মুহাম্মদ খান শেরানি
মুহাম্মদ খান শেরানি | |
---|---|
![]() | |
জাতীয় সংসদ সদস্য, পাকিস্তান | |
কাজের মেয়াদ ১ জুন ২০১৩ – ৩১ মে ২০১৮ | |
নির্বাচনী এলাকা | NA-264 |
কাজের মেয়াদ ১৮ নভেম্বর ২০০২ – ১৮ নভেম্বর ২০০৭ | |
নির্বাচনী এলাকা | NA-264 |
কাজের মেয়াদ ১ ডিসেম্বর ১৯৮৮ – ১২ অক্টোবর ১৯৯৯ | |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জাতীয়তা | পাকিস্তানি |
রাজনৈতিক দল | জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম |
মাওলানা মুহাম্মদ খান শেরানি( উর্দু: مولانا محمد خان شیرانی ) একজন পাকিস্তানি রাজনীতিবিদ যিনি ১৯৮৮ থেকে মে ২০১৮ এর মধ্যে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের সদস্য ছিলেন।
রাজনৈতিক জীবন
[সম্পাদনা]মুহাম্মাদ খান শেরানি পাকিস্তানের রাজনীতিতে দীর্ঘ সময় ধরে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি খতমে নবুয়ত আন্দোলনে জড়িত ছিলেন এবং জুলফিকার আলী ভুট্টোর শাসনামলে আহমদিয়াদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে অংশ নেন। পরবর্তী সময়ে সামরিক শাসক জিয়াউল হকের শাসনামলে তাকে কারাবরণ করতে হয়।
তিনি ঝোব জেলার সাবেক জেলা নাজিম হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।[১]
১৯৮৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে তিনি জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম (এফ)-এর প্রার্থী হিসেবে জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি NA-200 (ঝোব) আসন থেকে ১৩,৩০৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন এবং জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম (ডি)-এর প্রার্থী মৌলভী আল্লাহ দাদকে পরাজিত করেন।[২]
পরবর্তী বছরগুলোতে তিনি ১৯৯০, ১৯৯৭, ২০০২ এবং ২০১৩ সালের সাধারণ নির্বাচনে পুনরায় জাতীয় পরিষদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে তিনি মুত্তাহিদা মজলিসে আমল (এমএমএ)-এর প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী মাওলানা আসমাতুল্লাহর কাছে পরাজিত হন।[৩]
২০১০ সালে, তাকে ইসলামী মতাদর্শ কাউন্সিল-এর চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় এবং তিনি ফেডারেল মন্ত্রীর মর্যাদা পান।[৪]
তিনি পাকিস্তানের সিনেট সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন এবং ধর্মবিষয়ক ফেডারেল মন্ত্রী হিসেবেও কাজ করেছেন।[১]
ইমরান খানের পিটিআই-এর সঙ্গে জোট
[সম্পাদনা]২০২২ সালের ১৩ জুন, মুহাম্মাদ খান শেরানি পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)-এর নেতা ইমরান খান-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং তার দলের সঙ্গে রাজনৈতিক জোটের ঘোষণা দেন।[৫]
এরপর, শেরানি টুইটারে লিখেন যে তিনি ফজলুর রহমান-কে প্রশ্ন করেছিলেন, তার কাছে কি কোনো প্রমাণ আছে যে ইমরান খান ইহুদি ও ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্ট? জবাবে ফজল বলেন, "এটি শুধুমাত্র একটি রাজনৈতিক বক্তব্য।"[৬]
প্রারম্ভিক জীবন ও শিক্ষা
[সম্পাদনা]মুহাম্মাদ খান শেরানি ১৯৪৮ অথবা ১৯৫১ সালে পশতুন জনগোষ্ঠীর শেরানি গোত্রের একটি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন ঝোব, বেলুচিস্তান-এ।[৭]
তাঁর বাবা মালিক মাসুম খান ছিলেন গোত্রের অন্যতম সরদার এবং একই সঙ্গে স্থানীয় জামে মসজিদের খতিব ছিলেন। পিতার ইচ্ছার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে শেরানি প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করার পর ইসলামি শিক্ষার জন্য বিভিন্ন মাদ্রাসায় অধ্যয়ন করেন। তিনি মাদ্রাসা মত্তা আল উলুম, মাওলানা আবদুর রহীমের মাদ্রাসা, লাক্কি মারওয়াতের দারুল উলুম, মালিক মহাবতের মাদ্রাসা ওয়াকিয়া নার, বান্নুর সিরাজ উল উলুম এবং কাসিম উল উলুম মাদ্রাসায় ধর্মীয় জ্ঞান অর্জন করেন।[৭]
১৯৬১ সালে তিনি একটি গোত্রীয় দ্বন্দ্বের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন।[৭]
তাঁর রাজনৈতিক ও ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গি গঠনে মুফতি মাহমুদ এবং মাওলানা আবদুল্লাহ দরখাস্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।[৭][৮]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ "চেয়ারম্যানের প্রোফাইল"। cii.gov.pk। ইসলামী মতাদর্শ কাউন্সিল। ১৬ মে ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মে ২০১৭।
- ↑ "জাতীয় পরিষদের নির্বাচনী ফলাফল ১৯৮৮-৯৭" (পিডিএফ)। ECP। ২৮ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মার্চ ২০১৮।
- ↑ "জেইউআই-এফ-এ পুনরায় একীভূত হচ্ছে জেইউআই-এন"। দ্য নেশন। ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬। ১৫ মে ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মে ২০১৭।
- ↑ "শেরানিকে ইসলামী মতাদর্শ কাউন্সিলের চেয়ারম্যান নিযুক্ত করা হয়েছে"। ডন। ১৯ নভেম্বর ২০১০। ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মে ২০১৭।
- ↑ "মাওলানা শেরানি পিটিআই-এর সঙ্গে রাজনৈতিক জোট ঘোষণা করলেন"। এআরওয়াই নিউজ। ১৩ জুন ২০২২।
- ↑ "ইমরানের বিরুদ্ধে ধর্মকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহারের জন্য ফজলকে সমালোচনা করলেন শেরানি"। দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন। ২৫ আগস্ট ২০২২।
- ↑ ক খ গ ঘ আমিন, ইরশাদ, সম্পাদক (১৯৯৯)। জাতীয় পরিষদ পাকিস্তান [১৯৯৭]। প্রোমিডিয়া। পৃষ্ঠা ২২০।
- ↑ Asad, Malik (১৭ জুন ২০১৬)। "CII chief's appointment challenged in court"। DAWN.COM (ইংরেজি ভাষায়)। ৩ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মে ২০১৭।