পদ্মবিভূষণ
পদ্মবিভূষণ | |
---|---|
দেশ | ভারত |
পুরস্কারদাতা দেশ ভারত সরকার | |
ধরন | জাতীয় বেসামরিক নাগরিক |
পুরস্কৃত হওয়ার কারন | |
পরিসংখ্যান | |
প্রতিষ্ঠিত | ১৯৫৪ |
প্রথম পুরস্কৃত | ১৯৫৪ |
শেষ পুরস্কৃত | ২০১৮ |
সর্বমোট পুরস্কৃত | ৩০৩ |
ফিতা | মধ্যমানের গোলাপি |
পূর্ববর্তী | |
পরবর্তী (উর্ধতন) | ভারতরত্ন |
পরবর্তী (অধীনস্থ) | পদ্মভূষণ |
পদ্মবিভূষণ ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মাননা। পদ্মবিভূষণ প্রাপককে ভারতের রাষ্ট্রপতি একটি পদক ও একটি মানপত্র দ্বারা ভূষিত করেন। ১৯৫৪ সালের ২ জানুয়ারি এই সম্মানটি প্রবর্তিত হয়। মর্যাদাক্রম অনুসারে, পদ্মবিভূষণের স্থান ভারতরত্নের পরে, কিন্তু পদ্মভূষণের আগে। সরকারি পরিষেবা সহ যে কোনো ক্ষেত্রে জাতির প্রতি বিশেষ ও ব্যতিক্রমী অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এই সম্মান প্রদান করা হয়।
পরিচ্ছেদসমূহ
ইতিহাস[সম্পাদনা]
১৯৫৪ সালের ২ জানুয়ারি একটি রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশ বলে এই সম্মাননা প্রবর্তিত হয়। প্রকৃতপক্ষে এই সম্মাননার প্রবর্তিত হয়েছিল তিন-বর্গের "পদ্মবিভূষণ" সম্মানের "প্রথম বর্গ" রূপে। যদিও ১৯৫৫ সালে এই সম্মাননার ধরন পরিবর্তন করা হয় এবং প্রকৃত পরিকল্পনার আকারে এই সম্মাননা প্রদানের কোনো উল্লেখ পাওয়া যায় না। ১৯৭৭ সাল থেকে ১৯৮০ সাল এবং ১৯৯২ সাল থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত এই সম্মাননা প্রদান করা হয়নি।
২০০৯ সাল পর্যন্ত মোট ২৫৮ জন এই পুরস্কার পেয়েছেন।[১]
পদকের বিবরণ[সম্পাদনা]
প্রথম পদক (১৯৫৪-৫৫)[সম্পাদনা]
প্রথম পদকটি ছিল একটি গোলাকার স্বর্ণপদক। এর ব্যাস ছিল ১-৩/৮ ইঞ্চি। কেন্দ্রে একটি পদ্মফুল, উপরে "পদ্মবিভূষণ" কথাটি ও নিচে একটি পুষ্পবৃত্ত চিত্রিত ছিল। অপর পিঠে কেন্দ্রে ভারতের জাতীয় প্রতীক, উপরে "দেশ সেবা" কথাটি এবং নিচে একটি পদ্মবৃত্ত চিত্রিত ছিল। তবে এই নকশাটি কোনো প্রাপকের সম্মানপদকের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়েছিল কিনা তার কোনো লিখিত উল্লেখ পাওয়া যায় না।
দ্বিতীয় পদক (১৯৫৫-১৯৫৭)[সম্পাদনা]
১৯৫৫ সালে ব্যাজের নকশাটিতে পরিবর্তন এনে এটিকে "প্রধানত গোলাকার" করা হয়। টোনড ব্রোঞ্জে নির্মিত পদকটির ব্যাস হয় ১-৩/১৬ ইঞ্চি। এই ব্যাজের সঙ্গে যুক্ত করা হয় বিভিন্ন জ্যামিতিক আকার। পদকের কেন্দ্রে যে পদ্মটি চিত্রিত হয়, তার চারটি পাপড়ি সাদা সোনালি রঙে রঞ্জিত করা হয়। ফুলটির উপরে ও নিচে "পদ্মবিভূষণ" কথাটি রুপোলি গ্লিল্টিতে খোদিত হয়।
বর্তমান পদক (১৯৫৭–বর্তমান)[সম্পাদনা]
১৯৫৭ সালে পদকের নকশা একই রেখে কেবলমাত্র উপাদানে পরিবর্তন আনা হয়। টোনড ব্রোঞ্জের বদলে পদক নির্মাণের ক্ষেত্রে বার্নিসড ব্রোঞ্জের ব্যবহার শুরু হয়।
প্রাপকের তালিকা[সম্পাদনা]
পাদটীকা[সম্পাদনা]
- ↑ "Padma Vibhushan Awardees"। Ministry of Communications and Information Technology। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৬-২৮।