ওলাঁপিক দ্য মার্সেই
পূর্ণ নাম | ওলাঁপিক দ্য মার্সেই | |||
---|---|---|---|---|
ডাকনাম | লেজোলাঁপিয়াঁ, লে ফোসেয়াঁ | |||
প্রতিষ্ঠিত | ১৮৯৯ | |||
মাঠ | স্তাদ ভেলোদ্রোম মার্সেই | |||
ধারণক্ষমতা | ৬৭,৩৯৪ | |||
মালিক | ফ্রাংক ম্যাককোর্ট (৯৫%) মার্গারিটা লুই-দ্রয়ফুস (৫%)[১] | |||
সভাপতি | জাক-অঁরি এরো | |||
প্রধান কোচ | আন্দ্রে ভিয়া-বোয়া | |||
লিগ | লিগ ১ | |||
২০১৯–২০ | ২য় | |||
ওয়েবসাইট | ক্লাব ওয়েবসাইট | |||
| ||||
ওলাঁপিক দ্য মার্সেই[টীকা ১] (অলিম্পিক মার্সেই নামেও পরিচিত) ফরাসি পেশাদার ফুটবল দল। এই ক্লাবটি বর্তমানে ফ্রান্সের শীর্ষ স্তরের ফুটবল লিগ লিগ ১-এ খেলে। এই ক্লাবটি ১৮৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এটি ফ্রান্সের ফুটবলের সর্ববৃহৎ এবং সবচেয়ে বেশি সাফল্যধারী ক্লাব। ওলাঁপিক মার্সেই তাদের সকল হোম ম্যাচ মার্সেইয়ের স্তাদ ভেলোদ্রোমে খেলে থাকে; যার ধারণক্ষমতা হচ্ছে ৬৭,৩৯৪। বর্তমানে এই ক্লাবের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন আন্দ্রে ভিয়া-বোয়া এবং সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন জাক-অঁরি এরো। ফরাসি গোলরক্ষক স্তিভ মঁদন্দা এই ক্লাবের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন।
এই ক্লাবটি ১০টি লিগ শিরোপা (৯ বার লিগ ১), ১০টি কুপ দ্য ফ্রঁস এবং তিনটি কুপ দ্য লা লিগ জয় করেছে। ১৯৯৩ সালে কোচ রেমোঁ গোতলের অধীনে দলটি এসি মিলানকে ১-০ গোলে হারিয়ে প্রথম এবং একমাত্র ফরাসি ক্লাব হিসেবে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা অর্জন করে। ২০১০ সালে মার্সেই প্রায় ১৮ বছর পর তাদের সাবেক ক্যাপ্টেনের দিদিয়ে দেশঁর অধীনে লিগ ওয়ান শিরোপা জিতে।[২]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]ফরাসি ক্রীড়া কর্মকর্তা রনে দ্যুফোর দ্য মঁতমিরাই ১৮৯২ সালে ওলাঁপিক দ্য মার্সেই প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠার পরের পাঁচ বছর দলটি স্পোর্টিং ক্লাব, ইউএস ফোসেন ও ফুটবল ক্লাব দ্য মার্সেই নামে পরিচিত ছিল। ১৮৯৯ সালে মার্সেই শহরের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ওলাঁপিক দ্য মার্সেই নামটি গৃহীত হয়, ওলাঁপিক নামটি এসেছে প্রাচীন অলিম্পিক গেমস থেকে।
ল্য ক্লাসিক
[সম্পাদনা]ল্য ক্লাসিক হল পারি সাঁ-জেরমাঁ ও ওলাঁপিক দ্য মার্সেইয়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগিতামূলক ফুটবল ম্যাচ। ল্য ক্লাসিক শব্দটি রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনার মধ্যে অনুষ্ঠিত এল ক্লাসিকোর আদলে নামকরণ করা হয়েছে। সকল খেলার বড় প্রতিযোগিতার মত পিএসজি ও মার্সেইয়ের মধ্যকার প্রতিযোগিতাও মাঠের বাইরে বিরাজমান। ফরাসি এই ক্লাসিকোর ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক গুরুত্ব রয়েছে, যা একে কেবল একটি ফুটবল খেলা থেকেও বেশি কিছু হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।[৩] পিএসজি ফ্রান্সের রাজধানী ও উত্তরে অবস্থিত এবং মার্সেই ভূমধ্যসাগরীয় উপকূলে দেশটির দক্ষিণ দিকে অবস্থিত হওয়ায় এই প্রতিযোগিতাকে "উত্তর বনাম দক্ষিণ" হিসেবেও অভিহিত করা হয়। পিএসজি ও মার্সেই কেবল দুটি ফরাসি ক্লাব যারা ইউরোপীয় শিরোপা জিতেছে, তন্মধ্যে মার্সেই ১৯৯৩ সালে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ এবং পিএসজি ১৯৯৬ সালে উয়েফা কাপ উইনার্স কাপ জয় করে। সাম্প্রতিক উত্থান-পতন সত্ত্বেও, পিএসজি ও মার্সেইয়ের মধ্যে তুমুল প্রতিযোগিতা বিরাজমান, যা এই ম্যাচটিতে বিশেষ পরিবেশ সৃষ্টি করতে সাহায্য করে।[৩][৪] "ল্য ক্লাসিক" ল্য ক্লাসিকো" নামেও পরিচিত।[৫]
সম্মাননা
