মৃদুলা বড়ুয়া
এই নিবন্ধটি বাংলায় অনুবাদ করা প্রয়োজন। এই নিবন্ধটি বাংলা ব্যতীত অন্য কোন ভাষায় লেখা হয়েছে। নিবন্ধটি যদি ঐ নির্দিষ্ট ভাষা ব্যবহারকারীদের উদ্দেশ্যে লেখা হয়ে থাকে তবে, অনুগ্রহ করে নিবন্ধটি ঐ নির্দিষ্ট ভাষার উইকিপিডিয়াতে তৈরি করুন। অন্যান্য ভাষার উইকিপিডিয়ার তালিকা দেখুন এখানে। এই নিবন্ধটি পড়ার জন্য আপনি গুগল অনুবাদ ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু এ ধরনের স্বয়ংক্রিয় সরঞ্জাম দ্বারা অনুবাদকৃত লেখা উইকিপিডিয়াতে সংযোজন করবেন না, কারণ সাধারণত এই সরঞ্জামগুলোর অনুবাদ মানসম্পন্ন হয় না। |
মৃদুলা বড়ুয়া | |
---|---|
জন্ম | ১৪ এপ্রিল |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
পেশা | অভিনেত্রী |
পিতা-মাতা | যোগেন্দ্রনাথ বড়ুয়া |
মৃদুলা বড়ুয়া (অসমীয়া: মৃদুলা বরুৱা) হচ্ছেন একজন ভারতের অসমীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। তিনি চলচ্চিত্র ছাড়াও ৩০টিরও অধিক হিন্দি ও অসমীয় ভাষার ধারাবাহিক নাটক ও টেলিফিল্মে অভিনয় করেছেন। তিনি ২০০০ সালে ধারাবাহিক নাটক প্রযোজনা করে প্রযোজক হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেন।
শৈশব
[সম্পাদনা]তিনি আসামের শুনিতপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম যোগেন্দ্রনাথ বড়ুয়া, ছিলেন প্রতাপগড় চা বাগানের আউটডোর ইনচার্জ। তার মাতা-পিতা তাদের ছয় সন্তান নিয়ে আসামের বিশ্বনাথ চারিআলি শহরে বসবাস করতেন।[১]।
অভিনয় জগতে প্রবেশ
[সম্পাদনা]শোতীয়া বিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করার সময় মৃদুলা বরুয়া বিদ্যালয়ের নাটক প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করে তৃতীয় পুরস্কার লাভ করেন। মহাবিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত সময়ে তিনি সদৌ অসম সূর্য বরা সোবরনী একাংক নাটক প্রতিযোগীতায় অংশ গ্রহণ করে প্রথম পুরস্কার প্রাপ্ত করেন। এখানেই অসমীয়া চলচ্চিত্র পরিচালক ও অভিনেতা আব্দুল মজিদ তার প্রতিভাকে আবিষ্কার করেন ও অসমীয়া চলচ্চিত্রে জগতে প্রবেশ করার সুযোগ প্রদান করেন।[১]।
চলচ্চিত্রে অভিনয়
[সম্পাদনা]মৃদুলা বরুয়ার চলচ্চিত্র জীবন আরম্ভ হয় হেমন্ত দত্ত পরিচালিত ও প্রমোদ বরুয়া প্রযোজিত ছায়াছবি উপপথের মাধ্যমে। পরিচালক দ্বিজেন্দ্র নারায়নদেব সেই সময়ে তার ছায়াছবি মরমীর জন্য নতুন অভিনেত্রীর সন্ধানে ছিলেন। অভিনেতা হীরেন চৌধুরী তাকে মৃদুলা বরুয়ার সহিত পরিচয় করান ও মৃদুলা বরুয়া অভিনেত্রী রুপে নির্বাচিত হন। ফলে কম বয়সে মহাবিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত সময়ে মৃদুলা বরুয়া দুইটি অসমীয়া চলচ্চিত্রে অভিনয় করার সুযোগ পায়। উল্লেখ্য যে উপপথ তার অভিনীত প্রথম ছায়াছবি ও মরমী তার মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম ছায়াছবি কারণ উপপথ ১৯৮০ সনে মুক্তি পায় ও মরমী ১৯৭৮ সনে মুক্তি পেয়েছিল।