর্নোল্ডাস অ্যান্ডি মৌরিতিয়াস ব্লিগনট (ইংরেজি: Arnoldus Mauritius Blignaut; জন্ম: ১ আগস্ট, ১৯৭৮) সলিসবারিতে জন্মগ্রহণকারী জিম্বাবুয়ের সাবেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার[১] জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলার অ্যান্ডি ব্লিগনট একদিনের আন্তর্জাতিকে ব্যাটিংয়েও পারদর্শিতা দেখিয়েছেন। একদিনের আন্তর্জাতিকে দ্রুতলয়ে রান তোলায় দলের অপরিহার্য সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হয়েছেন তিনি। সেজন্যে তিনি অনেকগুলো ওডিআইয়ে অংশ নিয়েছেন তিনি। ফলশ্রুতিতে টেস্টের তুলনায় তুলনামূলকভাবে একদিনের আন্তর্জাতিকে রান তুলেছেন বেশি। অভিষেক টেস্টে হ্যাট্রিক করেন তিনি।[২]

প্রারম্ভিক জীবন[সম্পাদনা]

২০০৪-০৫ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় তাসমানিয়ার সাথে খেলার জন্য চুক্তিবদ্ধ হন। আঘাত ও দূর্বল ক্রীড়ানৈপুণ্যের প্রেক্ষিত অধিকাংশ খেলা থেকেই নিজেকে বিরত রাখতে হয়। নিজ দেশে ফিরে টেস্ট দলের সদস্য হন ও তাসমানিয়ার সাথে চুক্তি বাতিল করেন।

খেলোয়াড়ী জীবন[সম্পাদনা]

প্রথম জিম্বাবুইয়ান ক্রিকেটার হিসেবে টেস্ট অভিষেকে পাঁচ-উইকেট লাভের কীর্তিগাঁথা রচনা করেন। ব্লিগনটের পাঁচ-উইকেট আসে সফরকারী বাংলাদেশের বিপক্ষে। এপ্রিল, ২০০১ সালে বুলাওয়ের কুইন্স স্পোর্টস ক্লাবে অনুষ্ঠিত ঐ টেস্টে তার দল ইনিংস ও ৩২ রানে জয় পায়।[৩] পরবর্তীতে আগস্ট, ২০১৪ সালে হারারে স্পোর্টস ক্লাবে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জন নিয়ুম্বু নিজের পাঁচ-উইকেট তুলে নেন।

২২ ফেব্রুয়ারি, ২০০৪ তারিখে টেস্ট ক্রিকেটে হ্যাট্রিক লাভ করেন। সফরকারী বাংলাদেশ দলের বিপক্ষে অভিষেক টেস্টে তার এ হ্যাট্রিকটি অদ্যাবধি জিম্বাবুয়ের টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসে একমাত্র বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। হারারে স্পোর্ট ক্লাবে অনুষ্ঠিত ১ম টেস্টের ১ম ইনিংসে হান্নান সরকার, মোহাম্মদ আশরাফুলমুশফিকুর রহমানকে আউট করে এ কৃতিত্ব প্রদর্শন করেন।[৪]

অবসর[সম্পাদনা]

২০০৫ সালে নিউজিল্যান্ডভারতের বিপক্ষে সিরিজে অংশ নেন। কিন্তু সিরিজ শেষে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট কর্তৃপক্ষ উভয় সিরিজে অংশগ্রহণের জন্য অর্থপ্রদানে অস্বীকার করায় দল থেকে নাম প্রত্যাহার করেন। ৩১ বছর বয়সে জিম্বাবুয়ের প্রধান দল নির্বাচক অ্যালিস্টেয়ার ক্যাম্পবেল তার দলে ফিরে আসার ব্যাপারে আলাপ করেন ও তিনি এতে রাজী হন। ২০০৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার ঘরোয়া ক্রিকেটে হাইভেল্ড লায়ন্স দলের সদস্য হন। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান করেন অপরাজিত ৬৩* ও ব্যাটিং গড় ঠিক ১৯। এছাড়াও তিনি দক্ষ ফিল্ডার। ২০০৬ সালের পর তাকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন দেখা যায়। বর্তমানে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ে - উভয় দেশেই পারিবারিক ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। নভেম্বর, ২০০৭ পর্যন্ত তার ওডিআই স্ট্রাইক রেট ১০০-এর বেশি ছিল।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Andy Blignaut's Cricinfo Profile"Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ 2015-7-14  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  2. "1st Test: Zimbabwe v Bangladesh at Bulawayo, Apr 19–22, 2001"espncricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১২-১৩ 
  3. "Bowling records: Test matches (Zimbabwe)"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ডিসেম্বর ২০১১ 
  4. "Bangladesh tour of Zimbabwe, 2003/04 – 1st Test"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ৪ জানুয়ারি ২০১৩ 

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]