জন ব্রেসওয়েল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জন ব্রেসওয়েল
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামজন গ্যারি ব্রেসওয়েল
জন্ম (1958-04-15) ১৫ এপ্রিল ১৯৫৮ (বয়স ৬৬)
অকল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি অফ ব্রেক
ভূমিকাবোলার, কোচ
সম্পর্কডডব্লিউ ব্রেসওয়েল, এমএ ব্রেসওয়েল, বিপি ব্রেসওয়েল (ভ্রাতা); ডিএজি ব্রেসওয়েল, এমজি ব্রেসওয়েল (ভাইপো)
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ১৪৭)
২৮ নভেম্বর ১৯৮০ বনাম অস্ট্রেলিয়া
শেষ টেস্ট১০ জুলাই ১৯৯০ বনাম ইংল্যান্ড
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ৪৬)
১১ জুন ১৯৮৩ বনাম পাকিস্তান
শেষ ওডিআই১ মে ১৯৯০ বনাম পাকিস্তান
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৮২–১৯৯০অকল্যান্ড এইসেস
১৯৮১–১৯৮২ওতাগো
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ৪১ ৫৩ ১৪৯ ১০৭
রানের সংখ্যা ১,০০১ ৫১২ ৪,৩৫৪ ১,৩৭৪
ব্যাটিং গড় ২০.৪২ ১৬.৫১ ২৫.৯১ ২০.২০
১০০/৫০ ১/৪ ০/০ ৪/২১ ০/৩
সর্বোচ্চ রান ১১০ ৪৩ ১১০ ৬৬
বল করেছে ৮,৪০৩ ২,৪৪৭ ৩২,৩৫১ ৫,০০১
উইকেট ১০২ ৩৩ ৫২২ ৯০
বোলিং গড় ৩৫.৮১ ৫৭.০৯ ২৬.৬৬ ৩৫.২৩
ইনিংসে ৫ উইকেট ৩৩
ম্যাচে ১০ উইকেট - -
সেরা বোলিং ৬/৩২ ২/৩ ৮/৮১ ৩/১৯
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৩১/– ১৯/– ১২৫/– ৪০/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৩০ এপ্রিল ২০১৫

জন গ্যারি ব্রেসওয়েল (ইংরেজি: John Bracewell; জন্ম: ১৫ এপ্রিল, ১৯৫৮) অকল্যান্ডে জন্মগ্রহণকারী নিউজিল্যান্ডের প্রথিতযশা ও সাবেক নিউজিল্যান্ডীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। বর্তমানে তিনি কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। জন ব্রেসওয়েল ১৯৭৯-৮০ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের পক্ষে টেস্ট ক্রিকেটএকদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন।

দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি অফ ব্রেক বোলার হিসেবে ছিলেন। এছাড়াও ডানহাতে ব্যাটিংয়ে পারদর্শীতা দেখান তিনি। ঘরোয়া ক্রিকেটে অকল্যান্ড ও ওতাগো দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। তার ভাই ব্রেন্ডন টেস্ট ক্রিকেটে নিউজিল্যান্ড দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। এছাড়াও তার অন্য দুই ভাই ডগলাস ও মার্ক এবং ভাইপো মাইকেল ব্রেসওয়েল প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশ নিয়েছেন। টেস্ট দলের অন্যতম সদস্য ডগ ব্রেসওয়েলের কাকা তিনি।[১]

খেলোয়াড়ী জীবন[সম্পাদনা]

