শংকর গোবিন্দ চৌধুরী স্টেডিয়াম
নাটোর জেলা স্টেডিয়াম | |
স্টেডিয়ামের মূল প্রবেশদ্বার, ২০১৮ | |
![]() | |
| পূর্ণ নাম | শংকর গোবিন্দ চৌধুরী স্টেডিয়াম |
|---|---|
| প্রাক্তন নাম | নাটোর জেলা স্টেডিয়াম (১৯৯১–১৯৯৯) |
| অবস্থান | নাটোর, বাংলাদেশ |
| স্থানাঙ্ক | ২৪°২৫′০.৬৪″ উত্তর ৮৯°০′০.৫৬″ পূর্ব / ২৪.৪১৬৮৪৪৪° উত্তর ৮৯.০০০১৫৫৬° পূর্ব |
| মালিক | জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ |
| পরিচালক | নাটোর জেলা ক্রীড়া সংস্থা |
| ধারণক্ষমতা | ২০০০০ |
| ক্ষেত্রফল | ৪.৫ একর |
| উপরিভাগ | ঘাস |
| নির্মাণ | |
| কপর্দকহীন মাঠ | ১ নভেম্বর, ১৯৯১ |
| নির্মিত | ১৯৯৬–১৯৯৭ |
| চালু | ১২ জানুয়ারি, ১৯৯৯ |
| নির্মাণ ব্যয় | ৳ ২.৫০ কোটি (১৯৯৯) ৳ ৮.৭৭ কোটি (২০১২) |
শংকর গোবিন্দ চৌধুরী স্টেডিয়াম[১] ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত,[২] বাংলাদেশের একটি জেলা পর্যায়ের স্টেডিয়াম।[৩] এটির অবস্থান নাটোর পৌরসভার পূর্বাংশে নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের পাশে পটুয়াপাড়ায়।[৩] বাংলাদেশের বেশীরভাগ স্টেডিয়ামের মত এই ক্রীড়া স্থাপনাটিও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অধিভূক্ত এবং স্থানীয় নাটোর জেলা ক্রীড়া সংস্থার তত্ত্বাবধায়নে রয়েছে।[২] বিশ হাজার দর্শক ধারণক্ষম স্টেডিয়ামটি জেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে বিভিন্ন জেলা-উপজেলা, বয়স ভিত্তিক, স্কুল ক্রীড়া ও স্থানীয় লিগের স্বাগতিক মাঠ হিসেবে ব্যবহার হয়। এছাড়াও এটি বাংলাদেশের জাতীয় দিবসসমূহে রাষ্ট্রীয় কর্মসূচীর প্রধান আয়োজনস্থল।
১৯৯১ সালে ভূমি অধিগ্রহণ ১৯৯৯ সালে উদ্বোধনের মাধ্যমে স্টেডিয়ামটির প্রাথমিক নির্মাণ সম্পন্ন হয়। ২০১৪ সালে এটির প্রথম সংস্কার ও সম্প্রসারণ করা হয়। এটি জেলার প্রথম স্টেডিয়াম, অপরটি লালপুর উপজেলায় অবস্থিত, ২০০৬ সালে চালু হওয়া শহীদ মমতাজ উদ্দিন স্টেডিয়াম।[৪]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]১৯৯১ সালের নভেম্বরে নাটোর শহরের পূর্বাংশে স্টেডিয়াম নির্মাণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ ও শিলান্যাশ করা হয়। ভিত্তি প্রস্থর স্থাপনের সাড়ে চার বছর পর নির্মাণকাজ শুরু হয়। ১৯৯৬ থেকে ১৯৯৭-এর মাঝামঝি কাজ চলে। ১৮ মাসের মধ্যে ২.৫ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রাথমিক নির্মাণ সম্পন্ন হয়। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ১৯৯৭ সালের ২০ অক্টোবর স্টেডিয়ামটি নাটোর জেলা ক্রীড়া সংস্থার কাছে ব্যবহারের জন্য হস্তান্তর করে। ১৯৯৯ সালের ১২ জানুয়ারি শংকর গোবিন্দ চৌধুরীর মরণোত্তর সম্মানে স্টেডিয়ামটির নামকরণ ও আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।[২]
২০১২ সালের ২৩ মার্চ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ৮ কোটি ৭৭ লাখ টাকা বাজেটে স্টেডিয়ামটির রাস্তা সংস্কার ও গ্যালারি আধুনিকায়নের মত সম্প্রসারণের কাজ শুরু করে।[৫] ২০১৪ সালের মধ্যে সম্প্রসারণ সম্পন্ন হয়।[৬]
অবকাঠামো
[সম্পাদনা]স্টেডিয়ামটি ৪.৫ একর ভূমির উপর নির্মিত একটি ডিম্বাকার ক্রীড়া স্থাপনা।[২] ২০১৪ সালে সম্প্রসারণের পর এটির গ্যালারি ১১ ধাপ বিশিষ্ট এবং ২০ হাজার দর্শক ধারণ করতে পারে।[৫] এছাড়াও স্টেডিয়ামের অভ্যন্তরে একটি মিলনায়তন আছে।
আয়োজন
[সম্পাদনা]স্টেডিয়ামটি জেলা ফুটবল লিগ আয়োজনের স্বাগতিক মাঠ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।[৭] ২০০৪ ও ২০০৫ সালে স্টেডিয়ামটি যথারীতি চতুর্থ ও পঞ্চম জাতীয় ফুটবল লিগের আঞ্চলিক প্রতিযোগিতার স্বাগতিক মাঠ ছিল।[৮][৯][১০]
জেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে এখানে বয়স ভিত্তিক ফুটবল প্রতিযোগিতা হয়।[১১] ২০১৯ সালে স্টেডিয়ামটি অনূর্ধ্ব-২০ জাতীয় ফুটবলের বিভাগ দলের চূড়ান্ত খেলার ভেন্যু ছিল।[১২] ২০২৩ সালে এখানে দ্বিতীয় বাংলাদেশ যুব গেমসের উপজেলা পর্যায়ে নাটোর জেলা পর্বের ভলিবল, কাবাডি, ব্যাডমিন্টন, তায়কোয়ান্দো, দাবা ও মল্লক্রীড়া প্রতিযোগিতা হয়েছে।[১৩]
