অসিতবরণ মুখোপাধ্যায়
অসিতবরণ | |
---|---|
জন্ম | অসিতবরণ মুখোপাধ্যায় ১৯ নভেম্বর ১৯১৩ |
মৃত্যু | ২৭ নভেম্বর ১৯৮৪ | (বয়স ৭১)
জাতীয়তা | ভারতীয় |
পেশা | গায়ক ও অভিনেতা |
অসিতবরণ পুরো নাম অসিতবরণ মুখোপাধ্যায় (১৯ নভেম্বর, ১৯১৩ — ২৭ নভেম্বর, ১৯৮৪ ছিলেন ভারতের বাংলা চলচ্চিত্রের খ্যাতনামা অভিনেতা, গায়ক ও নাট্যব্যক্তিত্ব।[১]
সংক্ষিপ্ত জীবনী
[সম্পাদনা]অসিতবরণের জন্ম বৃটিশ ভারতের কলকাতায় ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দের ১৯ নভেম্বর। জ্ঞানপ্রকাশ ঘোষের কাছে তবলা বাজানো শিখে তিনি তবলাবাদক হিসাবে কলকাতা বেতারে এবং পরে গ্রামোফোন কোম্পানিতে চাকরি করেন। তার সুন্দর কণ্ঠের জন্য তিনি মাঝে মাঝে গানও গাইতেন। নিখিল ভারত সংগীত সম্মেলনে তার তবলা-বাজানা শুনে পাহাড়ী সান্যাল তার সাথে আলাপ করে তাঁকে নিউ থিয়েটার্সে নিয়ে আসেন অভিনয়ের জন্য। তার আগেই অবশ্য তবলা-বাজনা দিয়ে চলচ্চিত্র জগতের সঙ্গে সম্পর্কের সূচনা হয়েছিল।
প্রথম নায়ক হিসাবে অভিনয় করেন "কাশীনাথ" ছবিতে। হিন্দি "পরিণীতা" ছায়াছবি থেকে তিনি নায়ক হিসাবে সর্বভারতীয় স্বীকৃতি পান,আর সারা ভারতে তার জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ে "ওয়াপস" ছায়াছবি থেকে। ওই ছবিতে তার কণ্ঠের গান হাম কোচোয়ান,হাম কোচোয়ান গানটি তাকে রাতারাতি বিখ্যাত করে দেয়। 'চলাচল','পঞ্চতপা','মা' প্রভৃতি ছবিতে তার দুর্দান্ত অভিনয় ক্ষমতারপরিচয় পাওয়া যায়। বাংলার চলচ্চিত্র জগতের মহানায়ক উত্তমকুমারের দৃষ্টিতে সেসময় অসিতবরণ ছিলেন "আদর্শ নায়ক"।[২] চলচ্চিত্র জগতে তার ডাকনাম ছিল 'কালোদা'। মঞ্চাভিনেতা হিসাবেও তার খ্যাতি ছিল। 'রসরঙ্গ' নামে একটি নাট্যদল তৈরি করেছিলেন। তিনি এই দলের মাধ্যমে শেষজীবনে শোভাবাজার বি কে পালের বাড়িতে নুটু মুখোপাধ্যায়ের সহযোগে শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণদেবের জীবনের ঘটনাবলি সংগীত আকারে পরিবেশন করতেন। ঠাকুরের কথকতা পরিবেশন করতেন। মাত্র চার বছরের মধ্যে পর পর তিনটি সুপারহিট ছবিতে অসাধারণ গান গেয়ে শ্রোতা-দর্শকদের মুগ্ধ করার বিরল নজির তিনিই স্থাপন করেছিলেন।
উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের তালিকা
[সম্পাদনা]- 'প্রতিশ্রুতি' (১৯৪১)
- 'কাশীনাথ' (১৯৪৩)
- 'ওয়াপস' (১৯৪৩) (হিন্দি)
- 'নার্স' (১৯৪৭)
- 'দৃষ্টিদান' (১৯৪৮)
- 'সুধার প্রেম' (১৯৫০)
- 'প্রত্যাবর্তন' (১৯৫১)
- 'পরিণীতা' (১৯৫৩) (হিন্দি)
- 'তিন বাতি চার রাস্তা'(১৯৫৩) (হিন্দি)
- 'মন্ত্রশক্তি' (১৯৫৪)
- ‘হ্রদ ( চলচ্চিত্র)’(১৯৫৫)
- 'চলাচল' (১৯৫৬)
- 'পৃথিবী আমাদের চায়' (১৯৫৭)
- 'স্মৃতিটুকু থাক' (১৯৫৯)
- 'খোকাবাবুর প্রত্যাবর্তন(১৯৬০)
- 'বন্ধু' (১৯৬২)
- 'আলোর পিপাসা' (১৯৬৫)
- 'জোড়াদীঘির চৌধুরীপরিবার'(১৯৬৬)
- 'এন্টনী ফিরিঙ্গী (১৯৬৭)
- '৮০তে আসিওমানুষ না' (১৯৬৭)
- 'বাঘবন্দী খেলা' (১৯৭৫)
- 'সূর্যসাক্ষী' (১৯৮১)
- 'কলঙ্কিনী কঙ্কাবতী' (১৯৮১)
জীবনাবসান
[সম্পাদনা]খ্যাতনামা গায়ক-নায়ক অসিতবরণ ১৯৮৪ খ্রিস্টাব্দের ২৭ নভেম্বর কলকাতায় প্রয়াত হন।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, আগস্ট ২০১৬ পৃষ্ঠা ৫৩ আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬
- ↑ "উত্তমের চোখে তখন আদর্শ নায়ক অসিতবরণ..."। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-২৭।
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |