বিষয়বস্তুতে চলুন

লিভারপুল ফুটবল ক্লাব

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(Liverpool F.C. থেকে পুনর্নির্দেশিত)
লিভারপুল
পূর্ণ নামলিভারপুল ফুটবল ক্লাব
ডাকনামদ্য রেডস
প্রতিষ্ঠিত জুন ১৮৯২; ১৩৩ বছর আগে (1892-06-03)[]
মাঠঅ্যানফিল্ড
ধারণক্ষমতা৬১,২৭৩
সভাপতিমার্কিন যুক্তরাষ্ট্র টম ওয়ার্নার
ম্যানেজারনেদারল্যান্ডস আর্নে স্লট
লিগপ্রিমিয়ার লিগ
২০২৩–২৪৩য়
ওয়েবসাইটক্লাব ওয়েবসাইট
বর্তমান মৌসুম

লিভারপুল ফুটবল ক্লাব (ইংরেজি: Liverpool F.C.; সাধারণত লিভারপুল এফ.সি. এবং সংক্ষেপে লিভারপুল নামে পরিচিত) হচ্ছে লিভারপুল ভিত্তিক একটি ইংরেজ পেশাদার ফুটবল ক্লাব। এই ক্লাবটি বর্তমানে ইংল্যান্ডের শীর্ষ স্তরের ফুটবল লিগ প্রিমিয়ার লিগে প্রতিযোগিতা করে। এটি ইংল্যান্ডের সবচেয়ে সফল ক্লাব। এই ক্লাবটি ১৮৯২ সালের ৩রা জুন তারিখে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ৫৭,৩৩২ ধারণক্ষমতাবিশিষ্ট অ্যানফিল্ডে দ্য রেডস নামে পরিচিত ক্লাবটি তাদের সকল হোম ম্যাচ আয়োজন করে থাকে।[] বর্তমানে এই ক্লাবের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন জার্মান সাবেক ফুটবল খেলোয়াড় ইয়ুর্গেন ক্লপ এবং সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন টম ওয়ার্নার[] বর্তমানে ওলন্দাজ রক্ষণভাগের খেলোয়াড় ফিরজিল ফন ডাইক এই ক্লাবের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন।[][]

ঘরোয়া ফুটবলে, লিভারপুল এপর্যন্ত ৫৭টি শিরোপা জয়লাভ করেছে; যার মধ্যে উনিশটি প্রিমিয়ার লিগ, আটটি এফএ কাপ এবং ষোলোটি এফএ কমিউনিটি শিল্ড শিরোপা রয়েছে। অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায়, এপর্যন্ত ১৩টি শিরোপা জয়লাভ করেছে; যার মধ্যে ছয়টি উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ, তিনটি উয়েফা ইউরোপা লিগ এবং চারটি উয়েফা সুপার কাপ শিরোপা রয়েছে। ইয়ান ক্যালাহান, জেমি ক্যারাঘার, স্টিভেন জেরার্ড, ইয়ান রাশ এবং রজার হান্টের মতো খেলোয়াড়গণ লিভারপুলের জার্সি গায়ে মাঠ কাঁপিয়েছেন।

ক্লাব রেকর্ড ও পরিসংখ্যান

[সম্পাদনা]

ইয়ান ক্যালাহান লিভারপুলের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৪৮টি ম্যাচ খেলেছেন ১৯৫৮-৭৮ পর্যন্ত ১৯টি মৌসুমে। ৬৪০টি লিগ খেলার রেকর্ডও তার দখলে। বর্তমান একাদশে ৪১৯ ম্যাচ খেলার রেকর্ড আছে জেমি ক্যারেঘার এর (১৯ আগস্ট, ২০০৬ পর্যন্ত)। ক্যারেঘারের ২৯০টি প্রিমিয়ার লিগ খেলাও একটি ক্লাব রেকর্ড।