ক্রীড়ানুষ্ঠানের বাইরে এটি বাংলাদেশের জাতীয় দিবসসমূহ তথা বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস ও বিজয় দিবসের রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান যথা - জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কুচকাওয়াজ, ও স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের শারীরিক কসরৎ প্রদর্শনের প্রধান স্থান।[১৪]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "অন্যান্য সকল স্টেডিয়াম"। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। ২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জানুয়ারি ২০২০।
- 1 2 3 4 "Hasina to open Natore Stadium today" [হাসিনা আজ নাটোর স্টেডিয়াম উদ্বোধন করবেন]। দ্য ডেইলি স্টার (বাংলাদেশ) (ইংরেজি ভাষায়)। ঢাকা। ১২ জানুয়ারি ১৯৯৯। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুলাই ২০২০।
- 1 2 "জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নিয়ন্ত্রণাধীন ক্রীড়া স্থাপনা" (পিডিএফ)। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় (বাংলাদেশ)। ৭ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত (পিডিএফ)। সংগ্রহের তারিখ ৭ জানুয়ারি ২০২২।
- ↑ "খেলাধূলা ও বিনোদন"। নাটোর জেলা - বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন। সংগ্রহের তারিখ ২৪ এপ্রিল ২০২৫।
{{ওয়েব উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: ইউআরএল-অবস্থা (লিঙ্ক) - 1 2 "নাটোর স্টেডিয়ামকে আন্তর্জাতিক মানের করা হচ্ছে"। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। ২৩ মার্চ ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ২৪ এপ্রিল ২০২৫।
{{ওয়েব উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: ইউআরএল-অবস্থা (লিঙ্ক) - ↑ "কোটি টাকার লক্ষ্যে নাটোর"। কালের কণ্ঠ। ৭ নভেম্বর ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২৪ এপ্রিল ২০২৫।
{{ওয়েব উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: ইউআরএল-অবস্থা (লিঙ্ক) - ↑ রহমান, শাহিনুর (৮ জুলাই ২০২২)। "নাটোরে ফুটবল লীগের পুরস্কার বিতরণ করলেন মেয়র লিটন"। দৈনিক সকালের সময়। সংগ্রহের তারিখ ২৪ এপ্রিল ২০২৫।
{{ওয়েব উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: ইউআরএল-অবস্থা (লিঙ্ক) - ↑ "Bangladesh 2004"। আরএসএসএসএফ (ইংরেজি ভাষায়)। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মে ২০১৯।
- ↑ "Rangamati MSC first team to reach NFL finals"। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম (ইংরেজি ভাষায়)। ২১ সেপ্টেম্বর ২০০৫। ২৭ মে ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মে ২০১৯।
- ↑ "Bangladesh 2005/06"। আরএসএসএসএফ (ইংরেজি ভাষায়)। ৯ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মে ২০১৯।
- ↑ "নাটোরে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা অনুর্ধ-১৭ জাতীয় গোল্ডকাপের সমাপ্তি"। ডিবিসি নিউজ। ১ জুন ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ২৪ এপ্রিল ২০২৫।
{{ওয়েব উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: ইউআরএল-অবস্থা (লিঙ্ক) - ↑ "রাজশাহী বিভাগ চ্যাম্পিয়ন"। দেশ রূপান্তর। ২৯ এপ্রিল ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২৪ এপ্রিল ২০২৫।
- ↑ "নাটোরে শেখ কামাল যুব গেমস শুরু"। বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা। ৭ জানুয়ারি ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ২৪ এপ্রিল ২০২৫।
{{ওয়েব উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: ইউআরএল-অবস্থা (লিঙ্ক) - ↑ "সারাদেশে নানা আয়োজনে বিজয় দিবস পালিত হচ্ছে"। বাংলাদেশ জার্নাল। ১৬ ডিসেম্বর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২৪ এপ্রিল ২০২৫।
{{ওয়েব উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি শৈলী রক্ষণাবেক্ষণ: ইউআরএল-অবস্থা (লিঙ্ক)
