বিষয়বস্তুতে চলুন

সোনালী ব্যাংক পিএলসি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সোনালী ব্যাংক পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি (এসবিপিএলসি)
ধরনপাবলিক লিমিটেড কোম্পানি
শিল্পব্যাংকিং
আর্থিক পরিষেবা
প্রতিষ্ঠাকাল১৯৭২
সদরদপ্তরমতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা, বাংলাদেশ
বাণিজ্য অঞ্চল
বাংলাদেশ ও বিদেশ
প্রধান ব্যক্তি
মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী (চেয়ারম্যান) []
মো. আফজাল করিম (ব্যবস্থাপনা পরিচালক)
পণ্যসমূহরিটেইল ব্যাংকিং
কনজ্যুমার ব্যাংকিং
যৌথ ব্যাংকিং
বিনিয়োগ ব্যাংকিং
বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনা
মোট সম্পদবৃদ্ধি ৬৪,৯২৬ কোটি (US$ ৮.০১ বিলিয়ন) (ডিসেম্বর ২০১০)
ওয়েবসাইটসোনালী ব্যাংক লিমিটেড
সোনালী ব্যাংকের মতিঝিলস্থঃ প্রধান কার্যালয়ের অভ্যন্তরভাগ।

সোনালী ব্যাংক পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি (এসবিপিএলসি) বাংলাদেশের বৃহত্তম রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক। "বাংলাদেশ ব্যাংক (ন্যাশনালাইজেশন) অর্ডার ১৯৭২" অনুসারে ব্যাংকটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ব্যাংকটির অনুমোদিত মূলধন ৬০০০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ৪১৩০ কোটি টাকা। এর সুইফট কোড BSONBDDH। ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয় মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকায় অবস্থিত।[]

ইতিহাস

[সম্পাদনা]

বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সর্ববৃহৎ বাণিজ্যিক ব্যাংক সোনালী ব্যাংক পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি (এসবিপিএলসি)। বাংলাদেশ ব্যাংক্স (ন্যাশনালাইজেশন) অর্ডার ১৯৭২, রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ নম্বর ২৬, ১৯৭২ অনুসারে ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, ব্যাংক অব বাহ্ওয়ালপুর এবং প্রিমিয়ার ব্যাংক নিয়ে ‘সোনালী ব্যাংক’ প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ব্যবস্থাপনা দক্ষতা ও সেবার মান উন্নয়নের মাধ্যমে ব্যাংকিং কর্মকান্ডকে আরো গতিশীল করার নিমিত্ত যৌথ মূলধনী কোম্পানি ও ফার্মসমূহের নিবন্ধকের পরিদপ্তরে ০৩ জুন ২০০৭ তারিখে “সোনালী ব্যাংক লিমিটেড” নামে কোম্পানি নিবন্ধন এবং ৫ জুন, ২০০৭ তারিখে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক সোনালী ব্যাংক লিমিটেড এর অনুকূলে ব্যাংকিং লাইসেন্স প্রদানের পর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ও সোনালী ব্যাংক পিএলসি-এর মধ্যে “ভেন্ডর এগ্রিমেন্ট” সম্পাদনপূর্বক ১৫ নভেন্বর, ২০০৭ তারিখ হতে সোনালী ব্যাংক লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করে।

ব্যাংক ব্যবসার প্রসার ঘটানোর পাশাপাশি দেশের আপামর জনসাধারণকে বিনিয়োগে উৎসাহিত করা এবং সুদৃঢ় অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রয়াসে “সোনালী ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড” নামে সাবসিডিয়ারি কোম্পানি গঠনপূর্বক ১৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯ হতে মার্চেন্ট ব্যাংকিং এর ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।

২৯ জুন ২০১০ তারিখ থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা ও বগুড়ায় ইসলামী ব্যাংকিং উইন্ডোর মাধ্যমে শরিয়াহ্ ভিত্তিক ইসলামী ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। তাছাড়া “সোনালী ফাউন্ডেশন” গঠনের মাধ্যমে কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপন্সিবিলিটি এর দায়িত্ব পালন করা হচ্ছে।

