বরগুনা স্টেডিয়াম
পূর্ণ নাম | বরগুনা জেলা স্টেডিয়াম |
---|---|
অবস্থান | বরগুনা, বাংলাদেশ |
স্থানাঙ্ক | ২২°০৯′৩৮.৬২″ উত্তর ৯০°০৮′০২.৭৪″ পূর্ব / ২২.১৬০৭২৭৮° উত্তর ৯০.১৩৪০৯৪৪° পূর্ব |
মালিক | জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ |
পরিচালক | বরগুনা জেলা ক্রীড়া সংস্থা |
ধারণক্ষমতা | ২০০০ |
উপস্থিতির রেকর্ড | ২০০০০ এর অধিক |
আয়তন | ১৪৮ × ১২০ মি (৪৮৬ × ৩৯৪ ফু) |
আকার | আয়তাকার |
ক্ষেত্রফল | সাড়ে ৪ একর |
উপরিভাগ | ঘাস |
স্কোরবোর্ড | নেই |
নির্মাণ | |
কপর্দকহীন মাঠ | ১৯৭৪ |
নির্মিত | ১৯৭৮ |
পুনঃসংস্কার | জুলাই,২০১৫ |
ভাড়াটে | |
|
বরগুনা স্টেডিয়াম বা বরগুনা জেলা স্টেডিয়াম ১৯৭৪ সালে নির্মিত[১] বাংলাদেশের একটি জেলা পর্যায়ের স্টেডিয়াম। স্টেডিয়ামটি বরগুনা জেলার বরগুনায় বাস-স্টপের উত্তর দিকে খাকদন নদীর দক্ষিণ তীরে, ৮৮০ নং জাতীয় সড়কের পাশে অবস্থিত। এই স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের জাতীয় দিবস সমূহে কুচকাওয়াচ[২], কনসার্ট[৩]; জেলার বিভিন্ন ক্রীড়া বিশেষ করে ক্রিকেট[৪], ফুটবল, ভলিবল ও কাবাডি[৫] অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের অন্যান্য সকল ক্রীড়া ভেন্যুর মতই এই স্টেডিয়ামটি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অধিভুক্ত[৬] ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার তত্বাবধায়নে রয়েছে।
সমস্যাসমূহ
[সম্পাদনা]প্রতিষ্ঠালগ্নে এই স্টেডিয়ামটিতে দর্শক বসার মতো তিনটি গ্যালারী তৈরি করা হয়। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় গ্যালারী তিনটি ভেঙ্গে পরেছিল। এছাড়া বিভিন্ন স্থান থেকে সীমানা-প্রাচীর ভাঙ্গা রয়েছে। মাঠের মধ্যে জোয়ারের পানি ওঠা-নামা করায়, ভাল পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় মাঠটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।[১] সংস্কারের জন্য বরাদ্দ ও অবকাঠামোগত সমস্যা ছাড়াও সুইমিংপুল, ব্যায়ামাগার নেই।[৫] স্টেডিয়ামের মাঠে ক্রিকেট পিচও নেই ,মেটের ওপর খেলেন ক্রিকেটাররা।[৫]
সংস্কার
[সম্পাদনা]২০১৫ সালের জুলাইয়ে স্টেডিয়ামের উন্নয়নের জন্য তিন কোটি ৩৫ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ এই বরাদ্দ দিয়ে ১০০ ফুটের দ্বিতল ক্রীড়া ভবন আর ২০০ ফুট নতুন গ্যালারি নির্মাণ করেছে[৫]।
আয়োজন
[সম্পাদনা]নিয়মিত আয়োজন
[সম্পাদনা]স্টেডিয়ামটিতে প্রতিবছর বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও বিজয় দিবসে কুচকাওয়াজ[৭], শিশু সমাবেশ[২] মুক্তিযুদ্ধের ওপর আলোকচিত্র প্রদর্শনী[৮] এবং মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।
উল্লেখযোগ্য আয়োজন
[সম্পাদনা]২০১৮ সালের ১৩ জানুয়ারি, বাংলাদেশ যুব গেমসের বরিশাল বিভাগের ফুটবলের ফাইনাল এই ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হয়। স্বাগতিক বরগুনা জেলা দল বরিশাল জেলা দলকে হারিয়ে শিরোপা জিতে।[৯] ২০১৯ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি, শেখ কামাল অনূর্ধ্ব-২০ জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য বরিশাল বিভাগের ৬ জেলার ফুটবলার বাছাই করা হয়েছে এই মাঠে।[১০][১১] একই বছর ১৮ অক্টোবর সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে এই ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হয় 'উন্নয়ন কনসার্ট :অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ'। বিখ্যাত ব্যান্ড সংগীত তারকা জেমস এই কনসার্টে আইয়ুব বাচ্চুর মৃত্যু নিয়ে আবেগাপ্লুত ছিলেন।[৩][১২]
ধারণ ক্ষমতা
[সম্পাদনা]প্রতিষ্ঠার সময় হতে স্টেডিয়ামটির তিনটি গ্যালারীতে ২,০০০ বসতে পারে। জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন খেলায় দর্শক হয় প্রায় দশ থেকে পনের হাজার, যার অধিকাংশ দাঁড়িয়ে খেলা উপভোগ করেন[১][৫]। তবে ১৮ অক্টোবর, ২০১৮ তারিখের উন্নয়ন কনসার্টে ২০ সহস্রাধিক দর্শক সমাগত হয়েছিল[১২][১৩]।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ গ "নানা সমস্যায় জর্জরিত বরগুনা জেলা স্টেডিয়াম"। somoynews.tv। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-১৭।
- ↑ ক খ "বরগুনায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত"। desharkantho24। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-১৭।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ ক খ "বরগুনা স্টেডিয়াম মাতাবেন 'জেমস- রিংকু – মেহরিণ – আমাদের বরগুনা"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-১৭।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "বরগুনায় প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লীগের উদ্বোধন"। banglanews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-১৭।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ "তিন কোটিতে বদলাচ্ছে বরগুনা"। কালের কণ্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-১৭।
- ↑ "অবকাঠামো | অন্যান্য সকল"। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-০৪।
- ↑ "বিজয় দিবসে বরগুনা গণকবরে শ্রদ্ধা"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-১৭।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "বিজয় দিবস উপলক্ষে বরগুনা আয়োজন"। বিডিবার্তা ৭১। ২০১৮-১২-১৫। ২০১৯-০৬-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-১৭।
- ↑ "বরিশাল বিভাগের ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন বরগুনা"। bangla.bdnews24.com। ২০১৯-০৬-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-১৭।
- ↑ "বরগুনা স্টেডিয়ামে শেখ কামাল অ-২০ জাতীয় ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের বরিশাল বিভাগের খেলোয়াড় বাছাই"। Bargunatoday। ২০১৯-০২-২০। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-১৭।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "বরগুনায় বরিশাল বিভাগের ফুটবলার বাছাই | banglatribune.com"। Bangla Tribune। ২০১৯-০৬-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-১৭।
- ↑ ক খ "আইয়ুব বাচ্চুর জন্য অঝোরে কাঁদলেন জেমস"। সমকাল। ২০১৯-০৬-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-১৭।
- ↑ "জেমসের সঙ্গে কেঁদেছেন হাজারও দর্শক – খবর প্রতিদিন"। ২০১৯-০৬-১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-১৭।