মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি

স্থানাঙ্ক: ২৩°৫০′১৬″ উত্তর ৯০°২১′২৯″ পূর্ব / ২৩.৮৩৭৬৬১° উত্তর ৯০.৩৫৮০৯০° পূর্ব / 23.837661; 90.358090
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মিলিটারি ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি
নীতিবাক্যঅগ্রযাত্রার জন্য প্রযুক্তি
ধরনপ্রকৌশল সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়
স্থাপিত১৯ এপ্রিল ১৯৯৮; ২৬ বছর আগে (1998-04-19)
আচার্যবাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি
অধীক্ষকবাংলাদেশের সামরিক বাহিনী
রেক্টরমেজর জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম (কমান্ড্যান্ট)
শিক্ষায়তনিক ব্যক্তিবর্গ
৩৫০
প্রশাসনিক ব্যক্তিবর্গ
৪০০
শিক্ষার্থী৪০৫০
স্নাতক৩৪০০
স্নাতকোত্তর৬০০
৫০
অবস্থান,
১২১৬
,
২৩°৫০′১৬″ উত্তর ৯০°২১′২৯″ পূর্ব / ২৩.৮৩৭৬৬১° উত্তর ৯০.৩৫৮০৯০° পূর্ব / 23.837661; 90.358090
শিক্ষাঙ্গন৫০ একর
সংক্ষিপ্ত নামএম আই এস টি
অধিভুক্তিবাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস
ওয়েবসাইটwww.mist.ac.bd
মানচিত্র

মিলিটারি ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি; সংক্ষেপে এমআইএসটি) বাংলাদেশের একটি সরকারি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, যা মিরপুর সেনানিবাস-এ অবস্থিত। ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশ সামরিক বাহিনীর অফিসারদের বিএসসি প্রকৌশল অধ্যয়ন করার জন্য বাংলাদেশ সরকার এটি প্রতিষ্ঠা করে। প্রাথমিক অবস্থায় পুরকৌশল, তড়িৎ, ইলেক্ট্রনিক ও যোগাযোগ প্রকৌশল, যন্ত্র প্রকৌশল এবং কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ থেকে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হলেও পরবর্তীতে অন্যান্য নতুন বিভাগ খোলা হয়। ২০০৮ সালের আগে এমআইএসটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত ছিল। পূর্বে শুধু সামরিক বাহিনীর অফিসারদের অংশগ্রহণ থাকলেও ২০০২ সাল থেকে বেসামরিক শিক্ষার্থীরা এখানে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে অধ্যয়ন করার সুযোগ পায়। এমআইএসটিতে বর্তমানে ৪ টি অনুষদে ১২ টি প্রকৌশল এবং স্থাপত্য বিভাগ রয়েছে। প্রকৌশলে বিএসসি, এমএসসি/এম. ইঞ্জিনিয়ারিং, এম. ফিল. এবং পিএইচডি ডিগ্রী প্রদান করে থাকে এমআইএসটি। প্রকৌশল শিক্ষায় উৎকর্ষ সাধনের জন্য অত্যাধুনিক ল্যাবরেটরি এবং গবেষণাকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছে বাংলাদেশ সরকার এমআইএসটিতে। বর্তমানে সকল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট বাংলাদেশ প্রকৌশল ও কারিগরি এক্রেডিটেশন বোর্ড (বি.এ.ই.টি.ই), ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (আই.ই.বি) হতে সনদপ্রাপ্ত। [১][২]

এম আই এস টি ভবন-১
এম আই এস টি ভবন-২

ইতিহাস[সম্পাদনা]