লিভারপুলের হলে সব সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গোল করেছেন ইয়ান রাশ, যিনি ৩৪৬টি গোল করেছেন ১৯৮০-১৯৮৭ ও ১৯৮৮-১৯৯৬ মৌসুমগুলোতে। ১৯৮৩-৮৪ তে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ ৪৭ গোল দেয়ার রেকর্ডও তার। যদিও রাশ সর্বোচ্চ লিগ গোল দেয়ার রেকর্ড গড়তে পারেননি। এ রেকর্ড গড়েছেন রজার হান্ট ১৯৭০ সাল পর্যন্ত ২৪৫ গোল দিয়ে। ১৯৬১-৬২ মৌসুমে ৪১ গোল দিয়ে হান্ট এক মৌসুমে সর্বোচ্চ লিগ গোল দেন। গর্ডন হজ্‌সন ক্লাবের তৃতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা ১৭টি হ্যাট্রিক করে সর্বোচ্চ হ্যাট্রিকের রেকর্ডধারী। এক খেলায় সর্বোচ্চ ৫ গোল করেছেন এন্ডি ম্যাকগিগান, জন ইভানস, ইয়ান রাশ ও রবি ফাউলার। রবি ফাউলার ক্লাব ও প্রিমিয়ার লিগের রেকর্ড করেছেন দ্রুততম ৪ মিনিট, ৩২ সেকেন্ডে হ্যাট্রিক করে (আর্সেনাল এর বিপক্ষে)।

লিভারপুলের সবচেয়ে বড় জয় ১১-০ ব্যবধানে ১৯৭৪ সালে। গোলকীপার ছাড়া দশজনের মধ্যে নয়জনই এতে গোল করেন - একটি লিভারপুল রেকর্ড। ১৯৮৯ সালে ক্রিস্টাল প্যালেসের সাথে লিভারপুল সবচেয়ে বড় ব্যবধানে লিগ খেলা জিতে ৯-০ তে। লেস্টারের সাথে জয়ের পর অ্যানফিল্ডে লিভারপুলের অপরাজিত থাকার ধারা বর্তমানে ঠেকেছে ৬৪-তে। ক্লাবের ইতিহাসে যেটা নতুন রেকর্ড।[] ১৯৮১ সালে এই লেস্টার সিটির আকছে হেরেই বব পেইসলির লিভারপুলের অ্যানফিল্ডের ৬৩ ম্যাচ অপরাজিত থাকার ধারায় ছেদ পড়েছিল।[]

বর্তমান দল

[সম্পাদনা]
৩১ জানুয়ারি ২০২৩ পর্যন্ত হালনাগাদকৃত।

টীকা: পতাকা জাতীয় দল নির্দেশ করে যা ফিফার যোগ্যতার নিয়মের অধীনে নির্ধারিত হয়েছে। খেলোয়াড়দের একাধিক জাতীয়তা থাকতে পারে যা ফিফা ভুক্ত নয়।

নং অবস্থান খেলোয়াড়
গো ব্রাজিল অ্যালিসন বেকার
ইংল্যান্ড জো গোমেজ
ব্রাজিল ফাবিনিও
নেদারল্যান্ডস ভার্জিল ফন ডাইক (৩য় অধিনায়ক)
ফ্রান্স ইব্রাহিমা কোনাতে
স্পেন থিয়াগো আল্কান্তারা
ইংল্যান্ড জেমস মিলনার (সহ-অধিনায়ক)
গিনি ন্যাবি কেইতা
ব্রাজিল রবার্তো ফার্মিনো
১১ মিশর মোহামেদ সালাহ
১৩ গো স্পেন আদ্রিয়ান
১৪ ইংল্যান্ড জর্ডান হেন্ডারসন (অধিনায়ক)
১৫ ইংল্যান্ড অ্যালেক্স অক্সলেড-চেম্বারলেইন
১৭ ইংল্যান্ড কার্টিস জোন্স
১৮ নেদারল্যান্ডস কোডি গ্যাকপো
নং অবস্থান খেলোয়াড়
১৯ ইংল্যান্ড হার্ভি এলিয়ট
২০ পর্তুগাল দিয়োগো জোটা
২১ গ্রিস কস্তাস সিমিকাস
২২ স্কটল্যান্ড ক্যালভিন র‍্যামসে
২৩ কলম্বিয়া লুইস দিয়াজ
২৬ স্কটল্যান্ড অ্যান্ড্রু রবার্টসন
২৭ উরুগুয়ে দারউইন নুনিয়েজ
২৮ পর্তুগাল ফাবিও কার্ভালিও
২৯ ব্রাজিল আর্থুর মেলো
৩২ ক্যামেরুন জোয়েল মাতিপ
৪৬ ইংল্যান্ড রিস উইলিয়ামস
৪৭ ইংল্যান্ড নেথানিয়েল ফিলিপস
৬২ গো প্রজাতন্ত্রী আয়ারল্যান্ড কুইভিন কেলেহার
৬৬ ইংল্যান্ড ট্রেন্ট আলেকজান্ডার-আর্নল্ড

ধারে অন্য দলে

[সম্পাদনা]

