ওয়ালি হাসান টঙ্কি
মুফতি ওয়ালি হাসান টঙ্কি | |
---|---|
مفتی ولی حسن ٹونکیؒ | |
১ম সভাপতি, ইকরা রওজাতুল আতফাল ট্রাস্ট | |
অফিসে এপ্রিল ১৯৮৫ – অজানা | |
পূর্বসূরী | নেই (পদ প্রতিষ্ঠিত) |
উত্তরসূরী | মুহাম্মদ ইউসুফ লুধিয়ানভি |
ব্যক্তিগত তথ্য | |
জন্ম | ১৯২৪ |
মৃত্যু | ৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৫ | (বয়স ৭০–৭১)
সমাধিস্থল | দারুল উলুম কোরঙ্গি কবরস্থান |
ধর্ম | ইসলাম |
জাতীয়তা | ব্রিটিশ ভারত (১৯২৪-১৯৪৭) পাকিস্তানি (১৯৪৭-১৯৯৫) |
আখ্যা | সুন্নি |
ব্যবহারশাস্ত্র | হানাফি |
আন্দোলন | দেওবন্দি |
যেখানের শিক্ষার্থী | এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যাল পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় মাজাহির উলুম, সাহারানপুর দারুল উলুম দেওবন্দ নাদওয়াতুল উলামা |
প্রতিষ্ঠান | দারুল উলুম করাচি জামিয়া উলুমুল ইসলামিয়া |
মুসলিম নেতা | |
শিক্ষক | হুসাইন আহমদ মাদানি আব্দুল হক আকরবী |
শিক্ষার্থী |
মুফতি ওয়ালি হাসান টঙ্কি (১৯২৪ - ৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৫) (উর্দু: مفتی ولی حسن ٹونکیؒ) একজন পাকিস্তানি মুফতি, ইসলামি পণ্ডিত, বিচারক ও লেখক ছিলেন।[১]
প্রাথমিক জীবন এবং শিক্ষা
[সম্পাদনা]ওয়ালি হাসান ১৯২৪ সালে টঙ্ক জেলার মুফতি আনোয়ারুল হাসান খানের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ও পিতামহ মুফতি মুহাম্মদ হাসান খান টঙ্কের শরিয়া আদালতে মুফতি ছিলেন। তিনি তার বাবার কাছ থেকে ফার্সি এবং আরবির বিভিন্ন বই অধ্যয়ন করেন। তার বাবা তার ১১ বছর বয়সকালে মারা যান। ১৯৩৬ সালে তার পিতামহ মুফতি হায়দার হাসান খান তাকে দারুল উলুম নাদওয়াতুল উলামাতে ভর্তি করান এবং তিনি সেখানে চার বছর পড়াশোনা করেন। এবং তারপরে তিনি টঙ্কে তার কাকার কাছ থেকে বিভিন্ন বই অধ্যয়ন করেন। তার পিতামহের মৃত্যুর পর তিনি টঙ্কের শরিয়া আদালতে অনেক বছর কাজ করেছিলেন। এই সময়ের মধ্যে তিনি এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মৌলভী পরীক্ষায় এবং পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মৌলভী আলিম ও ফাজিল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তারপর মাজাহির উলুমে ভর্তি হয়ে দারসে নিজামি সম্পূর্ণ করেন। এরপর তিনি হুসাইন আহমদ মাদানির অধীনে দারুল উলুম দেওবন্দে অধ্যয়ন করেন।[২][৩]
কর্মজীবন
[সম্পাদনা]পড়াশোনা শেষে তিনি ভারত বিভাগ হওয়ার আগ পর্যন্ত ছফ্রা গুগোরের শরিয়া আদালতে মুফতি ও বিচারক ছিলেন।[২] তিনি পাকিস্তানে পাড়ি জমান এবং করাচির মেট্রোপলিস উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। পরে তিনি মাদ্রাসা ইমদাদুল উলুম এবং জামিয়া উলুম-উল-ইসলামিয়াতে শিক্ষকতা করেন।[১]
তিনি ইকরা রওজাতুল আটফাল ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং এর প্রথম সভাপতি হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন।[৪]
রচনাবলী
[সম্পাদনা]টঙ্কি বহু বই লিখেছেন এবং তার নিবন্ধগুলি বিভিন্ন জার্নালে প্রকাশিত হয়েছিল।[৫] তার বইগুলির মধ্যে রয়েছে:
- তাজকিরা আউলিয়ায়ে হিন্দ ওয়া পাকিস্তান
- আয়েলি কাওয়ানীন শরীয়ত কি রোশনি মেঁ
- বিমা কি হকিকত
- কুরবানী কে আহকাম মাসাইল
- ফিতনা ইনকার-ই-হাদিস
মৃত্যু
[সম্পাদনা]১৯৯৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার তিনি মারা যান। আবদুল রশীদ নোমানীর নেতৃত্বে তার জানাজার নামাজ পড়ে তার ইচ্ছানুসারে তাকে দারুল উলুম করাচি কবরস্থানে দাফন করা হয়।[১]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ গ مولانا محمد عمر رفيق। "حضرت مولانا مفتی ولی حسن ٹونکی نور اللہ مرقدہٗ (تعارفی تذکرہ)"। Jamia Uloom-ul-Islamia। সংগ্রহের তারিখ ৪ মে ২০২১।
- ↑ ক খ Shaykh Muhammad Husain Siddiqi। "Sawaneh Hazrat Mufti Wali Hasan Tonki (r.a) By Shaykh Muhammad Husain Siddiqi"। সংগ্রহের তারিখ ৪ মে ২০২১।
- ↑ "Mufti Wali Hasan Tonki, Grand Mufti of Pakistan"। ৩ ডিসেম্বর ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৪ মে ২০২১।
- ↑ "SCHOOL LEADERSHIP"। iqratrust.edu.pk/en। ২৮ এপ্রিল ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ মে ২০২১।
- ↑ "مفتی ولی حسن ٹونکی"। Jamia Uloom-ul-Islamia। ৪ মে ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ মে ২০২১।
গ্রন্থপঞ্জি
[সম্পাদনা]- উসমানি, তাকি (২০১২)। বরেণ্যদের স্মৃতিচারণ। খান, মুহিউদ্দিন কর্তৃক অনূদিত। বাংলাবাজার, ঢাকা-১১০০: মাকতাবাতুল আশরাফ। পৃষ্ঠা ৪২৩। আইএসবিএন 9789848950241।
- করাচির ব্যক্তি
- শরিয়া বিচারক
- পাকিস্তানি সুন্নি মুসলিম পণ্ডিত
- দেওবন্দি ব্যক্তি
- দারুল উলুম দেওবন্দের প্রাক্তন শিক্ষার্থী
- মাজাহির উলুম, সাহারানপুরের প্রাক্তন শিক্ষার্থী
- এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী
- পাকিস্তানের প্রধান মুফতি
- ১৯৯৫-এ মৃত্যু
- ১৯২৪-এ জন্ম
- দারুল উলুম নদওয়াতুল উলামার প্রাক্তন শিক্ষার্থী
- টঙ্ক জেলার ব্যক্তি
- পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়, চণ্ডীগড়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী
- পাকিস্তানি ইসলাম ধর্মীয় নেতা
- জাকারিয়া কান্ধলভির শিষ্য