জন রাইট
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | জন জিওফ্রে রাইট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ডারফিল্ড, নিউজিল্যান্ড | ৫ জুলাই ১৯৫৪|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | বামহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | কোচ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ১৪১) | ১০ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৮ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১৬ মার্চ ১৯৯৩ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ২৮) | ১৫ জুলাই ১৯৭৮ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ১২ ডিসেম্বর ১৯৯২ বনাম শ্রীলঙ্কা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৭৫–১৯৮৪ | নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৭৭–১৯৮৮ | ডার্বিশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৮৪–১৯৮৯ | ক্যান্টারবারি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৮৯–১৯৯৩ | অকল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ |
জন জিওফ্রে রাইট, এমবিই (জন্ম: ৫ জুলাই, ১৯৫৪) ডারফিল্ডে জন্মগ্রহণকারী নিউজিল্যান্ডের সাবেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। দলে তিনি তার ডাকনাম শেক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ছিলেন। জাতীয় দলের অধিনায়কত্বও করেন তিনি। ইংল্যান্ডের কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপে ডার্বিশায়ারের হয়ে খেলেন। ক্রিকেট থেকে অবসর নেয়ার পর ভারতীয় দলের কোচের দায়িত্ব পালন করেন জন রাইট। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সতীর্থ বামহাতি ব্রুস এডগারের সাথে উদ্বোধনী জুটি গড়ে প্রভূতঃ সফলতা পেয়েছেন।
খেলোয়াড়ী জীবন
[সম্পাদনা]ইংল্যান্ডের কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপে ডার্বিশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেন। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ৫০টি শতকসহ পঁচিশ হাজারেরও বেশি রান করেছেন। এছাড়াও, সীমিত ওভারের লিস্ট এ ক্রিকেটে দশ সহস্রাধিক রান করেছেন।
১৯৭৮ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে অংশগ্রহণের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। সচরাচর নিউজিল্যান্ড দলের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতেন। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে পাঁচ সহস্রাধিক টেস্ট রান করেন ৩৭.৮২ গড়ে। ১২ সেঞ্চুরির দশটিই করেন নিজ দেশে। ওয়েলিংটনে অনুষ্ঠিত টেস্টে ব্রুস এডগারের সাথে নিউজিল্যান্ডের সর্বাপেক্ষা সফলতম ও বিশ্বস্ত উদ্বোধনী জুটির পরিচয় রেখেছেন। টেস্ট ক্রিকেটে ইতিহাসের দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে ১৯৮০ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অনুষ্ঠিত টেস্টে এক বলে আট রান সংগ্রহ করেছেন। দৌঁড়িয়ে চার নেয়াসহ ওভারথ্রো’র প্রেক্ষিতে তাঁর এই অদ্ভুতুড়ে রান সংগ্রহ।[১] খেলোয়াড়ী জীবনের শেষদিকে অধিকাংশ ব্যাটসম্যানই যেখানে পায়ের সাথে ব্যাটের সংস্পর্শ রাখতেন, সেখানে তিনি তাঁর ব্যাট উঠিয়ে রাখতেন।
অবসর
[সম্পাদনা]১৯৯৩ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গন থেকে অবসর নেন রাইট। স্বাবলম্বী হবার লক্ষ্যে প্রায় দুই বছর পণ্য বিক্রয়কর্মের সাথে জড়িত ছিলেন। কেন্ট কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবে কোচিংয়ের সাথে সম্পৃক্ত হন। এরপর ২০০০ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত ভারতীয় ক্রিকেট দলের কোচ ছিলেন। এ সময়ে ভারতীয় দল উল্লেখযোগ্য সফলতা পায়। নিজ দেশে অনুষ্ঠিত টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে জয় অন্যতম। তন্মধ্যে কলকাতার টেস্টে ফলো-অনে থেকেও ভিভিএস লক্ষ্মণের অপরাজিত ২৮১* রানের কল্যাণে ঐতিহাসিক জয় পায়। ২০০৩-০৪ মৌসুমে অধিনায়ক স্টিভ ওয়াহ’র বিদায়ী টেস্ট সিরিজে অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে সফরকারী ভারতীয় দল ১-১ ব্যবধানে ৪ টেস্টের সিরিজ ড্র করে। চির-প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সিরিজ জয় পায় ও ২০০৩ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছে। এর পরের মাসেই দলের অধঃপতন শুরু হয়। অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তানের বিপক্ষে হারে ভারত দল। ফলশ্রুতিতে মে, ২০০৫ সালে সাবেক অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক গ্রেগ চ্যাপেল জন রাইটের কাছ থেকে কোচের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। এছাড়াও, অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত ২০০৫ সালের আইসিসি সুপার সিরিজে বিশ্ব একাদশ দলের কোচের মনোনয়ন পান তিনি।
