উইলি ওয়াটসন (নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটার)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
উইলি ওয়াটসন
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামউইলিয়াম ওয়াটসন
জন্ম (1965-08-31) ৩১ আগস্ট ১৯৬৫ (বয়স ৫৮)
অকল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম
ভূমিকাবোলার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ১৫৯)
২৪ জুলাই ১৯৮৬ বনাম ইংল্যান্ড
শেষ টেস্ট১২ নভেম্বর ১৯৯৩ বনাম অস্ট্রেলিয়া
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ৫৪)
৫ এপ্রিল ১৯৮৬ বনাম শ্রীলঙ্কা
শেষ ওডিআই১৯ জানুয়ারি ১৯৯৪ বনাম অস্ট্রেলিয়া
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ১৫ ৬১ ৯৩ ১২৫
রানের সংখ্যা ৬০ ৮৬ ৪৭২ ১৭৩
ব্যাটিং গড় ৫.০০ ৭.৮১ ৮.৯০ ৯.১০
১০০/৫০ ০/০ ০/০ ০/০ ০/০
সর্বোচ্চ রান ১১ ২১ ৩৮* ২১
বল করেছে ৩,৪৮৬ ৩,২৫১ ১৭,৯৬৮ ৬,৪০৩
উইকেট ৪০ ৭৪ ২৭২ ১৫৯
বোলিং গড় ৩৪.৬৭ ৩০.৩৬ ২৭.৫১ ২৬.০৫
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ৬/৭৮ ৪/২৭ ৭/৬০ ৭/২৩
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৪/– ৯/– ২৩/– ১৫/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২২ মে ২০১৯

উইলিয়াম ওয়াটসন (ইংরেজি: Willie Watson; জন্ম: ৩১ আগস্ট, ১৯৬৫) অকল্যান্ডে জন্মগ্রহণকারী সাবেক নিউজিল্যান্ডীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার।[১][২][৩] নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৮৬ থেকে ১৯৯৪ সময়কালে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে অকল্যান্ড দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে কার্যকারী ব্যাটিংশৈলী উপস্থাপন করেছেন উইলি ওয়াটসন

খেলোয়াড়ী জীবন[সম্পাদনা]

১৯৮৪-৮৫ মৌসুম থেকে ১৯৯৪-৯৫ মৌসুম পর্যন্ত উইলি ওয়াটসনের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ১৫টি টেস্ট ও ৬১টি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পেয়েছিলেন উইলি ওয়াটসন। ১৯৮৬ সালে নিউজিল্যান্ড দলের সাথে ইংল্যান্ড গমন করেন। ২৪ জুলাই, ১৯৮৬ তারিখে লর্ডসে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১২ নভেম্বর, ১৯৯৩ তারিখে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্ট খেলেন তিনি।

রড ল্যাথাম, গেভিন লারসেনক্রিস হ্যারিসের সাথে মিডিয়াম পেস বোলিং করে দলে অবদান রেখে গেছেন। ১৫ টেস্টের মধ্যে মাত্র তিনটিতে বিজয়ী নিউজিল্যান্ড দলের সদস্য ছিলেন। ১৯৯০-৯১ মৌসুমে পাকিস্তান গমন করেন। লাহোর টেস্টে ৬/৭৮ নিয়ে দলকে নয় উইকেটে জয় এনে দেন।

১৯৮৬ সালে শ্রীলঙ্কা গমন করেন। ৫ এপ্রিল, ১৯৮৬ তারিখে কলম্বোয় স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওডিআই অভিষেক ঘটে তার। ৯-২-১৫-৩ বোলিং পরিসংখ্যান গড়ে নিউজিল্যান্ড দলকে জয়লাভে প্রভূতঃ সহায়তা করেন। অংশগ্রহণকৃত ৬১টি ওডিআইয়ের তিনটি খেলেন ছয় বছরের ব্যবধান নিয়ে।

ক্রিকেট বিশ্বকাপ[সম্পাদনা]

১৯৮৭ সালে জেফ ক্রো ও ১৯৯২ সালে মার্টিন ক্রো’র অধিনায়কত্বে ক্রিকেট বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ড দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। তন্মধ্যে, ১৯৯২ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে দূর্দান্ত খেলেন। দীপক প্যাটেলের সাথে বোলিং উদ্বোধনে নামতেন। এরপর ইনিংসে শেষদিকে আবারও বোলিং করতে আসতেন। ঐ বিশ্বকাপে বাদ-বাকী চারজন ২৫০.১ ওভার বোলিং করে ১০৪১ রান দেন। অন্যদিকে তিনি ৭৯ ওভারে মাত্র ৩.৮১ গড়ে রান দিয়েছিলেন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. List of New Zealand Test Cricketers
  2. "New Zealand Test Batting Averages"। ESPNCricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১২ মার্চ ২০১৭ 
  3. "New Zealand Test Bowling Averages"। ESPNCricinfo। সংগ্রহের তারিখ ১২ মার্চ ২০১৭ 

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]