গোবিন্দ নিহলানি
গোবিন্দ নিহলানি | |
|---|---|
২০০৬ সালে নিহলানি | |
| জন্ম | ১৯ ডিসেম্বর ১৯৪০ |
| পেশা | চলচ্চিত্র পরিচালক, চিত্রগ্রাহক, চিত্রনাট্যকার, প্রযোজক |
| কর্মজীবন | ১৯৬২-বর্তমান |
গোবিন্দ নিহলানি (জন্ম: ১৯ ডিসেম্বর ১৯৪০) একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র পরিচালক, চিত্রগ্রাহক, চিত্রনাট্যকার ও প্রযোজক। তিনি মূলত হিন্দি চলচ্চিত্রে কাজের জন্য সুপরিচিত। তিনি ছয়টি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও পাঁচটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার অর্জন করেছেন।[১][২] তার দ্রোহকাল (১৯৯৪) চলচ্চিত্রের পাণ্ডুলিপি কমল হাসান তামিল ভাষায় কুরুদিপুনল নামে পুনর্নির্মাণের জন্য গ্রহণ করে, যা ১৯৯৬ সালে ৬৮তম একাডেমি পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র বিভাগে ভারত থেকে জমা দেওয়া হয়।[৩]
তার পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র আক্রোশ (১৯৮০), এতে ওম পুরি, নাসিরুদ্দিন শাহ, স্মিতা পাতিল ও অমরিশ পুরি অভিনয় করেন। এই চলচ্চিত্রের গল্প লিখেন প্রখ্যাত মারাঠি নাট্যকার বিজয় তেন্ডুলকর। চলচ্চিত্রটি ১৯৮১ সালে নতুন দিল্লিতে অনুষ্ঠিত ভারতের আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র হিসেবে গোল্ডেন পিকক অর্জন করে।[৪][৫] তিনি এরপর এস. ডি. পানওয়াকারের গল্প অবলম্বনে অর্ধ সত্য (১৯৮৩) চলচ্চিত্র পরিচালনা করেন। চলচ্চিত্রটি পুলিশ-রাজনীতিবিদ-অপরাধী চক্রকে তুলে ধরার জন্য সমাদৃত হয়। ১৯৯৭ সালে তিনি বাঙালি ঔপন্যাসিক মহাশ্বেতা দেবীর সমাদৃত উপন্যাস হাজার চুরাশির মা অবলম্বনে নির্মাণ করেন হাজার চৌরাসী কী মা।[৬][৭] তিনি আক্রোশ, অর্ধ সত্য, দৃষ্টি, ও হাজার চৌরাসী কী মা চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ হিন্দি ভাষার পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।
প্রারম্ভিক জীবন
[সম্পাদনা]নিহলানি ১৯৪০ সালের ১৯শে ডিসেম্বর তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের (বর্তমান পাকিস্তান) সিন্ধ প্রদেশের করাচিতে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগকালীন তার পরিবার ভারতে চলে আসে। তিনি ১৯৬২ সালে বেঙ্গালুরুর শ্রী জয় চামরাজেন্দ্র পলিটেকনিক (বর্তমান সরকারি চলচ্চিত্র ও দূরদর্শন সংস্থান)[৮] থেকে চিত্রগ্রহণের পাঠ সমাপ্ত করে চিত্রগ্রাহক হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি ভি. কে. মূর্তির সহকারী চিত্রগ্রাহক ছিলেন। তিনি শ্যাম বেনেগলের শুরুর দিকের সবকয়টি চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন এবং রিচার্ড অ্যাটনবারার অস্কার বিজয়ী মহাকাব্যিক গান্ধী চলচ্চিত্রের চিত্রগ্রহণের সাথে জড়িত ছিলেন। নিহলানি ও বেনেগল তাদের সামাজিকভাবে প্রাসঙ্গিক চলচ্চিত্রের জন্য সুপরিচিত।[৯]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Govind Nihalani interview"। হিন্দুস্তান টাইমস। ১৪ জুন ২০০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত।
- ↑ "Movies: The Govind Nihalani interview"। রেডিফ.কম। ১ ডিসেম্বর ১৯৯৯। সংগ্রহের তারিখ ২০ এপ্রিল ২০২১।
- ↑ "Life/Style: The silence that speaks"। রেডিফ.কম। ৯ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২০ এপ্রিল ২০২১।
- ↑ "The Hindu : Metro Plus Bangalore : 'Digital video is liberating'"। ১১ মার্চ ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২০ এপ্রিল ২০২১।
- ↑ "Govind Nihalani on Dev"। ইন্ডিয়া এফএম। ১০ জানুয়ারি ২০০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২০ এপ্রিল ২০২১।
- ↑ "Through her writing, you get to hear the voice of a community that is otherwise voiceless"। রেডিফ.কম। সংগ্রহের তারিখ ২০ এপ্রিল ২০২১।
- ↑ "A film must appeal to all people"। হিন্দুস্তান টাইমস। ১ মার্চ ২০০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২০ এপ্রিল ২০২১।
- ↑ "GFTI alumni"। ২১ আগস্ট ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২০ এপ্রিল ২০২১।
- ↑ "An interview with Govind Nihalani"। চৌক। ৭ জুন ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২০ এপ্রিল ২০২১।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- ১৯৪০-এ জন্ম
- জীবিত ব্যক্তি
- ২০শ শতাব্দীর ভারতীয় চলচ্চিত্র পরিচালক
- করাচির ব্যক্তি
- সিন্ধি ব্যক্তি
- ভারতীয় টেলিভিশন পরিচালক
- ভারতীয় চলচ্চিত্র প্রযোজক
- ভারতীয় পুরুষ চিত্রনাট্যকার
- হিন্দি চলচ্চিত্র প্রযোজক
- হিন্দি ভাষার চলচ্চিত্র পরিচালক
- শিল্পকলায় পদ্মশ্রী প্রাপক
- শ্রেষ্ঠ হিন্দি ভাষার চলচ্চিত্র বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিজয়ী পরিচালক
- শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (ভারত) বিজয়ী
- শ্রেষ্ঠ পরিচালক বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার বিজয়ী