জেমস ফ্রাঙ্কলিন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জেমস ফ্রাঙ্কলিন
২০১৫ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে জো বার্নসের (ডানে) সাথে জেমস ফ্রাঙ্কলিন
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামজেমস এডওয়ার্ড চার্লস ফ্রাঙ্কলিন
জন্ম (1980-11-07) ৭ নভেম্বর ১৯৮০ (বয়স ৪৩)
ওয়েলিংটন, নিউজিল্যান্ড
ডাকনামফ্রাঙ্কো
উচ্চতা১.৯৬ মিটার (৬ ফুট ৫ ইঞ্চি)
ব্যাটিংয়ের ধরনবামহাতি
বোলিংয়ের ধরনবামহাতি মিডিয়াম
ভূমিকাঅল-রাউন্ডার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ২৩৪)
৮ মার্চ ২০০১ বনাম পাকিস্তান
শেষ টেস্ট২ জানুয়ারি ২০১৩ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ১৪৪)
২ জানুয়ারি ২০০১ বনাম জিম্বাবুয়ে
শেষ ওডিআই১৬ জুন ২০১৩ বনাম ইংল্যান্ড
ওডিআই শার্ট নং৭০
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৯৮-২০১৫ওয়েলিংটন
২০০৪গ্লুচেস্টারশায়ার
২০০৬গ্ল্যামারগন
২০০৯-২০১০গ্লুচেস্টারশায়ার
২০১১-২০১২মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স
২০১২অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্স
২০১২এসেক্স
২০১৩গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্স
২০১৪নটিংহ্যামশায়ার
২০১৪বার্বাডোস ট্রাইডেন্টস
২০১৫-বর্তমানমিডলসেক্স
২০১৬রাজশাহী কিংস
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ৩১ ১১০ ১৯৫ ২৭৬
রানের সংখ্যা ৮০৮ ১,২৭০ ৯,৪৮৪ ৫,৪১২
ব্যাটিং গড় ২০.৭১ ২৩.৯৬ ৩৬.৪৭ ৩২.৬০
১০০/৫০ ১/২ ০/৪ ২১/৪৩ ৪/৩১
সর্বোচ্চ রান ১২২* ৯৮* ২১৯ ১৩৩*
বল করেছে ৪,৭৬৭ ৩,৮৪৮ ২৪,৮১৯ ৯,২৬৩
উইকেট ৮২ ৮১ ৪৬৭ ২২৩
বোলিং গড় ৩৩.৯৭ ৪১.৪০ ২৮.১৫ ৩৪.১২
ইনিংসে ৫ উইকেট ১৪
ম্যাচে ১০ উইকেট - -
সেরা বোলিং ৬/১১৯ ৫/৪২ ৭/১৪ ৫/৪২
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১২/– ২৬/– ১০২/– ৮৭/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬

জেমস এডওয়ার্ড চার্লস ফ্রাঙ্কলিন (ইংরেজি: James Franklin; জন্ম: ৭ নভেম্বর, ১৯৮০) ওয়েলিংটনে জন্মগ্রহণকারী সাবেক নিউজিল্যান্ডীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য তিনি। দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলে থাকেন। বামহাতি মিডিয়াম-ফাস্ট বোলিংয়ের মাধ্যমে বলকে সুইং করানোয় পারদর্শিতা অর্জন করেছেন।

বামহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ের মাধ্যমে খেলোয়াড়ী জীবনের সূত্রপাত ঘটান। কিন্তু ব্যাটিংয়ে দ্রুতলয়ে উন্নতি ঘটিয়ে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে মাঝারীসারির ব্যাটসম্যানরূপে আবির্ভূত হন ‘ফ্রাঙ্কো’ ডাকনামে পরিচিত জেমস ফ্রাঙ্কলিন

খেলোয়াড়ী জীবন[সম্পাদনা]

২০০১ সালের শুরুতে মাত্র ২০ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিনি তার প্রথম খেলায় অংশ নেন। এ সময়ে নিউজিল্যান্ডীয় বোলারদেরকে কম-বেশি আঘাতের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। বছরের শেষদিকে সফরকারী পাকিস্তানের বিপক্ষে অকল্যান্ড টেস্টের মাধ্যমে অভিষিক্ত হন। কিন্তু ঐ খেলায় তিনি জোড়াশূন্য লাভ করেন। তবে বল হাতে মুশতাক আহমেদমোহাম্মদ ইউসুফের উইকেট দখল করেন। ডারহামের ন্যাট ওয়েস্ট সিরিজে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত খেলায় ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন তিনি।

