কুলেন্দ্র রাহা রায়

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
কুলেন্দ্র রাহা রায়
বিপ্লবী কুলেন্দ্র রাহা রায়
জন্ম১৮৯৭
মৃত্যু১৯৭৮
আন্দোলনব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন

কুলেন্দ্র রাহা রায় (১৮৯৭-১৯৭৮) ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব এবং অগ্নিযুগের বিপ্লবী।[১][২]

জন্ম[সম্পাদনা]

কুলেন্দ্র অবিভক্ত বাংলার ময়মনসিংহের টাঙ্গাইলের অম্বুয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর প্রাথমিক জীবন, শিক্ষা এবং রাজনৈতিক সমিতি সম্পর্কে কিছুই জানা যায় না। তাঁর পিতার নাম ভবানীচরণ রাহা রায়। ১৯০৭ সালে স্কুলে পড়ার সময় লেফটেন্যান্ট গভর্নর মিঃ ফুলারের ময়মনসিংহ সফরের বিরোধিতা করে আন্দোলনে অংশ নেওয়ায় কুলেন্দ্র গ্রেফতার হন। তিনি পুলিশি হেফাজত থেকে পালিয়ে ১৯০৯ সালে ময়মনসিংহের গুপ্ত সমিতি সুহেদী সমিতির সদস্য হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন যা পরে বিনোদচন্দ্র চক্রবর্তীর সাধনা সমিতিতে স্থানান্তরিত হয়।

বিপ্লবী কর্মকাণ্ড[সম্পাদনা]

কুলেন্দ্রর সাথে মহান বিপ্লবী নেতা ডঃ যদুগোপাল মুখোপাধ্যায়ের সাক্ষাৎ হয়, যিনি তাকে নগেন্দ্রশেখর চক্রবর্তী এবং সুরেন্দ্রমোহন ঘোষের সাথে চীন থেকে অস্ত্র সংগ্রহের জন্য প্রেরণ করেছিলেন; যার তাড়া করতে গিয়ে তারা চীন সীমান্তবর্তী আসাম, ভুটান ও নেপালের দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলে এক ভয়ঙ্কর জীবন যাপন করত; কিন্তু বৃথা। দেশে ফিরে তিনি ১৯১৭ থেকে ১৯২০ সাল পর্যন্ত কারারুদ্ধ ছিলেন, তারপরে কিছু সময়ের জন্য রেলওয়েতে চাকরি করেছিলেন, তবে তিনি তার বিপ্লবী যোগাযোগ বজায় রেখেছিলেন।

অস্ত্র আইন লঙ্ঘনের দায়ে তাকে একাধিকবার গ্রেফতার করা হয়; অবশেষে রাঁচিতে যদুগোপাল মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে ফেরার পথে তাঁকে গ্রেফতার করে ১৯৩০ থেকে ১৯৩৮ সাল পর্যন্ত বিনা বিচারে কারারুদ্ধ করা হয়। মুক্তি পাওয়ার পর ১৯৪৭ সালে পশ্চিমবঙ্গে চলে যাওয়ার আগে পর্যন্ত তিনি কংগ্রেস কর্মী হিসাবে তাঁর গ্রামে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. বসু, অঞ্জলি (নভেম্বর ২০১৩)। বসু, অঞ্জলি; সেনগুপ্ত, সুবোধচন্দ্র, সম্পাদকগণ। সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান (পঞ্চম সংস্করণ, দ্বিতীয় মুদ্রণ সংস্করণ)। কলকাতা: সাহিত্য সংসদ। পৃষ্ঠা ৫১২। আইএসবিএন 978-8179551356 
  2. রায়, প্রকাশ (২০২০)। বিস্মৃত বিপ্লবীচেন্নাই: নোশনপ্রেস তামিলনাড়ুআইএসবিএন 978-1-63873-011-8