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অকল্যান্ডওতাগো দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলগুলোয় অবস্থানকালে ৪,৩৫৪ রান সংগ্রহ করেন। এছাড়াও চারটি প্রথম-শ্রেণীর শতরান রয়েছে তার। এছাড়াও ৫২২টি প্রথম-শ্রেণীর উইকেট পান।[১]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে নিচেরসারিতে ব্যাটিংয়ে নেমে টেস্টে ১,০০১ ও একদিনের আন্তর্জাতিকে ৫১২ রান সংগ্রহ করেছেন তিনি। পাশাপাশি টেস্টে ১০২ ও একদিনের আন্তর্জাতিকে ৩৩ উইকেট লাভ করেন।[১] কিন্তু একদিনের আন্তর্জাতিকের খেলোয়াড়ী জীবনে কোন অর্ধ-শতক কিংবা তিন-উইকেট লাভ করা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।[২] ৭ আগস্ট, ১৯৮৬ তারিখে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ১১০ রানের একমাত্র সেঞ্চুরি করেন।[৩]

কোচ[সম্পাদনা]

২০০৩-এর শরৎকাল থেকে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০০৬-০৭ মৌসুমে দল নির্বাচনে তার ভূমিকা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। সফরকারী শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২-২ ব্যবধানে সিরিজে সমতা আসলেও নিউজিল্যান্ডের শীর্ষসারির ব্যাটসম্যানদের কাছ থেকে আশানুরূপ সাফল্য আসেনি। তন্মধ্যে ঐ সিরিজেই একদিনের আন্তর্জাতিকে মাত্র ৭৩ রানে অল-আউট হয় নিউজিল্যান্ড। তারপরও ঘূর্ণায়মান নীতির আওতায় তিনি একদিনের আন্তর্জাতিকে দল নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশ নেন। এরফলে স্থানীয় প্রচারমাধ্যমে বেশ সমালোচনার সৃষ্টি হয় ও খেলোয়াড়গণ আন্তর্জাতিক পর্যায়ের জন্য মানসম্পন্ন নয়।

২৯ এপ্রিল, ২০১৫ তারিখে ক্রিকেট আয়ারল্যান্ড কর্তৃপক্ষ কর্তৃক তাকে আয়ারল্যান্ড ক্রিকেট দলের প্রধান কোচরূপে ঘোষণা করা হয়। তিনি ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ফিল সিমন্সের স্থলাভিষিক্ত হন।[৪] পরবর্তীতে চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাবার পর ডিসেম্বর, ১৯১৭ সালে গ্রাহাম ফোর্ডকে স্থলাভিষিক্ত করা হয়।

বিতর্ক[সম্পাদনা]

অস্ট্রেলীয় ফাস্ট-বোলার শন টেইটকে চাকাররূপে আখ্যায়িত করে বেশ বিতর্কিত ব্যক্তিত্বে পরিণত হন তিনি। এরফলে ক্রিকেট ভক্তদের কাছ থেকে সমালোচিত হন। এছাড়াও হোবার্টে পারিবারিক কারণে একদিনের খেলায় অ্যাডাম গিলক্রিস্টকে শূন্য রানে আউটের ব্যাপারে তার হস্তক্ষেপ ছিল বলে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু অল্পসময় পরই ব্রেসওয়েল তার এ মন্তব্য প্রত্যাহার করেন ও আনুষ্ঠানিকভাবে দুঃখপ্রকাশ করেন।[৫]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Smyth, Rob (জানুয়ারি ২০০৯)। "Player Profile: John Bracewell"। CricInfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-১০-১৪ 
  2. Basevi, Travis; George Binoy (১৪ অক্টোবর ২০০৯)। "Fifty-three ODIs without a fifty or a three-for"। CricInfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-১০-১৪ 
  3. "Statistics / Statsguru / JG Bracewell / Test matches"। CricInfo। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-১০-১৪ 
  4. "John Bracewell Named as Ireland Coach, April 29th 2015"। ২০ মে ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জানুয়ারি ২০১৭ 
  5. "Braces apologises for Gilchrist rumour"The Sydney Morning Herald। ২২ জুন ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ অক্টোবর ২০১১ 

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

পূর্বসূরী:
ফিল সিমন্স
আয়ারল্যান্ড ক্রিকেট দলের কোচ
২০১৫-২০১৭
উত্তরসূরী:
গ্রাহাম ফোর্ড