এম আই এস টি ক্যাম্পাস
এম আই এস টি ক্যাম্পাস 

মিলিটারি ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স এ্যান্ড টেকনোলজি সংক্ষেপে এমআইএসটি নামে পরিচিত। এটি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি অধিদপ্তর যা প্রকৌশলে উচ্চশিক্ষা প্রদান করে থাকে। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ মিলিটারী একাডেমিতে বঙ্গবন্ধু আশাবাদ ব্যক্ত করেন, একদিন উন্নত বিশ্বের গবেষক ও প্রকৌশলীগণ বাংলাদেশে আসবেন। তিনি প্রথম বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর জন্য একটি অত্যাধুনিক প্রকৌশল শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের স্বপ্ন দেখেছিলেন। ১৯৯৮ সালের ১৯শে এপ্রিল তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকাস্থ মিরপুর সেনানিবাসে এমআইএসটি-র ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন ও প্রতিষ্ঠা করেন। পুরকৌশল বিভাগের প্রথম ব্যাচ দিয়ে এমআইএসটি-র একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়। এই ব্যাচে শুধু মাত্র ৪০ জন সামরিক ছাত্র ছিলেন। এর পর ২০০০-২০০১ সেশনে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ CSIT নামে যাত্রা শুরু করে। ২০০২-২০০৩ সেশন থেকে বেসামরিক ছাত্র-ছাত্রীর ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়। ২০০৩ সেশন থেকে যন্ত্রকৌশল এবং তড়িৎকৌশল বিভাগ[৩] ছাত্র ভর্তি শুরু করে। ২০১২ সেশন থেকে মাস্টার্স (স্নাতকোত্তর) প্রোগ্রাম[৪] এবং ২০১৪ সেশন থেকে এম.ফিল. ও পিএইচডি প্রোগ্রাম চালু হয়েছে।[৫][৬]

বিভাগসমূহ[সম্পাদনা]

এমআইএসটি তে বর্তমানে ১২ টি বিভাগ রয়েছে। এগুলো হল:

ক্রমিক নং  বিভাগ প্রবর্তনের বছর আসন সংখ্যা 
পুরকৌশল বিভাগ ১৯৯৯ ১২০
কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ ২০০১ ১২০
তড়িৎ, কমিউনিকেশন ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগ ২০০৩ ১২০
যন্ত্রকৌশল বিভাগ ২০০৩ ১২০
অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ ২০০৯ ১০০
নৌযান ও নৌযন্ত্র কৌশল বিভাগ ২০১৩ ৪০
স্থাপত্য বিভাগ ২০১৫ ২৫
জৈব চিকিৎসা প্রকৌশল বিভাগ ২০১৫ ৪০
পারমাণবিক বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ ২০১৫ ৪০
১০ পরিবেশ, পানি সম্পদ এবং উপকূলবর্তী প্রকৌশল বিভাগ ২০১৫ ৬০
১১ ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ ২০১৬ ৫০
১২ পেট্রোলিয়াম ও খনন প্রকৌশল বিভাগ ২০১৬ ২৫
সর্বমোট: ৮৬০

গ্রন্থাগার[সম্পাদনা]

২০১২ সালের হিসেব অনুসারে এমআইএসটি-র কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে রেফারেন্স ও জার্নালের ৫৮,২৪২টি বই আছে। ২০২২ সালের হিসেব অনুসারে এমআইএসটি-র ৪৫,০০০ বর্গফুটের উপর নবনির্মিত কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীতে ৫ লক্ষাধিক রেফারেন্স ও জার্নাল বই রয়েছে।

প্রকাশনা[সম্পাদনা]

  • বার্ষিক টেকনিকাল জার্নাল গ্যালাক্সি (আইএসএসএন 2073-6444)
  • ওসমানী হল ম্যাগাজিন "প্রত্যাশা"

আবাসিক হল সমূহ[সম্পাদনা]

ওসমানী হল, এম আই এস টি
ওসমানী হল, এম আই এস টি

এমআইএসটিতে ছাত্রদের জন্য "ওসমানী হল" রয়েছে। ছেলেদের জন্য মেল উইং এবং মেয়েদের জন্য ফিমেল উইং। প্রত্যেকটি উইং এ ২৬০টি করে মোট ৫২০ টি আসন রয়েছে। আর শিক্ষকদের জন্য "শাপলা" ও "পলাশ" নামে ২টি আবাসিক ভবন রয়েছে।

মেডিক্যাল সেন্টার[সম্পাদনা]

এমআইএসটিতে শিক্ষার্থীসহ সকলের সেবার জন্য একটি চিকিৎসাকেন্দ্র (এমআইএসটি মেডিকেল সেন্টার) রয়েছে।

সংগঠনসমূহ[সম্পাদনা]

