মোহাম্মদ আলী বক্সিং স্টেডিয়াম
মোহাম্মদ আলী বক্সিং স্টেডিয়াম | |
ঢাকা বক্সিং স্টেডিয়াম | |
পূর্ণ নাম | মোহাম্মদ আলী বক্সিং স্টেডিয়াম |
---|---|
অবস্থান | পল্টন, ঢাকা, বাংলাদেশ |
স্থানাঙ্ক | ২৩°৪৩′৩২.৩০″ উত্তর ৯০°২৪′৫১.৪০″ পূর্ব / ২৩.৭২৫৬৩৮৯° উত্তর ৯০.৪১৪২৭৭৮° পূর্ব |
মালিক | জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ |
পরিচালক | বাংলাদেশ এ্যামেচার বক্সিং ফেডারেশন |
ধারণক্ষমতা | ৮০০ |
ক্ষেত্রফল | ৪২ কাঠা |
স্কোরবোর্ড | ইলেকট্রনিক বক্সিং স্কোর বোর্ড |
নির্মাণ | |
কপর্দকহীন মাঠ | ১৯৭৭ |
নির্মিত | ১৯৭৭ |
উদ্বোধন | ১৯৭৮ |
পুনঃসংস্কার | ২০১০ |
নির্মাণ ব্যয় | ৳ ৪ কোটি (২০১০) |
ভাড়াটে | |
বাংলাদেশ এ্যামেচার বক্সিং ফেডারেশন বাংলাদেশ কিক্ বক্সিং এসোসিয়েশন |
মোহাম্মদ আলী বক্সিং স্টেডিয়াম ১৯৭৭ সালে নির্মিত, মুষ্টিযুদ্ধ বা বক্সিং খেলার জন্য বাংলাদেশের একমাত্র বিশেষায়িত স্টেডিয়াম।[১] স্টেডিয়ামটি ঢাকার পল্টনে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম কমপ্লেক্সের ভিতরে পল্টন ময়দানের দক্ষিণ কোনে অবস্থিত। ১৯৭৮ সালে কিংবদন্তি মুষ্টিযোদ্ধা মুহাম্মদ আলী এই স্টেডিয়ামের উদ্বোধন করেন। তাঁর সম্মানে এই স্টেডিয়ামের নামকরণ করা হয়।[২][৩][৪] এই স্টেডিয়ামে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন বয়স ভিত্তিক, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বক্সিং প্রতিযোগিতা সমূহ আয়োজিত হয়। স্টেডিয়ামটি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অধিভূক্ত[৫] এবং বাংলাদেশ অপেশাদার বক্সিং ফেডারেশন-এর তত্তাবধায়নে রয়েছে।
নির্মাণ ও সংস্কার ইতিহাস[সম্পাদনা]
১৯৭৭ সালে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বক্সিং প্রতিযোগিতা আয়োজনের জন্য পল্টন ময়দানের দক্ষিণ অংশে এই স্টেডিয়াম নির্মাণের জন্য ৪২ কাঠা জমি বরাদ্দ করে। এসময় একটি বক্সিং রিং স্থাপনসহ স্টেডিয়ামটি নির্মাণ করা হয়। ১৯৭৮ সালে কিংবদন্তি মুষ্টিযোদ্ধা মুহাম্মদ আলী বাংলাদেশ সফরে আসেন। ১৯ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৮ তারিখে তিনি এই স্টেডিয়ামের উদ্বোধন করেন। উদ্বোধন ছাড়াও তিনি এই স্টেডিয়ামের উন্নয়নের জন্য অর্থায়ন করেন।[৬] ২০১০ সালের দক্ষিণ এশীয় গেমস আয়োজন উপলক্ষে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে এই স্টেডিয়াম পূনঃনির্মাণ করে। সংস্কারকৃত স্টেডিয়ামটি ৩০ অক্টোবর, ২০১০ তারিখে উদ্বোধন করা হয়।[১][৭][৮]
কাঠামো ও ধারণ ক্ষমতা[সম্পাদনা]
স্টেডিয়ামটি ডিম্বাকৃতির। স্টেডিয়ামের কেন্দ্রে একটি বক্সিং রিং স্থাপিত রয়েছে। নির্মাণের সময় হতে এই স্টেডিয়ামটি ১০০০ দর্শকে ধারণ করার উপযোগী ছিল।[১] ২০১০ সালে সংস্কারের পর আসন সংখ্যা কমিয়ে আনা হয়। বর্তমানে ৮০০ দর্শক বসে বক্সিং উপভোগ করতে পারেন।[৭] দর্শক আসন ছাড়াও স্টেডিয়ামের অভ্যন্তরে খেলোয়াড়দের জন্য একটি জিমনাসিয়াম এবং ৫০ আসন বিশিষ্ট সভাকক্ষ রয়েছে।[১]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ ক খ গ ঘ "History - Bangladesh Amateur Boxing Fedaration"। www.babf-bd.org। ২০২০-০২-০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-১৬।
- ↑ "ঢাকায় মোহাম্মদ আলী"। archive1.ittefaq.com.bd। ২০২০-০১-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-১৬।
- ↑ "Bangladesh I Love You"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৬-০৬-০৪। ২০১৯-১০-৩১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-১৬।
- ↑ "ঢাকায় এক কিশোরের ঘুষিতে পড়ে যান মোহাম্মদ আলী (ভিডিও)"। চ্যানেল আই অনলাইন। ২০১৬-০৬-০৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-১৬।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "খেলা ভিত্তিক স্টেডিয়াম"। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। ২০১৯-১২-২৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-১৬।
- ↑ "বাংলাদেশের স্মৃতিতে অম্লান মোহাম্মদ আলী"। দৈনিক ইনকিলাব। ২০১৬-০৬-০৫। ২০২০-০১-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-১৬।
- ↑ ক খ "খেলাধুলার উন্নয়নে বিত্তবানদের এগিয়ে আসতে বললেন প্রধামন্ত্রী"। bangla.bdnews24.com। ২০১০-১০-৩০। ২০২০-০১-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-১৬।
- ↑ "খেলাধুলার উন্নয়নে বিত্তবানরা এগিয়ে আসুন : প্রধানমন্ত্রী"। কালের কন্ঠ। ২০১০-১০-৩১। ২০১৯-০৮-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-১৬।