খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
অন্যান্য নাম | কুয়েট (KUET) |
---|---|
প্রাক্তন নামসমূহ |
|
নীতিবাক্য | প্রভু! আমায় জ্ঞান দাও |
ধরন | সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় |
স্থাপিত | ১৯৬৭, বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে ২০০৩ |
বাজেট | ১১৬.৮৯ কোটি টাকা (২০২৪-২০২৫) |
ইআইআইএন | ১৩৬৬২৬ |
আচার্য | রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন |
উপাচার্য | অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ |
শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিবর্গ | ৪৬৩ |
প্রশাসনিক ব্যক্তিবর্গ | ৬৯৯ |
শিক্ষার্থী | ৭৯৪১ |
স্নাতক | ৫৯১৬ |
স্নাতকোত্তর | ১৮০৯ |
১৫৩ | |
ঠিকানা | , , ২২°৫৪′০০″ উত্তর ৮৯°৩০′০৭″ পূর্ব / ২২.৯০০° উত্তর ৮৯.৫০২° পূর্ব |
শিক্ষাঙ্গন | শহরতলি, ১১৭.৪৮ একর [১] |
অধিভুক্তি | বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন |
ওয়েবসাইট | kuet |
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (সংক্ষেপে: কুয়েট) বাংলাদেশের একটি সরকারি কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়। এটি বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের খুলনা বিভাগের খুলনা জেলায় অবস্থিত। পূর্বে এর নাম ছিল বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি, খুলনা ও তারও আগে, খুলনা প্রকৌশল মহাবিদ্যালয়। এটি বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অন্যতম। এখানে প্রায় আট হাজার জন ছাত্রছাত্রী স্নাতক ও স্নাতকোত্তর কারিগরি ও প্রযুক্তি নিয়ে পড়াশোনা করছে। এখানকার শিক্ষক সংখ্যা ৪৬৩-এরও অধিক। এছাড়া ২৩১ জন কর্মকর্তা ও ৪৬৮ জন কর্মচারী আছে। [২] বিশ্ববিদ্যালয়টির অঙ্গন সম্প্রসারণে নতুন কিছু ভবন তৈরি করা হয়েছে যেমন- একাডেমিক ভবন, অডিটোরিয়াম কমপ্লেক্স, ছাত্রাবাস, গ্রন্থাগার, শিক্ষক ডরমিটরি ভবন ইত্যাদি এবং আরও কিছু ভবনের নির্মাণ কাজ চলছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস খুলনা শহর থেকে ১৪ কি.মি. উত্তরে, খুলনা-যশোর মহাসড়কের পাশে ফুলবাড়ীগেটে অবস্থিত।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]বাংলাদেশের নেতৃস্থানীয় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) অন্যতম । কুয়েট খুব উচ্চ মানের শিক্ষা, প্রকৌশল পাশাপাশি মৌলিক বিজ্ঞানের প্রধান শাখাসমূহ গবেষণা ও উন্নয়নমূলক কর্মসূচীর জন্য ভালোভাবে পরিচিত। দেশের এবং বিশেষ করে দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের বর্তমান চাহিদা একটি মানসম্পন্ন শিক্ষা, গবেষণা এবং অগ্রগতি অর্জন কুয়েট এর মূল উদ্দেশ্য যা এটাকে " শ্রেষ্ঠ কেন্দ্র" হিসাবে গড়ে তুলেছে। খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) ১৯৬৭ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এর প্রকৌশল অনুষদের অধীনে খুলনা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নির্দেশে প্রতিষ্ঠানটি তার অভীষ্ট যাত্রা শুরু করে ৩রা জুন ১৯৭৪ সালে।[৩]
পরে ভাল একাডেমিক এবং গবেষণা ক্ষমতা এবং পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য, এটি একটি স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান থেকে রূপান্তরিত করে ১৯৮৪ সালে রাখা হয় বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি (বিআইটি),খুলনা। একাডেমিক এবং গবেষণার ক্ষেত্রে যুগের চাহিদা মেটানোর জন্য ১ সেপ্টেম্বর ২০০৩ সালে বিআইটি থেকে উন্নীত করে এবং নাম পরিবর্তিত করে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় রাখা হয়।[৩]
খুলনা প্রকৌশল কলেজ
[সম্পাদনা]১৯৭৪ সালে মাত্র ৯ জন শিক্ষক ও ১২০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে খুলনা প্রকৌশল কলেজ যাত্রা শুরু করে। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং,ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ৪০ জন করে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয়, যার মাঝে ১ জন ছাত্রী ছিলো। পরবর্তীতে মাইগ্রেশন এর মাধ্যমে অন্য কলেজ থেকে আরো ১ জন ছাত্রী ও ১৫ জন ছাত্র যোগ হয়। এতে মোট শিক্ষার্থী দাঁড়ায় ১৩৬ জন। ২ বছর পরে প্রতিটি বিভাগে শিক্ষার্থী সংখ্যা ৬০ জনে উন্নীত করা হয়। ১ং হোস্টেল নামে ১টি মাত্র ছাত্রাবাস ছিলো যা পরবর্তীতে ফজলুল হক হল নামকরণ করা হয়। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বয়লার হাউজে অস্থায়ী ক্যান্টিন চালু ছিলো। