বিষয়বস্তুতে চলুন

গ্রেগ ল্যাম্ব

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
গ্রেগ ল্যাম্ব
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
গ্রিগরি আর্থার ল্যাম্ব
জন্ম (1981-03-04) ৪ মার্চ ১৯৮১ (বয়স ৪৩)
সলসবারি, জিম্বাবুয়ে
ডাকনামল্যাম্বি
উচ্চতা৬ ফুট ০ ইঞ্চি (১.৮৩ মিটার)
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি অফ ব্রেক
ডানহাতি মিডিয়াম
ভূমিকাঅল-রাউন্ডার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
একমাত্র টেস্ট
(ক্যাপ ৭৯)
১ সেপ্টেম্বর ২০১১ বনাম পাকিস্তান
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ১০৭)
৪ মার্চ ২০১০ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
শেষ ওডিআই৬ মার্চ ২০১০ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
২০০০/০১ম্যাশোনাল্যান্ড
২০০৪ - ২০০৮হ্যাম্পশায়ার (জার্সি নং ২৯)
২০০৯উইল্টশায়ার
২০০৯–-ম্যাশোনাল্যান্ড ঈগলস
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ১৫ ৬৩ ৯০
রানের সংখ্যা ৪৬ ১৯৭ ২,৯৫৮ ১,৫৯৬
ব্যাটিং গড় ২৩.০০ ১৭.৯০ ৩২.৮৬ ২৫.২০
১০০/৫০ ০/০ ০/০ ৭/১২ ১/৮
সর্বোচ্চ রান ৩৯ ৩৭ ১৭১ ১০০*
বল করেছে ১৯২ ৬৪২ ৪,৭১৪ ২,১৪১
উইকেট ১২ ৬৫ ৪৯
বোলিং গড় ৪৭ ৩৮.৯১ ৪১.৩৫ ৩৫.০৬
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ৩/১২০ ৩/৪৫ ৭/৭৩ ৪/৩৮
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ২/– ০/– ৪৮/০ ৩১/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১০ জুলাই ২০২০

গ্রিগরি আর্থার ল্যাম্ব (ইংরেজি: Greg Lamb; জন্ম: ৪ মার্চ, ১৯৮১) সলসবারি এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক জিম্বাবুয়ীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ২০১০-এর সূচনালগ্নে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে জিম্বাবুয়ের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।[][][]

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর জিম্বাবুয়ীয় ক্রিকেটে হ্যাম্পশায়ার, ম্যাশোনাল্যান্ড ঈগলস ও জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট একাডেমি দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলতেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতি অফ ব্রেক কিংবা ডানহাতে মিডিয়াম পেস বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন ‘ল্যাম্বি’ ডাকনামে পরিচিত গ্রেগ ল্যাম্ব

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

লোমাগুন্ডি কলেজের পর গিল্ডফোর্ড কলেজে অধ্যয়ন করেছেন তিনি। ১৯৯৮-৯৯ মৌসুম থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত গ্রেগ ল্যাম্বের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে অফ স্পিন ও ডানহাতে মিডিয়াম পেস বোলিংয়ে দক্ষ ছিলেন। বিশেষ প্রাধিকারপ্রাপ্ত দল ম্যাশোনাল্যান্ড ঈগলসের পক্ষে খেলার জন্যে চুক্তিবদ্ধ হন। লোগান কাপে দুইটি শতরান সহযোগে ৫৫.৬৮ গড়ে রান সংগ্রহ করেন। একদিনের প্রতিযোগিতায় ৬৪.০০ গড়ে রান তুলেন ও বল হাতে নিয়ে ৩২.৮৫ গড়ে উইকেট লাভ করেন।

অল-রাউন্ডার হিসেবে তিনি অফ স্পিন ও ব্যাট হাতে মাঝারিসারির ব্যাটসম্যানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতেন। জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট একাডেমি ও ম্যাশোনাল্যান্ড এ দলের পক্ষে যুবক অবস্থায় খেলার পর ২০০১ সালে গ্রীষ্মকালে হ্যাম্পশায়ারের দ্বিতীয় একাদশে যোগ দেন। জিম্বাবুয়ের বর্ষসেরা তরুণ খেলোয়াড়ের সম্মাননা লাভ করেছিলেন। অনূর্ধ্ব-১২, অনূর্ধ্ব-১৫ ও অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ে জিম্বাবুয়ের প্রতিনিধিত্ব করেন।

কাউন্টি ক্রিকেটে অংশগ্রহণ

[সম্পাদনা]