টীকা: পতাকা জাতীয় দল নির্দেশ করে যা ফিফার যোগ্যতার নিয়মের অধীনে নির্ধারিত হয়েছে। খেলোয়াড়দের একাধিক জাতীয়তা থাকতে পারে যা ফিফা ভুক্ত নয়।

নং অবস্থান খেলোয়াড়
৭২ নেদারল্যান্ডস সেপ ফন ডেন বার্গ (শাল্কে ০৪ এ ৩০ জুন ২০২৩ পর্যন্ত)
৯৭ গো ব্রাজিল মার্সেলো পিতালুগা (ম্যাকলসফিল্ডে ৩০ জুন ২০২৩ পর্যন্ত)

স্মরণীয় সাবেক খেলোয়াড়

[সম্পাদনা]

বর্তমান স্টাফ

[সম্পাদনা]
ম্যানেজারইয়ুর্গেন ক্লপ
প্রথম সহকারী ম্যানেজারজ়েলিয়েকো বুভাচ
দ্বিতীয় সহকারী ম্যানেজারপিটার ক্রাউইটজ়
প্রথম দলের গোলরক্ষক কোচজন আখটারবার্গ
হেড ফিজিওআন্দ্রে কর্নমায়ের

ম্যানেজার

[সম্পাদনা]
২১ মে ২০১৭ পর্যন্ত হালনাগাদকৃত।
নাম জাতীয়তা দায়িত্ব শুরু দায়িত্ব শেষ রেকর্ড
খেলাজয়ড্রপরাজয়
ডব্লিউ. ই. বার্কলেজন ম্যাককেনা[] ইংল্যান্ড আগস্ট ১৮৯২ জুলাই ১৮৯৬ ১০১৫৮১৭২৬
টম ওয়াটসন ইংল্যান্ড আগস্ট ১৮৯৬ মে ১৯১৫ ৭৪০৩২৭১৪১২৭২
ডেভিড এশওর্থ ইংল্যান্ড ডিসেম্বর ১৯২০ ফেব্রুয়ারি ১৯২৩ ৫৮২৫২৪
ম্যাট ম্যাককুইন স্কটল্যান্ড ফেব্রুয়ারি ১৯২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯২৮ ২২৯৯৪৬১৭৪
জর্জ প্যাটারসন ইংল্যান্ড ফেব্রুয়ারি ১৯২৮ মে ১৯৩৬ ৩৭০১৩৯৮৬১৪৫
জর্জ কে ইংল্যান্ড মে ১৯৩৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৫১ ৩৫৯১৪৩৯৩১২৩
ডন ওয়েলস ইংল্যান্ড মার্চ ১৯৫১ মে ১৯৫৬ ২৩৪৮২৬০৯২
ফিল টেইলর ইংল্যান্ড মে ১৯৫৬ নভেম্বর ১৯৫৯ ১৫৩৭৭৩২৪৪
বিল শ্যাঙ্কলি স্কটল্যান্ড ডিসেম্বর ১৯৫৯ ১৯৭৪ ৭৫৩৩৯৩১৮৫১৭৫
বব পেইসলি ইংল্যান্ড জুলাই ১৯৭৪ মে ১৯৮৩ ৪৯০২৭৫১২৪৯১
জো ফ্যাগান ইংল্যান্ড মে ১৯৮৩ মে ১৯৮৫ ১২২৬৫৩৪২৩
কেনি ড্যালগ্লিশ স্কটল্যান্ড মে ১৯৮৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৯১ ২৯৭১৮০৭৬৪১
রনি মোরান[] ইংল্যান্ড ফেব্রুয়ারি ১৯৯১ এপ্রিল ১৯৯১ ১০
গ্রায়েম সাউনেস স্কটল্যান্ড এপ্রিল ১৯৯১ জানুয়ারি ১৯৯৪ ১৫৭৬৫৪৭৪৫
রয় ইভানস ইংল্যান্ড জানুয়ারি ১৯৯৪ জুলাই ১৯৯৮ ২২৬১১৬৫৭৫৩
রয় ইভানসজেরার্ড হাউলির[] ইংল্যান্ড / ফ্রান্স জুলাই ১৯৯৮ নভেম্বর ১৯৯৮ ১৮
জেরার্ড হাউলির[] ফ্রান্স নভেম্বর ১৯৯৮ মে ২০০৪ ৩০৭১৬০৭৩৭৪
রাফায়েল বেনিটেজ স্পেন জুন ২০০৪ জুন ২০১০ ৩৫০১৯৭৭৪৭৯
রয় হডসন ইংল্যান্ড জুলাই ২০১০ জানুয়ারি ২০১১ ৩১১৩১০
কেনি ডালগ্লিস স্কটল্যান্ড জানুয়ারি ২০১১ মে ২০১২ ৭৪৩৫১৭২২
ব্রেন্ডান রজারস্ উত্তর আয়ারল্যান্ড মে ২০১২ অক্টোবর ২০১৫ ১৬৬৮৫৩৯৪২
ইয়ুর্গেন ক্লপ জার্মানি অক্টোবর ২০১৫ বর্তমান ৯৯৫০২৮২১

