বিষয়বস্তুতে চলুন

মহিমচন্দ্র দাশগুপ্ত

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মহিমচন্দ্র দাশগুপ্ত
জন্ম৯ এপ্রিল ১৮৮২
মৃত্যু৬ আগস্ট ১৯৩৮
আন্দোলনব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন

মহিমচন্দ্র দাশগুপ্ত (৯ এপ্রিল ১৮৮২ - ৬ আগস্ট ১৯৩৮) একজন ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামী ও সমাজসেবক।

রাজনীতি

[সম্পাদনা]

মহিমচন্দ্রের জন্ম হয়েছিল বর্তমান বাংলাদেশের নোয়াখালী জেলার নবাবপুরে। তিনি ডাক্তারি পাশ করে চট্টগ্রামে তার কর্মকেন্দ্র গড়ে তোলেন। ডাক্তার হওয়ার সুবাদে জনপ্রিয়তা ছিল এলাকায়। গান্ধীজির ভাবনায় অনুপ্রাণিত হয়ে কংগ্রেসে যোগদান করেন এবং অসহযোগ আন্দোলনে চট্টগ্রামে প্রধান ভূমিকা রাখেন। চট্টগ্রাম জেলা কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। বৃহৎ শ্রমিক আন্দোলন গড়ে তোলার ক্ষেত্রে দেশপ্রিয় যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্তর তিনি ছিলেন অন্যতম সহকারী।

চট্টগ্রাম বিদ্রোহে

[সম্পাদনা]

নিজে অহিংস আন্দোলনে সাথে জড়িত থাকলেও সশস্ত্র বিপ্লববাদীদের প্রতি গভীর সহানুভূতি ও ভালবাসা ছিল। মূলত তার চেষ্টা ও সহযোগীতায়, চারদিকে প্রবল বিরোধিতা সত্বেও মাস্টারদা সূর্য সেন চট্টগ্রাম জেলা কংগ্রেসের সম্পাদক হন ১৯২৮ সালে। সুর্য সেনের সাথে গভীর হৃদ্যতা হয় এবং চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুন্ঠনের অব্যবহিত পর পুলিশি ধরপাকড়ের সময় বহু বিপ্লবীকে আত্মগোপনে সহায়তা করতেন। এজন্যে তাকে ও তার পরিবারকে ব্যাপক সরকারি অত্যাচার ও হেনস্থার সম্মুখীন হতে হয় বহুবার। তার দাদা জমিদার বিপিন দাশগুপ্ত পুলিশি অত্যাচারে অসুস্থ হয়ে মারা যান।[]

সামাজিক কাজ

[সম্পাদনা]

মহিমচন্দ্র নানা ধরনের জনকল্যাণমূলক কাজের সাথে জড়িয়ে ছিলেন আজীবন। চট্টগ্রাম পৌরসভা, জেলাবোর্ড, রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম এবং প্রবর্তক সংঘর চট্টগ্রাম শাখার সাথে সংযুক্ত ছিলেন।[]

মৃত্যু

[সম্পাদনা]

মহিমচন্দ্র দাশগুপ্ত মারা যান ৬ আগস্ট ১৯৩৮ সালে।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. 1 2 প্রথম খন্ড, সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত (২০০২)। সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান। কলকাতা: সাহিত্য সংসদ। পৃ. ৪০৪। {{বই উদ্ধৃতি}}: |প্রথমাংশ= প্যারামিটারে সাধারণ নাম রয়েছে (সাহায্য)