সোনালী ব্যাংক লিমিটেড এর শাখার সংখ্যা বর্তমানে ১২৩২টি। এর মধ্যে দেশের অভ্যন্তরে ১২৩০টি এবং বিদেশে ২টি শাখা রয়েছে। দেশের অভ্যন্তরে ১২২৯টি শাখার মধ্যে গ্রামাঞ্চলে রয়েছে ৬৯৫টি এবং অবশিষ্ট ৫৩৫টি শহরাঞ্চলে। সকল শাখার মধ্যে ৪৫টি শাখার (অথরাইজড ডিলার বা এডি শাখা) মাধ্যমে বৈদেশিক বাণিজ্য কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। বিদেশে ২টি শাখার মধ্যে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় ১টি ও শিলিগুড়িতে ১টি। ব্যাংকের প্রশাসনিক ও ব্যবসায়িক কার্যাদি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের নিমিত্ত রয়েছে ১৫টি জেনারেল ম্যানেজার’স অফিস, ৬৬টি প্রিন্সিপাল অফিস ও ১৬টি আঞ্চলিক কার্যালয়। প্রধান কার্যালয়ের ৪৭টি বিভাগের মাধ্যমে ব্যাংকের সার্বিক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। সোনালী ব্যাংকে কমবেশি ২.৪৭ কোটি বিভিন্ন ধরনের গ্রাহকের হিসাব রয়েছে।

ব্যাংকের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কাজে দক্ষতা আনয়নের জন্য প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য ঢাকায় “সোনালী ব্যাংক স্টাফ কলেজ” সহ চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বগুড়া ও ময়মনসিংহে ১টি করে প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট রয়েছে।

আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং অঙ্গনে সোনালী ব্যাংক লিমিটেড এর কার্যক্রম সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ১৯৯৪ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সোনালী এক্সচেঞ্জ কোম্পানি ইনকর্পোরেটেড (SECI) নামে একটি পূর্ণাঙ্গ সাবসিডিয়ারি কোম্পানি স্থাপন করা হয়। ব্যাংকের নিজস্ব অর্থায়নে উক্ত এক্সচেঞ্জ কোম্পানির ৯টি শাখা রয়েছে।

সোনালী ব্যাংক লিমিটেড ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের যৌথ মালিকানায় ২০০১ সাল থেকে যুক্তরাজ্যে সোনালী ব্যাংক (ইউকে) লিমিটেডের কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে যুক্তরাজ্যে এর ৬টি শাখা রয়েছে।

সৌদি আরবের রিয়াদজেদ্দা এবং কুয়েত এ ব্যাংকের নিজস্ব প্রতিনিধি অফিস রয়েছে। মালয়েশিয়ার ‘মে ব্যাংক’ ও IME(M) SDN, BHD’-এর মাধ্যমে সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের সহযোগিতায় মালয়েশিয়ায় কর্মরত বাংলাদেশীদের প্রেরিত অর্থ দেশে আসছে। কোন শাখায় হিসাব নম্বর না থাকা সত্বেও WESTERN UNION, IME, TRANSFAST, EXPRESS MONEY এর রেমিট্যান্স SPOT CASH, CASH OVERT THE COUNTER পদ্ধতিতে এবং অন্যান্য ব্যাংক / EXCHANGE HOUSE-এর রেমিট্যান্সের টাকা পরিশোধ করা হয়। মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশের ৫৫টি ব্যাংক ও এক্সচেঞ্জ হাউজের সাথে সোনালী ব্যাংকের রয়েছে রেমিট্যান্স ব্যবসা। বৈদেশিক বাণিজ্যের জন্য ব্যাংকের ৪৫টি অনুমোদিত শাখা এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ৬১৭টি বৈদেশিক করেসপন্ডেন্টস এর মাধ্যমে ব্যাংকের বৈদেশিক বাণিজ্য কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

