হুমায়ুন আজাদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
[পরীক্ষিত সংশোধন] | [পরীক্ষিত সংশোধন] |
অ + |
Wikitanvir (আলোচনা | অবদান) →কথাসাহিত্য: ভুল বিষয় অপসারণ; ‘সবকিছু ভেঙে পড়ে’ ১৯৯৫ সালে প্রকাশিত উপন্যাসের জন্য ১৯৮৬ সালে পুরষ্কার পাওয়া সম্ভব নয় |
||
৯৮ নং লাইন: | ৯৮ নং লাইন: | ||
মূলত গবেষক ও প্রাবন্ধিক হলেও হুমায়ূন আজাদ ১৯৯০-এর দশকে একজন প্রতিভাবান ঔপন্যাসিক হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেন। ২০০৪ সালে মৃত্যু অবধি তার প্রকাশিত উপন্যাসের সংখ্যা ১২টি। তার ভাষা দৃঢ়, কাহিনির গঠন সংহতিপূর্ণ এবং রাজনৈতিক দর্শন স্বতঃস্ফূর্ত। |
মূলত গবেষক ও প্রাবন্ধিক হলেও হুমায়ূন আজাদ ১৯৯০-এর দশকে একজন প্রতিভাবান ঔপন্যাসিক হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেন। ২০০৪ সালে মৃত্যু অবধি তার প্রকাশিত উপন্যাসের সংখ্যা ১২টি। তার ভাষা দৃঢ়, কাহিনির গঠন সংহতিপূর্ণ এবং রাজনৈতিক দর্শন স্বতঃস্ফূর্ত। |
||
১৯৯৪ সালে তিনি ঔপন্যাসিক হিসেবে নিজেকে আত্মপ্রকাশ করেন প্রথম উপন্যাস ''[[ছাপ্পান্নো হাজার বর্গমাইল]]''-এর মধ্যে দিয়ে। [[বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ|বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের]] প্রেক্ষাপটে রচিত উপন্যাসটি তিনি উৎসর্গ করেছেন উপন্যাসের প্রধান চরিত্র রাশেদকে।<ref name="ছাহাব">{{বই উদ্ধৃতি |শেষাংশ১=আজাদ |প্রথমাংশ১=হুমায়ুন |তারিখ=ফেব্রুয়ারি ১৯৯৪ |শিরোনাম=ছাপ্পান্নো হাজার বর্গমাইল |প্রকাশক=[[আগামী প্রকাশনী]] |পাতা=৫}}</ref> ১৯৯৫ সালে প্রকাশিত হয় নারী-পুরুষের মধ্যেকার শারীরিক ও হৃদয়সম্পর্কের নানা আবর্তন এবং পরিণতির আখ্যানমূলক উপন্যাস ''[[সব কিছু ভেঙে পড়ে]]''।<ref name="জীবনবাদী">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |লেখক=ড. জাহারাবী রিপন |তারিখ=আগস্ট ১১, ২০০৮ |শিরোনাম=সব কিছু ভেঙে পড়ে : জীবনবাদী শিল্পদ্রষ্টা হুমায়ুন আজাদ |ইউআরএল=http://munshigonj24.com/2011/08/12/%E0%A6%B8%E0%A6%AC-%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%9B%E0%A7%81-%E0%A6%AD%E0%A7%87%E0%A6%99%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A7%9C%E0%A7%87-%E0%A6%9C%E0%A7%80%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%80/ |প্রকাশক=মুন্সিগঞ্জ.কম |সংগ্রহের-তারিখ=নভেম্বর ৪, ২০১৭ }}</ref> |
১৯৯৪ সালে তিনি ঔপন্যাসিক হিসেবে নিজেকে আত্মপ্রকাশ করেন প্রথম উপন্যাস ''[[ছাপ্পান্নো হাজার বর্গমাইল]]''-এর মধ্যে দিয়ে। [[বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ|বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের]] প্রেক্ষাপটে রচিত উপন্যাসটি তিনি উৎসর্গ করেছেন উপন্যাসের প্রধান চরিত্র রাশেদকে।<ref name="ছাহাব">{{বই উদ্ধৃতি |শেষাংশ১=আজাদ |প্রথমাংশ১=হুমায়ুন |তারিখ=ফেব্রুয়ারি ১৯৯৪ |শিরোনাম=ছাপ্পান্নো হাজার বর্গমাইল |প্রকাশক=[[আগামী প্রকাশনী]] |পাতা=৫}}</ref> ১৯৯৫ সালে প্রকাশিত হয় নারী-পুরুষের মধ্যেকার শারীরিক ও হৃদয়সম্পর্কের নানা আবর্তন এবং পরিণতির আখ্যানমূলক উপন্যাস ''[[সব কিছু ভেঙে পড়ে]]''।<ref name="জীবনবাদী">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |লেখক=ড. জাহারাবী রিপন |তারিখ=আগস্ট ১১, ২০০৮ |শিরোনাম=সব কিছু ভেঙে পড়ে : জীবনবাদী শিল্পদ্রষ্টা হুমায়ুন আজাদ |ইউআরএল=http://munshigonj24.com/2011/08/12/%E0%A6%B8%E0%A6%AC-%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A6%9B%E0%A7%81-%E0%A6%AD%E0%A7%87%E0%A6%99%E0%A7%87-%E0%A6%AA%E0%A7%9C%E0%A7%87-%E0%A6%9C%E0%A7%80%E0%A6%AC%E0%A6%A8%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%80/ |প্রকাশক=মুন্সিগঞ্জ.