ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের লোগো
প্রচলিত নাম	পুলিশ
সংক্ষেপ	ডিএমপি
নীতিবাক্য	শৃঙ্খলা নিরাপত্তা প্রগতি
সংস্থা পরিদর্শন
প্রতিষ্ঠাকাল	১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৬
কর্মচারী	২৬,৬৬১
অঞ্চল কাঠামো
পরিচালনার অঞ্চল	বাংলাদেশ
গঠন উপকরণ	ঢাকা মহানগর পুলিশ অধ্যাদেশ, ১৯৭৬
পরিচালনামূলক কাঠামো
প্রধান কার্যালয়	৩৬, শহীদ ক্যাপ্টেন মনসুর আলী এভিনিউ, রমনা থানা, ঢাকা ১০০০
সংস্থার কার্যনির্বাহক	হাবিবুর রহমান (৩৬ তম), মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার
মাতৃ-সংস্থা	বাংলাদেশ পুলিশ
সুবিধা-সুযোগ
কর্মকেন্দ্র	৫০
ওয়েবসাইট
http://www.dmp.gov.bd

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) হল বাংলাদেশ পুলিশের একটি বিভাগ, যারা জাতীয় রাজধানী বাংলাদেশের সবচেয়ে জনবহুল শহর ঢাকা মহানগরীতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দায়িত্ব পালন করে থাকে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ হল বাংলাদেশের বৃহত্তম পুলিশ বাহিনী।

ইতিহাস

একটি প্রধান পুনর্গঠনের সময় এবং বাংলাদেশের জাতীয় পুলিশ বাহিনীর সম্প্রসারণ, দেশের রাজধানী ও বৃহত্তম শহরের মধ্যে আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৭৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারিতে। এটি প্রাথমিকভাবে ৬,০০০ পুলিশ-বাহিনী মোট ১২টি পুলিশ থানায় কর্মরত রয়েছে। শহরের জনসংখ্যা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায়, একটি প্রসারিত এবং ভাল সজ্জিত পুলিশ বৃদ্ধি প্রয়োজন। সরকারের প্রধান পরিকল্পনা ছিল পুলিশদের সম্প্রসারণ করতে। ফলস্বরূপ, ৫০ পুলিশ স্টেশন স্থাপনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। কর্মীদের সংখ্যা অপেক্ষাকৃত নতুন পদমর্যাদা এবং কর্মকর্তাদের সঙ্গে, বিস্তৃত করা হয়েছে।

সংগঠন

বর্তমান মোট শক্তি প্রায় ২৬,৬৬১ (শাসনিক কর্মীবর্গ সহ) বেশি কর্মচারীবৃন্দ এবং ৫০ পুলিশ থানায় কর্মরত আছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ৫টি কর্মক্ষম নেতৃত্বে বিভাগে বিভক্ত করা আছে যা পরিচালিত হয় যুগ্ম কমিশনার জেলা প্রশাসক দ্বারা। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ৫ টি বিভাগ হলঃ

1. গোয়েন্দা ও অপরাধ গোয়েন্দা বিভাগ: গোয়েন্দা ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ, এরা যুদ্ধ সংগঠিত অপরাধ, নরহত্যা, চুরি, মাদক পাচার, নারী ও মানব পাচারের বিরুদ্ধে অপরাধীদের খোজ করার দায়িত্ব পালন করে।
2. অপরাধ ও অপারেশনস বিভাগ: সব নগর পুলিশ স্টেশনে কার্যাবলী কাজগুলোও পরিচালনা করে।
3. ট্রাফিক বিভাগ: শহরের ট্রাফিক পুলিশ হিসেবে কাজ করে, যানবাহন চলাচল, গতি এবং পার্কিং আইন, পথচারী এবং সড়ক নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
4. সুরক্ষা ও প্রটোকল বিভাগ: বিভাজন ভিআইপিদের, সংসদ সদস্য, সরকারি কর্মকর্তা, বিদেশী বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং অন্যদের নিরাপত্তা প্রদানের জন্য এরা দায়িত্ব পালন করে।
5. পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট এবং সদর বিভাগ: অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসন) Dhakaাকা মহানগর পুলিশ সদর দফতর পরিচালনা করছেন। যুগ্ম কমিশনার (সদর দফতর) এ ব্যাপারে তাকে সহায়তা করেন। যুগ্ম কমিশনার (পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট) পুলিশকে অস্ত্র পরিচালনা, নিয়োগ, প্রশিক্ষণ, রসদ সরবরাহ, সরবরাহ এবং অন্যান্য প্রশাসনিক কার্যাদি পরিচালনা করে তাঁর ১০,৫০০ অফিসারকে সাহায্য করেন। অতিরিক্ত কমিশনার (প্রশাসক) এর তত্ত্বাবধানে ১৫ টি বিভাগ রয়েছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ছাড়াও সহযোগিতা এবং সঙ্গে সাংগঠনিক যোগাযোগ বজায় রেখেছে বাংলাদেশ আনসার, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, বিশেষ শাখা (বাংলাদেশ), বাংলাদেশের গোয়েন্দা সম্প্রদায়, র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান এবং অন্যান্য জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা.

