মলয়া গোস্বামী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মলয়া গোস্বামী
২০১৩ সালে টিচএইডস রেকর্ডিংয়ে মালয় গোস্বামী
জন্ম
জাতীয়তাভারতীয়
পেশাঅভিনয়
প্রতিষ্ঠানঅসমীয়া বোলছবি জগত
দাম্পত্য সঙ্গীপ্রদীপ গোস্বামী
পুরস্কারশ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর রাষ্ট্রীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার

মলয়া গোস্বামী (ইংরেজি: Moloya Goswami; অসমীয়া: মলয়া গোস্বামী) অসমের চলচ্চিত্র জগৎ থেকে অভিনয় করে রাষ্ট্রীয় সুনাম অর্জন করা উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রথম মহিলা। তিনি ১‌৯৯২ সনে জাহ্নু বরুয়ার পরিচালিত ফিরিঙতি চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেত্রীর রাষ্ট্রীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।[১]

জন্ম ও শিক্ষা[সম্পাদনা]

অসমের ডিব্রুগড় জেলার রাজখোয়া পরিবারে মলয়া গোস্বামীর জন্ম হয়। তার পিতা কৈলাশ রাজখোয়া অসম রাজ্যিক বিদুৎ পরিষদে অভিযন্তার পদে কার্যনির্বাহ করিতেন। চাকরি সুত্রে তার পিতাকে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্নানান্তর হতে হত। মলয়া গোস্বামী তার বিদ্যার্থী জীবন নঁগাওয়ে অতিবাহিত করেন। নঁগাও উচ্চ বিদ্যালয় থেকে তিনি শিক্ষান্ত পরীক্ষায় উর্ত্তীন হয়ে গুয়াহাটির কৃষ্ণকান্ত সন্দিকৈ রাজ্যিক মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে নামভর্ত্তি করেন ও গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন। তিনি বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করার সময় সেরা খেলোড়ার ছিলেন। তিনি মহাবিদ্যালয়ে থাকার সময় অসমের প্রথম মহিলা হকি দলের সদস্য ছিলেন। শিক্ষা সমাপ্ত করে তিনি শিক্ষকের বৃত্তি বেছে নিয়েছিলেন। প্রথমে তিনি সোনারী মহাবিদ্যালয় ও তারপর ১৯৮৩ সনে জাগীরোড মহাবিদ্যালয়ে যোগদান করেছিলেন।

বিবাহ ও চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ[সম্পাদনা]

১৯৮১ সনে প্রদীপ গোস্বামীর সহিত মলয়া গোস্বামীর বিবাহ সম্পূর্ণ হয়। প্রদীপ গোস্বামী অসম রাজ্যিক বিদুৎ পরিবহন বিভাগের অভিযন্তার পদে নিযুক্ত ছিলেন। তিনি মলয়া গোস্বামীকে অভিনয় করার ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণা দিয়েছিলেন। ১৯৮৭ সনে তিনি অগ্নিস্নান নামক অসমীয়া চলচ্চিত্রে প্রথম অভিনয় করেন। এই চলচ্চিত্রের পরিচালক ছিলেন ডঃ ভবেন্দ্রনাথ শইকিয়া। অগ্নিস্নান চলচ্চিত্র ডঃ ভবেন্দ্রনাথ শইকিয়ার অন্তরীপ নামক উপন্যাসের অন্তর্গত। এই চলচ্চিত্রে মলয়া গোস্বামী প্রধান চরিত্র মেনকার রুপে অভিনয় করেছিলেন। মেনকার চরিত্রে তিনি সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করিতে সক্ষম হয়েছিলেন। ১৯৯১ সনে তিনি ফিরিঙতি নামক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।[২]

এই চলচ্চিত্রের পরিচালক ছিলেন জাহ্নু বরুয়া। এই চলচ্চিত্রে করা অভিনয়ের জন্য তিনি ১৯৯১ সনের ৩৯তম ভারতের রাষ্ট্রীয় চলচ্চিত্র মহোৎসবের শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে রজত কমল পুরস্কার লাভ করেন।[৩][৪]

পরবর্তী সময়ে তিনি অন্যান্য চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। উত্তরাকাল, মা, আই কিল্ড হিম স্যার, আশেনে কুনেবা হিয়াত ও শেষ উপহার তিনি অভিনয় করা কয়েকটি চলচ্চিত্রের নাম। তিনি ধারাবাহিক নাটক যেমন ঋতু আহে ঋতু যায় ইত্যাদিতে অভিনয় করেছেন। তিনি চল্লিশের অধিক রেডিও প্রচারিত নাটকে সংলাপ করেছেন। নবকান্ত বরুয়া, জ্যোতিপ্রসাদ আগরওয়ালা রচিত কবিতায় তিনি কন্ঠদান করেছেন। তদুপরি তিনি অসমের বিভিন্ন মঞ্চ ও ভ্রাম্যমাণ থিয়েটারে অভিনয় করেছেন। গুয়াহাটি দূরদর্শন কেন্দ্র দ্বারা প্রচারিত ঋতু আহে ঋতু যায় নামক নাটকে অভিনয়ের জন্য তিনি জয়মতী পুরস্কার ও শ্রেষ্ঠ টেলিভিশন বটা পুরস্কার প্রাপ্ত করেছেন।[৫]

অভিনীত চলচ্চিত্রপঞ্জী[সম্পাদনা]

বর্ষ চলচ্চিত্র চরিত্র
২০০৯ জীবন বাটর লগরী
২০০৩ কণিকার রামধেনু(Ride on the Rainbow)
২০০১ দামন: এ ভিক্টিম অফ মেরিটেল ভায়লেঞ্চ
১৯৯২ ফিরিঙতি (The Spark) শিক্ষয়ত্রী
১৯৯০ উত্তরকাল
১৯৮৮ শিরাজ
১৯৮৭ অগ্নিস্নান মেনকা
১৯৮৫ সরয়জান

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Delhi to host first festival of films from Assam"। India Glitz। ১ জানুয়ারি ২০০৬। সংগ্রহের তারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১০ 
  2. "39th National Film Festival 1992, pdf ফাইল পৃঃ ১৮" (পিডিএফ)। iffi.nic.in। ২১ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১২ 
  3. "39th National Film Festival 1992, pdf ফাইল পৃঃ ৩৯" (পিডিএফ)। iffi.nic.in। ২১ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১২ 
  4. "National Film Awards, India"। imdb.com। সংগ্রহের তারিখ ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১২ 
  5. "মলয়া গোস্বামী"। onlinesivasagar.com। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জানুয়ারী ২০১২