কম |সংগ্রহের-তারিখ=নভেম্বর ৪, ২০১৭ }}</ref> ২০০২ সালে প্রকাশিক ''[[১০,০০০, এবং আরো ১টি ধর্ষণ]]'', ২০০৪ সালে প্রকাশিত ''[[পাক সার জমিন সাদ বাদ]]'' এবং ''[[একটি খুনের স্বপ্ন]]'' উপন্যাসসমূহ স্পষ্টতই বক্তব্যমুখী। রাজনৈতিক প্রণোদনাই এসব রচনার প্রধান বিষয়। ভাষা-ভঙ্গী ও কাহিনি- দুই দিক দিয়েই তার লেখায় আক্রমণাত্মক দৃষ্টিভঙ্গি প্রত্যক্ষ করা যায়। |
||
===প্রবন্ধ=== |
===প্রবন্ধ=== |
০৯:৫০, ১৫ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
হুমায়ুন আজাদ | |
---|---|
উচ্চারণ | |
জন্ম | হুমায়ুন কবীর ২৮ এপ্রিল ১৯৪৭ |
মৃত্যু | ১১ আগস্ট ২০০৪ মিউনিখ, জার্মানি | (বয়স ৫৭)
সমাধি | রাঢ়িখাল |
জাতীয়তা |
|
শিক্ষা | পিএইচডি |
মাতৃশিক্ষায়তন | |
পেশা |
|
কর্মজীবন | ১৯৭৩, ১৯৮০–২০০৪ |
যুগ | আধুনিক |
নিয়োগকারী | বাংলা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় |
পরিচিতির কারণ | প্রথাবিরোধিতা |
উল্লেখযোগ্য কর্ম | নিচে দেখুন |
দাম্পত্য সঙ্গী | লতিফা কোহিনূর (বি. ১৯৭৫; মৃত্যুপূর্ব ২০০৪) |
সন্তান |
|
পিতা-মাতা |
|
পুরস্কার |
|
স্বাক্ষর | |
হুমায়ুন আজাদ (২৮ এপ্রিল ১৯৪৭ - ১১ আগস্ট ২০০৪ খ্রিস্টাব্দ; ১৪ বৈশাখ ১৩৫৪ - ২২ শ্রাবণ ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ) ছিলেন বাংলাদেশী কবি, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, সমালোচক, গবেষক, ভাষাবিজ্ঞানী, কিশোর সাহিত্যিক, রাজনৈতিক ভাষ্যকার এবং অধ্যাপক। তিনি বাংলাদেশের প্রধান প্রথাবিরোধী এবং বহুমাত্রিক লেখক, যিনি ধর্ম, মৌলবাদ, প্রতিষ্ঠান ও সংস্কারবিরোধিতা, নিরাবরণ যৌনতা, নারীবাদ ও রাজনীতি বিষয়ে নির্মম সমালোচনামূলক বক্তব্যের জন্য ১৯৮০-এর দশক থেকে পাঠকগোষ্ঠীর দৃষ্টি আর্কষণ করতে সক্ষম হয়েছিলেন। গতানুগতিক ধ্যানধারা তিনি সচেতনভাবে পরিহার করতেন। তার নারী (১৯৯২), দ্বিতীয় লিঙ্গ (২০০১) এবং পাক সার জমিন সাদ বাদ (২০০৪) গ্রন্থ তিনটি বিতর্ক সুষ্টি করে এবং নারী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক সাড়ে চার বছর ধরে বাজেয়াপ্ত ঘোষণা করা হয়েছিল।
অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদ ছিলেন একজন প্রথাবিরোধী ও বহুমাত্রিক মননশীল লেখক। তার প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ৬০টির অধিক। আজাদের ১০টি কাব্যগ্রন্থ, ১৩টি উপন্যাস, ২২টি সমালোচনা গ্রন্থ, ৮টি কিশোরসাহিত্য, ৭টি ভাষাবিজ্ঞানবিষয়ক গ্রন্থ তার জীবদ্দশায় এবং মৃত্যুর পরে প্রকাশিত হয়। ১৯৯২ সালে তার নারীবাদী গবেষণামূলক গ্রন্থ নারী প্রকাশের পর বিতর্কের সৃষ্টি করে এবং ১৯৯৫ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ছিল। এ-গ্রন্থ তার বহুল আলোচিত গবেষণামূলক কাজ হিসাবেও স্বীকৃত। তাকে ১৯৮৬ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার এবং ২০১২ সালে সামগ্রিক সাহিত্যকর্ম এবং ভাষাবিজ্ঞানে বিশেষ অবদানের জন্য মরণোত্তর একুশে পদক প্রদান করা হয়। তার রচিত কিশোরসাহিত্য ১৯৮৯ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত আব্বুকে মনে পড়ে জাপানি ভাষায় অনূদিত হয়েছে ২০০৩ সালে।