বিশেষ নারী পুলিশ বাহিনী

মহিলা কর্মকর্তা প্রথম ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে যোগদান করে ১৯৭৮ সালে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ আরো একটি বিশেষ নারী পুলিশ উত্থাপিত করেছে ২০০৮ সালে। যে মহিলা অপরাধের সঙ্গে জড়িত আছে তাদের অপরাধ সঠিক ভাবে তদন্ত এবং গ্রেফতার করার জন্য নারী পুলিশ বাহিনী তৈরি করা হয়েছে। সহকারী কমিশনার বিশেষ নারী পুলিশ বাহিনীদের মধ্যে মোট ২৪ জন নারীকে প্রধান কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ করেছেন।

বিশেষ অস্ত্র ও কার্যপদ্ধতি (সোয়াট)

মূল নিবন্ধ: সোয়াট (বাংলাদেশ)

বিশেষ অস্ত্র ও কৌশল (সোয়াট) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের আরেকটি অভিজাত কৌশলী ইউনিট যা ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বিশেষ অস্ত্র ও কৌশল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার অধীনে পরিচালিত হয়। আমেরিকার সোয়াট টিমের আদলে, তাদেরই অর্থায়নে, তাদেরই প্রশিক্ষণে এবং তাদেরই সব সরঞ্জামে সজ্জিত হয়ে বাংলাদেশেও যাত্রা শুরু করে সোয়াট। এমপি কমিশনারের সরাসরি নির্দেশে পরিচালিত হয়ে থাকে এই দলটি। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ 'স্পেশাল উইপন্স অ্যান্ড ট্যাকটিক্স টিম' - সোয়াট। ছোটো দল, পুরোপুরি উদ্ধার অভিযান কেন্দ্রীক। যেসব সংস্থায় সশস্ত্র উদ্ধারকাজ দরকার হতে পারে, তেমন সব সংস্থার জন্য একই ধরনের একটা করে দল গঠন করে দেয়া হয়। এই দলগুলোর প্রশিক্ষণ প্রায় একই রকম কিন্তু তারা থাকে স্থানীয় সংস্থার সাথে। যেমন, এফবআই’র নগরভিত্তিক প্রতিটা অফিসে, পুলিশের প্রতিটা বড় ইউনিটে ছোট একটা করে সোয়াট টিম, কোস্টগার্ড, বর্ডারগার্ড, কাস্টমস, ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন- সর্বত্র। খুবই কঠোরভাবে এখানে নিয়োগ দেয়া হয়। শারীরিক কঠোর পরিশ্রমের উপর বিশেষ নজর দেয়া হয়। শারীরিক উচ্চতা, সুস্থতা, মানসিক দৃঢ়তা ও খাটতে পারা- এ থেকে শুরু। সাধারণত সংশ্লিষ্ট প্রধান অ্যাজেন্সি থেকেই আসে কর্মীরা।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের থানার তালিকা

উত্তরা বিভাগ

1. তুরাগ
2. উত্তরা(পশ্চিম)
3. উত্তরা(পূর্ব)
4. উত্তরখান
5. দক্ষিণখান
6. বিমানবন্দর

গুলশান বিভাগ

1. খিলক্ষেত
2. ভাটারা
3. বাড্ডা
4. গুলশান
5. বনানী
6. ক্যান্টনমেন্ট

তেজগাঁও বিভাগ

1. হাতিরঝিল
2. তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল
3. তেজগাঁও
4. শেরেবাংলা নগর
5. মোহাম্মদপুর
6. আদাবর

মিরপুর বিভাগ

1. ভাষাণটেক
2. কাফরুল
3. মিরপুর মডেল
4. পল্লবী
5. দারুচ্ছালাম
6. শাহ্আলী
7. রুপনগর

রমনা বিভাগ

1. রমনা মডেল
2. শাহবাগ
3. কলাবাগান
4. নিউ মার্কেট
5. ধানমন্ডি
6. হাজারীবাগ

মতিঝিল বিভাগ

1. মতিঝিল
2. পল্টন মডেল
3. শাহজাহানপুর
4. সবুজবাগ
5. মুগদা
6. খিলগাঁও
7. রামপুরা

ওয়ারী বিভাগ

1. ওয়ারী
2. গেন্ডারিয়া
3. শ্যামপুর
4. কদমতলী
5. ডেমরা
6. যাত্রাবাড়ী

লালবাগ বিভাগ

1. কোতয়ালী
2. সুত্রাপুর
3. বংশাল
4. চকবাজার
5. লালবাগ
6. কামরাংগীরচর

আরও দেখুন

• বাংলাদেশ পুলিশ
• চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ
• খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ

বহিঃসংযোগ

• অফিসিয়াল ওয়েবসাইট
• ডিএমপি নিউজ