বিষয়বস্তুতে চলুন

বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা
চিড়িয়াখানার প্রবেশ পথ
স্থাপিত২৩শে জুন, ১৯৭৪[]
অবস্থানমিরপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ
স্থানাঙ্ক২৩°৪৮′৪৫.৬২″ উত্তর ৯০°২০′৪০.৬″ পূর্ব / ২৩.৮১২৬৭২২° উত্তর ৯০.৩৪৪৬১১° পূর্ব / 23.8126722; 90.344611
আয়তন১৮৬ একর
প্রাণীর সংখ্যা৪৯৭২ []
প্রজাতির সংখ্যা১৯১[]
বার্ষিক পরিদর্শক৩,০০০,০০০[]
প্রধান প্রদর্শনসমূহরয়েল বেঙ্গল টাইগার, এশীয় সিংহ, লোনা পানির কুমির, ইম্পালা, এমু, টাপির, এশীয় কালো ভাল্লুক ইত্যাদি
মানচিত্র

বাংলাদেশের জাতীয় চিড়িয়াখানা ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত একটি চিড়িয়াখানা। এটি বাংলাদেশ সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এর অধীনস্থ একটি প্রতিষ্ঠান। ১৯৫০ সালে হাইকোর্ট চত্বরে জীবজন্তুর প্রদর্শনশালা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় চিড়িয়াখানাটি। পরবর্তীকালে ১৯৭৪ সালে বর্তমান অবস্থানে স্থানান্তরিত হয় এটি। চিড়িয়াখানাটি উদ্বোধন ও সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হয় ১৯৭৪ সালের ২৩ জুন। বছরে প্রায় ৩০ লক্ষ দর্শনার্থী ঢাকা চিড়িয়াখানা পরিদর্শন করে থাকেন। ২০১৫ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি নাম পরিবর্তন করে ঢাকা চিড়িয়াখানা থেকে বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা নামকরণ করা হয়।ঢাকা চিড়িয়াখানার বার্ষিক বাজেট ৩৭.৫ মিলিয়ন টাকা, যার মধ্যে ২৫ মিলিয়ন টাকা পশুদের খাওয়ানোর জন্য ব্যয় করা হয়। []

ইতিহাস

[সম্পাদনা]

১৯৫০ সালের ২৬ ডিসেম্বর, কৃষি, সমবায় ও সাহায্য মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকায় একটি চিড়িয়াখানা প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেয়। তাই চিড়িয়াখানাটি ঢাকা হাইকোর্টের কাছে বেশ কয়েকটি দাগযুক্ত হরিণ, বানর এবং হাতি নিয়ে সে সময় শুরু হয়েছিল। পরে চিড়িয়াখানাটি আরও পশু নিয়ে বর্তমান ঈদগাহ ময়দানে স্থানান্তরিত হয়। পরে ১৯৬১ সালে চিড়িয়াখানার সঠিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করার জন্য একটি বোর্ড তৈরি করা হয়। পরে, অভ্যন্তরীণ এবং বিদেশী দেশ থেকে প্রাণী সংগ্রহের পর, চিড়িয়াখানাটি ২৩ জুন ১৯৭৪ সালের বর্তমান অবস্থানে উদ্বোধন করা হয়।

বিস্তৃতি

[সম্পাদনা]

ঢাকা চিড়িয়াখানার আয়তন প্রায় ৭৫ হেক্টর। চিড়িয়াখানার চত্বরে ১৩ হেক্টরের দুটি দৃষ্টিনন্দন প্রশস্ত লেক আছে।

প্রাণী

[সম্পাদনা]

চিড়িয়াখানায় বর্তমানে ১৩৪ প্রজাতির ২,১৫০টি প্রাণী রয়েছে।[]

চিড়িয়াখানায় ৫৮ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে হাতি, চিতা, গণ্ডার, জেব্রা, ওয়াটারবাক, ভোঁদড়, হায়েনা, হরিণ, জিরাফ, ইম্পালা, কালো ভাল্লুক, টাপির, জলহস্তী, সিংহ, অনেক প্রজাতির বানর, শিম্পাঞ্জী, বেবুন, এবং বেঙ্গল টাইগার[]

চিড়িয়াখানার ১৫০০ টিরও বেশি পাখি ৯১ প্রজাতির প্রতিনিধিত্ব করে, যার মধ্যে ময়ূর, রিয়া, আফ্রিকান গ্রে প্যারোট, কেসোয়ারি, উটপাখি, এমু, টিলস, ফিঞ্চ, ছাতারে, প্যাঁচা, শকুন, এবং ঈগল চিড়িয়াখানার দুটি হ্রদও প্রতি শীতে পরিযায়ী জলের পাখিদের আমন্ত্রণ জানায়।[]

দর্শনার্থীরা সাপকুমিরসহ ১৩ প্রজাতির সরীসৃপ এবং মাছ ২৮ প্রজাতি দেখতে পারেন।[]

ঢাকা চিড়িয়াখানার স্বাদুপানির কুমির

গ্যালারি

[সম্পাদনা]

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "ঐতিহাসিক স্থান: ঢাকা চিড়িয়াখানা"dhakacity.orgঢাকা সিটি কর্পোরেশন। ৪ জুন ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ই জানুয়ারি ২০১১  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  2. "ঐতিহাসিক স্থান: ঢাকা চিড়িয়াখানা"agonews24.comএকেসি প্রাইভেট লিমিটেড। সংগ্রহের তারিখ ২৩ এপ্রিল ২০২৩ 
  3. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২৪ মে ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ জুন ২০১৬ 
  4. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; bangladesh নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]