ব্যাংকের রয়েছে বিরাট সংখ্যক দক্ষ জনবল। এই জনবল নিয়ে ব্যাংক ব্যবসার উন্নয়ন এর পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক কর্মকান্ডকে গতিশীল করা আমাদের অন্যতম লক্ষ্য। বর্তমানে সোনালী ব্যাংক লিমিটেড-এ কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সংখ্যা মোট ১৮,১৬৭ জন। এর মধ্যে কর্মকর্তার সংখ্যা ১৭,৪০৬ জন এবং কর্মচারীর সংখ্যা ১৪০০ জন।

বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা উন্নয়নে সোনালী ব্যাংক লিমিটেড সর্বক্ষেত্রে আত্মনিবেদিত হয়ে কাজ করে আসছে। জনসাধারণকে সঞ্চয়ে উদ্বুদ্ধকরণে বিভিন্ন ধরনের আমানত প্রোডাক্ট প্রবর্তন করা হয়েছে। দেশের ব্যবসা বাণিজ্যের উন্নয়ন ঘটিয়ে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে কৃষি ও শিল্প প্রকল্প ঋণ, আমদানি- রপ্তানি ঋণ, কৃষিঋণ, ক্ষুদ্র ব্যবসা ঋণ, এসএমই ঋণ, ভোগ্যপণ্য ঋণসহ বিভিন্ন ঋণ স্কিমের মাধ্যমে শহর ও গ্রামাঞ্চলের জনসাধারণকে সহায়তা প্রদান করে আসছে।

সোনালী ব্যাংক জনসাধারণের দৈনন্দিন ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি যেসব স্থানে বাংলাদেশ ব্যাংকের শাখা নেই সেসব স্থানে সরকারের পক্ষে সরকারি ট্রেজারি কার্যক্রম পরিচালনা করে।

সোনালী ব্যাংক লিমিটেড সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পেনশন ও অবসরভাতা প্রদান, সরকারি ও বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতনভাতা প্রদান, ছাত্র-ছাত্রীদের বৃত্তি প্রদান, সামাজিক নিরাপত্তাজনিত বিভিন্ন ভাতা প্রদান, সরকারি সঞ্চয়পত্র ক্রয়-বিক্রয়, সরকারি খাদ্যশস্য ক্রয় বিল পরিশোধ, বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের বিল গ্রহণ, সরকারি রাজস্ব আদায় কার্যক্রম, হজ ও জাকাত ফান্ডের অর্থ গ্রহণসহ সামাজিক কর্মকান্ডের (CSR) মাধ্যমে আপামর জনগোষ্ঠীকে সহায়তা করে আসছে।

এ ব্যাংকের ইতিহাস নিয়ে একটি গ্রন্থ রচনার কাজ চলমান রয়েছে। অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল ম্যানেজার মোঃ হাসানুল বান্না, সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার আশীষ কুমার দাস, মোহাম্মদ নূরুজ্জামান ও প্রিন্সিপাল অফিসার মোঃ মাজহারুল ইসলাম এ প্রকল্পে কাজ করছেন। ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান থেকে আজকের সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের কার্যক্রম, ইতিহাস, ঐতিহ্য, উত্থান-পতন ও জাতীয় অর্থনীতিতে এর ভূমিকা লিপিবদ্ধ করাই এর মূল লক্ষ্য। বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ অধ্যাপক আফসান চৌধুরী এ প্রকল্পের উপদেষ্টা পরিষদে যুুক্ত আছেন।

পরিচালনা পদ্ধতি

[সম্পাদনা]

ব্যাংকটি ৮ সদস্যের একটি পরিচালনা পর্ষদ ও একটি দক্ষ পরিচালনা কমিটি দ্বারা পরিচালিত হয়। পরিচালনা পর্ষদের বর্তমান চেয়ারম্যান জিয়াউল হাসান সিদ্দিকী এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আফজাল করিম।

নাম পরিবর্তন

[সম্পাদনা]

১৯৪৯ সালে ”ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান”

