চিল্কা হ্রদ

স্থানাঙ্ক: ১৯°৪৩′ উত্তর ৮৫°১৯′ পূর্ব / ১৯.৭১৭° উত্তর ৮৫.৩১৭° পূর্ব / 19.717; 85.317
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
চিল্কা
চিল্কা হ্রদে পরিযায়ী পাখি
স্থানাঙ্ক১৯°৪৩′ উত্তর ৮৫°১৯′ পূর্ব / ১৯.৭১৭° উত্তর ৮৫.৩১৭° পূর্ব / 19.717; 85.317
হ্রদের ধরনঈষৎলোনা
প্রাথমিক অন্তর্প্রবাহভার্গবী, দয়া, মাকরা, মালাগুনি ও লুনা নদীসহ ৫২ টি স্ট্রিম[১]
প্রাথমিক বহিঃপ্রবাহআরাখাকুদাতে পুরোনো নদীমুখ, সাতপাড়াতে নতুন নদীমুখ; তারপর বঙ্গোপসাগর
অববাহিকা৩,৫৬০ কিমি (১,৩৭০ মা)
অববাহিকার দেশসমূহভারত
সর্বাধিক দৈর্ঘ্য৬৪.৩ কিমি (৪০.০ মা)
পৃষ্ঠতল অঞ্চলmin.: ৯০০ কিমি (৩৪৭ মা)
max.: ১,১৬৫ কিমি (৪৫০ মা)
সর্বাধিক গভীরতা৪.২ মি (১৩.৮ ফু)
পানির আয়তন৪ কিমি (৩২,০০,০০০ acre·ft)
পৃষ্ঠতলীয় উচ্চতা0 – ২ মি (৬.৬ ফু)
দ্বীপপুঞ্জ২২৩ কিমি (৮৬ মা):
বাডাকুডা, ব্রেকফারস্ট, হানিমুন, কালিজাই পাহাড়, পাখি দ্বীপ, কন্ঠপন্থ, নলবানা, নুয়াপাদা, সোমোলো এবং সানাকুডা।
জনবসতিপুরী এবং সাতপাড়া
তথ্যসূত্র[১][২]
অন্তর্ভুক্তির তারিখ1 October 1981
রেফারেন্স নং229[৩]

চিল্কা হ্রদ (ওড়িয়া: ଚିଲିକା ହ୍ରଦ) একটি ঈষৎলোনা জলের উপহ্রদ, যা ভারতের পূর্ব উপকূলের ওড়িশার পুরী, খুরদা ও গঞ্জাম জেলায় বিস্তৃত। চিল্কা হ্রদ সর্বাধিক ১১৬৫ বর্গকিমি এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। এটি ভারতের তথা এশিয়ার বৃহত্তম উপকূলীয় লেগুন (উপহ্রদ) [৪][৫] এবং নিউ ক্যালিডোনিয়ান লেগুনের পরে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম উপকূলীয় লেগুন।[২][৬] ১৯৮১ সালে চিল্কা হ্রদ ভারতের প্রথম জলাভূমি হিসেবে রামসার সাইটের মর্যাদা লাভ করে।

বিবরণ[সম্পাদনা]

চিল্কা হ্রদের দৈর্ঘ্য ৬৪.৩ কিমি বা ৪০ মাইল। এর আয়তন শুষ্ক ঋতুতে ৯০০ বর্গকিমি এবং আর্দ্র ঋতুতে ১১৬৫ বর্গকিমি। ভার্গবী, দয়া সহ অনেকগুলি ছোট বড় নদী চিল্কা হ্রদে পতিত হয়েছে। চিল্কা হ্রদে ভারতীয় উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় পরিযায়ী পাখিদের সমাবেশ ঘটে। হ্রদটির চারদিকে আছে অনেক ছোট বড় গ্রাম ও শহর। মাছ আহরণের জন্য এই হ্রদকে ঘিরে ১৫০,০০০ জেলে থাকে এবং ১৩২টি গ্রাম আছে।[৭][৮]

একটি সমীক্ষা দেখানো হয়েছে, এই হ্রদে ৪৫ শতাংশ জলজ পাখি,৩২ শতাংশ আন্সেরিফর্মিস বর্গের পাখি এবং ২৩ শতাংশ পানিকাটা পাখি। এর উপহ্রদে ১৪ প্রজাতির শিকারী পাখি আছে। প্রায় ১৫২ প্রজাতির বিরল এবং বিপন্ন ইরাবতী ডলফিন এই হ্রদে বাস করে খবর পাওয়া গেছে।[৯]

গ্যালারি[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Tripati, Sila; A. P. Patnaik (১০ ফেব্রুয়ারি ২০০৮)। "Stone anchors along the coast of Chilika Lake: New light on the maritime activities of Orissa, India" (পিডিএফ)Current Science। Bangalore: Indian Academy of Sciences। 94 (3): 386–390। 
  2. Mohanty, Prof. Prafulla Kumar; Dr. Sanjaya Narayan Otta (জুন ২০০৮)। "Dolphins of Chilika" (পিডিএফ)Orissa Review। Govt. of Orissa: 21–26। ১০ এপ্রিল ২০০৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। 
  3. "Chilika Lake"Ramsar Sites Information Service। সংগ্রহের তারিখ ২৫ এপ্রিল ২০১৮ 
  4. Forest and Environment Department। "Chilika"Wildlife Conservation in Orissa। Govt of Orissa। ২০১৩-০৭-০১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১২-২১ 
  5. "Inventory of wetlands" (পিডিএফ)। Govt. of India। পৃষ্ঠা 314–318। ২০১৬-০৩-০৩ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১২-০৯ 
  6. "New Caledonia - at the heart of the world's biggest lagoon</02.11>"www.boat-duesseldorf.com। ২০১৬-০৮-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৭-৩১ 
  7. Chilika Development Authority (২০০৮)। "Fish Yield Status"। ৩০ জুন ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১২-১১ 
  8. Chilika Development Authority (২০০৮)। "Welcome to Chilika Lagoon"। ১ অক্টোবর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১২-১৬ 
  9. "Dolphin population rises to 152 in Chilika lake in Orissa"The Times Of India। ২২ জানুয়ারি ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০১-২৩