ওড়িশা সরকার
আইন বিভাগ | |
---|---|
অধ্যক্ষ | প্রাদীপ কুমার আমাত, (বিজেডি) |
বিচার বিভাগ | |
প্রধান বিচারপতি | বিচারপতি কল্পেশ সত্যেন্দ্র জাভেরি |
ওড়িশা সরকার (ওড়িয়া: ଓଡ଼ିଶା ସରକାର) ওড়িশা রাজ্য ও তার ৩০ টি জেলার সর্বোচ্চ শাসনতান্ত্রিক কর্তৃপক্ষ। এটি ওড়িশা রাজ্য সরকার বা স্থানীয় নামে রাজ্য সরকার নামেও পরিচিত। রাজ্যপাল সহ একটি শাসনবিভাগ, একটি আইনবিভাগ ও একটি বিচারবিভাগ নিয়ে এই সরকার গঠিত।
ভারতের অন্যান্য রাজ্যগুলির মতোই, রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান রাজ্যপাল কেন্দ্রীয় সরকারের সুপারিশ অনুসারে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নির্বাচিত হন। তবে তার পদটি মূলত আনুষ্ঠানিক। মুখ্যমন্ত্রী সরকারের প্রধান, এবং তার হাতেই রাজ্যের প্রকৃত শাসনক্ষমতা ন্যস্ত থাকে। ভুবনেশ্বর ওড়িশার রাজধানী, এবং এই শহরের রাজ্যটির বিধানসভা (বিধানসভা) এবং সচিবালয় অবস্থিত। ওড়িশা হাই কোর্ট কটকে অবস্থিত। এর এক্তিয়ারভুক্ত এলাকা হল সমগ্র ওড়িশা।[১]
ওড়িশার বর্তমান বিধানসভা এককক্ষবিশিষ্ট। বর্তমানে এক সদস্য সংখ্যা ১৪৭। এঁরা বিধায়ক নামে পরিচিত। বিধায়করা প্রতি পাঁচ বছরের জন্য ওড়িশার জনগণ কর্তৃক সরাসরি নির্বাচিত হন।[২]
ভারতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ২১ জন সংসদ সদস্য ও রাজ্যসভায় ১০ জন সংসদ সদস্য ওড়িশা রাজ্যের প্রতিনিধিত্ব করে। লোকসভায় সাধারণ নির্বাচনে ২১ টি আসনে নির্বাচন হয়, যার মধ্যমে প্রার্থী নির্বাচিত হন। রাজ্যসভার সদস্যগণ তাদের রাজনৈতিক দলগুলির মাধ্যমে আইন পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন এবং/বা মনোনীত হন।
বিভাগ
[সম্পাদনা]বিভাগ | মন্ত্রী |
---|---|
গৃহ, সাধারণ প্রশাসন ও পাবলিক অভিযোগ এবং বিশেষভাবে বরাদ্দ করা অন্য কোন বিভাগ | নবীন পট্টনায়ক (মুখ্যমন্ত্রী) |
অর্থ, আবগারি | শশী ভূষণ বেহেরা |
সংসদীয় বিষয়, জন উদ্যোগ, গ্রামীণ উন্নয়ন | বিক্রম কেশারী আরুখা |
ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সামাজিক নিরাপত্তা ও ক্ষমতায়ন, নারী ও শিশু উন্নয়ন ও মিশন শক্তি | প্রফুল্ল সামাল |
পরিকল্পনা ও রূপান্তর, দক্ষতা উন্নয়ন ও কারিগরি শিক্ষা | শ্রীমতী উষা দেবী |
রাজস্ব ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা | মহেশ্বর মহান্তী |
পঞ্চায়েত রাজ ও পানীয় জল, কৃষি ও কৃষক ক্ষমতায়ন, মৎস্য ও প্রাণ সম্পদ উন্নয়ন | প্রদীপ মহারথী |
আবাসন ও নগর উন্নয়ন, জল সম্পদ | নিরঞ্জন পূজারী |
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, আইন, তথ্য ও জনসংযোগ | প্রতাপ জেনা |
সহযোগিতা, খাদ্য সরবরাহ ও ভোক্তা কল্যাণ | সূর্য্য নারায়ণ পাত্র |
কাজ, ইস্পাত ও খনি | প্রফুল্ল মল্লিক |
স্কুল ও গণশিক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি | বদরি নারায়ণ পাত্র |
উপজাতি ও এসসি উন্নয়ন, সংখ্যালঘু ও পশ্চাদ্ধাবন শ্রেণি কল্যাণ | রমেশ চন্দ্র মাঝি |
বন ও পরিবেশ | বিজয়েশ্রী রুট্রে |
শক্তি, শ্রম ও কর্মচারী রাষ্ট্র বীমা | সুসন্ত সিং |
ক্রীড়া ও যুবা সেবা, ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য প্রযুক্তি | চন্দ্র সারথি বেহেরা |
তাঁতের, বস্ত্র ও হস্তশিল্প | শ্রীমতী। স্নাইঘিনী ছুরিয়া |
পর্যটন, ওড়িয়া ভাষা সাহিত্য ও সংস্কৃতি | অশোক চন্দ্র পাণ্ডা |
উচ্চ শিক্ষা, শিল্প | আনন্ত দাস |
বাণিজ্য ও পরিবহন | ড. নৃশিংহ চরন সাহু |
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Jurisdiction and Seats of Indian High Courts"। Eastern Book Company। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৫-১২।
- ↑ "Orissa Legislative Assembly"। Legislative Bodies in India। National Informatics Centre, Government of India। ২০০৮-০৫-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৫-১২।