হরিপ্ৰসাদ বরুয়া

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
হরিপ্ৰসাদ বরুয়া
জন্ম১১ এপ্ৰিল, ১৮৮৯
গোলাঘাট
মৃত্যু১৩ জানুয়ারী, ১৯৭৪
জাতীয়তা India
পেশাপ্রকৌশলী, সাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ, সংগঠক

হরিপ্ৰসাদ বরুয়া (ইংরেজি: Hari Prasad Baruah) আসামের একজন প্ৰসিদ্ধ প্রকৌশলী, সু-সাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ তথা প্ৰশাসক । তিনি স্বাধীনোত্তর আসামের প্ৰথম প্রধান প্রকৌশলী এবং মুখ্য সচিব ছিলেন।

প্ৰারম্ভিক জীবন[সম্পাদনা]

হরিপ্ৰসাদ বরুয়ার জন্ম হয় ১৮৮৯ সালের ১১ এপ্ৰিল তারিখে গোলাঘাট জেলার খুমটাইত। তিনি ১৯০৪ সালে গোলাঘাট বেজবরুয়া স্কুল থেকে প্ৰথম বিভাগে প্ৰবেশিকা পরীক্ষায় ঊত্তীৰ্ণ হওয়ার পর ১৯০৭ সালে কটন মহাবিদ্যালয় থেকে এফ.এ. পরীক্ষায় ঊত্তীৰ্ণ হন। তারপর তিনি কলকাতা গিয়ে শিবপুরের বেঙ্গল সিভিল ইঞ্জিনীয়ারিং কলেজ থেকে ১৯১৫ সালে দ্বিতীয় শ্ৰেণীতে প্ৰথম স্থানলাভ করে বি.ই. পরীক্ষা পাস করেন।

কৰ্মজীবন[সম্পাদনা]

হরিপ্ৰসাদ বরুয়া প্ৰথমে আসাম সরকারের ইঞ্জিনীয়ারিং বিভাগে এপ্ৰেন্টিস ইঞ্জিনীয়ার হিসাবে যোগদান করেন। ১৯১৬ সালে তিনি Imperial and Provincial Service of Engineers এ যোগদান করেন। এই সেবাকে পরবর্তীতে ভারতীয় ইঞ্জিনিয়ারিং সেবা (Indians Service of Engineers, সংক্ষেপে ISE) বলে নামকরণ করা হয়। এই সম্মান লাভ করা মুষ্টিমেয় ভারতীয়র ভিতর বরুয়া অন্যতম এবং অসমীয়ার ভিতর প্ৰথম। ১৯১৮ সালে সহকারী ইঞ্জিনীয়ার এবং ১৯২৮ সালে ভারপ্রাপ্ত ইঞ্জিনীয়ার পদোন্নতি হয়। তিনি মাৰ্চ, ১৯৩০ থেকে জুন, ১৯৩১ পর্যন্ত, পুনের ১৯৩৪ সাল থেকে গড়কাপ্তানি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এবং সহকারী মুখ্য ইঞ্জিনীয়ার হিসাবে কাৰ্যনিৰ্বাহী ছিলেন। ভারত স্বাধীন হওয়ার পর তিনি আসামের মুখ্য ইঞ্জিনীয়ার এবং রাজ্যের গড়কাপ্তানী সচিব হয়েছিলেন।

অবদান[সম্পাদনা]

হরিপ্ৰসাদ বরুয়া আসামের বানপানীর সমস্যাটির প্ৰতি গভীরভাবে মনোনিবেশ করেছিলেন। তার জনপ্ৰিয় বিজ্ঞান জেউতি ম্যাগাজিনে সেই সম্পৰ্কে একটি প্ৰবন্ধ লিখেছিলেন।

সাহিত্য চৰ্চা[সম্পাদনা]

হরিপ্ৰসাদ বরুয়া শিশু-সাহিত্যিক হিসেবেও জনপ্ৰিয় ছিলেন । তার প্ৰকাশিত গ্রন্থসমূহ হল- মইনা, একপক্ষ, বিরচতীয়ার দেশ এবং অঙ্ক-ধারাপাত । অপ্ৰকাশিত গ্রন্থ- আদি অন্ত, আগুয়ান এবং এখন চিঠি । এছাড়াও সাহিত্য এবং বিজ্ঞান বিষয়ের ভালেমানের প্ৰবন্ধ বিভিন্ন ম্যাগাজিনের পাতায় প্রকাশিত হয়েছে। তিনি ১৯৫৮ সালে তিনিচুকীয়া তে অনুষ্ঠিত অসম সাহিত্য সভার বিজ্ঞান অধিবেশনের সভাপতি ছিলেন এবং ১৯৬৮-৭০ সালে অসম বিজ্ঞান সমিতির সভাপতি ছিলেন ।

অন্যান্য অবদান[সম্পাদনা]

শিলং এর মুকুল ক্লাব, অসম ক্লাব, বিজ্ঞান পরিষদ ইত্যাদি অনুষ্ঠানের সাথে হরিপ্ৰসাদ বরুয়া জড়িত ছিলেন । তার প্রচেষ্টাতে ১৯৫৩ সালে শিলংঅসম সাহিত্য সভার দ্বাবিংশ অধিবেশটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল । গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের ক্ষেত্ৰে বরুয়ার যথেষ্ট অবদান আছে । শিলঙে ‘গণেশ দাস চিকিৎসালয়’ স্থাপনের জন্য তার অগ্রণী ভূমিকা ছিল । তার প্ৰচেষ্টাতে শিলং এ রেডক্ৰস হস্পিটেল এবং মাতৃ মংগল কেন্দ্ৰ স্থাপন করা হয় । হরিপ্ৰসাদ বরুয়াকে আসামের রেডক্ৰস সোসাইটির জনক বলা হয়।

মৃত্যু[সম্পাদনা]

১৯৭৪ সালের ১৩ জানুয়ারীতে হরিপ্ৰসাদ বরুয়ার মৃত্যু হয় ।

তথ্যসূত্ৰ[সম্পাদনা]

  • ক্ষীৰধৰ বৰুৱা (১৯৯৯)। অসমীয়া বিজ্ঞানী। পানবজাৰ, গুৱাহাটী: বুক হাইভ্‌। পৃষ্ঠা ১০–১৬। 
  • "প্ৰান্তিক ১৬-৩১ মাৰ্চ ২০১১ সংখ্যা"-সুৰেণ শইকীয়াৰ প্ৰবন্ধ (পৃঃ ৪৫, ৪৬)