সৈয়দ নজরুল ইসলাম স্টেডিয়াম
![]() | |
প্রাক্তন নাম | কিশোরগঞ্জ জেলা স্টেডিয়াম |
---|---|
অবস্থান | আলোর মেলা, কিশোরগঞ্জ পৌরসভা, বাংলাদেশ |
স্থানাঙ্ক | ২৪°২৬′৩৯.০১″ উত্তর ৯০°৪৬′৫৬.৩১″ পূর্ব / ২৪.৪৪৪১৬৯৪° উত্তর ৯০.৭৮২৩০৮৩° পূর্ব |
মালিক | জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ[১] |
পরিচালক | কিশোরগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থা |
ক্ষেত্রফল | ৭ একর |
উপরিভাগ | ঘাস |
স্কোরবোর্ড | নাই |
নির্মাণ | |
কপর্দকহীন মাঠ | ১৯৮৭ |
চালু | ৫ অক্টোবর, ২০০৬ |
নির্মাণ ব্যয় | ৳ ৫.৫০ কোটি |
সৈয়দ নজরুল ইসলাম স্টেডিয়াম (কিশোরগঞ্জ ক্রিকেট স্টেডিয়াম নামেও পরিচিত) ২০০৬ সালে চালু হওয়া বাংলাদেশের একটি জেলা পর্যায়ের স্টেডিয়াম।[২] স্থাপনাটি কিশোরগঞ্জ জেলায় কিশোরগঞ্জ শহরের পুরাতন কালেক্টরেট সংলগ্ন আলোর মেলা মহল্লায় অবস্থিত।[২][৩] বাংলাদেশের বেশীরভাগ স্টেডিয়ামের মত এই ক্রীড়া স্থাপনাটিও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অধিভূক্ত[৪] এবং স্থানীয় কিশোরগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার তত্ত্বাবধায়নে রয়েছে।[২] এটি পুরাতন স্টেডিয়ামের পর নির্মিত জেলার দ্বিতীয় স্টেডিয়াম।[২]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]১৯৮৭ সালে বিভিন্ন খাত থেকে সংগৃহিত ১০ লাখ এবং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে পাওয়া ২ লাখ টাকা দিয়ে কিশোরগঞ্জ পৌরসভার আলোর মেলা মহল্লায় স্টেডিয়াম বানানোর জন্য ৭ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়।[৫] ২০০৬ সালের ৫ অক্টোবর স্থাপনাটি কিশোরগঞ্জ জেলা স্টেডিয়াম নামে এটির উদ্বোধন হয়। স্থাপনাটি সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত। পরবর্তীতে নাম বদলে সৈয়দ নজরুল ইসলাম স্টেডিয়াম রাখা হয়।[২] ২০১৩ সালের নভেম্বর থেকে ২০১৫ সালের জুন পর্যন্ত ক্রীড়া পরিষদ স্টেডিয়ামটির সাধারণ গ্যালার সম্প্রসারণ, খেলার মাঠের ভূমি উন্নয়ন, গণমাধ্যম কেন্দ্র ও অভ্যন্তরীণ সড়ক যুক্ত করে।[৬]
আয়োজন
[সম্পাদনা]উদ্বোধনের আট বছর পরে স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিক খেলা আয়োজন শুরু হয়।[২] ২০১৬ সালে এখানে প্রথমবার ক্রিকেট প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছিল।[৭] এছাড়া এখানে বয়স ভিত্তিক ফুটবল আয়োজন হয়েছে।[৮] এখানে নিয়মিত ভাবে জেলা ক্রীড়া সংস্থা আয়োজিত বিভিন্ন লিগ, ক্লাব ও ক্রীড়া সংগঠনের প্রতিযোগিতা এবং জেলা ও উপজেলার খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণ চলে।[৯]
ক্রীড়ানুষ্ঠান ছাড়াও স্টেডিয়ামটিতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও বিজয় দিবসে কুচকাওয়াজ, শিশু সমাবেশ, শরীরচর্চা প্রদর্শনী এবং মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।[১০][১১][১২]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Archived copy"। ২০১৩-০৯-১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৯-১৬।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ মোল্লা, সুমন (২০১৪-১১-১২)। "নাম বদলায়, খেলা হয় না"। প্রথম আলো। ২০২১-০৪-১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-১৫।
- ↑ "খেলাধুলা ও বিনোদন"। কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা আনুষ্ঠানিক তথ্য বাতায়ন। ২০২৫-০৩-০৪। ২০২৫-০১-২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৩-২১।
- ↑ "অন্যান্য সকল স্টেডিয়াম"। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। ২০২০-০২-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-১৯।
- ↑ লতিফ, মু আ (২০১৯-০৮-১৩)। "খেলার মাঠ এখন পুরাতন স্টেডিয়াম"। কিশোরগঞ্জ নিউজ। ২০১৯-১১-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৩-০২।
- ↑ "যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়াধীন বিভিন্ন দপ্তর/সংস্থা কর্তৃক প্রেরিত প্রস্তাবিত বিভিন্ন প্রকল্প/কর্মসূচীসমূহের তথ্য: যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়" (পিডিএফ)। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় (বাংলাদেশ)। ২০১৫-০৮-২৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৩-২১।
- ↑ "'বাংলাদেশের ক্রিকেটে নেতৃত্ব দেবে কিশোরগঞ্জ'"। জাগো নিউজ। ২০১৬-০১-১৬। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৩-২১।
- ↑ "কিশোরগঞ্জে একাডেমি কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন"। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৩-২২।
- ↑ চক্রবর্তী, রুমন (২০২১-১১-০১)। "উন্নয়নের ছোঁয়ায় বদলে যাচ্ছে কিশোরগঞ্জ"। রাইজিংবিডি.কম। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৩-২২।
- ↑ "প্রধান উপদেষ্টার কাছে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা শনিবার"। সময় টিভি। ২০২২-০৩-২৬। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৩-২১।
- ↑ "যথাযোগ্য মর্যাদায় কিশোরগঞ্জে মহান বিজয় দিবস পালিত"। বাংলাদেশ প্রতিদিন। ২০২৪-১২-১৬। ২০২৪-১২-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৩-২১।
- ↑ "নানা আয়োজনে কিশোরগঞ্জে মহান স্বাধীনতা দিবস পালন"। প্রতিদিনের বাংলাদেশ। ২০২৪-০৩-২৬। ২০২৪-০৯-১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৩-২১।