এরপর স্বাগতিক বাংলাদেশের বিপক্ষে ২০০৪-০৫ মৌসুমে অনুষ্ঠিত টেস্ট সিরিজে অংশগ্রহণ করেন। সিরিজের ১ম টেস্টে ৫/২৮ বোলিং পরিসংখ্যান গড়ে দলকে জয়লাভে প্রভূতঃ সহায়তা করেন তিনি। মার্চ, ২০০৫ সালে সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের ৩য় টেস্টে ব্যক্তিগত সেরা ৬/১১৯ পেয়েছিলেন। এছাড়াও ঐ বছরের শেষদিকে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পেয়েছেন ৫/৫৩।

২৯ এপ্রিল, ২০০৬ তারিখে নিজস্ব প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি করেন। কেপটাউনের নিউল্যান্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করেন অপরাজিত ১২২* রান।

২০১০সালে ভারত সফরে যান। ঐ সফরে ব্যাটহাতে ৯৮, ৭২ ও ১৭ রান তুলেন। সবগুলো খেলাতেই অপরাজিত ছিলেন তিনি ও ব্যাটহাতে তার শক্তমত্তার পরিচয় তুলে ধরেন। পাকিস্তানের বিপক্ষে টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক সিরিজে দক্ষতার থাকায় ব্যাটিংয়ের অবস্থান পরিবর্তন করে উপরের সারিতে চলে আসেন। এরফলে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে সফলতা নিয়ে আসে। এছাড়াও এ পদ্ধতির ক্রিকেটে নতুন বল হাতে নিয়ে বোলিংয়ে অগ্রসর হন।

অর্জনসমূহ[সম্পাদনা]

পিটার পেথেরিকের পর দ্বিতীয় নিউজিল্যান্ডীয় হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে হ্যাট্রিক করার কীর্তিগাথা রচনা করেন তিনি। ২০ অক্টোবর, ২০০৪ তারিখে বাংলাদেশের বিপক্ষে এ ঘটনাটি ঘটান। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ২ টেস্ট সিরিজের ১ম টেস্টের প্রথম ইনিংসে তিনি একে-একে মানজারুল ইসলাম রানা, মোহাম্মদ রফিক ও সর্বশেষে তাপস বৈশ্যকে বোল্ড করে টেস্ট ইতিহাসের ৩৫তম হ্যাট্রিক সম্পন্ন করেন।[১]

২০০৭ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে নিজস্ব প্রথম বলেই উইকেট লাভের বিরল কীর্তিগাথা রচনা করেন। এরফলে একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে ক্রিকেট বিশ্বকাপের অভিষেকে প্রথম বলেই উইকেট নেয়ার এ গৌরবময় ইতিহাস গড়েন।[২]

কাউন্টি ক্রিকেটে অংশগ্রহণ[সম্পাদনা]

২০০৬ সালে কাউন্টি ক্রিকেটে গ্ল্যামারগনের প্রতিনিধিত্ব করেন। এরপূর্বে ২০১৪ সালে গ্লুচেস্টারশায়ারের পক্ষে খেলেছিলেন। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ওয়েলিংটনের বিপক্ষে দুইবার দ্বি-শতক করেন। ২০০৫-০৬ মৌসুমে করেন ২০৮ ও ২০০৮-০৯ মৌসুমে করেন ২১৯ রান। ২০১২ সালের ফ্রেন্ডস লাইফ টি২০ প্রতিযোগিতায় এসেক্সের পক্ষাবলম্বন করেন।[৩]

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ তারিখে মিডলসেক্সের পক্ষে দুই-বছর মেয়াদে তার চুক্তিবদ্ধ হবার কথা ঘোষণা করা হয়। কার্যত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেয়া ফ্রাঙ্কলিন ক্লাব দলটির পক্ষে সকল স্তরের ক্রিকেটে অংশ নিবেন।

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত তিনি। ফ্রাঙ্কলিন কেরি’র সাথে পরিণয়সূত্র গড়ে তুলেন। নভেম্বর, ২০০৮ সালে ‘চার্লি’ নামের এক পুত্র সন্তানের জনক হন তিনি।[৪]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "New Zealand tour of Bangladesh, 2004/05 – 1st Test", ESPNcricinfo, সংগৃহীত ১১ জানুয়ারি ২০১৭
  2. Rajesh, S; Gopalakrishna, HR (১৬ মার্চ ২০০৭)। "Oram plunders England ... again"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১১ জানুয়ারি ২০১৭ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  3. "Essex sign James Franklin for t20"। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২১ এপ্রিল ২০১২ 
  4. "Sleepless Franklin expected to swing"। The Dominion Post। ৮ ডিসেম্বর ২০০৮। সংগ্রহের তারিখ ৮ ডিসেম্বর ২০১০ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]