বিশ্বনাথ চারিআলি
Biswanath Chariali বিশ্বনাথ চারিআলি | |
---|---|
Township | |
Location in Assam, India | |
স্থানাঙ্ক: ২৬°৪৩′৪০″ উত্তর ৯৩°০৯′০৬″ পূর্ব / ২৬.৭২৭৭৮° উত্তর ৯৩.১৫১৬৭° পূর্ব | |
Country | ![]() |
State | Assam |
সরকার | |
• শাসক | Biswanath Chariali Municipality Board |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ১৯,১৪৫ |
Languages | |
• Official | Assamese, English |
সময় অঞ্চল | IST (ইউটিসি+5:30) |
Telephone code | +91 - (0) 3 - XX XX XXX |
যানবাহন নিবন্ধন | AS-12 |
বিশ্বনাথ চারিআলি অসমের শোণিতপুর জেলার অন্তর্গত একটি শহর। তেজপুর থেকে ৭৫কিঃমিঃ ও অসমের রাজধানী গুয়াহাটি থেকে এর দূরত্ব প্রায় ২৫৫কিঃমিঃ। এখানে অবস্থিত বিশ্বনাথ মন্দির বা গুপ্তকাশী ও বিশ্বনাথ ঘাট পর্যটকের আকর্ষনীয় স্থান। এশিয়ার সর্ববৃহৎ চা বাগান মোনাবারী চা বাগান এই অঞ্চলে স্থিত।[১]।
ভৌগোলিক অবস্থান ও জনসংখ্যা
[সম্পাদনা]বিশ্বনাথ চারিআলির স্থানাঙ্ক হচ্ছে ২৬°৪০′ উত্তর ৯৩°১০′ পূর্ব / ২৬.৬৭° উত্তর ৯৩.১৭° পূর্ব[২] এর উচ্চতা হচ্ছে ৭২মিটার। শহরটির পূর্বে বরগাং নদী,পশ্চিমে ঘিলাধারী নদী, উত্তরে অরুণাচল প্রদেশ ও দক্ষিণে ব্রহ্মপুত্র নদী। ২০০১ সনের জনগননা মতে শহরটির মোট জনসংখ্যা ১৬,৮২৫, যার মাঝে পুরুষ ৫৩% ও মহিলা ৪৭%।[৩] সাক্ষরতার হার ৮০%,[৪] পুরুষ ও মহিলার ক্ষেত্রে ক্রমে ৮৫% ও ৭৫%। ৬ বৎসরের নিম্নে জনসংখ্যা হচ্ছে ৯%।
যোগাযোগ
[সম্পাদনা]বিশ্বনাথ চারিআলি শহরটি ৫২নং রাষ্ট্রীয় ঘাইপথ দ্বারা সংযুক্ত। এই পথের পূর্বপ্রান্তে গুয়াহাটি, উত্তর প্রান্তে তেজপুর ও পশ্চিমপ্রান্তে লখিমপুর।
নামকরণ
[সম্পাদনা]ইতিহাস প্রসিদ্ধ বিশ্বনাথ ঘাটের নামানুসারে অঞ্চলটির নাম বিশ্বনাথ চারিআলি রাখা হয়েছে। ব্রিটিশ শাসন কালে অসমে উৎপাদিত চা কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার একমাত্র পথ ছিল ব্রহ্মপুত্র নদীর জলপথ। সেই সময়ে বিশ্বনাথ ঘাট ছিল উল্লেখযোগ্য স্থান। বর্তমান অঞ্চলটি চারটি পথের মধ্যে অবস্থিত হওয়ার জন্য শহরটি বিশ্বনাথ চারিআলি নামে নামকরণ করা হয়েছে।
সাহিত্য-সংস্কৃতি
[সম্পাদনা]
বিশ্বনাথ চারিআলি সাহিত্য-সংস্কৃতিতে অগ্রণী স্থান। এখানে দুইটি ছবিঘর ও একটি প্রেক্ষাগৃহ রয়েছে। বীণাপাণি নাট্য মন্দির বহুবছর ধরে সাংস্কৃতিক উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে আসছে। "মুচ্ছনা" বিশ্বনাথ চারিআলির অন্যতম সামাজিক-সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ১৯৯৭ সন ২০জুনে অনুষ্ঠানটির জন্ম হয়। অনুষ্ঠানটির প্রধান লক্ষ হচ্ছে শিশুদের সবল মানসিকতা গড়ে তোলা ও যুবক-যুবতীরদের সাইত্য-সংস্কৃতিক জ্ঞান দিয়ে সার্বাঙ্গীন উন্নতি সাধন করা।
উল্লেখযোগ্য স্থানসমূহ
[সম্পাদনা]- বিশ্বনাথ ঘাট
- মোনাবারী চা বাগান
- গাংমৌ থান
- কুঁরবী পুখুরী
