ওড়িশা
ওড়িশা (ওড়িয়া: ଓଡ଼ିଶା, /əˈdɪsə/, টেমপ্লেট:IPA-or) ভারতের একটি রাজ্য, পূর্ব ভারতে এর অবস্থান। রাজ্যটি পর্যটকমহলে অত্যন্ত প্রসিদ্ধ। ওড়িয়া এ রাজ্যের প্রধান ভাষা। ওড়িশার উত্তরে ঝাড়খণ্ড, উত্তর-পূর্বে পশ্চিমবঙ্গ, পূর্বে বঙ্গোপসাগর, দক্ষিণে অন্ধ্রপ্রদেশ ও পশ্চিমে ছত্তিশগড়।
ব্যুৎপত্তি[সম্পাদনা]
ইতিহাস[সম্পাদনা]
ভূগোল[সম্পাদনা]
ওড়িশার উত্তরে ঝাড়খণ্ড, উত্তর-পূর্বে পশ্চিমবঙ্গ, পূর্বে বঙ্গোপসাগর, দক্ষিণে অন্ধ্রপ্রদেশ ও পশ্চিমে ছত্তিশগড় অবস্থিত।
সরকার ব্যবস্থা ও রাজনীতি[সম্পাদনা]
১৯৪৬ সালে রাজ্যের গঠনের পর প্রারম্ভিক ৩০ বছর ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস বেশিরভাগ সময় ক্ষমতায় ছিল। বর্তমানে বিজু জনতা দল ২০০০ সাল থেকে ক্ষমতায় রয়েছে।
রাজ্যে ২১টি লোকসভা আসন রয়েছে। তারমধ্যে ১২টি আসন বিজু জনতা দলের অধীনে। ৮টি ভারতীয় জনতা পার্টি-র দখলে এবং একটি কংগ্ৰেস।
২০১৯-এ ১৪৭ আসনের বিধানসভা নির্বাচনের পর ১১২টি আসন বিজু জনতা দলের অধীনে এবং ২৩টি ভারতীয় জনতা পার্টি-র দখলে।
বিভাগ ও জেলা[সম্পাদনা]
ওড়িশায় মোট ৩ টি বিভাগ ও ৩০টি জেলা রয়েছে।
উত্তর ওড়িশা বিভাগ (সদর দপ্তর- সম্বলপুর) | কেন্দ্রীয় ওড়িশা বিভাগ (সদর দপ্তর- কটক) | দক্ষিণ ওড়িশা বিভাগ (সদর দপ্তর- ব্রহ্মপুর) |
---|---|---|
অর্থনীতি[সম্পাদনা]
সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রবণতা[সম্পাদনা]
শিল্প প্রবৃদ্ধি[সম্পাদনা]
অবকাঠামো উন্নয়ন[সম্পাদনা]
জনপরিসংখ্যান[সম্পাদনা]
উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি[সম্পাদনা]
শিক্ষা[সম্পাদনা]
বিজ্ঞান[সম্পাদনা]
- ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স এডুকেশন এন্ড রিসার্চ, ব্রহ্মপুর
- ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স এডুকেশন এন্ড রিসার্চ, জাতানি
চিকিৎসা বিজ্ঞান[সম্পাদনা]
কারিগরি[সম্পাদনা]
- ভারতীয় প্রৌদ্যোগিকী সংস্থান, ভুবনেশ্বর
- রাষ্ট্রীয় প্রযুক্তিক প্রতিষ্ঠান, রাউরকেলা
- ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ইনফরমেশন টেকনোলজি, ভুবনেশ্বর
আইন[সম্পাদনা]
ব্যাবস্থাপনা[সম্পাদনা]
ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট, সম্বলপুর
অন্যান্য[সম্পাদনা]
কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি, ভুবনেশ্বর
সুসংহত নিয়ন্ত্রিত ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন কর্মসূচি-র আওতাধীন ওড়িশা উপকূলবর্তী চাঁদিপুর-এ আব্দুল কালাম দ্বীপ-এ ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট রেঞ্জের (আইটিআর) লঞ্চ কমপ্লেক্স রয়েছে। এখানথেকে ক্ষেপণাস্রের পরীক্ষা চালানো হয়।
সংস্কৃতি[সম্পাদনা]
খাদ্যাভাস ও রন্ধনপ্রণালী[সম্পাদনা]
ওড়িশাতে মাছ সর্বগৃহীত প্রধান খাদ্য। মিষ্টি জাতীয় খাবার ওড়িশার বেশ জনপ্রিয়।
সাহিত্য[সম্পাদনা]
নৃত্য[সম্পাদনা]
ওডিসি (ওড়িসি) নাচ এবং সংগীত শাস্ত্রীয় শিল্পের ফর্ম। প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণের ভিত্তিতে ওডিসি ভারতের প্রাচীনতম বেঁচে থাকা নাচের রূপ [৯]। ওডিসির ২,০০০ বছরের দীর্ঘ ও অবিচ্ছিন্ন ঐতিহ্য রয়েছে । ভারতমুনির নাট্যশাস্ত্রে এর উল্লেখ পাওয়া যায়। ব্রিটিশ আমলে নাচের রূপটি প্রায় বিলুপ্ত হয়ে যায়। কয়েকজন গুরু দ্বারা ভারতের স্বাধীনতার পরে এর পুনরুদ্ধার করা হয়। নৃত্যের বিভিন্ন ধরনের মধ্যে রয়েছে ঘুমুরা নৃত্য, মহারী নৃত্য, ডালখাই এবং গোটিপুয়া।
