আনন্দ চন্দ্র দত্ত

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
আনন্দ চন্দ্র দত্ত
জন্ম(১৯২৩-০২-০৮)৮ ফেব্রুয়ারি ১৯২৩[১]
মৃত্যু১৬ জানুয়ারি ২০১৬(2016-01-16) (বয়স ৯২)
যোরহাট
জাতীয়তাভারতীয়
অন্যান্য নামবাপ
নাগরিকত্বভারতীয়
পেশাউদ্ভিদবিদ ও প্রকৃতিপ্রেমী
আদি নিবাসযোরহাট

আনন্দ চন্দ্র দত্ত (ইংরেজি: Ananda Chandra Dutta;অসমীয়া: আনন্দ চন্দ্র দত্ত) (৮ ফেব্রুয়ারি, ১৯২৩ - ১৬ জানুয়ারি, ২০১৬) অসমের একজন আন্তঃরাষ্ট্রীয়ভাবে প্রসিদ্ধ উদ্ভিদবিজ্ঞানী[২] গবেষণা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন বিশেষ ডিগ্রী নাথাকা সত্ত্বেও তিনি একান্ত আগ্রহ, কষ্টসহিষ্ণুতা, শ্রম ও ধৈয্য ইত্যাদির বলে অসমের প্রকৃতির গাছ-বন ইত্যাদির অধ্যয়ন করেছেন ও সেই সম্বন্ধে অনেক গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ, চিত্র ও প্রবন্ধ রচনা করেছেন।

জন্ম[সম্পাদনা]

যোরহাট জেলার চেকনিধরা গাঁও নামক স্থানে আনন্দচন্দ্র দত্তের জন্ম হয়। পিতার নাম ভোলারাম দত্ত ও মাতার নাম সরুমাই দত্ত। শৈশবে তাকে আদরে বাপ ডাকা হত। তার পিতা কৃষিকার্য ও যোরহাটের কুঁহিয়ার গবেষণা কেন্দ্রে দিন হাজিরা করে জীবিকা নির্বাহ করিতেন।

শিক্ষা[সম্পাদনা]

১৯৩৪ সনে তিনি যোরহাট প্রেক্তিশিং বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করার পর ১৯৪৩ সনে যোরহাট সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা সমাপ্ত করেন। ১৯৪৫ সনে তিনি জগন্নাথ মহাবিদ্যালয়ে নামভর্তি করেন যদিও আর্থিক দুরবস্থার জন্য কলেজের শিক্ষা সমাপ্ত করতে পারেন নাই।

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

কলেজে অধ্যয়নরত অবস্থায় তিনি মরিয়নি মধ্য ইংরেজি বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে ১৯৪৪-৪৫ সনে কর্মজীবন আরম্ভ করেন। ১৯৪৭ সনের ৮ ফেব্রুয়ারি তারিখে যোরহাটের টোকোলাই চা গবেষণা কেন্দ্রে ডঃ উইলিয়াম ওয়াইটের অধীনে সহকারী বিজ্ঞানী পদে নিয়োজিত হন। যদিও ১৯৮৩ সনের ১ মার্চ তারিখে চাকুরীর অন্ত পরে। ১৯৮৩ সনের ১এপ্রিল তারিখ থেকে ১৯৮৬ সনে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত অসম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে Audio Visual Aid Assistant পদে কার্য নির্বাহ করেন।তারপর প্রায় এক বৎসরের জন্য তিতাবর সেরিকালসার ফার্মে আলোকচিত্রশিল্পী হিসেবে নিয়োজিত হন। পরবর্ত্তী সময়ে তিনি টোকলাই চা গবেষণা কেন্দ্রে বনস্পতির সূচি প্রস্তুত করার কার্যে পুনরায় নিয়োজিত করা হয়। ১৯৯১ সন থেকে ১৯৯৪ সন পর্যন্ত তিনি জিমখানা ক্লাবের পরিচালক পদে নিয়োজিত হন। তিনি অসমের খবরের কাগজ দা আসাম ট্রিবিউন, দৈনিক জন্মভুমি, আমার অসম, প্রান্তিকআজির অসম ইত্যাদি বিভিন্ন কাগজে ত্রিশের অধিক প্রবন্ধ লেখেন। ১৯৭৭ সনে তিনি যোরহাটে চা সংগ্রহালয় স্থাপনে মুখ্য ভুমিকা পালন করেন। তিনি যোরহাটের টোকলাই চা গবেষণা কেন্দ্রের জন্য ১০০০টি গাছের নাম সমৃদ্ধ একটি তালিকা প্রস্তুত করেন।[৩] ডিব্রুগড় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাকে ডঃ অফ সায়েন্স উপাধি প্রদান করা হয়েছে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Assam Jatiya Bidyalaya fellowship to AC Dutta" ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৮ জানুয়ারি ২০১৬ তারিখে The Assam Tribune, 11 February 2010; Retrieved 18 March 2012.
  2. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২০১৫-০৯-২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৮-১০ 
  3. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২৮ জানুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১