বিষয়বস্তুতে চলুন

স্টিফেন বুক

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
স্টিফেন বুক
২০১৬ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে স্টিফেন বুক
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
স্টিফেন লুইস বুক
জন্ম(১৯৫১-০৯-২০)২০ সেপ্টেম্বর ১৯৫১
ডুনেডিন, নিউজিল্যান্ড
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনস্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স
ভূমিকাবোলার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ১৪০)
১০ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৮ বনাম ইংল্যান্ড
শেষ টেস্ট২৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৯ বনাম পাকিস্তান
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ২৭)
১৫ জুলাই ১৯৭৮ বনাম ইংল্যান্ড
শেষ ওডিআই২৭ অক্টোবর ১৯৮৭ বনাম অস্ট্রেলিয়া
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ৩০ ১৪ ১৬৪ ৬১
রানের সংখ্যা ২০৭ ৩০ ১,০৯২ ১১৮
ব্যাটিং গড় ৬.২৭ ১০.০০ ৮.৫৩ ৭.৩৭
১০০/৫০ ০/০ ০/০ ০/০ ০/০
সর্বোচ্চ রান ৩৭ ১২ ৩৭ ২১
বল করেছে ৬,৫৯৮ ৭০০ ৪০,৭০৭ ১,৮৩২
উইকেট ৭৪ ১৫ ৬৪০ ৮০
বোলিং গড় ৩৪.৬৪ ৩৪.২০ ২২.৩৬ ২২.৯০
ইনিংসে ৫ উইকেট ৪০
ম্যাচে ১০ উইকেট - -
সেরা বোলিং ৭/৮৭ ৩/২৮ ৮/৫৭ ৪/১৬
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১৪/- ৫/- ৮৩/- ২১/-
উৎস: ক্রিকইনফো.কম, ১৯ জানুয়ারি ২০১৮

স্টিফেন লুইস বুক, ওএনজেডএম (ইংরেজি: Stephen Boock; জন্ম: ২০ সেপ্টেম্বর, ১৯৫১) ডুনেডিনে জন্মগ্রহণকারী সাবেক নিউজিল্যান্ডীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ৩০ টেস্ট ও ১৪টি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন তিনি। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ওতাগো দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন স্টিফেন বুক[] দলে তিনি মূলতঃ স্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে ডানহাতে ব্যাটিং করতেন তিনি।

বার্ট সাটক্লিফের আত্মজীবনীকার ও ক্রীড়া সাংবাদিক রিচার্ড বুক এবং উপন্যাসে পুরস্কার বিজয়ী ও চিত্রনাট্যকার পলা বুক তার ভাই-বোন। ১৯৮৫ সালে ওয়েলিংটনে সফরকারী পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে অংশগ্রহণ করেন। এরপর প্রাইসওয়াটারহাউজকুপার্স টেস্ট ক্রিকেট র‌্যাঙ্কিংয়ে নিজস্ব সেরা ৯ম স্থান দখল করেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ওতাগো দলের পক্ষে খেলেছেন। স্লো বামহাতি অর্থোডক্স বোলিংয়ের অধিকারী স্টিফেন বুক কেবলমাত্র ছয়জন নিউজিল্যান্ডীয় খেলোয়াড়ের একজনরূপে ছয় শতাধিক প্রথম-শ্রেণীর উইকেট লাভে সক্ষমতা দেখিয়েছেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৮ সালে ওয়েলিংটনে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক ঘটে স্টিফেন বুকের। ঐ টেস্টে নিউজিল্যান্ড তাদের ক্রিকেটের ইতিহাসে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্ট জয়ে সক্ষম হয়। কয়েকমাস পর প্রথমবারের মতো বিদেশে টেস্ট সফরে যান। ইংল্যান্ডের ট্রেন্ট ব্রিজে অনুষ্ঠিত ঐ টেস্টে তিনি ২৮ ওভার বোলিং করে ১৮ মেইডেন দিয়ে ২৯ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট দখল করেন।

১৯৭৯-৮০ মৌসুমে ক্লাইভ লয়েডের নেতৃত্বাধীন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত সিরিজের প্রথম টেস্টে নাটকীয় জয়ে প্রভূতঃ ভূমিকা রাখেন তিনি। ডুনেডিনের কেরিসব্রুকে অনুষ্ঠিত খেলায় তিনি যখন ক্রিজে আসেন তখন নিউজিল্যান্ডের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল মাত্র চার রান ও দলীয় সংগ্রহ ছিল ১০০/৯। গ্যারি ট্রুপের সাথে জুটি গড়ে ঐতিহাসিক জয় তুলে নেয় নিউজিল্যান্ড দল। লেগ বাইয়ের সাহায্যে দলের রান সমানে আসলে বেশ বিতর্কের সৃষ্টি হয়। বিতর্কিত এ সফরে দূর্বল আম্পায়ারিত্বের অভিযোগ আনা হয়। ক্রাইস্টচার্চ ও অকল্যান্ডের পরবর্তী টেস্ট দুটোয় ড্র করে তার দল ১-০ ব্যবধানে সিরিজ জয়ে করে।

১৯৮৩-৮৪ মৌসুমে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো সিরিজ জয় করে। খেলার উল্লেখযোগ্য দিক ছিল ক্রাইস্টচার্চে তিনি ৪/৩৭ লাভ করেছিলেন। ১৯৮৪-৮৫ মৌসুমে পাকিস্তান সফরে যান। নিয়াজ স্টেডিয়ামে নিজস্ব সেরা বোলিং পরিসংখ্যান ৭/৮৭ দাঁড় করান। ১৯৮৫-৮৬ মৌসুমে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ব্ল্যাক ক্যাপসরা প্রথমবারের মতো সিরিজ জয় করে। এছাড়াও ব্যাট হাতে দূর্লভ সফলতা পান। এসসিজিতে অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে দশম উইকেট জুটিতে জন ব্রেসওয়েলের অপরাজিত ৮৩ রানের সাথে ব্যক্তিগত ৩৭ রানের কল্যাণে ১২৪ রান যুক্ত হয়। ঐ সিরিজটিতে নিউজিল্যান্ড ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জয় করে।

ক্রিকেট বিশ্বকাপ

[সম্পাদনা]

জেফ ক্রো’র অধিনায়কত্বে ভারত ও পাকিস্তানে যৌথভাবে অনুষ্ঠিত ক্রিকেট বিশ্বকাপের ৪র্থ আসরে দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন স্টিফেন বুক। তবে ঐ প্রতিযোগিতায় গ্রুপ পর্বে তৃতীয় স্থান দখল করায় শুরুতেই দলটিকে বিদায় নিতে হয়েছিল। শুধুমাত্র দূর্বলতম জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই নিউজিল্যান্ড জয়ী হয়েছিল।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]