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং,ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ল্যাব খুলনা তে সম্পন্ন হলেও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১ম বছরের ল্যাব বুয়েটে ও ২য় বছর রাজশাহী প্রকৌশল কলেজ এ, যার বর্তমান নাম রুয়েট। খুলনা যশোর মহাসড়কের সাথে ১৯৭৮ সালে কলেজ সংযোগ কারী রাস্তাটি তৈরি হয়। কলেজে কোন কর্মকর্তা না থাকলেও ১০ জন ৩য় শ্রেনীর ও ৩৯ জন ৪র্থ শ্রেনীর কর্মচারী ছিলো। পরবর্তীতে ছাত্রদের জন্য আরো ৩ টি ছাত্রবাস তৈরি হলেও কোন ছাত্রীনিবাস ছিলো না। ক্যাম্পাসে অবস্থিত স্কুলের ৩য় তলায় ছাত্রীদের থাকার ব্যবস্থা ছিলো।খুলনা প্রকৌশল কলেজ থাকাকালীন সময়ে ১৯৭৪-১৯৮৬ সাল পর্যন্ত সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এ ৩৩৩ জন,ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারি এ ২৪৬ জন এবং মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংএ ১৩৬ জন সর্বমোট ৭১৫ জন শিক্ষার্থী বিএসসি ইন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রী অর্জন করে।[৪]
বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি, খুলনা
[সম্পাদনা]১৯৮৬ সালে খুলনা প্রকৌশল কলেজ থেকে বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি(বিআইটি), খুলনা তে উন্নীতকরন করা হয়,যার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা ছিলো কাউন্সিল অব বিআইটি। এই কাউন্সিল এর চেয়ারম্যান ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী। বিআইটি,খুলনায় ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে এমএসসি ও পিএইচডি চালু করা হয় ১৯৯৪ সালে এবং সায়েন্স এর বিভাগ গুলোতে এমএসসি,এমফিল, পিএইচডি চালু হয় ২০০০ সালে। তবে প্রথম এমএসসি,এমফিল,পিএইচডি ডিগ্রী প্রদান করা হয় যথাক্রমে ২০০০, ২০০৪ ও ২০০৫ সালে। ১৯৯৯ সালে ৬০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ শুরু হয়। ২০০১ সালে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট এ স্নাতকোত্তর ও ইলেক্ট্রনিক্স এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং এ স্নাতক ডিগ্রী প্রদানের লক্ষ্যে বিভাগ দুইটি চালু করা হয়। এই সময়ে ৪ টি হলের নামকরণ করা হয় এবং আরো ২ টি হল বানানোর পরিকল্পনা করা হয়। ২০০০ সালে রোকেয়া হলের ১ম পর্যায়ের কাজ শেষ হয়। নতুন একাডেমিক ভবনের ১ম পর্যায়ের কাজ শেষ হয় ২০০৫ সালে। ২০০১ সালে ওয়াটার ট্রিট্মেন্ট প্লান্ট চালু মাধ্যমে ক্যাম্পাসে সুপেয় পানি সরবারহের ব্যবস্থা করা হয়। বিআইটি,খুলনা থাকাকালীন সময়ে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এ ৯১৩ জন,ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারি এ ৯০৪ জন এবং মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংএ ৭২৯ জন সহ সর্বমোট ২৫৬৩ জন শিক্ষার্থী বিএসসি ইন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রী অর্জন করে। এছাড়া ১২ জন শিক্ষার্থী এমএসসি ডিগ্রী অর্জন করে। ১৯৯৯ ও ২০০৩ সালে সমাবর্তন এর আয়োজন করা হয়।[৪]
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
[সম্পাদনা]২০০৩ সালে বিআইটি থেকে বিশ্ববিদ্যালয় এ উন্নীত হবার পরে ব্যাপক সম্পূর্ণ স্বায়ত্তশাসিত ভাবে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করে। ২০০৭ সালে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে এনার্জি টেকনোলজি বিভাগ চালু করা হয় যার পরে এনার্জি সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং নামকরণ করা হয়। ২০১৭ সাল থেকে এই বিভাগে স্নাতক পাঠদান শুরু হয়। ২০০৭ সালে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে এনার্জি বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ চালু এবং ২০১৪ সালে এই বিভাগে স্নাতক কোর্স চালু করা হয়।২০১০ সালে আরবার এন্ড রিজিওনাল প্ল্যানিং, লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং, ২০১২ সালে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, ২০১৩ সালে বিল্ডিং ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড কন্সট্রাকশন ম্যানেজমেন্ট, ২০১৬ সালে আর্কিটেকচার, ম্যাটেরিয়াল সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়াইং বিভাগ খোলা হয়। উচ্চতর গবেষণার জন্য ২০১০ সালে ইনস্ট্রিটিউট অব ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজী(আইআইসিটি),২০১৩ সালে ইনস্ট্রিটিউট অব ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট(আইডিএম) এবং ২০১৬ সালে ইনস্ট্রিটিউট অব এনভায়রমেন্ট এন্ড পাওয়ার টেকনোলজি(আইইপিটি) খোলা হয়।
২০০৭ সালে সেন্ট্রাল লাইব্রেরি কে পুরাতন ভবন থেকে নতুন ভবনে স্থান্তরিত করা হয়, এবং পুরাতন ভবন টি সংস্কার করে সেন্টাল কম্পিউটার সেন্টার নামকয়ারন করা হয়। ২০০৬ ও ২০১৩ সালে ছাত্রদের জন্য যথাক্রমে অমর একুশে হল এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, ২০০৭ সালে ব্যাচলর ডরমেটরি এবং পরিকল্পনা ও প্রকৌশল ভবন চালু করা হয়। ইতোমধ্যে নির্মিত হয়েছে মেইন গেট, দুর্বার বাংলা, কুয়েট মেডিকেল সেন্টার, গেস্ট হাউজ, হাই ভোল্টেজ ল্যাব, স্টুডেন্ট ওয়েলফেরায় সেন্টার। এছাড়া বিভিন্ন হল ও বিভাগের সম্প্রসারণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। [৪]
