আজম তারিক

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

আজম তারিক
اعظم طارق
আজম তারিক
সভাপতি, সিপাহে সাহাবা পাকিস্তান
অফিসে
১৯৯৭ – ২০০৩
পূর্বসূরীজিয়াউর রহমান ফারুকী
উত্তরসূরীমুহাম্মদ আহমেদ লুধিয়ানভি
সদস্য, পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ
অফিসে
১৯৯১ – ২০০৩
পূর্বসূরীইসারুল হক কাসেমি
ব্যক্তিগত তথ্য
জন্ম১০ জুলাই ১৯৬২
চিচাওয়াত্নি, পশ্চিম পাকিস্তান
মৃত্যু৬ অক্টোবর ২০০৩(2003-10-06) (বয়স ৪১)
সমাধিস্থলগুলশানে ঝংভি শহীদ চত্বর, পাকিস্তান
ধর্মইসলাম
জাতীয়তাপাকিস্তানি
সন্তানমুয়াবিয়া আজম তারিক
যুগআধুনিক
আখ্যাসুন্নি
ব্যবহারশাস্ত্রহানাফি
আন্দোলনদেওবন্দি
প্রধান আগ্রহহাদিস, ইসলামি আন্দোলন, খতমে নবুয়ত, আজমতে সাহাবা, শিয়া বিরোধী
উল্লেখযোগ্য কাজসিপাহে সাহাবা পাকিস্তান
যেখানের শিক্ষার্থী
ঊর্ধ্বতন পদ

আজম তারিক ( উর্দু: اعظم طارق‎‎ ) ( ১৯৬২ — ২০০৩) একজন পাকিস্তানি ইসলামি পণ্ডিত ও রাজনীতিবিদ। তিনি পাকিস্তানের দেওবন্দি রাজনৈতিক সংগঠন সিপাহে সাহাবা পাকিস্তানের সভাপতি ছিলেন। যেটিকে ২০০১ সালের আগস্টে পাকিস্তান সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে নিষিদ্ধ করে এবং ২৬ জুন ২০১৮ সালে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে।[১]

২০০৩ সালে তার মৃত্যুর পর মুহাম্মদ আহমেদ লুধিয়ানভী সিপাহে সাহাবা পাকিস্তানের সভাপতি নির্বাচিত হন।

প্রারম্ভিক জীবন[সম্পাদনা]

আজম তারিক ১৯৬২ সালের ১০ জুলাই পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের একটি ছোট শহর চিচাওয়াত্নিতে এক দরিদ্র মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মুহাম্মদ ফাতেহ। তার পিতামাতা উভয়ই কৃষিকাজে নিয়োজিত ছিলেন। তিনি স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় অধ্যয়ন করার পর পাকিস্তানের ২য় বৃহত্তম ইসলামি শিক্ষাকেন্দ্র জামিয়া উলুমুল ইসলামিয়াতে ভর্তি হন। [২]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

তিনি ঝং থেকে তিনবার পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। [৩]

২০০১ সালের আগস্টে পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি পারভেজ মোশাররফ সিপাহে সাহাবা পাকিস্তান সহ সাতটি অভিযুক্ত ইসলামী সংগঠনকে নিষিদ্ধ করেছিলেন এবং সন্ত্রাসবাদে জড়িত থাকার অভিযোগে আজম তারিককে গ্রেফতার ও কারাগারে বন্দী করা হয়েছিল। [তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

মৃত্যু[সম্পাদনা]

তিনি ২০০৩ সালের ৬ অক্টোবর এম২ মোটরওয়ে ছেড়ে শহরে প্রবেশের সময় ইসলামাবাদের [৪] কাছে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। [৫]

এই হত্যাকাণ্ডটি পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ সুন্নি এবং ক্ষুদ্র শিয়া সম্প্রদায়ের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সহিংস ঘটনার একটি অংশ ছিল। ২০০৩ সালের জুলাইয়ে কোয়েটা মসজিদে হামলার ঘটনা সংঘটিত হয়, এতে ৫০ জনেরও বেশি নিহত হয়। [৬]

১৩ বছর পর ২০১৭ সালের ১১ মে ফেডারেল তদন্ত সংস্থা (এফআইএ) একজন ঘোষিত অপরাধীকে গ্রেফতার করে, যিনি আজম তারিককে হত্যা করেছিল। [৭]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Govt lifts ban on ASWJ, unfreezes assets of its chief Ahmed Ludhianvi"The Express Tribune (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০৬-২৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-০৭ 
  2. Tohid, Owais (২০০৩)। "In Death, as in Life"Newsline (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-০৭ 
  3. Jaffrelot, Christophe; Goulden, Charles (২০১৮-০৩-২২)। "Pakistan's Sunni-Shia Rift"MEO (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-১০-১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-০৭ – Agence Global-এর মাধ্যমে। 
  4. "The Hammer Poised to Strike in Pakistan"archive.democrats.com। অক্টো ১০, ২০০৩। নভেম্বর ২৭, ২০০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ মে ৮, ২০১৯ 
  5. "Azam Tariq gunned down in Islamabad"Dawn.com। ৭ অক্টোবর ২০০৩। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুন ২০১৮ 
  6. Imtiaz Gul (অক্টো ৮, ২০০৩)। "Cleric murder highlights sectarianism"Aljazeera.com। এপ্রিল ২৪, ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ মে ৮, ২০১৯ 
  7. "Former ASWJ leader Maulana Azam Tariq's suspected murderer arrested from Islamabad airport"। The Express Tribune। ১১ মে ২০১৭। 

গ্রন্থপঞ্জি[সম্পাদনা]

  • মাযহারুল ইসলাম ওসমান কাসেমী, মুফতি (২০১৫)। বিখ্যাত ১০০ ওলামা-মাশায়েখের ছাত্রজীবন (৩য় সংস্করণ)। ইসলামী টাওয়ার, বাংলাবাজার, ঢাকা ১১০০: বাড কম্প্রিন্ট এন্ড পাবলিকেশন্স। পৃষ্ঠা ১৯৭–১৯৮। আইএসবিএন 98483916605 
  • রুদাদ-ই ইশক ও ওয়াফ। ঝং: মারকাজে দফতরে সিপাহে সাহাবা। ১৯৯৯–২০০৪। পৃষ্ঠা ১০০০। 
  • আহম্মিয়াতে হাদিস দার দ্বীন। কাবুল, মায়াবন্দ, পেশোয়ার: কিতাবখানায়ে সাবা। ২০০৫। পৃষ্ঠা ২৯৮। 
  • খুতবাতে জেল। ঝং: মারকাজে দফতরে সিপাহে সাহাবা। ২০০১। 
  • কাসেমি, মুহাম্মদ নাদিম (১৯৯৮)। হায়াতে আজম তারিক। ফয়সালাবাদ: ইশহাতুল মাআরিফ। পৃষ্ঠা ৪১৩।