- প্রতাপগড়
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
[সম্পাদনা]বিশ্বনাথ উন্নয়ন খণ্ড, সাকোমঠা উন্নয়ন খণ্ড এবং বিশ্বনাথ চারিআলি নগরে অবস্থিত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ১০৩ টি।
- জিলা শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্র:-১৯৫৫ সালে প্রতিষ্টিত প্রাথমিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রকে সরকার জিলা শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্র(DIET) প্রতিস্থাপন করে।এটার প্রথম অধক্ষ্য ছিলেন ড: লোহিত গোস্বামী।
মহাবিদ্যালয় সমুহ
[সম্পাদনা]- বিশ্বনাথ মহাবিদ্যালয়;-১৯৬০ সালে প্রথম কলা শাখা নিয়ে এই মহাবিদ্যালয় আরম্ভ করা হয়। ১৯৭০ সালে বিজ্ঞান শাখা খোলা হয়।মহাবিদ্যালয়ের প্রথম অধক্ষ্য ছিেলন কমল নারায়ন দাস।
- বিশ্বনাথ বাণিজ্য মহাবিদ্যালয়:- ১৯৮৮ সালে এই মহাবিদ্যালয় স্থাপন করা হয়।এই মহাবিদ্যালয়ের প্রতিস্থাপক অধক্ষ্য ছিলেন তীর্থেশ্বর শর্ম্মা।
- কৃষি মহাবিদ্যালয়:-১৯৮৮ সালে বিশ্বনাথ চারিআলি তে এই কৃষি মহাবিদ্যালয় স্থাপন করা হয়।
- বিশ্বনাথ কলেজ অব এডুকেশন:-১৯৯২ সালে স্থাপিত হয়।
উচ্চ এবং উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয় সমুহ
[সম্পাদনা]- চারিআলি উচ্চতর মাধ্যমিক এবং বহুমুখী বিদ্যালয় :-১৯৪১ সালে স্থাপন হওয়া এই বিদ্যালয়ে ২০০৫ সালে হীরক জয়ন্তী বর্ষ পালন করা হয়।প্রতিস্থাপক প্রধান শিক্ষক রমেশ শর্ম্মা।
- চারিআলি বালিকা উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়:- এই বিদ্যালয় ১৯৫৬ সালে স্থাপন হয়।প্রতিস্থাপক প্রধান শিক্ষয়িত্রী বীণা আগরওয়ালা।১৯৯১ সালে এই বিদ্যালয় উচ্চ মাধ্যমিকে উন্নীত হয়।
- চারিআলি একাডেমী:- ১৯৬০ সালে স্থাপন হওয়া এই বিদ্যালয়ের প্রতিস্থাপক প্রধান শিক্ষক তুলসী ফুকন।
- চারিআলি আদর্শ বিদ্যাপীঠ :- ১৯৮২ সালে স্থাপন হওয়া এই বিদ্যালয়ের প্রতিস্থাপক প্রধান শিক্ষক নগেন চন্দ্র বরা।
- জওয়াহর নবোদয় বিদ্যালয়:-১৯৯৪ সালে এই বিদ্যালয় স্থাপন হয়। বিদ্যালয়টি এখন কেন্দ্রীয় মাধ্যমিক শিক্ষা পরিষদের অধীনস্থ।
ব্যক্তিগত পর্যায়ের উল্লেখযোগ্য বিদ্যালয়
[সম্পাদনা]- শঙ্কর দেব শিশু/বিদ্যা নিকেতন
- লিটিল ষ্টার স্কুল
- ইষ্ট ইণ্ডিয়া স্কুল
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Bishwanath Chariali, Sonitpur"। অসম। Indianetzone। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১১-২৮।
- ↑ [১] Biswanath, India page
- ↑ "Alphabetical list of towns and their population" (পিডিএফ)। অসম। ভারত সরকার। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১১-২৮।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১৬ জুন ২০০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুন ২০০৪।