[সম্পাদনা]মার্সেই দশবার ফরাসি জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ জয় করেছে, তন্মধ্যে নয়টি লিগ ওয়ান শিরোপা।[৬] মার্সেই ১০টি শিরোপা জয় করে কুপ দ্য ফ্রঁস শিরোপা জয়ের দিক থেকে দ্বিতীয়।[৭] মার্সেই ১৯৭২ ও ১৯৮৯ সালে দুইবার চ্যাম্পিয়নশিপ ও কাপ ডাবল জিতেছে।[৮] তারা একমাত্র ফরাসি দল হিসেবে ১৯৯৩ সালে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা অর্জন করে।[৯]
টীকা
[সম্পাদনা]- ↑ এই ফরাসি নামটির বাংলা প্রতিবর্ণীকরণে উইকিপিডিয়া:বাংলা ভাষায় ফরাসি শব্দের প্রতিবর্ণীকরণ-এ ব্যাখ্যাকৃত নীতিমালা অনুসরণ করা হয়েছে।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "L'OM vendu 45 millions d'euros par Margarita Louis-Dreyfus à Frank McCourt"। L'Équipe। ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬।
- ↑ লরেন্স, অ্যামি (৬ মে ২০১০)। "Didier Deschamps the renaissance man lifts Marseille to the heights"। দ্য গার্ডিয়ান (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৬ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ ক খ "France's passion play"। ফিফা (ইংরেজি ভাষায়)। ২৯ মে ১৯৯৩। ২৪ জানুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ মিসিরোলি, আন্তোনিও (১ মার্চ ২০০২)। "European football cultures and their integration: the'short' Twentieth Century"। ইইউ ইনস্টিটিউট অব সিকিউরিটি স্টাডিজ। ৮ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ "Historique des Marseille-Paris en championnat"। ওহাই-মি প্যাশন (ফরাসি ভাষায়)। ২২ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ François Mazet and Frédéric Pauron। "France – List of Champions"। আরএসএসএসএফ। সংগ্রহের তারিখ ১৬ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ François Mazet and Frédéric Pauron। "France – List of Cup Finals"। আরএসএসএসএফ। সংগ্রহের তারিখ ১৬ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ Stokkermans, Karel। "Doing the Double: Total Number of Domestic Doubles"। আরএসএসএসএফ। সংগ্রহের তারিখ ১৬ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ "1992/93: French first for Marseille"। উয়েফা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ এপ্রিল ২০২০।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- (ফরাসি) (ইংরেজি) Official site
- (ফরাসি) A Jamais Pour L'OhèMe !
- (ফরাসি) LePhoceen – first E-media of Marseille
- (ফরাসি) (ইংরেজি) Supporters de Marseille
- (ফরাসি) OMplanète – Best of Marseille (unofficial site)
- (ফরাসি) (ইংরেজি) Marseille fans worldwide (unofficial site)
- (ফরাসি) OM-Passion (unofficial site)
- (ফরাসি) Fabulous (unofficial site)
- (ফরাসি) Olympique Marseille Fansite
- (ফরাসি) Tapiomca's board Olympique Marseille & Bernard Tapie Fansite (unofficial site)
- (ইংরেজি) Olympique Marseille History[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- (ফরাসি)(ইংরেজি) OM Vista (unofficial site) ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৬ আগস্ট ২০০৬ তারিখে
- (ইংরেজি) Olympique Marseille formations at football-lineups[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- (ইংরেজি) Videoblog – Ultras of OM
- (ইংরেজি) - Yankees supporter's group official website ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৩ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে
- (ফরাসি) - Droit Au But (unofficial site)