জাফরুল্লাহ খান
জাফরুল্লাহ খান | |
|---|---|
| আমীর, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন (একাংশ) | |
| ব্যক্তিগত বিবরণ | |
| জন্ম | ১৯৫১ নেত্রকোণা পৌরসভা |
| মৃত্যু | ২১ জানুয়ারি ২০২২ আল জামেয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসা, দামপাড়া, চট্টগ্রাম |
| জাতীয়তা | বাংলাদেশি |
| রাজনৈতিক দল | বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন (একাংশ) |
| সন্তান | ১ ছেলে ও ৪ মেয়ে |
| প্রাক্তন শিক্ষার্থী | |
| ব্যক্তিগত তথ্য | |
| আখ্যা | সুন্নি |
| ব্যবহারশাস্ত্র | হানাফি |
| আন্দোলন | দেওবন্দি |
| প্রধান আগ্রহ | |
| শিক্ষক | জাফর আহমদ উসমানি |
| ঊর্ধ্বতন পদ | |
| এর শিষ্য | মুহাম্মদুল্লাহ হাফেজ্জী |
| দেওবন্দি আন্দোলন |
|---|
| সিরিজের অংশ |
মুহাম্মদ জাফরুল্লাহ খান (জন্ম: ১৯৫১) একজন বাংলাদেশি দেওবন্দি ইসলামি পণ্ডিত ও রাজনীতিবিদ। তিনি হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সাবেক কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও ঢাকা মহানগরীর যুগ্ম-আহ্বায়ক, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের একাংশের আমির, কুরআন প্রচার সংস্থা বাংলাদেশের সভাপতি, জামিয়া নুরিয়া ইসলামিয়ার সাবেক মুহাদ্দিস, সমমনা ইসলামী ১২ দলের মহাসচিব ও ‘মাসিক হেদায়েত’ পত্রিকার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।[১]
জীবনী
[সম্পাদনা]জাফরুল্লাহ খান ১৯৫১ সালে নেত্রকোণা পৌরসভার অন্তর্গত মালনী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫৫ সনে নেত্রকোনার জামিয়া মিফতাহুল উলুম কওমি মাদ্রাসায় প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগে ভর্তি হন এবং একটানা ১২ বৎসর সেখানে লেখাপড়া করেন। ১৯৬৭ সনে ময়মনসিংহের কওমি মাদ্রাসা জামিয়া ইসলামিয়া মোমেনশাহীর হাদিসের প্রথম বর্ষে ভর্তি হন, ১৯৬৮ সনে ঢাকার জামিয়া কুরআনিয়া আরাবিয়া লালবাগে হাদিসের শেষবর্ষ সমাপ্ত করেন। জাফরউল্লাহ খান ১৯৭২ সালে দারুল উলুম মুইনুল ইসলাম হাটহাজারীতে পুনরায় তাফসীর বিভাগে ভর্তি হন এবং ইলমে তাফসীর চর্চা করেন। তার শিক্ষকদের মধ্যে জাফর আহমদ উসমানি অন্যতম।[২]
চট্টগ্রামের দামপাড়া ব্যাটারি গলি মসজিদ বায়তুল আজিজের ইমাম তার কর্মজীবনের সূচনা হয়। একই সময়ে সেই এলাকার দামপাড়াস্থ আল-জামিয়াতুল ইসলামিয়া কওমি মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মহাপরিচালক হিসেবে দীর্ঘদিন নিয়োজিত ছিলেন। ১৯৮৫ সালে ঢাকার কামরাঙ্গির চর জামিয়া নুরীয়া মাদ্রাসার শিক্ষক হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। দীর্ঘদিন উক্ত মাদ্রাসায় হাদিসের শিক্ষক হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। ১৯৭৩ সালে চট্টগ্রামে কুরআন প্রচার সংস্থা নামে যে সংগঠন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তিনি।[২]
ছাত্রজীবনে তিনি নেজামে ইসলাম পার্টির ছাত্র সংগঠন জমিয়তে তোলাবায়ে কওমিয়ার সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত করেছিলেন। ১৯৮১ সালে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনে যোগদান করেন তিনি। তিনি খেলাফত আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদুল্লাহ হাফেজ্জীর শিষ্য ছিলেন এবং রাজনৈতিক অঙ্গনেও তার মতাদর্শী। তিনি বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন একাংশের আমির।[২]
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ মুহিউদ্দিন, সুলতান (২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২)। "মাওলানা জাফরুল্লাহ খানের জীবন ও কর্ম"। দৈনিক ইনকিলাব।
- 1 2 3 শ্বেতপত্র: বাংলাদেশে মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের ২০০০ দিন। মহাখালী, ঢাকা-১২১২: মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস তদন্তে গণকমিশন। ফেব্রুয়ারি ২০২২। পৃ. ১১২–১১৪।
{{বই উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: অবস্থান (লিঙ্ক) উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: বছর (লিঙ্ক) - ↑ "খেলাফত আন্দোলনের আমির মাওলানা জাফরুল্লাহ খান মারা গেছেন"। সময় টিভি। ২১ জানুয়ারি ২০২২।
- ↑ "হেফাজত নেতা মাওলানা জাফরুল্লাহ খান মারা গেছেন"। দৈনিক প্রথম আলো। ২১ জানুয়ারি ২০২২।
- ১৯৫১-এ জন্ম
- দেওবন্দি ব্যক্তি
- মাতুরিদি ব্যক্তি
- হানাফী ব্যক্তি
- বাংলাদেশী মুসলিম
- সুন্নি ইসলামের পণ্ডিত
- হানাফি ফিকহ পণ্ডিত
- ২০শ শতাব্দীর ইসলামের মুসলিম পণ্ডিত
- হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নেতা
- বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমীর
- দারুল উলুম হাটহাজারীর শিক্ষার্থী
- মুহাম্মদুল্লাহ হাফেজ্জীর শিষ্য
- বৃহত্তর ময়মনসিংহের ইসলামি ব্যক্তিত্ব