ক্যাম্পাস
[সম্পাদনা]খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের তৃতীয় বৃহত্তম বিভাগীয় শহর খুলনার উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলের ফুলবাড়িগেটে অবস্থিত।
ক্যাম্পাস খুলনা সিটির জিরো পয়েন্ট থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ক্যাম্পাস থেকে শহরের যোগাযোগ ব্যবস্থা খুব ভালো । এটা জিলা বাস টার্মিনাল হতে ১২ কিলোমিটার দূরে এবং খুলনা রেলওয়ে হতে ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এটা ১০১ একর জায়গার উপরে অবস্থিত ।[৫]
মূল একাডেমিক ভবনে বিভিন্ন শিক্ষা ও গবেষণা সুবিধা আছে। প্রত্যেক বিভাগের একটি আলাদা চত্বর আছে। এরকম আলাদা কতগুলো চত্বর মিলে ক্যাম্পাসের মূল একাডেমিক চত্বরটি গঠিত। হেভি প্রকৌশল ল্যাবরেটরি নিচের তলা বা অন্য পৃথক ওয়ার্কশপ এর মধ্যে অবস্থিত আছে যদিও লাইট ল্যাবরেটরিজ, শ্রেণী এবং প্রকল্প কক্ষ উপরের তলার উপর অবস্থিত। ল্যাবরেটরির শিক্ষকদের জন্য আলাদা অফিস আছে। বেশি সময়ের লেকচারের জন্য প্রতিটা বিভাগে আধুনিক মালপত্র এবং সাউন্ডের জন্য উপকরণ সংবলিত সেমিনার রুম আছে। ক্যাম্পাসে এছাড়াও শিক্ষক ও কর্মচারী ক্লাব, মেডিকেল সেন্টার, ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, এটিএম বুথ, পোস্ট অফিস, ব্যাংক এবং খেলার মাঠ ইত্যাদি সুবিধা আছে। ছাত্র কল্যাণ কমিটি ছাত্রদের মানসিক ও শারীরিক উন্নয়নের জন্য অতিরিক্ত পাঠক্রম সংক্রান্ত সুবিধা দান করে।[৬]
কারিগরি ও প্রযুক্তি পরীক্ষাগার
[সম্পাদনা]কুয়েটে ৪০ টি প্রকৌশল পরীক্ষাগার রয়েছে যা নিজ নিজ একাডেমিক বিভাগের দ্বারা চালিত হয়।
ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ল্যাবস বৈদ্যুতিক সার্কিট ল্যাব, পরিমাপ, এবং যন্ত্রানুষঙ্গের ল্যাব, ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্স ল্যাব, এনালগ ইলেকট্রনিক্স ল্যাব, মেশিন ল্যাব ইলেকট্রিক্যাল, কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং ল্যাব, কন্ট্রোল ইঞ্জিনিয়ারিং ল্যাব, Microprocessor এবং হার্ডওয়্যার পোশাকের ল্যাব, পাওয়ার ইলেকট্রনিক্স ও মেশিনের ড্রাইভ ল্যাব (PEMD ল্যাব) অন্তর্ভুক্ত, পাওয়ার সিস্টেম এবং সুরক্ষা ল্যাব, উচ্চ ভোল্টেজ ইঞ্জিনিয়ারিং ল্যাব, প্যাটার্ন রেকগনিশন এবং চিত্র প্রসেসিং ল্যাব, কমপিউটার ভাষা সিমুলেশন এবং সংখ্যাসূচক প্রসেসিং ল্যাব এবং একটি বিভাগীয় কম্পিউটার কেন্দ্র।
পুরকৌশল ল্যাবস পরিবহন ল্যাব, ল্যাব HYDRAULICS, এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং ল্যাব, ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যাটেরিয়ালস ল্যাব, সলিড ল্যাবের যন্ত্রসংক্রান্ত, ল্যাব সমীক্ষা, জিওট্যাকনিক্যাল ল্যাব, ভূ পরিবেশগত ল্যাব (শুধু জন্য স্নাতকোত্তর) এবং কম্পিউটার ল্যাব অন্তর্ভুক্ত।
যন্ত্রকৌশল ল্যাবস হিট ট্রান্সফার ল্যাব, ল্যাব কন্ট্রোল, বয়লার ল্যাব, ফলিত যন্ত্রসংক্রান্ত ল্যাব, মেশিন শপ, প্রোডাকশন শপ, উড অ্যান্ড মডেলিং শপ, আবহবিদ্যা ল্যাব, ফ্লুয়িড ল্যাব, বিভাগীয় কম্পিউটার কেন্দ্র এবং ফাউন্ড্রি শপ অন্তর্ভুক্ত।
ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগে সলিড মেকানিক্স ল্যাব, কম্পিউটার ল্যাব, ক্যাম এন্ড রোবোটিক্স ল্যাব, আর্গোনোমিক্স ল্যাব এবং কোয়ালিটি কন্ট্রোল ল্যাব অন্তর্ভুক্ত।
কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল ল্যাবস কম্পিউটার ভাষা এবং কম্পিউটিং ল্যাবরেটরি, সফটওয়্যার এবং ওয়েব ইঞ্জিনিয়ারিং ল্যাবরেটরি, কমপিউটার হার্ডওয়্যার এবং পোশাকের ল্যাবরেটরি, ডিজিটাল সিস্টেম এবং VLSI ডিজাইন ল্যাবরেটরি, ইন্টেলিজেন্স সিস্টেম ল্যাবরেটরি, মাল্টিমিডিয়া ও নেটওয়ার্কিং এবং ল্যাবরেটরি হাই টেক সিস্টেম উন্নয়ন কেন্দ্র অন্তর্ভুক্ত।
কেন্দ্রীয় কম্পিউটার সেন্টার
[সম্পাদনা]KUET 512 KByte / s এর একটি আপলোড এবং 1024 KByte / ডাউনলোডের জন্য তার নিজস্ব ব্যান্ডউইথের VSAT সুবিধা আছে। ব্রডব্যান্ড গতি 10Mbps এবং আইএসপি BTCL। এটা একটি বড় কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ছয় আইবিএম সার্ভারের সাথে সংযুক্ত করে সর্বাধিক 250 1 গিগাবাইট অপটিক্যাল ফাইবার লাইন এবং ছয় অপটিক্যাল সুইচ দ্বারা আবদ্ধ ওয়ার্কস্টেশনে আছে। সমস্ত স্টেশন সর্বশেষ প্রয়োজনীয় মুদ্রণ, স্ক্যান এবং সিডি লেখার সুবিধার সঙ্গে সংস্করণ কম্পিউটারের সাথে সংযুক্ত। সমস্ত ছাত্র এবং অনুষদ নেটওয়ার্কে সহজে এক্সেস আছে।