[১]। ১৯৭৯ সনে তিনি মেঘ মুক্তি নামক চলচ্চিত্রে দুইটি যমজ বোনের চরিত্রে অভিনয় করেন। যমজ চরিত্রে অভিনীত হওয়া এইটিই ছিল প্রথম অসমীয়া চলচ্চিত্র। তারপর তার দুইটি সফল চলচ্চিত্র বোয়ারী ও ককাদেউতা নাতী আরু হাতী মুক্তি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি সুদক্ষ অভিনেতা রুপে প্রতিষ্ঠিত হন। পরবর্তী সময়ে তার অভিনীত মা ও প্রতিমা নামক দুইটি নারীকেন্দ্রিক ছায়াছবি মুক্তি পায় যেখানে তিনি বেশি বয়সের নারীর চরিত্রে অভিনয় করেন।[১]। নিজের সুদীর্ঘ অভিনয় জীবনে তিনি বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করে সফলতা অর্জন করেন। আবর্তন, ইতিহাস, গুন গুন গানে গানে ইত্যাদি চলচ্চিত্রে অভিনয় করে তিনি সমালোচক থেকে উচ্চ প্রশংসা লাভ করেন।[১]। চলচ্চিত্র ছাড়াও তিনি ৩০ অধিক ভি.সি.ডি ছবি, হিন্দী ও অসমীয়া ধারাবাহিক ও টেলীফিল্মে অভিনয় করেছেন।[২][৩]।
প্রযোজনা
[সম্পাদনা]২০০০ সনে তিনি নিজেকে প্রযোজক রুপে আত্মপ্রকাশ করে দূরদর্শনের দুইটি ধারাবাহিক প্রযোজনা করেন।[১]।
পুরস্কার
[সম্পাদনা]- শেষ্ঠা অভিনেত্রী, ১৯৮৪ সন (অসম শিল্পী সমিতির দ্বারা) ছায়াছবি: ককাদেউতা নাতী আরু হাতী।[১]
- শ্রেষ্ঠা সহ অভিনেত্রী, ১৯৮৭সন (ইষ্টার্ণ ইণ্ডিয়া মোশন পিকচার্স দ্বারা) ছায়াছবি: মা।[১]
- শ্রেষ্ঠা সহ অভিনেত্রী, ২০০৫ (অসম রাজ্যিক চলচ্চিত্র পুরস্কার)।[১]
- অসমীয়া চলচ্চিত্র জগতলৈ জীবনজোরা অবদান পুরস্কার, ২০০৬ সন (জ্যোতিরুপার দ্বারা)।[১]
অভিনীত চলচ্চিত্র
[সম্পাদনা]- অহির ভৈরব (২০০৭)
- অস্তরাগ (২০০৭)
- স্নেহবন্ধন (২০০৬)
- মা তুমি অনন্যা (২০০৪)
- বারুদ (২০০৪)
- রা (২০০৪)
- কাদম্বরী
- হেঁপাহ (২০০৩)
- এয়েই জোনাকবিহীন জীবন (২০০৩)
- প্রিয়া মিলন (২০০৩)
- বিধাতা (২০০৩)
- ইমান মরম কিয় লাগে (২০০২)
- জখম (২০০২)
- গুণ গুণ গানে গানে (২০০২)
- এই মরম তোমার বাবে (২০০২)
- শেষ উপহার (২০০২)
- আছেনে কোনোবা হিয়াত (২০০২)
- অন্য এক যাত্রা (২০০২)
- কন্যাদান (২০০২)
- তুমি মোর মাথো মোর (২০০০)
- হিয়া দিয়া নিয়া (২০০০)
- বৈভব (১৯৯৯)
- কালসন্ধ্যা (১৯৯৭) (হিন্দী)
- ইতিহাস (১৯৯৬)
- আই কিল্ড হিম সার (১৯৯৫)
- প্রত্যারর্তন (১৯৯৩)
- প্রিয়জন (১৯৯৩)
- সংঘাত সংঘাত সংঘাত (১৯৯৩)
- আবর্তন (১৯৯৩)
- প্রভাতী পখীর গান (১৯৯২)
- সারথি (১৯৯২)
- রঙা নদী (১৯৯০)
- বনানি (১৯৯০)
- দৃষ্টি (১৯৯০)
- ভাই-ভাই (১৯৮৯)
- বরদৈচিলা (১৯৮৯)
- অজলা ককাই (১৯৮৯)
- শিরাজ (১৯৮৮)
- পিতা-পুত্র (১৯৮৮)
- প্রতিমা (১৯৮৭)
- মা (১৯৮৬)
- আরতি (১৯৮৬)
- দীপজ্যোতি (১৯৮৬)
- বহাগর দুপরীয়া (১৯৮৫)
- শকুন্তলা আরু শংকর জোছেফ আলি (১৯৮৪)
- ককাদেউতা নাতি আরু হাতী (১৯৮৩)
- বোয়ারী (১৯৮২)
- পোনাকণ (১৯৮১)
- উপপথ (১৯৮০)
- মেঘ মুক্তি (১৯৭৯)
- মরমী (১৯৭৮)[২]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ জ ঝ ঞ "Mridula Barooah"। It's My North-East। ১ নভেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ জানুয়ারী ২০১৩।
- ↑ ক খ "Mridula Baruah"। Rupali Parda। ১৯ অক্টোবর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ জানুয়ারী ২০১৩।
- ↑ "Mridula Baruah"। Nth Wall। ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ জানুয়ারী ২০১৩।