মাসউদ আজহার
মাসউদ আজাহার (উর্দু: محمد مسعود اظہر) একজন ইসলামপন্থী এবং মুজাহিদ,[১][২] পাকিস্তান-ভিত্তিক জিহাদি সংগঠন জইশ-ই-মোহাম্মদের প্রতিষ্ঠাতা ও নেতা ছিলেন, মূলত পাকিস্তান-প্রশাসিত জম্মু ও কাশ্মীরে তিনি সক্রিয় ছিলেন।[৩] তার কাজগুলি দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে সীমাবদ্ধ নয়, উদাহরণস্বরূপ বিবিসি নিউজ তাকে "ব্রিটেনে জিহাদকারী ব্যক্তি" হিসাবে বর্ণনা করে।[৪] ২০১৮ সালের ১ মে, জাতিসংঘের সুরক্ষা কাউন্সিল কর্তৃক মাসউদ আজহারকে আন্তর্জাতিক মুজাহিদ হিসাবে তালিকাভুক্ত করা হয় ।[৫]
প্রাথমিক জীবন
[সম্পাদনা]তিনি ১০ ই জুলাই ১৯৬৮ সালে পাকিস্তানের বাহাওয়ালপুরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন[৬] (যদিও কিছু সূত্রে তার জন্ম তারিখ ৭ ই আগস্ট ১৯৬৮ বলে উল্লেখ করা হয়েছে)।[৭] ১১ সন্তানের মধ্যে পাঁচ জন ছেলে এবং ছয় জন কন্যা। আজহারের বাবা আল্লাহ বখশ শাব্বির সরকারি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন এবং দেওবন্দী ঝোঁকের এক আলেম ছিলেন এবং তার পরিবার একটি গরু ও হাঁস-মুরগির খামার পরিচালনা করত।[৬][৮]
শিক্ষা ও কর্মজীবন
[সম্পাদনা]৮ম শ্রেণির পরে আজহার মূলধারার স্কুল ছেড়ে জামিয়া উলূম ইসলামিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেন, সেখান থেকে ১৯৮৯ সালে তিনি আলিম হিসাবে স্নাতক হন এবং শীঘ্রই শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ পান।[৮][৯] আফগানিস্তানের জিহাদ-প্রশিক্ষণ শিবিরে ভর্তি হওয়ার পরে
মাদ্রাসাটি হরকত-উল-আনসারের সাথে ব্যাপকভাবে জড়িত ছিল এবং পরবর্তীকালে আজহার।[৬] কোর্স শেষ করতে ব্যর্থ হওয়া সত্ত্বেও; তিনি সোভিয়েত-আফগান যুদ্ধে যোগ দিয়েছিলেন এবং আহত হয়ে অবসর গ্রহণ করেছিলেন। এরপরেই তিনি হরকতের প্রেরণা বিভাগের প্রধান হিসাবে নির্বাচিত হন। তাকে উর্দু ভাষার ম্যাগাজিন সাদে মুজাহিদিন এবং আরবি ভাষার সাওতে কাশ্মীরের সম্পাদকীয় দায়িত্ব অর্পণ করা হয়।[৬][৭]
আজহার পরে হরকত-উল-আনসারের সাধারণ সম্পাদক হন । তার অভিযানগুলোর মধ্যে জাম্বিয়া, আবুধাবি, সৌদি আরব, মঙ্গোলিয়া, যুক্তরাজ্য এবং আলবেনিয়া ছিল।[৬]
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "What Is Jaish-e-Mohammad? Who Is Masood Azhar?"। https://www.outlookindia.com/। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-২৬।
|ওয়েবসাইট=
এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য) - ↑ "Masood Azhar as UN global terrorist: Know what it means"। The Economic Times। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-২৬।
- ↑ "The astonishing rise of Jaish-e-Mohammed: It's bad news for Kashmir, India and Pakistan - World News , Firstpost"। Firstpost। ২০১৬-০১-১৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-২৬।
- ↑ "The man who brought jihad to Britain"। BBC News (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৬-০৪-০৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-২৬।
- ↑ "Mohammed Masood Azhar Alvi | United Nations Security Council"। www.un.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-২৬।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ "Maulana Masood Azhar"। kashmirherald.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-২৬।
- ↑ ক খ Raghuram, Sunaad (২০০২)। Veerappan : India's most wanted man। Internet Archive। New York : Ecco। আইএসবিএন 978-0-06-621063-6।
- ↑ ক খ "How significant is Jaish-e-Muhammad in Kashmir today?"। The Indian Express (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-১১-১০। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৯-২৬।
- ↑ মাযহারুল ইসলাম ওসমান কাসেমী, মুফতী (২০১৫)। (আমিরুল মুজাহিদীন মাসুদ আজহার দা.বা.) । বিখ্যাত ১০০ ওলামা-মাশায়েখের ছাত্রজীবন (৩য় সংস্করণ)। ইসলামী টাওয়ার, বাংলাবাজার, ঢাকা ১১০০: বাড কম্প্রিন্ট এন্ড পাবলিকেশন্স। পৃষ্ঠা ২১৮—২২১। আইএসবিএন 98483916605।