প্রতিটি বিভাগের একাডেমিক লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক (LAN), যা কেন্দ্রীয় নেটওয়ার্কের পরিপূরক হিসবে ব্যবহার ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। ইলেকট্রিকাল এবং ইলেক্ট্রনিক বিভাগ সিএসই (কম্পিউটার সায়েন্স এবং প্রকৌশল) বিভাগ এবং ইসিই (ইলেক্ট্রনিক অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং) বিভাগের নিজস্ব ওয়াইফাই সুবিধা রয়েছে। সম্প্রতি কুয়েটের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার, ছাত্রকল্যাণ পরিষদ (DSW) এবং কেন্দ্রীয় কম্পিউটার কেন্দ্র (CCC) সরাসরি ওয়াইফাই নেটওয়ার্কের আওতাভুক্ত হয়েছে। কেন্দ্রীয় কম্পিউটার সেন্টার বাদেও কুয়েটে রয়েছে ১২ টি বিভাগীয় কম্পিউটার সেন্টার।
কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার
[সম্পাদনা]খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারগুলোর মধ্যে প্রথম স্বয়ংক্রিয় লাইব্রেরি (Automated Library)। এ কাজে Koha নামে মুক্ত সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়েছে। লাইব্রেরি ডিজিটালাইজেশনে DSpace সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য 30 kVA ক্ষমতা সম্পন্ন জেনারেটর রয়েছে। এই কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে বর্তমানে ৫৫২১১ টি বই, ৩২০৫ টি জার্নাল, ১১৪০৭ টি ই-বুক, ৪২৯৫৫৮ টি ই-জার্নাল, ১৫১৬ টি অডিও ভিজুয়াল সামগ্রী, ২১৪ টি অন্যান্য সংগ্রহ রয়েছে। [৭] এক সাথে ২৫০ জন পড়াশোনা করার জন্য রয়েছে রিডিংরুম। কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার থেকে একজন স্নাতক শিক্ষার্থী ১ মাসের জন্য ৩ টি বই ধার নিতে পারেন এবং একজন স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী ও ডক্টরেট শিক্ষার্থী যথাক্রমে ৩ মাস ও ৫ মাসের জন্য বই ধার নিতে পারেন। একটি বই ৩০ দিনের মধ্যে পাঁচবার অনলাইনে নবায়ন করার সুযোগ থাকে।[৮]
অনুষদ এবং বিভাগসমূহ
[সম্পাদনা]কুয়েটে ৩টি অনুষদের অধীনে মোট ২০টি বিভাগ আছে।[৯] এর মাঝে ১৬ টি বিভাগ থেকে স্নাতক ডিগ্রি প্রদান করা হয়।
পুরকৌশল অনুষদ
[সম্পাদনা]- পুরকৌশল বিভাগ
- নগর ও আঞ্চলিক পরিকল্পনা বিভাগ
- ভবন প্রকৌশল ও নির্মাণ ব্যবস্থাপনা বিভাগ
- স্থাপত্য বিভাগ
- গণিত বিভাগ
- রসায়ন বিভাগ
- পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ
- মানবিক বিভাগ
তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক অনুষদ
[সম্পাদনা]- তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক প্রকৌশল বিভাগ
- কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ
- ইলেক্ট্রনিক্স ও টেলিযোগাযোগ প্রকৌশল বিভাগ
- বায়োমেডিকেল প্রকৌশল বিভাগ
- ম্যাটেরিয়াল সায়েন্স ও প্রকৌশল বিভাগ
যন্ত্রকৌশল অনুষদ
[সম্পাদনা]- যন্ত্রকৌশল বিভাগ
- শিল্প প্রকৌশল ও ব্যবস্থাপনা বিভাগ
- লেদার প্রকৌশল বিভাগ
- টেক্সটাইল প্রকৌশল বিভাগ
- শক্তি বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ
- রসায়ন প্রকৌশল বিভাগ
- তড়িৎযন্ত্র প্রকৌশল বিভাগ
ইনস্টিটিউট ও সেন্টারসমূহ
[সম্পাদনা]এখানে গবেষণার জন্য তিনটি ইনস্টিটিউট আছে:
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ইনস্টিটিউট
[সম্পাদনা]তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ইনস্টিটিউট কুয়েটের প্রথম ইনস্টিটিউট, যা ০৫/১০/২০১০ সালে প্রতিষ্টিত হয়। বর্তমানে স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা, পেশাগত ডিপ্লোমা, এমএসসি ও পিএইচডি এবং কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তির উপরে ৬ মাস মেয়াদি ট্রেনিং কোর্স পরিচালনা করা হয়।
- স্নাতকোত্তর প্রোগ্রাম
- আইসিটিতে পিএইচ. ডি.
- আইসিটিতে এম. এসসি.
- আইসিটিতে স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা
- পেশাগত ডিপ্লোমা প্রোগ্রাম (৬ মাস মেয়াদি)
- কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশনে ডিপ্লোমা
- সফটওয়্যার প্রকৌশলে ডিপ্লোমা
- কম্পিউটার নেটওয়ার্ক এবং সিস্টেম প্রশাসনে ডিপ্লোমা
- ইন্টারনেট প্রোগ্রামিং এবং ওয়েব ডেভেলপমেন্টে ডিপ্লোমা
- মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্টে ডিপ্লোমা
- মাল্টিমিডিয়া এবং গ্রাফিক্স ডিজাইনে ডিপ্লোমা
- যোগাযোগ প্রযুক্তিতে ডিপ্লোমা
ট্রেনিং প্রোগ্রাম ( ৬ মাস মেয়াদি)
[সম্পাদনা]- অফিস অ্যাপ্লিকেশন প্যাকেজ
- মোবাইল প্রোগ্রামিং এবং অ্যাপস ডেভেলপমেন্ট
- কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ও সার্ভার ব্যবস্থাপনা
- ওয়েব প্রোগ্রামিং এবং আউটসোর্সিং
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ইনস্টিটিউট
[সম্পাদনা]দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ইনস্টিটিউট (আইডিএম) ২৪শে মার্চ ২০১৫ সালে প্রতিষ্টিত হয়। প্রতিষ্ঠা পরিচালক প্রফেসর ড. মো. আবুল বাশার এর পরে এই ইনস্টিটিউট এর পরবর্তী সময়ে কাজী হামিদুর বারী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বর্তমানে স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা, পেশাগত ডিপ্লোমা, এমএসসি ও পিএইচডি কোর্স চালু আছে।