হুমায়ুন আজাদ ধর্মনিরপেক্ষতা, সামরিক শাসন ও একনায়কতন্ত্রের বিরোধিতা, নারীবাদী বক্তব্য এবং একই সঙ্গে নিঃসংকোচ যৌনবাদ চর্চার জন্য ব্যাপক পাঠকগোষ্ঠির দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছিলেন। তার ধর্মীয় ও রাজনৈতিক বিশ্বাস এবং ব্যক্তিগত অভীষ্ট তার সাহিত্যকে প্রবলভাবে প্রভাবান্বিত করেছিল। লেখার মাধ্যমে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে তীব্র আক্রমণের কারণে ২০০৪ খ্রিষ্টাব্দে তিনি হত্যা প্রচেষ্টার শিকার হন।
প্রারম্ভিক জীবন
জন্ম ও পারিবারিক পরিচিতি
আজাদ ২৮ এপ্রিল ১৯৪৭ সালে তার মাতামহের বাড়ি তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের (বর্তমানে বাংলাদেশ) অধীন বিক্রমপুরের কামারগাঁয় জন্ম নেন; যেটি বর্তমানে মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার অন্তর্গত।[১] তার জন্ম নাম ছিল হুমায়ুন কবীর। ১৯৮৮ সালে ২৮ সেপ্টেম্বর নাম পরিবর্তনের মাধ্যম তিনি বর্তমান নাম ধারণ করেন।[২] তার বাবা আবদুর রাশেদ প্রথম জীবনে বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা[২] ও পোস্টমাস্টারির চাকুরি করতেন,[৩] পরে ব্যবসায়ী হন। মা জোবেদা খাতুন ছিলেন গৃহিণী।[২] তিন ভাই এবং দুই বোনের মধ্যে আজাদ ছিলেন পিতামাতার দ্বিতীয় পুত্রসন্তান।[বিদ্র ১] ১৯৯২ খ্রিষ্টাব্দে তার পিতৃবিয়োগ ঘটে।[৫] ছেলেবেলায় তার ১৫ বছর বয়স পর্যন্ত তিনি রাড়িখাল গ্রামে বেড়ে ওঠেন।[৬] পরবর্তীতে তার লেখার বিভিন্ন ভাবে রাড়িখাল গ্রামের বর্ণনা ওঠে এসেছে; এবং এ গ্রাম নিয়ে তিনি "রাড়িখাল : ঘুমের ভেতরে নিবিড় শ্রাবণধারা" নামে একটি লেখা প্রকাশ করেন।[৪]
শিক্ষা জীবন
১৯৫২ সালে আাজাদ দক্ষিণ রাড়িখাল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইনফ্যান্ট (তৎকালীন প্রথম শ্রেণী) শ্রেণীতে ভর্তি হন,[৭] সেখানে তিন বছর ইনফ্যান্ট থেকে দ্বিতীয় শ্রেণী পর্যন্ত অধ্যয়ন করেন।[৮] যদিও ১৯৫৫ সালে তৃতীয় শ্রেণী বাদ দিয়ে তিনি সরাসরি চতুর্থ শ্রেণীতে ভর্তি হন রাড়িখালের স্যার জে সি বোস ইনস্টিটিউশনে।[৯] ছেলেবেলা থেকেই তিনি ছিলেন মেধাবী। এ বিদ্যালয় থেকে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১৯৬২ সালে ম্যাট্রিকুলেশন (মাধ্যমিক) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।[২][১০] এরপর তিনি ১৯৬৪ সালে ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন।[২] ১৯৬৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে স্নাতক ডিগ্রি এবং ১৯৬৮ সালে একই বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।[২] উভয় পরীক্ষায় তিনি প্রথম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হন।[১১] ২০১৬ সালে তার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের এক বন্ধু স্মৃতিচারণ করতে যেয়ে বলেন যে, আজাদ লেখাপড়ায় খুবই মনোযোগী ছিল এবং তিনি বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারে বই পড়ে অনেক সময় ব্যয় করতো।[১২]
১৯৭৬ সালে তিনি স্কটল্যান্ডের এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভাষাবিজ্ঞানে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।[২] তার গবেষণার বিষয় ছিল বাংলা সর্বনামীয়করণ। এই গবেষণাপত্র পরবর্তীকালে ১৯৮৩ সালে প্রোনোমিনালাইজেশান ইন বেঙলি নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্য ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড থেকে গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়।
কর্মজীবন
অধ্যাপনা
