আনন্দ চন্দ্র বরুয়া
আনন্দ চন্দ্র বরুয়া | |
---|---|
জন্ম | ৩১ ডিসেম্বর, ১৯০৭[১] মরাণ, অসম |
মৃত্যু | ২৭ জানুয়ারী, ১৯৮৩ সন |
আনন্দ চন্দ্র বরুয়া ( ইংরেজি: Ananda Chandra Barua; অসমীয়া: আনন্দ চন্দ্র বরুৱা) অসমের একজন প্রসিদ্ধ সাহিত্যিক। তিনি বকুল বনর কবি নামেও পরিচিত।[২] কলজে অধ্যয়ন করার সময় থেকে কবিতা লেখা আরম্ভ করা বরুয়ার প্রথম কবিতা লক্ষ্মীনাথ বেজবরুয়া রচিত বাহীঁতে প্রকাশ পায়। ১৯৬৯ সনে তাকে অসম সাহিত্য সভার বরপেটা অধিবেশনে সভাপতি নির্বাচন করা হয়েছিল। ১৯৭০ সনে তাকে পদ্মশ্রী উপাধি প্রদান করা হয়।
পরিচ্ছেদসমূহ
শৈশব জীবন[সম্পাদনা]
১৯০৭ সনের ৩১ ডিসেম্বর তারিখে মরাণের খুমটাই চা-বাগানে আনন্দ চন্দ্র বরুয়ার জন্ম হয়। পিতার নাম ইন্দ্রধর বরুয়া ও মাতার নাম ইন্দ্রানী দেবী। ঢেকিয়াখোয়াতে প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করার পর তিনি যোরহাট সরকারি উচ্চতর মাধ্যমিক বালক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেন। ১৯২৬ সনে তিনি মেট্রিকুলেশনের শিক্ষা সমাপ্ত করে উচ্চা শিক্ষার জন্য বানারসী যান যদিও শিক্ষা সমাপ্ত করতে পারেন নাই। অসমে এসে তিনি প্রমিলা দেবীর সহিত বিবাহ সম্পর্কে আবদ্ধ হন।
কর্মজীবন[সম্পাদনা]
১৯৩০ সনে পিতৃবিয়োগের পর তিনি অসমীয়া নামক খবরের কাগজে সম্পাদক রুপে কাজে যোগদান করেন। দুইবৎসর পর তিনি যোরহাট বিদ্যালয় পরিদর্শকের কার্য্যালয়ে কিছুদিন কাজ করেন। তিনসুকিয়ায় কিছুদিন শিক্ষকতা করে পুনরায় যোরহাট এসে বাতরী নামক এক অসমীয়া সাপ্তাহিক খবরের কাগজে সহ-সম্পাদকের পদে যোগদান করেন। এই খবরের কাগজের মাধ্যমে তিনি প্রথম নীলমণি ফুকনকে বাগ্মীবর ও জ্যোতিপ্রসাদ আগরওয়ালাকে রুপকোয়র উপাধি প্রদান করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে তিনি করাচী গিয়ে ভারতীয় বায়ু সেনায় যোগদান করেন ও ১৯৪৭সনে অসমে ফিরে আসেন। তারপর তিনি উদ্যোগিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে অবসর গ্রহণ না করা পর্যন্ত চাকুরি করেন।
১৯৬৯ সনে তিনি অসম সাহিত্য সভার সভাপতি নির্বাচিত হন।[৩]।
সাহিত্যিক রুপে বিখ্যাত যদিও সাহিত্য চর্চা ছাড়াও তিনি ছিলেন একজন ভাল অভিনেতা ও সক্রিয় সমাজকর্মী। ১৯৩০ সনে তিনি বাণী সংকলন ও ১৯৪৮ সনে তিনি চিন্তামণি চক্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি অসম নাট্য সন্মিলন, অসম প্রতিযোগিতা সমিতি, যোরহাট সঙ্গীত বিদ্যালয় ইত্যাদির সহিত জড়িত ছিলেন।
মৃত্যু[সম্পাদনা]
১৯৮৩ সনে ২৭ জানুয়ারি তারিখে আনন্দ চন্দ্র বরুয়ার মৃত্যু হয়।
সাহিত্যিক অবদান[সম্পাদনা]
সাহিত্যিক রুপে আনন্দ চন্দ্র বরুয়া অসমীয়া সাহিত্যে কবিতা, নাটক, অনুবাদিত সাহিত্য ও উপন্যাস ইত্যাদি অবদান রেখেছেন
প্রকাশিত কাব্য[সম্পাদনা]
- পরাগ
- পুষ্পক
- রঞ্জন
- রশ্মি
- সেই নিমাতী পুয়ারে পরা
- বকুল বনর কবিতা
- পাপরির পরিমল
অনুবাদিত পুস্তক[সম্পাদনা]
- হাফিজর সুর
- কুমার সম্ভব
- মেঘদুত পূর্বমেঘ
- সোভিয়েট কবিতা
- এশিয়া জ্যোতি
নাটক[সম্পাদনা]
- বিজয়া
- বিসর্জন
- কমতা
- কুয়রী
- নল-দময়ন্তী
- নীলাঞ্জন
তার অপ্রকাশিত গ্রন্থসমূহের মধ্যে পঞ্চমী, তেজীমলা, বণিক বন্ধু, মৃগমায়া, বাণীপথ, অসমীয়া সাহিত্য ইত্যাদি অন্যতম।
সম্মান[সম্পাদনা]
- ১৯৭৩ সনে পদ্মশ্রী উপাধি[৪]
- ১৯৭৭ সনে সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার(বকুল বনর কবিতার জন্য)[৫]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৫ আগস্ট ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ আগস্ট ২০১৪।
- ↑ সমীন কলিতা (২০০১)। শতাধিক অসমীয়া সাহিত্যিক। গুয়াহাটি: ষ্টুডেণ্টচ্ ষ্ট'র্স। পৃষ্ঠা ২১৪–২১৮।
- ↑ "১৯১৭ সন থেকে অসম সাহিত্য সভার সভাপতিদের তালিকা , আহরণ: ১৮ নভেম্বর, ২০১২"। ২৯ জানুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ আগস্ট ২০১৪।
- ↑ http://india.gov.in/myindia/advsearch_awards.php
- ↑ "সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার বিজয়ী অসমীয়াদের তথ্য"। সাহিত্য অকাডেমি। ৭ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ নৱেম্বর ১৬, ২০১২। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য)