২০০৫ সালে লর্ডসে ওয়ারউইকশায়ারের বিপক্ষে সিএন্ডজি ট্রফির চূড়ান্ত খেলায় হ্যাম্পশায়ার দলের শিরোপা বিজয়ে প্রভূতঃ ভূমিকা রাখেন। ঐ মৌসুমেই ফ্রিজেল কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপে রানার্স-আপ হয় তার দল ও দলের অন্যতম মূল্যবান সদস্যের মর্যাদাপ্রাপ্ত হন।

২০০৬ সালে চ্যাম্পিয়নশীপের খেলায় দলের প্রথম একাদশে নিয়মিতভাবে খেলতে তাকে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়। তবে, টুয়েন্টি২০ কাপে ১১৫.৮২ স্ট্রাইক রেটে ১৮৩ রান তুলে দলের গড়ে শীর্ষ স্থান অধিকার করেন। কিন্তু, ব্যাট ও বল হাতে হ্যাম্পশায়ারের প্রথম একাদশে খেলার সুযোগ তার বেশ স্তিমিত হয়ে পড়ে। ২০০৭ সালের বাজে খেলাকে ভুলে গিয়ে ২০০৮ সালে আরও খেলার সুযোগ পেলেও কেবলমাত্র সীমিত ওভারের খেলাগুলোয় প্রভাব বিস্তার করতে পেরেছিলেন। ২০০৮ সালের কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপে ৭১.৩৭ গড়ে তিনি মাত্র আটটি উইকেট লাভ করেন।

২০০৯ সাল শেষে হ্যাম্পশায়ার কর্তৃপক্ষ তাকে অব্যাহতি দেয়। প্রথম একাদশে কোন ধরনের খেলাতেই তাকে খেলানো হয়নি। ভারপ্রাপ্ত কোচ জাইলস হোয়াইটের পরিচালনায় প্রথম একাদশে খেলতে চাননি। ফলশ্রুতিতে, জিম্বাবুয়ে ফিরে যাবার সিদ্ধান্ত নেন। ২০০৯ সালে উইল্টশায়ারে যোগ দেন। মাইনর কাউন্টিজ চ্যাম্পিয়নশীপে ওয়েলস মাইনর কাউন্টিজের বিপক্ষে অভিষেক খেলায় অংশ নেন।

দেশে ফেরার পরপরই তাৎক্ষণিক সফলতা পান। জিম্বাবুয়ে প্রত্যাবর্তন করে ম্যাশোনাল্যান্ড ঈগলসের পক্ষে খেলতে থাকেন। বেশ সুন্দর মৌসুম অতিবাহিত করেন তিনি। ফলশ্রুতিতে, মৌসুম শেষ হবার পূর্বেই তাকে জাতীয় দলের পক্ষে খেলার জন্যে আমন্ত্রণ জানানো হয়।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একটিমাত্র টেস্ট, পনেরোটি ওডিআই ও পাঁচটিমাত্র টি২০আইয়ে অংশগ্রহণ করেছেন গ্রেগ ল্যাম্ব। ১ সেপ্টেম্বর, ২০১১ তারিখে বুলাওয়েতে সফরকারী পাকিস্তান দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এটিই তার একমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল। এরপর আর তাকে কোন টেস্টে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়নি। অন্যদিকে, ৪ মার্চ, ২০১০ তারিখে প্রভিডিয়েন্সে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিকে অভিষেক ঘটে তার। ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১১ তারিখে বুলাওয়েতে সফরকারী পাকিস্তান দলের বিপক্ষে সর্বশেষ ওডিআইয়ে অংশ নেন তিনি।

২০০৯-১০ মৌসুমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ গমনার্থে তাকে জিম্বাবুয়ে দলের সদস্যরূপে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। দলের সাথে ওয়েস্ট ইন্ডিজ গমন করেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকে গ্রেগ ল্যাম্বের অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়। ১১ রান সংগ্রহ করেন ও নির্ধারিত ৪ ওভারে ২/১৪ বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড় করান। তন্মধ্যে, শিবনারায়ণ চন্দরপলকে এলবিডব্লিউতে বিদেয় করে দলের ২৬ রানের জয়ে সবিশেষ ভূমিকা পালন করেন। ৪ মার্চ, ২০১০ তারিখে একই দলের বিপক্ষে ওডিআইয়ে অভিষেক ঘটিয়ে শিবনারায়ণ চন্দরপলকে পুনরায় এলবিডব্লিউতে বিদেয় করেন। এ খেলায় তার দল নাটকীয়ভাবে ২ রানে বিজয়ী হয়।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Players / Zimbabwe / ODI caps"Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২ আগস্ট ২০২০ 
  2. "Zimbabwe ODI Batting Averages"Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২ আগস্ট ২০২০ 
  3. "Zimbabwe ODI Bowling Averages"Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২ আগস্ট ২০২০ 

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]