মুহাম্মদ আমির বিজলিগর

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মাওলানা মুহাম্মদ আমির বিজলিগর
مولانا محمد امیربجلی گھر
জন্ম১৯২৭ (1927)
বিল্লাকি খাইল (দারা আদম খেল)
মৃত্যু৩০ ডিসেম্বর ২০১২ (বয়স ৮৪–৮৫)
জাতীয়তাপাকিস্তানি
রাজনৈতিক দলজমিয়ত উলামায়ে ইসলাম (ফ)
সন্তান
  • মাওলানা মুহাম্মদ কাসিম
  • মাওলানা মুহাম্মদ ইউসুফ
আত্মীয়মাওলানা মুহাম্মদ উসমান বিজলিগর (পৌত্র)

মাওলানা মুহাম্মদ আমির বিজলিগর (উর্দু : مولانا محمد امیر بجلی گھر) একজন বিশিষ্ট ইসলামি পণ্ডিত এবং জমিয়ত উলামায়ে ইসলাম (ফ)-এর রাজনৈতিক নেতা ছিলেন। ১৯৬৯ সালে তিনি দলটির প্রাদেশিক পর্যায়ে নায়েব আমির নিযুক্ত হন।[১] তিনি মুফতি মাহমুদের ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন এবং জাতীয় রাজনীতিতে বিশেষত ১৯৭০ সালে এবং পরবর্তীকালে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন। সামরিক আইন শাসনকালে তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য তাকে চারবার কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছিল।

দৃষ্টিভঙ্গি[সম্পাদনা]

মাওলানা মুহাম্মদ আমির ১৯৫০ সালে পেশোয়ারের একটি বিশিষ্ট ধর্মীয় স্কুল জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম সরহাদ جامعه اسلاميه) دارالعلوم سرحد) থেকে তার ধর্মীয় শিক্ষা লাভ করেন। পরে তিনি এই প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক হিসাবে যোগদান করেন এবং কুরআনহাদীসে অধ্যাপক নিযুক্ত হন। সেখানে প্রচুর পরিমানে শিক্ষার্থী শিক্ষাগ্রহণ করতে আগমণ করত।[২]

তিনি বিজলিগর মসজিদের ইমাম ছিলেন, সেখানে তিনি অল্প বয়স্ক শিক্ষার্থীদেরও ধর্মীয় শিক্ষা দিতেন। এর ফলেই তিনি মাওলানা বিজলিগার নামে পরিচিত হন। দারার আধা-উপজাতীয় বেল্টে কিছু লোকের সাথে শত্রুতার কারণে তিনি দারা আদম খেল থেকে পেশোয়ারে চলে আসেন। মাওলানা জনগণের মধ্যে বিশেষত সরকার ও নীতিনির্ধারকদের তার কট্টরপন্থী সমালোচনার কারণে জনপ্রিয় ছিলেন। মাওলানা বিজলিগারের খুতবাগুলির অডিও ক্যাসেটগুলি পেশোয়ারে জনপ্রিয়তা অর্জন করে।

বক্তৃতা[সম্পাদনা]

মাওলানা মুহাম্মদ আমির পশতু, উর্দু এবং হিন্দকো ভাষায় বক্তৃতা ও খুতবা দিতেন। তিনি বিভিন্ন বিষয়ে বক্তব্য রাখতেন এবং তার বক্তব্যে তিনি নেতাদের তীব্র সমালোচনা করতেন এবং তার নীতি অন্যান্য ধর্মীয় নেতাদের চেয়ে একেবারে আলাদা ছিলো। তার বক্তব্য শোনার জন্য তাকে প্রত্যন্ত অঞ্চলের লোকেরা তাকে নিমন্ত্রণ করত। তিনি তিনটি বিভিন্ন সময়ে নেতাদের বিরুদ্ধে কথা বলে কারাগারে গিয়েছিলেন।[৩]

মৃত্যু[সম্পাদনা]

দীর্ঘ অসুস্থতার পরে ২০১২ সালের ৩০ শে ডিসেম্বর তিনি মারা যান।[৪] মৃত্যুর পূর্বে তার তিন ছেলে ও তিন মেয়ে ছিল।[৫]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Nader Buneri (৩১ ডিসেম্বর ২০১২)। "Maulana Bijli Ghar passes away in Peshawar"। nation.com.pk। ১৭ আগস্ট ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ আগস্ট ২০১৯ 
  2. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২৬ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ মার্চ ২০২১ 
  3. "Maulana Bijlighar passes away"www.thenews.com.pk (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-০১-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-১৪ 
  4. "Huge turnout at funeral of Maulana Bijlighar"। fp.brecorder.com। ১ জানুয়ারি ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১৭ আগস্ট ২০১৯ 
  5. "Bijli Ghar Mula laid to rest amid tight security"। nation.com.pk। ১ জানুয়ারি ২০১৩। ১৭ আগস্ট ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ আগস্ট ২০১৯