নিপন গোস্বামী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
নিপন গোস্বামী
জন্ম
নিপন গোস্বামী

সেপ্টেম্বর, ১৯৪৭
মৃত্যু২৭ অক্টোবর, ২০২২
পেশাঅভিনেতা, পরিচালক, গায়ক
কর্মজীবন১৯৬৮-২০২২ পর্যন্ত

নিপন গোস্বামী (জন্ম ৩ সেপ্টেম্বর ১৯৪২ – মৃত্যু ২৭ অক্টোবর ২০২২) (ইংরেজি: Nipon Goswami) অসমের চলচ্চিত্র ও নাটক জগতের প্রসিদ্ধ অভিনেতা। তিনি প্রথম জীবনে মঞ্চে অভিনয় করেন। পরবর্তী সময়ে তিনি চলচ্চিত্রে অভিনয় করার সুযোগ পান। তিনি অসমীয়া তারকা শারীর অন্যান্য অভিনেতার মধ্যে অন্যতম। তিনি টেলি-ফিল্ম ও ভি.সি.ডি ছায়াছবি ইত্যাদিতে অভিনয় করা উপরিও নাটক পরিচালনা করেছেন। বর্তমানে তিনি ১০০ অধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।

জন্ম ও শৈশব[সম্পাদনা]

১৯৪৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তেজপুরের কোলিবারী নামক স্থানে নিপন গোস্বামীর জন্ম হয়। তার পিতা চন্দ্রধর গোস্বামী ছিলেন প্রসিদ্ধ অভিনেতা ও মাতা নিরুপমা গোস্বামী সংগীত চর্চা করিতেন। তিনি কলিবারী নিম্ন বুনিয়াদি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করেন। তারপর তেজপুর সরকারি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেন। নিজ গৃহে তিনি সাংস্কৃতিক পরিবেশের সন্ধান পেয়েছিলেন। তার পিতা চন্দ্রধর গোস্বামী ও তার পাঁচ কাকা অভিনয় জগতের সহিত জড়িত ছিলেন। তদোপরি ফণী শর্মাবিষ্ণুপ্রসাদ রাভা ছিলেন তার প্রতিবেশী। বাণ রঙ্গমঞ্চে নাটক উপভোগ করে তিনি অভিনয়ের প্রতি আগ্রহী হন।

অভিনয় জীবন[সম্পাদনা]

বিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করার সময় তিনি অভিনয় করতেন। তিনি প্রায় ৮ বা ৯ বছর বয়সে লাচিত বরফুকন নাটকে বিদ্যালয়ে অন্যান্য সহপাঠীদের সহিত অভিনয় করেন। উচ্চ বিদ্যালয়ে অধ্যয়নের সময়ও তিনি বিভিন্ন নাটক প্রতিযোগীতায় অংশ গ্রহণ করেন।

অভিনয়ের শিক্ষা[সম্পাদনা]

বি.এ ফাইনেল পরীক্ষা সমাপ্ত করে তিনি কলকাতায় পুনে ফিল্ম ইন্সটিটিউড-এ নামভর্তী করার জন্য ইন্টারভিউ দেন। ১৯৬৫ সনে তিনি অভিনয়ের জন্য পুনেতে প্রস্থান করেন। সুভাষ ঘাই, শত্রুঘ্ন সিণ্হা, নবীন নিশ্চল, জালাল আগা, রেহেনা সুলতানা, রাকেশ পাণ্ডে ইত্যাদি প্রমুখ অভিনেতারা তার সহপাঠী ছিল। বলিউডের অভিনেতা আশরানী তার অগ্রজ এবং ডেনীজয়া ভাদুরী কনিষ্ঠা ছিল।

ছায়াছবিতে অভিনয়[সম্পাদনা]