পরিবেশ ও বিদ্যুৎ প্রযুক্তি ইনস্টিটিউট
[সম্পাদনা]পরিবেশ ও বিদ্যুৎ প্রযুক্তি ইনস্টিটিউট ৭/৮/২০১৬ সালে প্রতিষ্টিত হয়। যা এখন মাস্টার্স ও পিএইচডি, পেশাগত ডিপ্লোমা ডিগ্রী প্রদান করছে। এছাড়া বিভিন্ন বিষয়ে ট্রেনিং দেয়া হয়।
- পেশাগত ডিপ্লোমা প্রোগ্রাম (১ বছর মেয়াদি)
যে সকল বিষয়ে পেশাগত ডিপ্লোমা ডিগ্রী প্রদান করা:
- এনার্জি প্রোগ্রামে ডিপ্লোমা
- সৌর ব্যবস্থা নকশায় ডিপ্লোমা
- ফটোভলটিক ব্যবস্থা নকশায় ডিপ্লোমা
- পরিবেশ বিজ্ঞানে ডিপ্লোমা
- ট্রেনিং প্রোগ্রাম ( ৬ মাস মেয়াদি)
- সোলার ফটোভলটিক সিস্টেম ডিজাইন
- সোলার থারমাল কালেক্টর ডিজাইন
- সোলার ড্রাইয়ার ডিজাইন
- সোলার ডিস্ট্রলেশন প্ল্যান্ট ডিজাইন
গবেষণা
[সম্পাদনা]ইউজিসির HEQEP প্রকল্পের আওতায় ২০১১ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ১০ টি প্রকল্প শেষ হয়েছে এবং আরো ৭ টি চলমান। এছাড়া ইউরোপিয়ন ইউনিয়নের অর্থায়নে আরো ৫ টি কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া স্নাতক ও স্নাতকোত্তর এ বিভিন্ন গবেষণা চলমান। ২০০৯ সাল থেকে চার টি শাখায় নিয়মিত ভাবে আন্তর্জাতিক কনফারেন্স হয়ে আসছে, যা হলো- বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উপর WasteSafe, মেকানিক্যাল, ইন্ডাস্ট্রিয়ার এন্ড এনার্জি ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর ICMIEE, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর ICCESD এবং ইলেক্ট্রিক্যাল ইনিফরমেশন ও কমিউনিকেশন প্রযুক্তির উপর EICT. সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের উদ্যোগে ২০১০ সাল থেকে নিয়মিত ভাবে প্রকাশিত হচ্ছে International Journal of Engineering Science. এডি সাইন্টিফিক ইনডেক্স নামের আন্তর্জাতিক সংস্থার ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে প্রকাশিত বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় কুয়েটের বিভিন্ন বিভাগের ৩৪ জন শিক্ষক স্থান পেয়েছেন।[১০]
উপাচার্য
[সম্পাদনা]খুলনা প্রকৌশল কলেজ
[সম্পাদনা]পদের নাম অধ্যক্ষ
- প্রফেসর ড. এন. এম আযম (১৯৬৯-১৯৭২)
- প্রফেসর ড. মো: শামসুদ্দিন আহমেদ (১৯৭২-১৯৭৩)
- প্রফেসর মো: হায়দার আযম (১৯৭৩-১৯৭৪)
- প্রফেসর মো: আবুল কালাম আজাদ (১৯৭৪-১৯৭৯)
- প্রফেসর এম.এ. হান্নান (১৯৭৯-১৯৮০)
- প্রফেসর মো: আবুল কালাম আজাদ (১৯৮০-১৯৮২)
- প্রফেসর এম.এ. হান্নান (১৯৮২-১৯৮৬)
বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি, খুলনা
[সম্পাদনা]পদের নাম পরিচালক
- প্রফেসর এম.এ. হান্নান (১৯৮৬-১৯৯৭)
- প্রফেসর জি.এম. হাবিবুল্লাহ (১৯৯৭-১৯৯৮)
- প্রফেসর ড. এম.এ. সামাদ (১৯৯৮-২০০২)
- প্রফেসর ড. মো: নওশের আলী মোড়ল (২০০২-২০০৩)
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
[সম্পাদনা]পদের নাম উপাচার্য
- অধ্যাপক ড. মো: নওশের আলী মোড়ল (ভারপ্রাপ্ত) (২০০৩-২০০৪)
- অধ্যাপক ড. এহসানুল হক (২০০৪ -২০০৬)
- অধ্যাপক ড. মো: নওশের আলী মোড়ল (ভারপ্রাপ্ত) (২০০৬-২০০৭)
- অধ্যাপক ড. মো: নওশের আলী মোড়ল (২০০৭-২০১০)
- অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর (২০১০-২০১৮)
- অধ্যাপক ড. কাজী সাজ্জাদ হোসেন (২০১৮-২০২২)
- অধ্যাপক ড. মিহির রঞ্জন হালদার (১ সেপ্টেম্বর ২০২২ - ১২ আগস্ট ২০২৪)[১১]
- অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ (৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ - বর্তমান)[১২]
একাডেমিক ক্যালেন্ডার
[সম্পাদনা]স্নাতক শ্রেণীতে প্রতিটি শিক্ষাবর্ষে দুটি করে টার্ম থাকে। চার শিক্ষাবর্ষ শেষ হলে একজন শিক্ষার্থী তার স্নাতক সম্পন্ন করে থাকে। এই ২টি টার্ম হল টার্ম-১, টার্ম-২ এ। প্রতিটি টার্ম এ ১৩ সপ্তাহ করে ক্লাস, মিড টার্ম ১ সপ্তাহ । টার্ম ব্রেক ১ সপ্তাহ। পরীক্ষা পূর্ব প্রস্তুতি প্রতি পরীক্ষার আগে ৪ দিন,সুপার পিএল পদ্ধতি। প্রতিটি সপ্তাহে ৫টি কার্যদিবস। শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি।সকল পরীক্ষার ফলাফল গ্রেডিং পদ্ধতিতে প্রকাশ করা হয় । [১৩]
মিলনায়তন
[সম্পাদনা]বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ১০০০ আসনের একটি কেন্দ্রীয় মিলনায়তন কমপ্লেক্স রয়েছে। এতে আধুনিক সকল সুযোগ সুবিধা বিদ্যমান। বছরের বিভিন্ন সময় মিলনায়তনে বিভিন্ন সেমিনার, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, মেলা, চলচ্চিত্র উৎসব ইত্যাদির আয়োজন হয়ে থাকে।
লাইব্রেরি
