ধ্রুবেশ চট্টোপাধ্যায়

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ধ্রুবেশ চট্টোপাধ্যায়
বিপ্লবী ধ্রুবেশ চরণ চট্টোপাধ্যায়
জন্ম১৯০৪
মৃত্যু১৫ এপ্রিল ১৯৩৮
আন্দোলনব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন
পিতা-মাতা
  • প্রণবেশ চট্টোপাধ্যায় (পিতা)

ধ্রুবেশ চট্টোপাধ্যায় (১৯০৪ -১৫ এপ্রিল ১৯৩৮) ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব এবং অগ্নিযুগের বিপ্লবী।[১]

জন্ম[সম্পাদনা]

প্রণবেশ চট্টোপাধ্যায়ের পুত্র ধ্রুবেশ চরণ (১৯০৪-১৯৩৮) তাঁর প্রখ্যাত পিতামহ বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা রচয়িতা মাধবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কলকাতার বাসভবনে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা-মাতার অকাল মৃত্যুর পর তিনি হুগলীর উত্তরপাড়ায় মামার বাড়িতে চলে আসেন; তার স্কুল ও কলেজের শিক্ষার স্থান।[২][৩]

বিপ্লবী কর্মজীবন[সম্পাদনা]

তিনি অমরেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় উত্তরপাড়া স্বদেশী যুব সমিতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এভাবে চট্টগ্রামের বিপ্লবীদের সংস্পর্শে আসেন, যারা ১৯২২-২৩ সাল পর্যন্ত উত্তরপাড়ায় ঘন ঘন যাতায়াত করতেন। ধ্রুবেশ তাদের দক্ষিণেশ্বর আস্তানা পরিদর্শন করতে শুরু করেন এবং তাঁর বোনের বিয়ের জন্য সংরক্ষিত পুরো তহবিল দক্ষিণেশ্বরে বোমা তৈরির জন্য দান করেন। ১৯২৫ সালের ১০ নভেম্বর এক পুলিশি অভিযানে তিনি অস্ত্র, রাসায়নিক পদার্থ ও বেআইনি কাগজপত্রসহ গ্রেফতার হন। বিচারে তাকেসহ আরও নয়জনকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

মৃত্যু[সম্পাদনা]

আলিপুর জেলে তিনি গোয়েন্দা ইন্সপেক্টর ভূপেন চট্টোপাধ্যায়ের হত্যাকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন। এবং আরও তিনজনের সাথে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন। আলিপুর থেকে তাঁকে প্রথমে মান্দালয় এবং পরে সেলুলার জেলে নিয়ে যাওয়া হয় (১৯৩৩)। শেষ পর্যন্ত ১৯৩৭ সালে তিনি মুক্তি পান কিন্তু দীর্ঘ কারাবাসের কারণে তার স্বাস্থ্য ভেঙে যায় এবং ১৯৩৮ সালের ১৫ এপ্রিল তিনি মারা যান।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. রায়, প্রকাশ (২০২১)। বিস্মৃত বিপ্লবীচেন্নাই: নোশনপ্ৰেস, চেন্নাই, তামিলনাড়ু। 
  2. বসু, অঞ্জলি (নভেম্বর ২০১৩)। বসু, অঞ্জলি; সেনগুপ্ত, সুবোধচন্দ্র, সম্পাদকগণ। সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান (পঞ্চম সংস্করণ, দ্বিতীয় মুদ্রণ সংস্করণ)। কলকাতা: সাহিত্য সংসদ। পৃষ্ঠা ৫১২। আইএসবিএন 978-8179551356 
  3. রায়, প্রকাশ (২০২০)। বিস্মৃত বিপ্লবীচেন্নাই: নোশনপ্রেস তামিলনাড়ুআইএসবিএন 978-1-63873-011-8 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]