খালিদ মাহমুদ (পণ্ডিত)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(ড. খালিদ মাহমুদ থেকে পুনর্নির্দেশিত)
আল্লামা

খালিদ মাহমুদ
خالد محمود
ব্যক্তিগত তথ্য
জন্ম(১৯২৫-১০-১৭)১৭ অক্টোবর ১৯২৫
মৃত্যু১৪ মে ২০২০(2020-05-14) (বয়স ৯৪)
ধর্মইসলাম
সন্তান৫ জন [১]
যুগআধুনিক
আখ্যাসুন্নি
ব্যবহারশাস্ত্রহানাফি
আন্দোলনদেওবন্দি
উল্লেখযোগ্য কাজজামিয়া আশরাফিয়া, লাহোর
সুপ্রিম কোর্ট, পাকিস্তান
শিক্ষামাজাহির উলুম, সাহারানপুর
বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়
যে জন্য পরিচিতখতমে নবুয়ত আন্দোলন,বিচারক
এর প্রতিষ্ঠাতাইসলামি একাডেমি, ইংল্যান্ড
মুসলিম নেতা
যাদের প্রভাবিত করেন

আল্লামা খালিদ মাহমুদ (উর্দু: خالد محمود, ১৯২৫ - ২০২০) ছিলেন একজন পাকিস্তানি সুন্নি ইসলামি পণ্ডিত ও দেওবন্দি হানাফি আলেম।[২] যিনি পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ছিলেন। তিনি ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টারে ইসলামি একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং খতমে নবুুুয়ত সম্পর্কিত তাঁর কাজের জন্য সর্বাধিক পরিচিত ছিলেন। [৩][৪]

শিক্ষা[সম্পাদনা]

মাহমুদ মুহাম্মদ জাকারিয়া কান্ধলভী, শামসুল হক আফগানি, শব্বির আহমদ উসমানী এবং বদরে আলম মিরাটি কাছ থেকে ইসলামি জ্ঞান অধ্যয়ন করেছেন। ১৯৭০ সালে তিনি বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। [৫]

পেশা[সম্পাদনা]

তিনি পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের (শরিয়াহ আপিল বেঞ্চ) বিচারপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। [৬] তিনি ম্যানচেস্টার ইউকে ইসলামি একাডেমির পরিচালকও ছিলেন। [৭] তিনি ফিকহ এবং খ্রিস্টান, ইহুদী, হিন্দু ধর্ম এবং অন্যান্য অনেক তুলনামূলক ধর্ম সম্পর্কিত জ্ঞানের জন্যও পরিচিত ছিলেন। তিনি ইসলামী জ্ঞানের অনেক ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ ছিলেন, যার মধ্যে আইনশাস্ত্র (ফিকহ), হাদীস, যুক্তি, বিতর্ক ইত্যাদি । তিনি মর্যাদাপূর্ণ ইসলামিক প্রতিষ্ঠানের শরিয়াহ বোর্ডেও বেশ কয়েকটি পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন এবং পাকিস্তানের বাইরে অন্যতম প্রভাবশালী ইসলামি পণ্ডিত ছিলেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

খালিদ মাহমুদ ছিলেন লাহোরের জামিয়া আশরাফিয়ার শায়খুল হাদিস এবং ইসলামিক সেন্টার ম্যানচেস্টারের প্রধানিলেন। [৮]

সাহিত্য কর্ম[সম্পাদনা]

মাহমুদ ৫০টিরও বেশি বই রচনা করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে:

  • খুলফা-এ-রাশিদিন (২ খণ্ড)
  • মুতালিয়ে বেরলভিয়ত (8 খণ্ড ) [৯]
  • আছারুত তানজিল (২ খণ্ড)
  • আছারুল হাদিস (২ খণ্ড)
  • আছারুত তাশরী (২ খণ্ড)
  • আছারুল ইহসান (২ খণ্ড)

মৃত্যু[সম্পাদনা]

মাহমুদ ২০২০ সালের ১৪ই মে যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টারে মারা যান। হিপ হাড়ের অপারেশন থেকে হাসপাতালে ফিরে আসার সময় তিনি শ্বাসকষ্টজনিত অসুস্থতায় মারা যান। [৮]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

উদ্ধৃতি[সম্পাদনা]

  1. "عقیدہ ختم نبوت سمیت سینکڑوں کتابوں کے مصنف جسٹس (ر) خالد محمود مانچسٹر میں انتقال کر گئے"Nawa-i-Waqt (উর্দু ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মে ২০২০ 
  2. "Mutakalimeeen-e-Islam"dud.edu.in। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুলাই ২০১৯ 
  3. খালিদ হোসেন, ডক্টর আ ফ ম। "আন্তর্জাতিক এক স্কলারের চিরবিদায়"দৈনিক নয়াদিগন্ত। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-১১ – সম্পাদকীয়-এর মাধ্যমে। 
  4. "مفکر اسلام علامہ ڈاکٹر خالد محمود انتقال کرگئے، انا للہ و انا الیہ راجعون"Daily Jang (উর্দু ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মে ২০২০ 
  5. "Profile of The Islamic Academy of Manchester"www.islamicacademy.eu। ১৫ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুলাই ২০১৯ 
  6. Kamran, Mohammad (৩ ডিসেম্বর ২০০৩)। "SC Shariat Bench to hear appeal on presidential remissions today"Daily Times। ১৭ আগস্ট ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ আগস্ট ২০১০ 
  7. "The Islamic Academy of Manchester | Light – Righteousness – Wisdom"। ২ জুলাই ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুন ২০২০ 
  8. "معروف عالم دین علامہ ڈاکٹر خالد محمود برطانیہ میں انتقال کرگئے"Daily Pakistan (উর্দু ভাষায়)। ১৫ মে ২০২০। 
  9. Syed, Jawad; Pio, Edwina (৯ নভেম্বর ২০১৬)। Faith-Based Violence and Deobandi Militancy in Pakistanআইএসবিএন 9781349949663 

গ্রন্থপঞ্জি[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]