নিজের সঙ্গে নিজের জীবনের মধু
![]() | |
লেখক | হুমায়ুন আজাদ |
---|---|
প্রচ্ছদ শিল্পী | সমর মজুমদার |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | বাংলা |
বিষয় | পল্লীপ্রকৃতি, গ্রামীণ বাল্য-কৈশোর জীবন |
ধরন | উপন্যাস |
পটভূমি | ১৯৫০-এর দশকের গ্রামীণ বাংলাদেশ (পূর্ব পাকিস্তান) |
প্রকাশিত | ফেব্রুয়ারি, ২০০০ |
প্রকাশক | আগামী প্রকাশনী |
মিডিয়া ধরন | ছাপা (শক্তমলাট) |
পৃষ্ঠাসংখ্যা | ১৫২[১] |
আইএসবিএন | ৯৭৮-৯৮৪-০৪-১৬৯৭-৪ |
ওসিএলসি | ৪৫৭৯০৭২৭ |
পূর্ববর্তী বই | কবি অথবা দণ্ডিত অপুরুষ (১৯৯৯) |
পরবর্তী বই | ফালি ফালি ক'রে কাটা চাঁদ (২০০১) |
নিজের সঙ্গে নিজের জীবনের মধু হুমায়ুন আজাদ রচিত একটি উপন্যাস। ফেব্রুয়ারি, ২০০০ সালে (ফাল্গুন, ১৪০৬ বঙ্গাব্দ) একুশে গ্রন্থমেলায় বাংলাদেশের আগামী প্রকাশনী, ঢাকা থেকে এটি গ্রন্থাকারে প্রথম প্রকাশিত হয়।[২]
সারাংশ[সম্পাদনা]
রাড়িখাল গ্রামে জলকদর নামের এক বালকের বাস; সে তার বাবামা, একটি ভাই এবং একটি বোনকে সঙ্গে নিয়ে থাকে। যদিও জলকদরের পরিবার গ্রামে স্বচ্ছল কিন্তু জলকদর বিদ্যালয়ে যায়না। সে তাদের পুকুরে মাছ ধরে এবং তাদের নিজস্ব গরু পালে। স্থানীয় গ্রাম্য টানে কথা বলে জলকদর। জলকদরের ক্রমশ বয়স বাড়ে কিন্তু গ্রামীণ রীতি অনুযায়ী তার তখনো মুসলমানি হয়না। বর্ষাকালে জলকদরদের গ্রাম বন্যায় ডুবে যায়, তাদের নিজেদের বাড়িও বন্যার কবলে পড়ে যদিও বন্যা কবলিত সমস্যা জলকদররা দ্রুত কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয় কারণ তাদের পরিবার স্বচ্ছল।
জলকদর তাদের গ্রামে নৌকা বাইচ এবং হা ডু ডু খেলা দেখে, সে নিজেও হা ডু ডু খেলায় অংশ নেয়। জলকদরের বন্ধু মজিদ জলকদরকে বিড়ি খাওয়া শেখায় এবং তারা গোপনে নিজেদের লিঙ্গ দেখা সহ কখন মুসলমানি করানো হবে এই ব্যাপার নিয়ে আলোচনা করে। মজিদের কাছ থেকে জলকদর যৌনতা বিষয়ক প্রাথমিক জ্ঞান প্রাপ্ত হয়। শরৎকালে জলকদর হস্তমৈথুন করা শেখে, এর আগে তার স্বপ্নদোষ হয়। এই সময়ে সে কিশোর বয়সে পদার্পণ করে; সে নারী সাপুড়েদেরকে দেখে যৌন উত্তেজনা প্রাপ্ত হয়।
পটভূমি এবং বিষয়বস্তু[সম্পাদনা]
হুমায়ুন আজাদ তার এই উপন্যাসটি নিজের বাল্যকালের গ্রামীণ বন্ধুদের প্রতি উৎসর্গ করেছিলেন এবং তিনি তার দ্বিতীয় উপন্যাসসংকলনগ্রন্থে (উপন্যাসসমগ্র ২) বলেছিলেন (ভূমিকাতে),
নিজের সঙ্গে নিজের জীবনের মধুতে ধরতে চেয়েছি আমার বাল্যকালের বিক্রমপুরের একটি এলাকাকে ও একটি বালককে; কোনো ভাবাবেগ ও ভাবাদর্শ নয়, বাল্যকাল ও চারপাশের প্রকৃতি ও জীবন।[৩]
হুমায়ুন আজাদের নিজের বিক্রমপুরের রাড়িখাল গ্রামে জলকদর নামের এক বালকের বেড়ে উঠাই এই উপন্যাসের মূল বিষয়বস্তু। উপন্যাসটি শুরু হয় যখন জলকদর বছর দশের বালক থাকে, শেষ হয় যখন তার বয়স পনের অর্থাৎ যখন সে কিশোর। লেখক হুমায়ুন আজাদ এই উপন্যাসকে বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়ের উপন্যাস পথের পাঁচালীর সঙ্গে তুলনা করেছিলেন।[৪]
আরও দেখুন[সম্পাদনা]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ "নিজের সঙ্গে নিজের জীবনের মধু - হুমায়ুন আজাদ"। rokomari.com।
- ↑ মুহম্মদ সাইফুল ইসলাম (২০১২)। "আজাদ, হুমায়ুন"। ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। আইএসবিএন 9843205901। ওএল 30677644M। ওসিএলসি 883871743।
- ↑ আজাদ, হুমায়ুন (ফেব্রুয়ারি ২০০১)। উপন্যাসসমগ্র - ২। আগামী প্রকাশনী। পৃষ্ঠা ৫।
- ↑ "সাহস ও সৃষ্টির অদম্য লেখক হুমায়ুন আজাদ"। arts.bdnews24.com।