[সম্পাদনা]কুয়েটের শিক্ষার্থীদের পড়াশুনার জন্য একটি সুবিশাল কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার, ১৪ টি বিভাগীয় গ্রন্থাগার এবং ৭ টি হল গ্রন্থাগার রয়েছে। দেশ ও বিদেশের অসংখ্য বই আছে। প্রতিটা বিভাগের প্রয়োজনীয় অধিকাংশ বই এখানে পাওয়া যায়। কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার থেকে শিক্ষার্থীরা বিনামূল্যে ৩টি বই একমাসের জন্য ধার নিতে পারে। এছাড়া এখানে বসে পড়ার জন্য খুবই সুন্দর ব্যবস্থা রয়েছে। এখন কুয়েটের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার অটোমেশন (স্বয়ংক্রিয়) পদ্ধতির আওতায় চলে গেছে,যা বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম। তাই এখন অনলাইনের মাধ্যমে ঘরে বসে প্রয়োজনীয় বইয়ের তথ্য পাওয়া যায় এবং যেসব বই শিক্ষার্থীরা তুলেছে সেগুলোর পুনরায় ইস্যু করা যায়। এছাড়া প্রতিটি বিভাগের এবং প্রতিটি হলে একটি করে নিজস্ব গ্রন্থাগার রয়েছে, যেখানে প্রতিটি সেমিস্টারের জন্য নামমাত্র মূল্যে অথবা বিনামূল্যে বই পাওয়া যায়।
মেডিক্যাল সেন্টার
[সম্পাদনা]কুয়েটে শিক্ষার্থীসহ সকলের সেবার জন্য একটি চিকিৎসাকেন্দ্র (কুয়েট মেডিকেল সেন্টার) রয়েছে । এখানে দিন অথবা রাত সার্বৎক্ষনিক সেবা প্রদানের জন্য ৮ জন চিকিৎসক,২ জন নার্স রয়েছেন। এখানে শিক্ষার্থীদের বিনা খরচে চিকিৎসা প্রদানের সাথেসাথে বিনা খরচে ঔষধ ও দেয়া হয়। এছাড়া কুয়েট মেডিকেল সেন্টার এখন অটোমেশন পদ্ধতির আওতায় চলে গেছে । কুয়েটের সকল সদস্যের নিজস্ব তথ্যের সাথে কুয়েট মেডিকেল সেন্টারেরও সকল প্রয়োজনীয় তথ্য পাওয়া যায়। সম্প্রতি কুয়েটে ৫০ শয্যা বিশিষ্ঠ মেডিকেল সেন্টারের উদ্বোধন করা হয়।[১৪]
আবাসিক হলসমূহ
[সম্পাদনা]কুয়েট এ আবাসিক হল ক্যাম্পাস জীবনের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। সাতটি আবাসিক হল (১টি মহিলাদের, ৬টি পুরুষদের) আছে। একটি হলের প্রশাসনিক প্রধান তার প্রভোস্ট এবং সহকারী প্রভোস্ট। সাধারণত হল একটি একক প্রভোস্ট এবং এক বা একাধিক সহকারী প্রভোস্ট রয়েছেন। হলগুলো সাধারণত জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং ঐতিহাসিক বিষয়ে নামকরণ করা হয়েছে।
- ফজলুল হক হল (প্রথম হল) (আসন ১৭৫ টি, স্থাপিত: ১৯৭৪)
- খান জাহান আলী হল (আসন ৩০০ টি, স্থাপিত: ১৯৭৭)
- ড. এম. এ. রশিদ হল (আসন ১৭৫ টি, স্থাপিত: ১৯৮৪)
- লালন শাহ হল (আসন ৩০০ টি, স্থাপিত: ১৯৭৫)
- রোকেয়া হল (মহিলা হল) (আসন ৪০০ টি, স্থাপিত: ২০০০)
- অমর একুশে হল (আসন ৫৫০ টি, স্থাপিত: ২০০৬)
- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল (আসন ৫৫০ টি, স্থাপিত: ২০১৩)
ছাত্র সংগঠন ও সংঘ সমূহ
[সম্পাদনা]এই অনুচ্ছেদটি মেয়াদোত্তীর্ণ। |
রাজনৈতিক
[সম্পাদনা]বিশ্ববিদ্যালয়ে সক্রিয় রাজনৈতিক সংগঠনগুলো হল
- বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির
- বাংলাদেশ ছাত্রলীগ
- বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা
- বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল
পেশাগত
[সম্পাদনা]- কুয়েট বিজনেস এন্ড এন্ট্রারপ্রেনেউরশিপ ক্লাব
- ক্যাডারস (CADers)
সাংস্কৃতিক
[সম্পাদনা]- উল্লেখযোগ্য সাংস্কৃতিক সংগঠনের মধ্যে রয়েছে
- কুয়েট থিয়েটার
- অ-আবৃত্তি সংগঠন
- ধ্রূপদী
- কুয়েট ফটোগ্রাফিক সোসাইটি
- কুয়েট ডিবেটিং সোসাইটি
- কুয়েট ক্যারিয়ার ক্লাব
- স্পেক্ট্রাম
- প্রতিধ্বনি
বিজ্ঞান
[সম্পাদনা]- কুয়েট গণিত সংঘ,
- IEEE স্টুডেন্ট ব্রাঞ্চ,কুয়েট
- কুয়েট রোবটিক সোসাইটি,
- Industrial Engineering and Operations Management (IEOM) স্টুডেন্ট ব্রাঞ্চ,কুয়েট
- Hardware Acceleration Club of KUET (HACK),
- Manipulators of Electrons (MEC)
- KUET Robotics & IoT Innovation Club (KRIoTIC)
- Cyber Gaming Club of KUET (Cyborg)
ক্রীড়াবিষয়ক
[সম্পাদনা]Organization of KUET Sports (O.K.S)
পরিবহন
[সম্পাদনা]ছাত্র, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সুবিধার জন্য কুয়েট খুলনা শহর ও ক্যাম্পাসের মধ্যে নিজস্ব বাস সার্ভিস পরিচালনা করে । ছুটির মধ্যে, বিশেষ সার্ভিস , ছুটির বিনোদনমূলক এবং অন্যান্য চাহিদা পূরণের জন্য বাস প্রদান করা হয় । বাস সার্ভিস শিল্প পরিদর্শন এবং শিক্ষার্থীদের অধ্যয়ন ট্যুর জন্য পাওয়া যায় । কুয়েট এ মোট ৮ টি বাস, ২ টি পাজারো, ১ টি ও ৪ টি মাইক্রোবাস আছে।
ইন্টারনেট সুবিধা
[সম্পাদনা]বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় কম্পিউটার সেন্টারের মাধ্যমে বিভিন্ন বিভাগ ও অফিসসমূহে উচ্চগতি সম্পন্ন ইন্টারনেট সুবিধা নিশ্চিত করা হয়। এছাড়া বিভাগসমূহ ও বিভিন্ন অফিসে WiFi Router রয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীরা সুনির্দিষ্ট form fill-up করে উক্ত WiFi সুবিধা নিয়ে থাকে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ইমেইল আইডি (@stud.kuet.ac.bd) প্রদান করা হয়।[১৫]
ভাষা