হুমায়ুন আজাদ পেশায় শিক্ষক ছিলেন। ১৯৬৯ খ্রিস্টাব্দে ২২ বছর বয়সে তার কর্মজীবন শুরু হয় চট্টগ্রাম কলেজে প্রভাষক হিসাবে।[১৩] সেখানে কিছুকাল কর্মরত থাকার পর ১৯৭০ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে প্রভাষক হিসাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন।[১৪] একই বছর ১২ ডিসেম্বর তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে প্রভাষক হিসাবে যোগ দেন।[১৫] পরবর্তীতে ১৯৭৮ সালের ১ নভেম্বর আজাদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সহযোগী অধ্যাপক হিসাবে যোগদান করেন[২][১৬] এবং পরবর্তীকালে বাংলা বিভাগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৬ সালে তিনি বাংলা বিভাগে অধ্যাপক পদে উন্নীত হন।[২]
ভাষাবিজ্ঞান গবেষণা
১৯৬০-এর দশকে আজাদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের ছাত্র থাকাকালীন পশ্চিমের ভাষাবিজ্ঞানী চম্স্কি-উদ্ভাবিত রূপান্তরমূলক সৃষ্টিশীল ব্যাকরণ তত্ত্বটি আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি ডিগ্রির জন্য আজাদ এই তত্ত্বের কাঠামোর ওপর ভিত্তি করে বাংলা ভাষার রূপমূলতত্ত্ব তথা বাক্যতত্ত্ব নিয়ে গবেষণা করেন। এর মাধ্যমে বাংলার ভাষাবিষয়ক গবেষণায় আধুনিক ভাষাবৈজ্ঞানিক পদ্ধতির সূত্রপাত ঘটে। তার পিএইচডি অভিসন্দর্ভের নাম ছিল Pronominalization In Bengali (অর্থাৎ বাংলা সর্বনামীয়করণ)। পরবর্তীতে ১৯৮৩ খ্রিষ্টাব্দে একই শিরোনামের এটি ইংরেজি ভাষায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্য ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড থেকে প্রকাশিত হয়। এরপর ১৯৮৪ খ্রিষ্টাব্দে তিনি বাংলা ভাষার বাক্যতত্ত্বের ওপর বাক্যতত্ত্ব নামে একটি বই বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশ করেন। একই সালে বাংলা একাডেমি থেকে তিনি বাঙলা ভাষা শিরোনামে দুই খণ্ডের একটি দালীলিক সঙ্কলন প্রকাশ করেন, যাতে বাংলা ভাষার বিভিন্ন ক্ষেত্রের ওপর বিগত শতাধিক বছরের বিভিন্ন ভাষাবিদ ও সাহিত্যিকের লেখা গুরুত্বপূর্ণ ভাষাতাত্ত্বিক রচনা সংকলিত হয়। এই তিনটি গ্রন্থ বাংলা ভাষাবিজ্ঞানে গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন হিসাবে বিবেচিত। তিনি পরবর্তীকালে তুলনামূলক ও ঐতিহাসিক ভাষাবিজ্ঞান (১৯৮৮) ও অর্থবিজ্ঞান (১৯৯৯) শিরোনামে দুইটি সংক্ষিপ্ত প্রাথমিক পাঠ্যপুস্তক লেখেন। ১৯৯০-এর দশকের শেষের দিকে তিনি বাংলা ভাষার একটি পূর্ণাঙ্গ ব্যাকরণ রচনার ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। তবে মৃত্যুর কারণে তার এই আগ্রহ বাস্তবায়িত হয় নি।
সাহিত্যিক জীবন
হুমায়ুন আজাদ নবম শ্রেণীতে পড়াকালীন সময়ই কবিতাচর্চা শুরু করেন। তবে তার প্রথম লেখা ছাপা হয়েছিল দৈনিক ইত্তেফাকের শিশুপাতা কচিকাঁচার আসরে।
কবিতা
গদ্যের জন্য বেশি জনপ্রিয় হলেও হুমায়ুন আজাদ আমৃত্যু কাব্যচর্চা করে গেছেন। তিনি ষাটের দশকের কবিদের সমপর্যায়ী আধুনিক কবি। সমসাময়িক কালের পরিব্যাপ্ত হতাশা, দ্রোহ, ঘৃণা, বিবমিষা, প্রেম ইত্যাদি তার কবিসত্বার প্রধান বিষয়। তার প্রথম কাব্যগ্রন্থের নাম অলৌকিক ইস্টিমার যা প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৭৩-এর জানুয়ারিতে। কাব্যগ্রন্থটি তিনি উৎসর্গ করেন ১৯৬৮-১৯৭২-এর রাত-দিনগুলোর উদ্দেশে। তার দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ জ্বলো চিতাবাঘ প্রথম প্রকাশিত হয় মার্চ ১৯৮০ সালে। ১৯৮৫ সালে প্রকাশিত সবকিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে, তৃতীয় কাব্যগ্রন্থটি তিনি সমসাময়িক দুই বাঙালি