১৯৭২ সালে এ ব্যাংক "সোনালী ব্যাংক" নামে যাত্রা শুরু করে।

০৩ জুন ২০০৭ তারিখে এর নাম পরিবর্তন করে “সোনালী ব্যাংক লিমিটেড” নামে কোম্পানি নিবন্ধন নেয়।

২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ সালে কোম্পানি আইন অনুযায়ী পুনরায় এ ব্যাংকের নাম পরিবর্তন করে "সোনালী ব্যাংক পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি (এসবিপিএলসি)" রাখা হয়।[]

বিস্তৃতি

[সম্পাদনা]

সারা দেশে বর্তমানে সোনালী ব্যাংকের ১২৩০টি শাখা রয়েছে। ক) বৈদেশিক শাখা ২টি (কলকাতা এবং শিলিগুড়ি) খ) স্থানীয় শাখা ১২৩০টি (গ্রামাঞ্চলীয় শাখা ৬৯৫টি, শহুরে শাখা ৫৩৫টি) গ) প্রিন্সিপাল অফিস ৬৬টি ঘ) প্রধান কার্যালয় ১টি ঙ) জিএম কার্যালয় ১৫টি। সোনালী ব্যাংকে অনলাইন ব্যবস্থাপনায় ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালিত হয়। বর্তমানে অনলাইন শাখার সংখ্যা ১২৩০টি (সকল শাখাই অনলাইন)।[] সকল শ্রেণির কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা ২২৪৪৬ জন।

ইসলামী ব্যাংকিং

[সম্পাদনা]

২০১০ সালে ২৯ শে জুন সোনালী ব্যাংকে অগ্রণী ব্যাংকের পর বাংলাদেশের দ্বিতীয় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক হিসেবে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার ৫টি শাখায় ইসলামী ব্যাংকিং চালু হয়। ২০১৯ সালে পুনরায় দেশজুড়ে বিভিন্ন জেলায় সোনালী ব্যাংকের আরও ৬টি শাখায় ইসলামী ব্যাংকিং-এর সূচনা হয়।[]

সোনালী ই-সেবা

[সম্পাদনা]

সোনালী ব্যাংক ২০২০ সালের ৩ জুন 'সোনালী ই-সেবা' নামে স্মার্টফোনভিত্তিক একটি অ্যাপ চালু করে যেটি ব্যবহার করে গ্রাহকদের সোনালী ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট খুলতে আর ব্যাংকে যেতে হবে না। অ্যাপস থেকেই দুই মিনিটেই অ্যাকাউন্ট খোলা ও চালু করা যাবে। গ্রাহকেরা ছবি এবং ব্যক্তিগত তথ্যের বিবরণী অ্যাপসে দিলেই আইসিটি বিভাগের ‘পরিচয়’ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র সার্ভার থেকে সেগুলো যাচাই করে নেওয়া যাবে। একইসঙ্গে অন্যান্য তথ্য (কেওয়াইসি) বাংলাদেশ জাতীয় ডিজিটাল আর্কিটেকচারের সাথেও মিলিয়ে নেওয়া যাবে। প্রাথমিকভাবে এই অ্যাপের মাধ্যমে সামজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতার ভাতাভোগী (বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতা ইত্যাদি), গার্মেন্টস শ্রমিক, দিনমজুর, রিকশাচালক, কৃষক, ট্যাক্সি ড্রাইভার, মৎসজীবী, চাকরিজীবী (বেতন), পেনশনভোগীসহ সমাজের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ব্যাংক হিসাব খোলা যাবে। পরবর্তী সময়ে অন্যান্য ধরনের ব্যাংক হিসাব খোলা এতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। বর্তমানে শুধু গুগল প্লে স্টোরে অ্যাপটি পাওয়া যাচ্ছে তবে ভবিষ্যতে আইওএস ব্যবহারকারীদের জন্য অ্যাপল অ্যাপ স্টোরে অ্যাপ প্রকাশ করা হবে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।[]

