জি-১৪

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

জি-১৪ ইউরোপের ফুটবল দলের একটি সংস্থা। ইউরোপের ১৪টি শীর্ষস্থানীয় দলকে নিয়ে ২০০০ সালের সেপ্টেম্বরে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উয়েফাফিফার সাথে দরকষাকষিতে একতাবদ্ধ থাকার জন্য এই সংস্থা গঠিত হয়েছে। এখানে কেবলমাত্র আমন্ত্রনের মাধ্যমে নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ২০০২ সালের আগস্ট মাসে আরো চারটি দল এতে যোগদান করে, ফলে সদস্য সংখ্যা দাঁড়ায় ১৮তে। তবে সংস্থার নাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

এটি মূলত একটি লবিং গ্রুপ হলেও, ইউরোপিয়ান সুপার লীগ তৈরির সাথে এই সংস্থার সম্পৃক্ততার খবর বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমে এসেছে। তবে তারা প্রায়শই এটি অস্বীকার করেছে। যখন উয়েফা অংশগ্রহণকারী দলগুলোর সাথে আলোচনা ছাড়াই চ্যাম্পিয়নস লীগ থেকে দ্বিতীয় গ্রুপ পর্যায় বাদ দেয় তখন এটি একটি সাধারণ খবর ছিল। জি-১৪ এই ঘটনাকে তাদের প্রতিষ্ঠার যৌক্তিকতা হিসেবে দেখেছে। তাদের মতে ইউরোপের দলগুলোর কন্ঠ হিসেবে জি-১৪ এর প্রয়োজন রয়েছে।

জি-১৪ এর দলগুলো সাতটি বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে আছে ও তাদের মোট জাতীয় লীগ শিরোপার সংখ্যা প্রায় ২৫০। ইংল্যান্ড, স্পেন, ফ্রান্স, ও জার্মানির শীর্ষ বিভাগের তিনটি করে, ইতালির "সিরি এ" থেকে দুটি ও "সিরি বি" (জুভেন্টাস "সিরি বি"তে নেমে যাওয়ায়) থেকে একটি, নেদারল্যান্ড থেকে দুটি ও পর্তুগাল থেকে একটি দল জি-১৪ এর সদস্য। জি-১৪ সদস্যরা ইউরোপিয়ান কাপ/চ্যাম্পিয়নস লীগের ৫১টি আসরের ৪১টিতেই জিতেছে।

২০০৪ সালের চ্যাম্পিয়নস লীগের ফাইনাল ১৯৯২ সালের পর প্রথম ফাইনাল যার একটি দল জি-১৪ এর বর্তমান কোন সদস্য অংশ নয়। এতে অংশ নেয় জি-১৪ সদস্য এফসি পোর্তো এবং অ-সদস্য এএস মোনাকো। এ পর্যন্ত মাত্র তিনটি ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়েছে যাতে জি-১৪ এর কোন বর্তমান সদস্য অংশ নেয়নি।

অন্যান্য প্রধান উয়েফা দলভিত্তিক প্রতিযোগিতা উয়েফা কাপে ১৪টি ফাইনালে জি-১৪ এর কোন সদস্য অংশ নেয়নি, এবং মাত্র ৩টি ফাইনালে দুটি দলই জি-১৪ এর সদস্য ছিল। ২০০৫ সালে ১৯৮৯ সালের পর জি-১৪ বহির্ভুত দল কোন ফাইনাল প্রথম অনুষ্ঠিত হয়, যাতে অংশ নেয় সিএসকেএ মস্কোস্পোর্টিং লিসবন। ২০০৬ সালে আবার জি-১৪ সদস্য বহির্ভুত দলের ফাইনালে অংশ নেয় সেভিলামিডলসব্রো

সদস্য[সম্পাদনা]

প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, ২০০০
নতুন সদস্য, ২০০২

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]