লেখক হুমায়ূন আহমেদ এবং ইমদাদুল হক মিলনকে উৎসর্গ করেছেন। প্রত্যুত্তরে ইমদাদুল হক মিলন তার বনমানুষ উপন্যাসটি হুমায়ুন আজাদকে উৎসর্গ করেন। ১৯৮৭ সালের মার্চে প্রকাশিত হয় তার চতুর্থ কাব্যগ্রন্থ যতোই গভীরে যাই মধু যতোই ওপরে যাই নীল। তার পঞ্চম কাব্যগ্রন্থ আমি বেঁচে ছিলাম অন্যদের সময়ে প্রকাশিত হয় ফেব্রুয়ারি ১৯৯০ সালে। এর আট বছর পর ফেব্রুয়ারি ১৯৯৮ সালে প্রকাশিত হয় তার ষষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ কাফনে মোড়া অশ্রুবিন্দু। কাব্যগ্রন্থটি আজাদ তার 'প্রিয় মৃতদের জন্য' উৎসর্গ করেন। সপ্তম এবং শেষ কাব্যগ্রন্থ পেরোনোর কিছু নেই প্রকাশিত হয় ফেব্রুয়ারি, ২০০৪ সালে। জীবদ্দশায় তার সাতটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়। তবে আজাদের মৃত্যুর পর ফেব্রুয়ারি, ২০০৫ সালে এই সাতটি কাব্যগ্রন্থ সহ আরো কিছু অগ্রন্থিত ও অনূদিত কবিতা নিয়ে কাব্যসমগ্র প্রকাশিত হয়। নব্বইয়ের দশক থেকে ঢাকার আগামী প্রকাশনী তার গ্রন্থাবলীর প্রধান প্রকাশক।
কথাসাহিত্য
মূলত গবেষক ও প্রাবন্ধিক হলেও হুমায়ূন আজাদ ১৯৯০-এর দশকে একজন প্রতিভাবান ঔপন্যাসিক হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেন। ২০০৪ সালে মৃত্যু অবধি তার প্রকাশিত উপন্যাসের সংখ্যা ১২টি। তার ভাষা দৃঢ়, কাহিনির গঠন সংহতিপূর্ণ এবং রাজনৈতিক দর্শন স্বতঃস্ফূর্ত।
১৯৯৪ সালে তিনি ঔপন্যাসিক হিসেবে নিজেকে আত্মপ্রকাশ করেন প্রথম উপন্যাস ছাপ্পান্নো হাজার বর্গমাইল-এর মধ্যে দিয়ে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে রচিত উপন্যাসটি তিনি উৎসর্গ করেছেন উপন্যাসের প্রধান চরিত্র রাশেদকে।[১৭] ১৯৯৫ সালে প্রকাশিত হয় নারী-পুরুষের মধ্যেকার শারীরিক ও হৃদয়সম্পর্কের নানা আবর্তন এবং পরিণতির আখ্যানমূলক উপন্যাস সব কিছু ভেঙে পড়ে।[১৮] ২০০২ সালে প্রকাশিক ১০,০০০, এবং আরো ১টি ধর্ষণ, ২০০৪ সালে প্রকাশিত পাক সার জমিন সাদ বাদ এবং একটি খুনের স্বপ্ন উপন্যাসসমূহ স্পষ্টতই বক্তব্যমুখী। রাজনৈতিক প্রণোদনাই এসব রচনার প্রধান বিষয়। ভাষা-ভঙ্গী ও কাহিনি- দুই দিক দিয়েই তার লেখায় আক্রমণাত্মক দৃষ্টিভঙ্গি প্রত্যক্ষ করা যায়।
প্রবন্ধ
১৯৯২ সালে প্রকাশিত নারী স্বাধীন বাংলাদেশে নারীবাদ বিষয়ক প্রথম বই।[১৯] এই প্রবন্ধগ্রন্থের জন্য তিনি মৌলবাদীদের তীব্র রোষানলে পড়েন। ফলে ১৯৯৫ সালের ১৯ নভেম্বর তৎকালীন বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক বইটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় এবং প্রায় সাড়ে চার বছর পরে ২০০০ সালের ৭ মার্চ উচ্চবিচারালয় বইটির নিষিদ্ধকরণ আদেশ বাতিল করে।[২০] ফেব্রুয়ারি ২০০৩ সালে প্রকাশিত আমরা কি এই বাঙলাদেশ চেয়েছিলাম গ্রন্থে স্বাধীনতাপরবর্তী বাংলাদেশের তিরিশ বছরের শাসনব্যবস্থার ত্রুটি-বিচ্যূতি এবং সাধারণ মানুষের শোষণ-বঞ্চনা, নিগ্রহ ও আশাভঙ্গের কথা তুলে ধরা হয়েছে। ইতিহাসমূলক এই গ্রন্থের ভাষা সাহিত্যিক হলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে লেখকের পর্যবেক্ষণ বস্তুনিষ্ঠ ও বিশ্লেষণ নিরাবেগী।[২১]
ব্যক্তিগত জীবন
হুমায়ুন আজাদ ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দে তার বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠিনী লতিফা কোহিনুরকে বিয়ে করেন। তাদের দুই কন্যা মৌলি আজাদ, স্মিতা আজাদ এবং এক পুত্র অনন্য আজাদ। তার কন্যা মৌলি আজাদ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সহকারী সচিব হিসাবে দ্বায়িত্বরত।
রাজনৈতিক সমালোচনা