  • এমআইএসটি কম্পিউটার ক্লাব (MCC)
  • এমআইএসটি রোবটিক্স ক্লাব (MRC)
  • এমআইএসটি ডিবেটিং সোসাইটি (MISTDS)
  • এমআইএসটি ফটোগ্রাফিক সোসাইটি (MISTPS)
  • এমআইএসটি লুনাবটিক্স ক্লাব

পুরস্কার ও সম্মাননা[সম্পাদনা]

  • ২০১১ সালে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত "International Public Speaking Competition"-এ এই-১ ব্যাচের ছাত্র মিজানুর রহমান রানার্স-আপ হয়।
  • ২০১২ সালে MIST_Kernel টিম "4th IUT ICT Fest-2012"-এ ৮ম স্থান অধিকার করে। (প্রতিষ্ঠানের রাঙ্কিং এ ৫ম)
  • MIST_Kernel টিম "ACM International Collegiate Programming Contest Dhaka Regional 2012"-এ ১৭তম স্থান অর্জন করে। (প্রতিষ্ঠানের রাঙ্কিং এ ৯ম)
  • ২০১২ সালে এমআইএসটি লুনাবটিক্স টিম (রোবোমিষ্ট) নাসার "৩য় বার্ষিক লুনাবটিক্স মাইনিং কম্পিটিশন"-এ অংশগ্রহণ করে।
  • কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের দুই কৃতি ছাত্র ইশতিয়াক আহমেদ এবং কাজী মুশনিমুন নবীর তৈরি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশান "সেভ লাইফ" "Mobile Apps Development Contest by EATL Apps" এ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০টি প্রোজেক্টের মধ্য থেকে ২য় রানার্স আপ হয়।
  • ১০ মে, ২০১৩ MIST টিম "বিজয়" ESAB এবং B-SCAN আয়োজিত "Inter University Design Contest-UAPT" এ রানার্স আপ হয়।
  • এপ্রিল ২০১৩ তে যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটায় অনুষ্ঠিত "ACI Mortar Workability Competition 2013" তে পুরকৌশল বিভাগের দুটি দল (টিম ভাইভ এবং টিম স্টর্ম) অংশগ্রহণ করে এবং টিম ভাইভ বাংলাদেশ সহ পুরো এশিয়ার মধ্যে ৪র্থ স্থান অধিকার করে।
  • ১২ থেকে ১৪ এপ্রিল, ২০১৩ যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় অনুষ্ঠিত "SAE Aero Design Competition(West)-2013" অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দল "MIST Aero Thunder Team" বিশ্ব রাঙ্কিং এ ১৯তম স্থান দখল করে।
  • অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আরেকটি দল "MIST Dreamer's Fin" ১৯ থেকে ২১ এপ্রিল, ২০১৩ যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনায় অনুষ্ঠিত "AIAA/Cessna Aircraft Company/Raytheon Missile Systems Design/Build/Fly Competition" এ বাংলাদেশ থেকে প্রথম দল হিসেবে অংশগ্রহণ করে এবং এশিয়ার মধ্যে ৪র্থ ও বিশ্বের ৯০টি দেশের মধ্যে ৪০তম স্থান অধিকার করে।
  • ২০১৩ সালে এমআইএসটি লুনাবটিক্স টিম (এমআইএসটি লুনাবটিক্স একুশ) যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় অবস্থিত কেনেডি স্পেস সেন্টারে অনুষ্ঠিত "৪র্থ বার্ষিক লুনাবটিক্স মাইনিং কম্পিটিশন"-এ অংশগ্রহণ করে ৬ষ্ঠ স্থান অধিকার করে। এছাড়া আউটরিচ প্রোজেক্টে ১ম, লুনা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড অ্যাওয়ার্ড এ ১ম, সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ারিং পেপারে ২য়, টিম স্পিরিট অ্যাওয়ার্ড এ ৩য় এবং মাইনিং ক্যাটাগরিতে ১১তম স্থান অধিকার করে।

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Official Website Of Mist"। ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ এপ্রিল ২০১৩ 
  2. "Official Website of BUP" 
  3. "EECE Ordinance" 
  4. "M.Sc. Admission 2015" 
  5. "মাস্টার্স ফলাফল ২০১৩" (পিডিএফ)। ৩ ডিসেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪ 
  6. "এম.ফিল. সার্কুলার ২০১৪" 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]