সম্মাননা

[সম্পাদনা]
  • ফূটবল লিগ খেতাবঃ ১৯
    • ১৯০১, ১৯০৬, ১৯২২, ১৯২৩, ১৯৪৭, ১৯৬৪, ১৯৬৬, ১৯৭৩, ১৯৭৬, ১৯৭৭, ১৯৭৯, ১৯৮০, ১৯৮২, ১৯৮৩, ১৯৮৪, ১৯৮৬, ১৯৮৮, ১৯৯০, ২০২০
  • ফূটবল লিগ দ্বিতীয় বিভাগ খেতাবঃ ৪
    • ১৮৯৪, ১৮৯৬, ১৯০৫, ১৯৬২
  • ল্যাঙ্কাশায়ার লিগ খেতাবঃ
    • ১৮৯৩
  • ইউরোপীয়ান কাপ (বর্তমানে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ) খেতাবঃ ৬
    • ১৯৭৭, ১৯৭৮, ১৯৮১, ১৯৮৪, ২০০৫,২০১৯
  • উয়েফা কাপঃ ৩
    • ১৯৭৩, ১৯৭৬, ২০০১
  • এফএ কাপঃ ৭
    • ১৯৬৫, ১৯৭৪, ১৯৮৬, ১৯৮৯, ১৯৯২, ২০০১, ২০০৬
  • এফএ যুব কাপঃ ২
    • ১৯৯৬, ২০০৬
  • লিগ কাপঃ ৮
    • ১৯৮১, ১৯৮২, ১৯৮৩, ১৯৮৪, ১৯৯৫, ২০০১, ২০০৩, ২০১২
  • কমিউনিটি শিল্ডঃ ১৫
    • ১৯৬৪ (যৌথ), ১৯৬৫ (যৌথ), ১৯৬৬, ১৯৭৪, ১৯৭৬, ১৯৭৭ (যৌথ), ১৯৭৯, ১৯৮০, ১৯৮২, ১৯৮৬ (যৌথ), ১৯৮৮, ১৯৮৯, ১৯৯০ (যৌথ), ২০০১, ২০০৬

রানার আপ: ২০২০

  • ইউরোপীয়ান সুপার কাপঃ ৩
    • ১৯৭৭, ২০০১, ২০০৫
  • সুপার কাপঃ ১
    • ১৯৮৬

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Happy birthday LFC? Not quite yet..."Liverpool FC। ১৪ মার্চ ২০১৪। ১৭ আগস্ট ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০২৩Liverpool F.C. was born on 3 June 1892. It was at John Houlding's house in Anfield Road that he and his closest friends left from Everton FC, formed a new club.
  2. https://www.transfermarkt.com/fc-liverpool/stadion/verein/31/saison_id/2023
  3. https://www.transfermarkt.com/fc-liverpool/kader/verein/31/saison_id/2023
  4. https://www.liverpoolfc.com/team/mens
  5. https://www.worldfootball.net/teams/liverpool-fc/2024/2/
  6. 1 2 ডেস্ক, প্যাভিলিয়ন। "লেস্টারকে হারিয়ে অ্যানফিল্ডে নতুন মাইলফলক লিভারপুলের"প্যাভিলিয়ন। ১৯ জানুয়ারি ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৩ নভেম্বর ২০২০ {{ওয়েব উদ্ধৃতি}}: |শেষাংশ= প্যারামিটারে সাধারণ নাম রয়েছে (সাহায্য)
  7. 1 2 যুগ্ম ম্যানেজার
  8. তত্ত্বাবধায়ক ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত
  9. হাউলির অক্টোবর ২০০১ থেকে ফেব্রুয়ারি ২০০২ পর্যন্ত অসুস্থতাজনিত কারণে অনুপস্থিত ছিলেন। এসময় ফিল থম্পসন অস্থায়ী ম্যানেজার (খে৩৩ জ১৬ ড্র১২ প৫) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এই পরিসংখ্যান হাউলির রেকর্ডে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]