১৯৮০-র দশকের শেষভাগ থেকে হুমায়ুন আজাদ সমসাময়িক রাজনীতি নিয়ে গণমাধ্যমে বক্তব্য রাখতে শুরু করেন। এ সময় তিনি 'খবরের কাগজ' নামীয় সাপ্তাহিক পত্রিকায় সম্পাদকীয় নিবন্ধ লিখতে শুরু করেন। সামরিক শাসনের বিরোধিতা দিয়ে তার রাজনৈতিক লেখালিখির সূত্রপাত। ২০০৩ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত আমরা কি এই বাঙলাদেশ চেয়েছিলাম গ্রন্থটি প্রধানত রাষ্ট্রযন্ত্রের ধারাবাহিক সমালোচনা। ১৯৭১-এ প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশে রাষ্ট্রযন্ত্রের ব্যভিচারের প্রামাণিক দলিল এই গ্রন্থটি।
বিশ্বাস ও দর্শন
হুমায়ুন আজাদ ছিলেন স্বঘোষিত নাস্তিক।[২২] তার অন্যতম প্রণোদনা ছিল প্রথা-বিরোধিতা। কবিতা, উপন্যাস ও রচনা সর্বত্রই তিনি প্রথাবিরোধী ও সমালোচনামুখর। সর্বপ্রথম গুস্তাভ ফ্লবেয়ারের আদলে ১৯৯১ প্রকাশিত প্রবচনগুচ্ছ এদেশের শিক্ষিত পাঠক সমাজকে আলোড়িত করতে সক্ষম হয়েছিল। হুমায়ুন আজাদের লেখালেখিতে বিজ্ঞানমনস্কতার ছাপ স্পষ্ট। তবে তিনি নিজেই ছিলেন তার চিন্তা-চেতনা ও বিশ্বাসের প্রধান মুখপাত্র। একটি বৈষম্যহীন অর্থনৈতিক ব্যবস্থা তার স্বপ্ন ছিল। সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতিকেই তিনি মুক্ত মানবের মুক্ত সমাজ গড়ার পক্ষে অনুকূল বলে মনে করতেন।[২৩]
হত্যা প্রচেষ্টা
বাংলাদেশে যখন মৌলবাদ বিস্তার লাভ করতে থাকে, বিশেষ করে ২০০১ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত, তখন ২০০৪-এ প্রকাশিত হয় হুমায়ুন আজাদের পাক সার জমিন সাদ বাদ গ্রন্থ। এই গ্রন্থটি প্রকাশিত হলে দেশের মৌলবাদী গোষ্ঠি তার প্রতি ক্রুদ্ধ হয়, এবং বিভিন্ন স্থানে হুমায়ুন আজাদের বিরুদ্ধে প্রচারনা চালায়। তিনি এই বইটিতে ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধীতাকারী রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামীকে ফ্যাসিবাদী সংগঠন হিসেবে উল্লেখ করেন এবং এর কঠোর সমালোচনা করেন। আর তারই জের ধরে ২০০৪ খ্রিষ্টাব্দের ২৭ ফেব্রুয়ারি বাংলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত বইমেলা থেকে বেরিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিজের বাসায় যাওয়ার পথে ঘাতকদের আক্রমণের শিকার হন তিনি। বিদেশে নিবিড় চিকিৎসার মাধ্যমে তিনি কিছুটা সুস্থ হন। জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (বা সংক্ষেপে জেএমবি) নামক ইসলামি জঙ্গি সংগঠনের একজন শীর্ষনেতা শায়খ আব্দুর রহমান পরবর্তিতে হুমায়ুন আজাদ এবং একইসাথে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এম ইউনুসকে হত্যার নির্দেশ দেবার কথা স্বীকার করে।[২৪] এই হত্যা প্রচেষ্টার মামলা দ্রুত শেষ করার জন্য উচ্চ আদালত ফেব্রুয়ারি ২০১৪তে আদেশ প্রদান করে।
সমালোচনা
২০০৪ সালের ২৫ জানুয়ারি তৎকালীন সংসদ সদস্য দেলোয়ার হোসেন সাঈদী জাতীয় সংসদে হুমায়ুন আজাদের পাক সার জমিন সাদ বাদ (২০০৪)[২৫] বইটিকে ইসলাম বিরোধী আখ্যায়িত করে বক্তব্য দেন এবং এ ধরনের লেখকদের লেখা বন্ধ করতে 'ব্ল্যাসফেমি আইন' প্রণয়নের জন্য তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।[২৬] এই বইটিতে হুমায়ুন আজাদ তীব্র ব্যঙ্গাত্মক ভাষায় বাংলাদেশের মৌলবাদীগোষ্ঠী স্বরূপ চিত্রিত করেন।
গ্রন্থতালিকা
নির্বাচিত গ্রন্থতালিকা
- অলৌকিক ইস্টিমার (১৯৭৩)
- জ্বলো চিতাবাঘ (১৯৮০)
- সব কিছু নষ্টদের অধিকারে যাবে (১৯৮৫)
- যতোই গভীরে যাই মধু যতোই ওপরে যাই নীল (১৯৮৭)
- আমি বেঁচে ছিলাম অন্যদের সময়ে (১৯৯০)