২০ ডিসেম্বর, ২০১০ তারিখে মার্ক গ্রেটব্যাচের পরিবর্তে তাঁকে নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেট কোচরূপে মনোনয়ন দেয়া হয়। ২০১২ সালে নিউজিল্যান্ড দলের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের পর তিনি এ পদ থেকে পদত্যাগ করেন।[২]
জানুয়ারি, ২০১৩ সালে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগের দল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের প্রধান কোচের জন্য মনোনীত হন জন রাইট। ঐ মৌসুমে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স শিরোপা জয় করে, যা তাঁর সফলতার অন্যতম একটি।[৩]
সম্মাননা
[সম্পাদনা]১৯৮৮ সালে রাণী জন্মদিনের সম্মানে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ক্রিকেট খেলায় অনন্য সাধারণ ভূমিকা রাখায় তিনি মেম্বার অব দি অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার পদক লাভ করেন।[৪]
১৯৯০ সালে নিউজিল্যান্ডীয় লেখক পল টমাসের সাথে একত্রে বিনোদনধর্মী আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ ‘ক্রিসমাস ইন রারোতোঙ্গা’ লেখেন। ২০০৬ সালে ভারতীয় সাংবাদিক শারদা আগ্রা ও পল টমাসের সাথে ‘ইন্ডিয়ান সামারস’ শিরোনামে বই প্রকাশ করেন। এ বইয়ে ভারত ক্রিকেট দলের কোচ থাকা অবস্থায় তার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Lynch, Steven (২৫ নভেম্বর ২০০৮)। "Eight off one ball, and six ducks all in a row"। cricinfo.com। সংগ্রহের তারিখ ৮ জানুয়ারি ২০১০।
- ↑ Woodcock, Fred (১ মে ২০১২)। "John Wright to step down as Black Caps coach"। www.stuff.co.nz। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জানুয়ারি ২০১৩।
- ↑ "John Wright to coach in IPL"। 3 News NZ। ২৮ জানুয়ারি ২০১৩।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ London Gazette (supplement), No. 51367, 10 June 1988. Retrieved 15 January 2013.
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে জন রাইট (ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে জন রাইট (সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)
পূর্বসূরী জেফ ক্রো |
নিউজিল্যান্ড জাতীয় ক্রিকেট অধিনায়ক ১৯৮৭/৮৮-১৯৯০ |
উত্তরসূরী মার্টিন ক্রো |
পূর্বসূরী অংশুমান গায়কোয়াড় |
ভারত জাতীয় ক্রিকেট কোচ নভেম্বর, ২০০০ - এপ্রিল, ২০০৫ |
উত্তরসূরী গ্রেগ চ্যাপেল |
- ১৯৫৪-এ জন্ম
- জীবিত ব্যক্তি
- ১৯৭৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের ক্রিকেটার
- ১৯৮৩ ক্রিকেট বিশ্বকাপের ক্রিকেটার
- ১৯৮৭ ক্রিকেট বিশ্বকাপের ক্রিকেটার
- ১৯৯২ ক্রিকেট বিশ্বকাপের ক্রিকেটার
- অকল্যান্ডের ক্রিকেটার
- ক্যান্টারবারির ক্রিকেটার
- ডার্বিশায়ারের ক্রিকেটার
- নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টসের ক্রিকেটার
- নর্থ আইল্যান্ডের ক্রিকেটার
- নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটার
- নিউজিল্যান্ডের টেস্ট ক্রিকেটার
- নিউজিল্যান্ডের টেস্ট ক্রিকেট অধিনায়ক
- নিউজিল্যান্ডের একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার
- নিউজিল্যান্ডের একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অধিনায়ক
- নিউজিল্যান্ড জাতীয় ক্রিকেট দলের কোচ
- ভারত জাতীয় ক্রিকেট দলের কোচ
- অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার পদক বিজয়ী
- নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেট কোচ
- নিউজিল্যান্ড মেম্বার্স অব দি অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার
- ডি. এইচ. রবিন্স একাদশের ক্রিকেটার