[সম্পাদনা]পরীক্ষার নির্দেশনা এবং উত্তর প্রদানের জন্য অফিসিয়াল এবং একমাত্র ভাষা ইংরেজি , তবে শিক্ষক ক্লাস লেকচারে ইংরেজির পাশাপাশি নেটিভ ভাষা বাংলাও ব্যবহার করতে পারেন ।
অতিথিশালা
[সম্পাদনা]খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এর রয়েছে ২ টি অতিথিশালা। যার একটি ক্যাম্পাসের ভিতরে অবস্থিত এবং অপর টি রাজধানী ঢাকার মোহাম্মাদপুরে অবস্থিত। এই অতিথিশালায় অত্র প্রতিষ্টানের শিক্ষক কর্মকর্তা, কর্মচারী, সিন্ডিকেট সদস্য, অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, দেশী বিদেশী গবেষক ও দর্শনার্থীগন অবস্থান করতে পারেন।
শিক্ষার্থী কল্যাণ কেন্দ্র (এসডব্লিউসি )
[সম্পাদনা]শিক্ষার্থী কল্যাণ কেন্দ্রের লক্ষ্য হচ্ছে শিক্ষার্থীদের সুপ্ত প্রতিভা, জ্ঞান এবং চিন্তাভাবনাগুলি আবিষ্কার, প্রচার ও আলোকিত করতে সহায়তা করে। কুয়েট এসডব্লিউসি বিস্তৃত সুযোগ ও সুবিধাসমূহের সাথে লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও কল্যাণ সংক্রান্ত বিষয়গুলিতে কাজ করে এমন লক্ষ্যগুলি পূরণের জন্য নকশাকৃত এবং প্রতিষ্ঠিত।
সেন্ট্রাল ক্যাফেটেরিয়া
[সম্পাদনা]শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং অন্যান্য সম্প্রদায়ের জন্য সকাল,দুপুর রাতের খাবার সরবরাহের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সজ্জিত কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়া রয়েছে।
মুক্ত মঞ্চ
[সম্পাদনা]কুয়েট ওপেন স্টেজ বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ওপেন এয়ার স্টেজ। ওপেন এয়ার স্টেজটি বিস্তৃত বিনোদনের মূল কেন্দ্র। ওপেন এয়ার স্টেজ সব ধরনের কনসার্ট এবং মঞ্চ ইভেন্টের জন্য উপযুক্ত।
জিমনেসিয়াম এবং সুইমিং পুল
[সম্পাদনা]বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর
[সম্পাদনা]কনফারেন্স রুম
[সম্পাদনা]গণমাধ্যম কেন্দ্র
[সম্পাদনা]সমাবর্তন
[সম্পাদনা]খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) ১৯৬৭ সালে খুলনা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়ে ৩রা জুন ১৯৭৪ সালে একাডেমিক কাজ শুরু করে এবং ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি (বিআইটি),খুলনা তে রুপান্তরিত হয়। বিআইটি,খুলনা থাকাকালীন সময়ে ১ম সমাবর্তন ১৯৯৩ সালে এবং ২য় সমাবর্তন ২০০৩ সালে অনুষ্ঠিত হয়। ২০০৩ সালে বিআইটি থেকে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এ উন্নীত হবার পরে ১ম সমাবর্তন ২০০৬ সালে, ২য় সমাবর্তন ২০১২ সালে এবং ২০১৮ সালের ৪ এপ্রিল ৩য় সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়।
১ম সমাবর্তন
[সম্পাদনা]২০০৬ সালে প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়।
২য় সমাবর্তন
[সম্পাদনা]২য় সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি হিসেবে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদে এমেরিটাস প্রফেসর ড. জামাল নজরুল ইসলাম। ২য় সমাবর্তনে সর্বমোট ২ হাজার ৫৫৫ জনকে ডিগ্রি প্রদান করা হবে। তার মধ্যে ২ হাজার ৪৪১ জনকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং, ৬৯ জনকে এমএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং, ৩৯ জনকে এমফিল ও ৬ জনকে পিএইচডি ডিগ্রির সনদ প্রদান করা হবে। একই সঙ্গে স্নাতক পর্যায়ের ভাল ফলাফলের ভিত্তিতে ‘বিশ্ববিদ্যালয় স্বর্নপদক’ দেওয়া হয় ২৬ জন কৃতি গ্র্যাজুয়েটকে।[১৬]
৩য় সমাবর্তন
[সম্পাদনা]২০১৮ সালের ৪ এপ্রিল কুয়েটের ৩য় সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রখ্যাত বিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলী আসগর। ৩য় সমাবর্তনে সর্বমোট ৩ হাজার ২৭২ জনকে ডিগ্রি প্রদান করা হবে। তার মধ্যে ৩ হাজার ০২৩ জনকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং, ১০৩ জনকে এমএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ,৪৮ জন এমএসসি, ৬৯ জনকে এমফিল ও ৮ জনকে পিএইচডি (এর মাঝে ২ জন ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ক) ডিগ্রির সনদ প্রদান করা হবে। একই সঙ্গে স্নাতক পর্যায়ের ভাল ফলাফলের ভিত্তিতে ‘বিশ্ববিদ্যালয় স্বর্নপদক’ দেওয়া হয় ৩৮ জন কৃতি গ্র্যাজুয়েটকে। [১৭]
স্থাপত্যসমূহ
[সম্পাদনা]দুর্বার বাংলা
[সম্পাদনা]একাডেমিক ভবনের পূর্ব পাশে মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য দুর্বার বাংলা অবস্থিত। এর স্থপতি শিল্পী গোপাল চন্দ্র পাল।[১৮]
শহীদ মিনার