- কাফনে মোড়া অশ্রুবিন্দু (১৯৯৮)
- পেরোনোর কিছু নেই (২০০৪)
পুরস্কার এবং সম্মাননা
সংগঠন | অনুষ্ঠানের তারিখ | বিভাগ | কাজের শিরোনাম/বিষয় | ফলাফল | সূত্র |
---|---|---|---|---|---|
বাংলা একাডেমি পুরস্কার | ১৯৮৬ | সামগ্রিক অবদান | - | বিজয়ী | [২৭] |
অগ্রণী ব্যাংক-শিশু সাহিত্য পুরস্কার | ১৯৮৬ | শিশু সাহিত্য | - | বিজয়ী | |
মার্কেন্টাইল ব্যাংক পুরস্কার | ২০০৪ | বিজয়ী | |||
একুশে পদক | ২০১২ | ভাষা ও সাহিত্য | - | বিজয়ী | মরণোত্তর[২৮] |
মৃত্যু
২০০২ খ্রিষ্টাব্দে তিনি জার্মান কবি হাইনরিখ হাইনের উপর কাজ করার জন্য জার্মান সরকারের নিকট একটি বৃত্তির আবেদন করেছিলেন। ২০০৪-এর ৭ আগস্ট জার্মান কবি হাইনরিখ হাইনের ওপর গবেষণা বৃত্তি নিয়ে জার্মানি যান।[২৯]
২০০৪ খ্রিষ্টাব্দের ১১ আগস্ট রাতে একটি পার্টি থেকে প্রত্যাবর্তনের পর আবাসস্থলে আকস্মিকভাবে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন হুমায়ুন আজাদ। ১২ আগস্ট ফ্ল্যাটের নিজ কক্ষে তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। হুমায়ুন আজাদের মৃত্যুর পর জার্মান সরকারের তত্ত্বাবধানে মিউনিখে তার এপার্টমেন্টে পাওয়া সব জিনিসপত্র ঢাকায় তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। ওই জিনিসপত্রের ভেতরেই পাওয়া যায় তার হাতের লেখা তিনটি চিঠি। চিঠি তিনটি আলাদা তিনটি পোস্ট কার্ডে লিখেছেন বড় মেয়ে মৌলিকে, ছোট মেয়ে স্মিতাকে এবং একমাত্র ছেলে অনন্য আজাদকে। অনুমান করা হয়, ওই লেখার অক্ষরগুলোই ছিল তার জীবনের শেষ লেখা।[৩০] তার মরদেহ কফিনে করে জার্মানি থেকে ঢাকায় আনা হয়। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাযার নামাজ শেষে তার মরদেহ জন্মস্থান রাড়িখালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানেই তাকে সমাহিত করা হয় এবং পরে তার কবর সিমেন্ট দিয়ে পাকা করে একটি বইয়ের মত করে বানানো হয়।[৩১]
টিকা
তথ্যসূত্র
- ↑ আজাদ ২০১১, পৃ. ১১: আজাদের জন্ম কিন্তু দক্ষিণ রাড়িখাল গ্রামে নয় (অনেকেই তাই-ই ভাবেন), তার নানান বাড়ি কামারগাঁয়ে।; উদ্দিন ২০০৪, পৃ. ৮: আমি জন্মেছিলাম আমার নানাবাড়িতে– তখন নানাবাড়িতে জন্ম নেয়াই রীতি ছিলো–, আমাদের গ্রাম থেকে পশ্চিমে একটি গাছপালাছায়াঢাকা গ্রামে, কামারগাঁয়ে।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ জ ঝ মুহম্মদ সাইফুল ইসলাম (২০১২)। "আজাদ, হুমায়ুন"। ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। আইএসবিএন 9843205901। ওএল 30677644M। ওসিএলসি 883871743।
- ↑ উদ্দিন ২০০৪, পৃ. ৩৬।
- ↑ ক খ উদ্দিন ২০০৪, পৃ. ৯।
- ↑ উদ্দিন ২০০৪, পৃ. ১০।
- ↑ আজাদ ২০১১, পৃ. ১২: ..সেই বাল্যকাল তথা রাড়িখালের মাত্র ১৫ বছর জীবনযাপন ছিল তাঁর জীবনের সবচেয়ে সুখকর অধ্যায়।; উদ্দিন ২০০৪, পৃ. ৯: ১৫ বছর পর্যন্ত আমি বড় হয়েছি আমাদের গ্রামে রাড়খিালে।
- ↑ উদ্দিন ২০০৪, পৃ. ১২-১৩: আমি ওই প্রথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হই সবচেয়ে নিচের ক্লাশে, তার নাম ছিলো 'ইনফ্যান্ট ক্লাশ'..।
- ↑ উদ্দিন ২০০৪, পৃ. ১৬।
- ↑ উদ্দিন ২০০৪, পৃ. ১৬-১৭।
- ↑ উদ্দিন ২০০৪, পৃ. ২৩।
- ↑ উদ্দিন ২০০৪, পৃ. ৪২।
- ↑ Tulu Matin (Humayun Azad's friend) (১২ আগস্ট ২০১৬)। "Humayun Azad and me in the university life."। swapno71.com। ১৫ আগস্ট ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ নভেম্বর ২০১৭।
- ↑ উদ্দিন ২০০৪, পৃ. ৪৪।
- ↑ উদ্দিন ২০০৪, পৃ. ৪৫।
- ↑ উদ্দিন ২০০৪, পৃ. ৪৮।
- ↑ উদ্দিন ২০০৪, পৃ. ৫০।