সঙ্গীত[সম্পাদনা]
কাঠামোগত শিল্প[সম্পাদনা]
বালি শিল্প[সম্পাদনা]
ওড়িশার উপকূলীয় অংশে বালুশিল্প বিশ্বজোড়া প্রসিদ্ধ। পুরী সমুদ্র উপকূলে মূলত এই শিল্পের ব্যাপক চলন রয়েছে। ওড়িশার বিখ্যাত বালুশিল্পীর একজন সুদর্শন পট্টনায়েক। ২০১৪ সালে ভারতের রাষ্ট্রীয় সম্মান পদ্মশ্রী পেয়েছেন। পুরীতে গড়েছেন তার ‘স্যান্ড আর্ট ইনস্টিটিউট’। এখানে বালুশিল্পের ওপর পড়াশোনা করানো হয়। ওড়িশা পর্যটন দফতর আয়োজিত কোণার্ক সূর্য মন্দির-এর কাছে আন্তর্জাতিক বালু শিল্প উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এই স্যান্ড আর্ট ফেস্টিভ্যালে যোগ দেয় ৯টি দেশের অন্তত ৭০ জন প্রতিনিধি। [১০]
চলচ্চিত্র[সম্পাদনা]
ওড়িয়া ভাষায় পূর্বে শব্দহীন কথাচিত্ৰ নিৰ্মাণ করা হত । মোহন সুন্দর দেব গোস্বামীর নিৰ্দ্দেশনায় রামায়ণের কাহিনীর উপর নির্ভর করে ১৯৩৬ সালে নিৰ্মিত হয় প্ৰথম ওড়িয়া কথাছবি সীতা বিবাহ । এটির গল্প কামপাল মিশ্ৰ রচিত একটি নাটক থেকে নেয়া হয়েছিল । মাত্ৰ ৩০,০০০ টাকায় নিৰ্মিত এই ছবিতে ১৪টা গান ছিল ।
খেলাধুলা[সম্পাদনা]
ওড়িশায় বিবিধ খেলাধুলা প্রচলিত। এখানে ভুবনেশ্বর শহরের কলিঙ্গ স্টেডিয়াম-এ আন্তর্জাতিক হকির প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। হকি ইন্ডিয়া লীগ-এর কলিঙ্গ ল্যান্সার্স দলের ঘরের মাঠও এটি। এছাড়া কটক শহরের বড়বাটি স্টেডিয়াম-এ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়।
পরিবহন ব্যবস্থা[সম্পাদনা]
আকাশপথে[সম্পাদনা]
বিজু পটনায়েক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর রাজ্যের প্রধান ও একমাত্র আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এখানথেকে কুয়ালালামপুর পর্যন্ত সরাসরি ফ্লাইট রয়েছে।
রেলপথ[সম্পাদনা]
পূর্ব উপকূলীয় রেল-এর সদর দপ্তর এই রাজ্যের ভুবনেশ্বর শহরে অবস্থিত।
আরও দেখুন[সম্পাদনা]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ "LIST OF TOWNS AND THEIR POPULATION" (পিডিএফ)। সংগ্রহের তারিখ ৬ ডিসেম্বর ২০১১।
- ↑ "Lok Sabha"। ১৩ জানুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি" (পিডিএফ)। ২১ আগস্ট ২০২০ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪।
- ↑ Sambar : The State Animal of Orissa
- ↑ Blue Jay: The State Bird of Orissa
- ↑ "CyberOrissa.com :: Orissa"। cyberorissa.com। ২০১১। ২৯ আগস্ট ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মে ২০১২।
State Flower
- ↑ "Orissa State Symbols"। mapsofindia.com। ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মে ২০১২।
the state tree is the imposing ‘Ashwatha’ tree
- ↑ "Administrative Unit"। Revenue & Disaster Management Department, Government of Odisha। ২১ আগস্ট ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মার্চ ২০১৫।
- ↑ "Odissi Kala Kendra"। odissi.itgo.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-১৬।
- ↑ "ওড়িশার বিখ্যাত বালুশিল্পীর একজন সুদর্শন পট্টনায়েক"।
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