[সম্পাদনা]খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের অনুরুপ শহীদ মিনার নির্মান করা হয়েছে। এটি এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে নির্মিত শহীদ মিনারগুলোর মধ্যে ক্ষেত্রফলে সর্ববৃহৎ এবং উচ্চতায় ২য়। এই শহীদ মিনারের ক্ষেত্রফল ২২২২ বর্গমিটার এবং উচ্চতা ১১.৯৮ মিটার (কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের ক্ষেত্রফল ১৫০০ বর্গমিটার এবং উচ্চতা ১৪ মিটার)। শহীদ মিনারটি শুধুমাত্র কংক্রিটে আচ্ছাদিত নয়। এর প্রতিটি ল্যান্ডস্কেপিং এ কংক্রিটের পাশাপাশি রয়েছে সবুজ ঘাস এবং ফুলের বাগান। শহীদ মিনারের ঠিক পিছন দিকটাতে রয়েছে লাল সূর্য এবং লেক যার মধ্যে শহীদ মিনারের প্রতিচ্ছবি প্রস্ফুটিত হয় যা আর অন্য কোন শহীদ মিনারে নেই। প্রায় ১ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত এই শহীদ মিনারের কাজ শেষ হয় ২০১৮ সালে।[১৯]
ধর্মীয় উপাসনালয়
[সম্পাদনা]মুসলিমদের জন্য ১ টি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ আছে, এছাড়া ৩ টি হল মসজিদ বিদ্যমান। মসজিদ সমুহের কার্যক্রম সম্পন্ন করা জন্য ইমাম মুয়াজ্জিম ও খাদেম আছেন। এছাড়া হিন্দু ধর্মালম্বীদের জন্য একটি হলে মন্দির আছে।[২০]
হাইটেক পার্ক
[সম্পাদনা]খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১.৬৫ একর জমিতে আইটি পার্ক/হাইটেক পার্ক নির্মাণ করা হয়েছে।[২১][২২]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ হোসেন, মোঃ সাজ্জাদ, সম্পাদক (অক্টোবর ২০২৩)। "৪৯তম বার্ষিক প্রতিবেদন ২০২২" (পিডিএফ)। ইউজিসি প্রকাশনা। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন: ৯৪। ৫ এপ্রিল ২০২৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ এপ্রিল ২০২৪।
- ↑ হোসেন, মোঃ সাজ্জাদ, সম্পাদক (অক্টোবর ২০২৩)। "৪৯তম বার্ষিক প্রতিবেদন ২০২২" (পিডিএফ)। ইউজিসি প্রকাশনা। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন: ৯৪। ৫ এপ্রিল ২০২৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ এপ্রিল ২০২৪।
- ↑ ক খ খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। "History"। খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। ২ মে ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জুলাই ২০১৫।
- ↑ ক খ গ nam=KUET_history>url=http://www.kuet.ac.bd›images[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "কুয়েট ক্যাম্পাস ম্যাপ" (পিডিএফ)। ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুন ১, ২০১৪।
- ↑ "কুয়েট ক্যাম্পাস"। সংগ্রহের তারিখ জুন ১, ২০১৪।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ Academic Ordinance Rules and Regulations, Published by Public Relations & Information Section, KUET. January, 2019, p. 81
- ↑ http://library.kuet.ac.bd/index.php/Welcome/policy
- ↑ "Departments of KUET"। Khulna University of Engineering & Technology। ৮ আগস্ট ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬।
- ↑ বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় কুয়েটের ৩৪ শিক্ষক, জাগো নিউজ টুয়েন্টি ফোর ডটকম, ১৪ অক্টোবর ২০২১
- ↑ "কুয়েটের উপাচার্য হলেন অধ্যাপক ড. মিহির রঞ্জন"। ঢাকা ট্রিবিউন। ১ সেপ্টেম্বর ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ২ সেপ্টেম্বর ২০২২।
- ↑ "কুয়েট উপাচার্য হলেন অধ্যাপক মুহাম্মদ মাছুদ"। দ্য ডেইলি স্টার। ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
- ↑ স্নাতক শ্রেনির বুলেটিন, ২০১১।
- ↑ "KUET | Khulna University of Engineering & Technology"। www.kuet.ac.bd। ২০২০-০২-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০২-২৩।
- ↑ Academic Ordinance Rules and Regulations, Published by Public Relations & Information Section, KUET. January, 2019, p. 84
- ↑ "কুয়েটের ২য় সমাবর্তন শনিবার"। banglanews24.com। ২০১২-১২-০৬। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৬।
- ↑ https://www.jagonews24.com/amp/419242
- ↑ সুমন, শরীফুল আলম (২০২১-০৩-২৭)। "মুক্তিযুদ্ধের লালন ভাস্কর্যে ভাস্কর্যে"। দৈনিক কালের কন্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৯-১৯।
- ↑ http://m.banglatribune.com/country/news/295485/উদ্বোধনের-অপেক্ষায়-কুয়েটের-পূর্ণাঙ্গ-শহীদ-মিনার[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "KUET | Khulna University of Engineering & Technology"। www.kuet.ac.bd। ২০২০-০২-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০২-২৩।
- ↑ "কুয়েটের জায়গায় হচ্ছে হাইটেক পার্ক"। www.kalerkantho.com। ২২ আগস্ট ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৭-১৬।
- ↑ "Sheikh Kamal IT Training & Incubation Center, KUET"। Bangladesh Hi-Tech Park Authority। ৭ সেপ্টেম্বর ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০২৪।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট
- কুয়েট নীতিমালা ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২১ সেপ্টেম্বর ২০১২ তারিখে