- ↑ আজাদ, হুমায়ুন (ফেব্রুয়ারি ১৯৯৪)। ছাপ্পান্নো হাজার বর্গমাইল। আগামী প্রকাশনী। পৃষ্ঠা ৫।
- ↑ ড. জাহারাবী রিপন (আগস্ট ১১, ২০০৮)। "সব কিছু ভেঙে পড়ে : জীবনবাদী শিল্পদ্রষ্টা হুমায়ুন আজাদ"। মুন্সিগঞ্জ.কম। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ৪, ২০১৭।
- ↑ মৌলি আজাদ (১৬ জুলাই ২০১৫)। "আমার বাবা হুমায়ুন আজাদ"। দৈনিক ইত্তেফাক। সংগ্রহের তারিখ ১৪ নভেম্বর ২০১৭।
- ↑ মৌলি আজাদ (১২ আগস্ট ২০১৫)। "হুমায়ুন আজাদ, ভেতর-বাহিরে"। ntvbd.com। সংগ্রহের তারিখ ১৪ নভেম্বর ২০১৭।
- ↑ রাশিদ আসকারী (মার্চ ৩, ২০১৫)। "আমরা কি এই বাংলাদেশ চেয়েছিলাম?"। jjdin.com। ঢাকা: যায় যায় দিন। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ১০, ২০১৫।
- ↑ "প্রথাবিরোধী যোদ্ধা হুমায়ুন আজাদ"। ntvbd.com। ২৮ এপ্রিল ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২ নভেম্বর ২০১৭।
- ↑ "হুমায়ুন আজাদ"। gunijan.org.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০১-০৭।
- ↑ "জেএমবি নেতার স্বীকারোক্তি"। বিবিসি। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০১-০৬।
- ↑ (পাক সার জমিন সাদ বাদ পাকিস্তানের জাতীয় সঙ্গীতের প্রথম চরণ)
- ↑ "হুমায়ুন আজাদ সম্পর্কে সংসদে সাঈদীর বক্তব্য জানতে চেয়ে চিঠি"। icsforum.org। ১১ আগস্ট ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০১-০৭।
- ↑ "বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার"। banglaacademy.portal.gov.bd। বাংলা একাডেমি। সংগ্রহের তারিখ ১১ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ একুশে পদকপ্রাপ্ত সুধীবৃন্দ ও প্রতিষ্ঠান (পিডিএফ)। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। পৃষ্ঠা ২। ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুন ২০১৪।
- ↑ "হুমায়ুন আজাদ"। samakal.com.bd। ৬ আগস্ট ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০১-০৭।
- ↑ "হুমায়ুন আজাদক"। thedailysangbad.com। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০১-০৭।
- ↑ "বাবার স্বপ্ন ছিল সেক্যুলার বাংলাদেশ : মৌলি আজাদ"। ntvbd.com। ১২ আগস্ট ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২ নভেম্বর ২০১৭।
উৎস
- আজাদ, মৌলি (২০১১)। "বাবার বেড়ে ওঠা"। আমার বাবা (প্রথম সংস্করণ)। ঢাকা: আগামী প্রকাশনী (প্রকাশিত হয় ফেব্রুয়ারি ২০১১)। পৃষ্ঠা ১১। আইএসবিএন 978-98404-1380-5।
- উদ্দিন, জামাল; বুলবুল, শরীফা, সম্পাদকগণ (২০০৪)। এই বাঙলার সক্রেটিস (প্রথম সংস্করণ)। চট্টগ্রাম: বলাকা (প্রকাশিত হয় ফেব্রুয়ারি ২০০৪)। পৃষ্ঠা ৮। আইএসবিএন 984-84330-1-5।
বহিঃসংযোগ
- হুমায়ুন আজাদ
- ১৯৪৭-এ জন্ম
- ২০০৪-এ মৃত্যু
- বাংলা ভাষার লেখক
- বাঙালি কবি
- বাঙালি ঔপন্যাসিক
- বাঙালি ছোটগল্পকার
- বাঙালি লেখক
- বাংলাদেশী কবি
- বাংলাদেশী ঔপন্যাসিক
- বাংলাদেশী প্রাবন্ধিক
- বাংলাদেশী লেখক
- বাংলাদেশী ভাষাবিজ্ঞানী
- বাংলাদেশী নাস্তিক
- আধুনিক কবি
- নারীবাদী লেখক
- বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার বিজয়ী
- একুশে পদক বিজয়ী
- ঢাকা কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী
- এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী
- চট্টগ্রাম কলেজের প্রাক্তন শিক্ষক
- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক
- জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক
- মুন্সিগঞ্জ জেলার ব্যক্তি