অর্জন ও পুরস্কার

[সম্পাদনা]

অনিয়ম ও সমালোচনা

[সম্পাদনা]

হলমার্ক কেলেঙ্কারি

[সম্পাদনা]

২০১২ সালে ব্যাংকের হলমার্ক কেলেঙ্কারির বিষয়টি ছিল সে বছরের অন্যতম আলোচিত বিষয়। ব্যাংক কর্মকর্তাদের যোগসাজশে হলমার্ক গ্রুপের এমডি তানভির মাহমুদ[] সোনালী ব্যাংকের হোটেল রূপসী বাংলা (বর্তমান ঢাকা ইন্টারকন্টিনেন্টাল) শাখা থেকে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে।[] একই শাখা থেকে আরও ২৬টি বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ভুয়া এলসি করে অস্তিত্বহীন আরও ৪০টি কোম্পানি হাতিয়ে নেয় আরও ১ হাজার কোটি টাকা। এই জালিয়াতির সহযোগী ছিলেন রূপসী বাংলা শাখার জিএম একেএম আজিজুর রহমান। সরকারের এক উপদেষ্টার নামও আসে এই জালিয়াতিতে প্রভাবক হিসেবে।

সংসদীয় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, হলমার্ক গ্রুপভুক্ত প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য ৫টি প্রতিষ্ঠানসহ মোট ৬টি প্রতিষ্ঠান সোনালী ব্যাংকের হোটেল শেরাটন শাখা হতে ২০১০ সাল থেকে মে ২০১২ পর্যন্ত সময়কালে জালিয়াতির মাধ্যমে ৩ হাজার ৫৪৭ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে। বেশিরভাগ ঋণ জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে অস্তিত্ববিহীন/নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে সংযুক্ত বিল সৃষ্টির মাধ্যমে। সংসদীয় তদন্ত কমিটির মতে সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা (বর্তমান ঢাকা ইন্টারকন্টিনেন্টাল) শাখার জিএম একেএম আজিজুর রহমান ছাড়াও জালিয়াতির ঘটনায় সংঘটিত চক্রের অন্যতম হোতা হিসেবে উপশাখা ব্যবস্থাপক সাইফুল হাসান, সাবেক কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান, প্রিন্সিপাল অফিসের দায়িত্বে থাকা জিএম ননী গোপাল নাথ, জিএম অফিসের দায়িত্বে থাকা মীর মহিদুর রহমান এবং প্রধান কার্যালয়ের ডিএমডি মাইনুল হক ও আতিকুর রহমানকে দায়ী করা হয়েছে।[১০]

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "সোনালী ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান"বণিক বার্তা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ আগস্ট ২০২৪ 
  2. "Sonali Bank corporate profile"। Sonali Bank Ltd.। ১৯ ডিসেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ ডিসেম্বর ২০১২ 
  3. "কর্পোরেট প্রোফাইল"সোনালী ব্যাংক লিমিটেড। ২০২০-০১-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৭-০৮ 
  4. রিপোর্টার, অর্থনৈতিক। "সোনালী ব্যাংকের নাম পরিবর্তন"DailyInqilabOnline (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৫-২০ 
  5. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১৯ ডিসেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ ডিসেম্বর ২০১২ 
  6. "Islamic Banking - Sonali Bank"www.sonalibank.com.bd। ১২ আগস্ট ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মার্চ ২০১৯ 
  7. "দুই মিনিটে ঘরে বসেই সোনালী ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট"প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৭-০৮ 
  8. "BBC Bangla - খবর - হলমার্ক কেলেংকারি: তানভীর মাহমুদ গ্রেফতার"www.bbc.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-১০-২৯ 
  9. "হলমার্ক কেলেঙ্কারি : অর্ধেক অর্থ ফেরতের নির্দেশ"www.bbc.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৭-০৮ 
  10. "সোনালী ব্যাংক-হলমার্ক কেলেঙ্কারি"প্রথম আলো। ২০১২-০৯-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৭-০৮ 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]