মহেন্দ্র বরঠাকুর
মহেন্দ্র বরঠাকুর | |
---|---|
জন্ম | ১৯৩৫ |
পেশা | শিক্ষক, নাট্যকার |
ভাষা | অসমীয়া |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
নাগরিকত্ব | ভারত |
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার | অসম শিল্পী দিবস বঁটা (২০০১) শ্রেষ্ঠ ভ্রাম্যমাণ নাটক বঁটা (১৯৮৯) |
মহেন্দ্র বরঠাকুর (ইংরেজি: Mahendra Borthakur;অসমীয়া: মহেন্দ্র বরঠাকুর) একাধারে শিক্ষক, নাট্যকার, নাট্য-প্রযোজক ও গুয়াহাটি আকাশবানী কেন্দ্রের সহকারী সঞ্চালক ছিলেন। তিনি অসমের জনপ্রিয় নাট্যকার ছিলেন। ২০০১-২০০৩ সনে তিনি অসম নাট্য সন্মিলনের সভাপতি ছিলেন। ১৯৮৯ সনে তিনি অসমের শ্রেষ্ঠ ভ্রাম্যমাণ থিয়েটারের পুরস্কার পেয়েছিলেন। ২০০১ সনে তিনি ‘’অসম শিল্পী দিবস বটা’’ পুরস্কার লাভ করেছিলেন।[১]
কর্মজীবন
[সম্পাদনা]মহেন্দ্র বরঠাকুর ১৯৫৭ সনে সহকারী শিক্ষকের পদে নিযুক্ত হয়ে প্রথম কর্মজীবন আরম্ভ করেছিলেন। ১৯৬৭ সনে তিনি গুয়াহাটি আকাশবানী কেন্দ্রের সহকারী সম্পাদকের পদে নিযুক্তি ছিলেন। তারপর তিনি নাট্য প্রযোজক, সহকারী কেন্দ্র সঞ্চালক, কলকাতা ও উত্তর পূর্বাঞ্চলের উপ সঞ্চালক প্রধান কার্য্যালয় ও গুয়াহাটিতে কার্যনিবাহ করেছিলেন। ১৯৯৩ সনে তিনি অবসর গ্রহণ করেন।[১]
নাট্যকর্ম
[সম্পাদনা]১৯৪৭ সনে উচ্চ শিক্ষা সমাপ্ত করার পর মহেন্দ্র বরঠাকুর লাচিত বরফুকন নামক নাটক লিখেছিলেন। তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাবুলীওয়ালা গল্প অবলম্বনে একটি নাটক রচনা করেছিলেন। ছাত্রাবস্থায় তিনি মকরাজাল নামক আরেকটি নাটক রচনা করেছিলেন। তিনি হাস্য-ব্যাঙাত্মকের মাধ্যমে সামাজিক ও রাজনৈতিক অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে এক নতুন কৃতিত্বের পরিচয় দিয়েছেন। ১৯৮১ সনে তিনি সিমলু চন্দন নাটকের মাধ্যমে নিজেকে ভ্রাম্যমাণ থিয়েটারের নাট্যকার রুপ প্রকাশ করেছিলেন। তিনি সমাজ এবং ব্যক্তি জিবনের সংঘাত, ব্যক্তি এবং সমাজ জীবনের দ্বন্দ্ব, পারিবারিক সমস্যা, নতুন ও পুরোনোর মধ্যে সংঘাত ইত্যাদি বিষয়ে নাটক রচনা করে নাটক জগতকে উজ্জ্বলিত করে তুলেছেন। বিশ্ববিখ্যাত উপন্যাস, ঘটনা ও চরিত্রের আধারে নাটক রচনা করে তিনি অসমীয়া সাহিত্যকে নতুন প্রজন্ম দিয়েছেন।[১]
মৃত্যু
[সম্পাদনা]২০০৫ সনে মহেন্দ্র বরঠাকুরের মৃত্যু হয়।
ভ্রাম্যমাণ থিয়েটারে মহেন্দ্র বরঠাকুরের অবদান
[সম্পাদনা]
|
|
|