বাহুন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
পার্বত্য ব্রাহ্মণ
বাহুন
নেপালের একজন বাহুন (পার্বত্য ব্রাহ্মণ) পুরোহিত
উল্লেখযোগ্য জনসংখ্যার অঞ্চল
   Nepal৩,২২৬,৯০৩ জন, নেপালের ১২.২% (২০১১)[১]
ভাষা
নেপালি (খাস-কুড়া), সংস্কৃত, দোতেলি
ধর্ম
হিন্দু ধর্ম ৯৯.৫৬% (২০১১)

বাহুন ( নেপালি: बाहुन) বা খাস ব্রাহ্মণ ( নেপালি: खस ब्राह्मण) হলো খাস জাতিগোষ্ঠীর একটি বর্ণ যার উৎস হল আদি নেপালের ইন্দো-আর্য জনগোষ্ঠী[২] ২০১১ সালের নেপালের জনশুমারি অনুসারে নেপালে ছেত্রির পরে বাহুন হল দ্বিতীয় বৃহত্তম জনবহুল গোষ্ঠী।[৩]

১৮৫৪ মুলুকি আইন (নেপালি আইনি কোড) অনুসারে, বাহুনরা তাগাধারি এবং দ্বিজা হিন্দুদের মধ্যবর্তী বর্ণ হিসাবে বিবেচিত হত।[৪]

উপনয়ন অনুষ্ঠানে একজন বহুন (ব্রাহ্মণ) ব্যক্তি

উৎস[সম্পাদনা]

ঐতিহ্যগতভাবে বাহুনরা ছেত্রির সাথে খাস (খাস ক্ষত্রিয়) সম্প্রদায়ের সদস্য ছিল।[২] সম্ভবত খাস মল্ল রাজ্যের রাজনৈতিক শক্তির কারণে খাস বাহুন এবং খাস রাজপুতরা (ছেত্রি) বর্তমান পশ্চিম নেপালের আদিবাসী সাধারণ ব্রাহ্মণ ও রাজপুত হিসাবে সামাজিক উচ্চমর্যাদা পেয়েছিল।[২] ছেত্রির সাথে একত্রে উচ্চ শ্রেণির খাস গোষ্ঠী হিসাবে বিবেচিত বাহুনদের বেশিরভাগই গোর্খা রাজ্যের সাথে যুক্ত ছিল।[৫] কমি, সরকি ইত্যাদি নিম্নবর্ণের তুলনায় বাহুনকে (ছেত্রি বর্ণ সহ)বেশিরভাগ ক্ষেত্রে খাসের উপজাতি হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।[৫][৬]

জনসংখ্যা[সম্পাদনা]

২০১১ সালের নেপালের জনশুমারি অনুসারে, নেপালের মোট জনসংখ্যার ১২.২ শতাংশ ব্যক্তি ছেত্রি গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত, সংখ্যার হিসেবে যা ৩২,২৬,৯০৩ জন।[৭] সংখ্যাগরিষ্ঠ ছেত্রির পরে দ্বিতীয় জনবহুল হিন্দু গোষ্ঠী হল বাহুন (পাহাড়ি ব্রাহ্মণ নামে পরিচিত)[৭] যার জনসংখ্যা ৩২,১২,৭০৪। [৭] নেপালের ১৫ টি জেলাতে বাহুনরা সংখ্যাগরিষ্ঠ, জেলাগুলো হল- ঝাপা, মোরং, কাঠমান্ডু (২৩.৫%), চিতবন, নবলপরাসী, রূপন্দেহী, কাস্কী (২৭.৮%), স্যাংজা (৩০.৯%), পর্বত (৩৫.৭%), গুল্মী (২৫.২%) এবং অর্ঘাখাঁচী (৩২.৮%)।[৭]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Nepal Census 2011" (পিডিএফ)। ২০১৭-০৯-১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৪-০৯ 
  2. John T Hitchcock (১৯৭৮)। "An Additional Perspective on the Nepali Caste System"। James F. Fisher। Himalayan Anthropology: The Indo-Tibetan Interface। Walter de Gruyter। আইএসবিএন 978-90-279-7700-7 
  3. "Nepal Census 2011" (পিডিএফ) 
  4. Sherchan, Sanjay (২০০১)। Democracy, pluralism and Change: An Inquiry into Nepalese context। Chhye Pahhuppe। আইএসবিএন 9789993354390 
  5. Whelpton, John (২০০৫)। A History of Nepal। Cambridge University Press। আইএসবিএন 978-0521804707 
  6. "Nepal - The people"Encyclopedia Britannica 
  7. "Nepal Census 2011" (পিডিএফ)। ২০১৭-০৯-১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১১-২৬