পুনে ফিল্ম ইন্সটিটিউট-এ প্রশিক্ষন চলা সময়ে তিনি অমর পাঠকের সংগ্রাম চলচ্চিত্রে অভিনয় করার জন্য আমন্ত্রন পায়। এই আমন্ত্রন মর্মে তিনি সংগ্রাম চলচ্চিত্রে নায়কের চরিত্রে অভিনয় করেন। নিপন গোস্বামীর প্রথম অভিনীত ছায়াছবি হচ্ছে ১৯৫৭ সনে মুক্তিপ্রাপ্ত ফণী শর্মার দ্বারা পরিচালিত পিয়লি ফুকন। তার পিতা নাম-ভূমিকায় অভিনয় করা এই চলচ্চিত্রে তিনি কয়েকটি ছোট ছোট চরিত্রে অভিনয় করেন।[১] সংগ্রাম ছায়াছবির পর তিনি ১৯৬৯ সনে মুক্তিপ্রাপ্ত ডঃ বেজবরুয়া চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। পরবর্তী সময়ে তিনি ১০০ অধিক ছায়াছবিতে অভিনয় করেন।[১]

নাটকে অভিনয়[সম্পাদনা]

নিপন গোস্বামী মঞ্চে অভিনয় করিতে বেশি পছন্দ করিতেন। সেজন্য তিনি চলচ্চিত্রের সহিত মঞ্চেও অভিনয় করা অব্যাহত রাখেন। তিনি ভ্রাম্যমাণ থিয়েটারে অভিনয় করেছেন। তিনি বিভিন্ন সময়ে কহিনুর, হেঙুল, শকুন্তলা ও আবাহন ইত্যাদি থিয়েটারে অভিনয় করেছেন।[২] ভ্রাম্যমাণ থিয়েটারের সুখ্যাত নাটক অসীমত হেরাল যার সীমা-এ চন্দনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন।[৩]

পরিচালনা[সম্পাদনা]

নিপন গোস্বামী অভিনয়ের সহিত নাটক পরিচালনা করেছেন। তিনি টেলীফিল্মও পরিচালনা করেছেন। মুনিন বরুয়ার সহিত তিনি সংযুক্ত ভাবে প্রতিমা নামক অসমীয়া চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছেন।[৩]

বর্তমান জীবন[সম্পাদনা]

বর্তমান দিনেও নিপন গোস্বামী চলচ্চিত্রে অভিনয়রত আছেন। তিনি অসম সরকারের জনসংযোগ বিভাগে চাকুরি করিতেন যদিও পরবর্তী সময়ে তা থেকে অব্যাহতি নেন।

অভিনীত ছবি[সম্পাদনা]

তিনি অনেক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।[১][৩][৪][৫]

অসমীয়া ভাষার চলচ্চিত্র[সম্পাদনা]

বাংলা ভাষার চলচ্চিত্র[সম্পাদনা]

  • তুষারতীর্থ অমরনাথ
  • মৌ শের
  • দেবাঞ্জলী
  • দুরন্ত চরাই

হিন্দী ভাষার চলচ্চিত্র[সম্পাদনা]

  • দো অনজানে
  • জগ্গু
  • দো ভাই
  • মৌকা
  • বিরোধী

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Nipon Goswami - Assamese actor film movie cinema assam flimography nippon"। Onlinesivasagar.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০২-০৪ 
  2. "Welcome to"। Rupaliparda.com। ২০১২-১০-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০২-০৪ 
  3. মৃনাল কুমার বরা. নিপন গোস্বামী. অসমীয়া সারেগামা (স. জনার্দন গোস্বামী); অষ্টম বছর: ষষ্ঠ সংখ্যা: ছেপ্টেম্বর: ২০১১চন; পৃ: ৮-৯
  4. প্রাঞ্জল কুমার মহন্ত, নিপন গোস্বামীর সৈতে এখন্তেক কথা-বতরা; অসমীয়া সারেগামা (স. জনার্দন গোস্বামী); অষ্টম বছর: ষষ্ঠ সংখ্যা: ছেপ্টেম্বর: ২০১১চন; পৃ: ১১-১৫
  5. প্রদ্যুৎ কুমার ডেকা. এজন 'ষ্টার'র চমু কাহিনী; অসমীয়া সারেগামা (স. জনার্দন গোস্বামী); অষ্টম বছর: ষষ্ঠ সংখ্যা: ছেপ্টেম্বর: ২০১১চন; পৃ: ১০

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]